ফকির ইলিয়াস-এর ব্লগ

কবিতা লিখি, থাকি নিউইয়র্কে।

সান্নিধ্যের সনদ
সান্নিধ্যের সনদ তুমি যখন জমাট হতে শিখলে তখন দেখলাম,
তোমার কনুই থেকে গড়িয়ে পড়ছে ক’ফোটা ঘাম
একটা নীল প্রজাপতি বসে আছে তোমার ঠিক
মুখোমুখি। একটা আলনায় জমাট হয়ে আছে
একাকী, আমার খুব পরিচিত বন্ধনশিল্প। তুমি যখন জমাট হতে শিখলে, মনে পড়ছে
এর দুদিন পর আমার সংগ্রহ থেকে গলে পড়লো
চারটুকরো বরফ। আমি পড়ুন
কবিতা | ৩ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৫৭ বার দেখা | ৯৫ শব্দ
আর যারা সমুদ্রের প্রতিবেশী
আর যারা সমুদ্রের প্রতিবেশী [] আমার কাছে বসে বৃষ্টি, গল্প শোনায় না এখন আর।
কোনো মেঘ ছায়া দেবে বলে, করে না অঙ্গীকার
কিছু বিজলী, পাশ কাটিয়ে অন্যত্র চলে যায়
কিছু ঝড়, হারিয়ে যায় খড়ের বক্ষদেশে। আমি আর আমার পালিত দুঃখ’রা জেগে থাকি
আর যারা সমুদ্রের প্রতিবেশী, তারা বসে থাকে পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩১৪ বার দেখা | ৬৭ শব্দ
তৃণতারকাগুলো
তৃণতারকাগুলো আমার বুকের ভেতর যে তৃণতারকাগুলো বসত করে, আমি তাদের
রোদন শুনি মাঝে মাঝে। দেখি কক্ষচ্যুত প্রেম আমাকে পেছনে ফেলে
মিলিয়ে যাচ্ছে অন্য আকাশে। আর আমি কেবল পাহারাদার হয়ে,
তাকাচ্ছি একবার জমিনের দিকে। অন্যবার নীল সাগরের দিকে। জমিন ও সাগর একসময় আমার খুব প্রতিবেশী ছিল। এখন আমার
খুব কাছেই যেভাবে পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩৩১ বার দেখা | ১১১ শব্দ
সারারাত জলের জোনাকে
সারারাত জলের জোনাকে আবার বৃষ্টি এলে সারারাত জলের জোনাকে
লিখে নাম, দেবো ভাসিয়ে কাগজ
কেউ জানবে না এই হেমন্তে, কে ছিল গোলাপ বাগানে
কে ছিল প্রথম শ্রোতা, ভূপেনের পদ্মা– গঙ্গা — গানে
কে ছিল স্বীকৃত আলো- কে ছিল পাখা হাতে বসে
পাশে রেখে স্মৃতিঠোঙা, বুকে নিয়ে পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৮৩ বার দেখা | ৭০ শব্দ
রক্তমেঘতন্ত্রী বৃষ্টিলোকালয়
রক্তমেঘতন্ত্রী বৃষ্টিলোকালয় ফিরে এলো না অনেকেই। অনেকগুলো ঘর, পুরুষশূন্য
থেকে গেল। অনেকগুলো সংসার থেকে চিরতরে,
হারিয়ে গেল নারীর শাড়ীর আঁচল। কোর্তাবিহীন শিশু-
মা মা বলে কাঁদলো ডিসেম্বরের তীব্র শীতে। কেউ,
শুনতে চাইলো না সেই ডাক। ধীরে ধীরে পশ্চিমা ট্যাংকগুলো,
অতিক্রম করলো আমাদের গ্রামের পথ। আমরা আকাশের দিকে তাকিয়ে থোকা থোকা
রক্তমেঘ পড়ুন
কবিতা | ৩ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩৪৯ বার দেখা | ৯৩ শব্দ
বিজয়ের পদাবলি
বিজয়ের পদাবলি হিমের নগর এসো, এসো ঘুমের ঘোরবিন্দু
তোমাকে জড়াই- শীতে, এই পাখিগৃহে
চাঁদের প্রদাহ দেখে লিখে রাখি আরও কিছু গান
যেভাবে সমুদ্র শিখে নিজ প্রিয় নাম-আমূল বিরহে । ২
দু’চোখের পাতা জুড়ে থাকো স্মৃতি, তন্ময় হয়ে
বলার কিছুই নেই- নিঃশ্বাসে নীল প্রজাপতি
বেঁচে থাকে দম নিয়ে। বিলিয়ে দেয় হলুদ কারুজ
প্রাণ মানেই পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৯১ বার দেখা | ৭০ শব্দ
কবিতাটি একাত্তর পরবর্তী
কবিতাটি একাত্তর পরবর্তী ♥ যে তুমি জানতে চাওনি, আমি কি কবিতা লিখি
অথবা আমার চোখে কি পড়ে গেছে ছানি,
ভুলে গেছি অশ্রুপাত এবং পিতৃহারার কাহিনি-
কিংবা অর্ধেক অন্ধ হয়ে বেঁচে আছি কী না
কেঁদে উঠি কি! দেখলে শাপলা ফুল কিংবা একটি সবুজ পাখি যে তুমি জানতে চাওনি, আজীবন কেমন পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩০৭ বার দেখা | ৮৬ শব্দ
ছায়ামনে, মেঘের সংসার
ছায়ামনে, মেঘের সংসার ভেসেছিলাম একক সায়রে, সাথে নিয়ে পিতল বরণ মেঘ
নিধুয়া নদীর বাঁকে জমে থাকা বিরহ অপার
বলেছিলো সাথে যাবে, যদি যাই হিজল জমিনে
হতে পারে দেখাদেখি— ছায়ামনে, মেঘের সংসার। আঁকড়ে যে জন থাকে ভিটেজল, ঢেউয়ের আকর
টেনে নেয় কাছে ঝড়, বসন্তের অরূপ মহিমা
বীমাহীন জীবনের যতসব লেন-দেন সেরে
অতিক্রম পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৪৩৯ বার দেখা | ৬১ শব্দ
তুষারপাতের আগে
তুষারপাতের আগে [] জমে যাচ্ছি, প্রগাঢ় শ্বাসকষ্টের ভেতর। পাতাহীন বৃক্ষের
প্রতিবেশে পাখিরা যেমন মুখ লুকিয়ে রাখে প্রেমিকার
বুকের বা’পাশে। কাঁপছি – পালকে বুনা ভারী কোট
গায়ে দিয়ে, একাকী সড়কে। আমাকে ফেলে রেখেই
চলে যাচ্ছে যাত্রী ভরা বাস। কাজল বরণ রঙ ধারণ করে মাথার উপর,
দাঁড়িয়ে আছে উইকেন্ডের আকাশ।
পৃথিবীর অন্যপ্রান্তে, বিজয়ের পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৭০৬ বার দেখা | ৭৭ শব্দ
হে পরিব্রাজক
হে পরিব্রাজক চারপাশে ভিড় করে আছে অগণিত ক্লাউন ও কিলার !
কোনদিকে যাবে, কোন পথ তোমার হবে হে পরিব্রাজক !
কোন সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে তুলবে হাত—
কেউ কি আছেন ! আমাকে একটু পার করে দেবেন পথ । চারপাশে জমে আছে বরফ ও বিচ্ছিন্নতাবাদ। হাতুড়ি হাতে
যে শিশু ইট ভাঙে, পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৪৬ বার দেখা | ৯৮ শব্দ
পুনর্পাঠের তথ্যতালিকা
পুনর্পাঠের তথ্যতালিকা অসম্পূর্ণ থেকে যায় পাওনার ছায়াতালিকা। দেনার নক্ষত্রগুলো লাল চোখ দেখিয়ে
পাড়ি দেয় অন্য ভূপৃষ্ঠে। এখানে কোনও সম্প্রদান নেই। যে আলো ঘিরে রাখে
প্রাকৃত সুন্দর— সেই তপস্যাগৃহে মানুষেরাই শিখে নেয় জন্মদান পদ্ধতি, প্রেমহিস্যা। মূলতঃ এই পৃথিবীও একদিন পাঠগামী ছিল। যারা পড়তে পারতো না
বৃক্ষের শরীর, তাদেরকেই বলা পড়ুন
কবিতা | ৩ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৪৬৮ বার দেখা | ১০২ শব্দ
যখন কুড়ানোর অবশিষ্ট কিছুই থাকে না
যখন কুড়ানোর অবশিষ্ট কিছুই থাকে না
প্রণাম নিও হে পাতার প্রভাব। একটু সবুজ রেখে দিও
আমার জন্য। রাঙাতে চাই। রঙিন হতে চাই, নিজেও
এই জলক্যাম্পে ; এই উনুন উপত্যকায়। বিষ্ণুপ্রিয়ার মুখ
দেখে, চিনে নিতে চাই কুড়িয়ে রাখা শেষস্মৃতি। আবার জয়
হবে, আবার নুয়ে পড়া লতাগুল্মে সূর্যও দেখবে নিজের মুখ-
সেই ভাবনা পড়ুন
কবিতা | ৩ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৪২২ বার দেখা | ৮৩ শব্দ ১টি ছবি
ডিসেম্বর ১৯৭১
ডিসেম্বর ১৯৭১ অনেকটা রোদকে চিনে নিয়েছি তখন। সেই ভোরবেলা
সেই তুমুল সর্ষে ক্ষেতে হলুদের ঢেউ দেখতে দেখতে খুব
সাবধানে এগিয়েছি বাঁকে। সুরমা আর বাসিয়া নদী দুটির
মিলন মোহনায়, একটি সূর্যকে স্বাগত জানাবো বলে। একটি শিখার কাছে বন্ধক রেখেছি আমার সব প্রেম, আর
প্রতিমার প্রথম চুম্বন। এই মাটিঘেরা উষ্ণ বাদাড়। কিছুটা
অবহেলায়, পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩২২ বার দেখা | ৮৬ শব্দ
পার্থক্যের কতকিছু
পার্থক্যের কতকিছু [] জগতে কতকিছুই প্রথম প্রকাশিত হয়, কতকিছু-
সান্নিধ্যের সাগর ছুঁতে না পেরে, মিশে যায় ঢেউয়ের
সাথে। কত শামুক-ঝিনুক, আত্মস্মৃতি খুঁজে
বদলায় নিবাস। নিমিষে ভালোবাসার ছায়াতলে
ডুব দেয় মানুষের প্রিয় পরাণ পাখিরা।
কত পার্থক্যের বেলা, নিয়ন্ত্রণ করে ঝড়ের ভাগ্য
এখন শ্রাবণ নয়, তবু তাণ্ডবের লালরেখা
দাগ রেখে যায় সময়ের বুকের উপর, পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৬৬ বার দেখা | ৭৭ শব্দ
ছায়াগুলো সাজানো ছিল
ছায়াগুলো সাজানো ছিল [] নাটকের যবনিকা এলে বদলে যায় পর্দার রঙ। যারা
অভিনয় করেছিল,তারা পোশাক পাল্টে মিশে যায় জনস্রোতে।
হাততালি দিতে দিতে যারা উপভোগ করেছিল দৃশ্যাবলি-
তারাও ভুলে যায় বিগত সংলাপ। নাটকটি মূলত সাজানো ছিল,বলতে বলতে নাট্যকার
হাত দেন পরবর্তী পরিচ্ছেদ পরিকল্পনায়।বোকা মাটির ঘ্রাণ
বুকে নিয়ে পাখিরা সেরে নিতে চায় দেশান্তরের পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৭৭ বার দেখা | ১০০ শব্দ