ফকির ইলিয়াস-এর ব্লগ

কবিতা লিখি, থাকি নিউইয়র্কে।

তোমার বসন্তের আগুনে
তোমার বসন্তের আগুনে জলগুচ্ছ আবার উড়ে যাক। কিছু বাষ্প থেকে যাক
আমাদের চয়নসম্বন্ধের যাবতীয় দ্রোহ হয়ে। আর
বিলাপ বনান্তে এই পাখিদের পালক ধারণ করুক
আগুনের রঙ। তোমার বসন্তভোরে নিয়ামক সূর্যশিথান। কীভাবে আমরা লিখেছিলাম প্রথম প্রেমপত্র, কতোটা
জলে ভিজে আমরা পরখ করেছিলাম নদীর গভীরতা,
সে কথা আজ জমা থাক ২০৫০ সালের পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩৩২ বার দেখা | ৯৭ শব্দ
মেঘভাস্করদের তালিকা
মেঘভাস্করদের তালিকা [] আমি কোনও আবিষ্কারক নই। পথের সন্ধান
নিয়ে কোনও অরণ্যের শোভা দেখবার কৃতিত্বও
নেই আমার। তবু প্রেমিকা হবে বলে আমার হাত
ঝাপটে ধরেছিল যে সিরামিক সন্ধ্যা—
আমি আজও তাকে মনে রেখেছি।
বিমূর্ত ভালোবাসা নিয়ে আমার ছায়া হয়েছিল
যে ত্রিমাত্রিক আকাশ, তাকে জানিয়ে রেখেছি
ভ্রমণের বিকাশপর্ব। দক্ষতা দেখাতে না পারলেও,
আঁকায় পড়ুন
কবিতা | ৩ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৫৯ বার দেখা | ৫৫ শব্দ
স্মৃতি যায়, বৃষ্টিবৃত্ত আসে
স্মৃতি যায়, বৃষ্টিবৃত্ত আসে পুষ্ট ঝর্ণা গায়ে মাখি। পেরিয়ে শীতভোর, সূর্যকে বলি-
তুমি কি লিখবে আমার নাম। তুমি কি ধারণ করবে
আমার কবিতার জ্যোতি, আমার ধ্যানে ঘেরা সবুজ
ফসল, ফুলের বৃন্তে আঁকা প্রেমিকার জলজ কুসুম। বিগত সময় বুকে আঁকি। পুকুরের বালিহাঁস, যেভাবে
টলমল স্মৃতি ঝেড়ে ছায়া খুঁজে পাড়ের রোদে, পড়ুন
কবিতা | ৩ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩৪২ বার দেখা | ৮৫ শব্দ
পথ অথবা পাখির মৃতদেহ
পথ অথবা পাখির মৃতদেহ লুজিয়ানা অঙ্গরাজ্যের সড়কে যে পাখিগুলোর মৃতদেহ পড়ে আছে,
ওরা সবাই নিউইয়র্কে ছুটে আসতে চেয়েছিল। ব্রাজিল থেকে যে
পায়রাটি সুইডেনের স্টকহোম শহরে নতুন নিবাস গড়ার কথা তার
সতীর্থকে বলেছিল, আমি আঁতকে উঠেছি তার মৃতদেহ দেখেও।
আর আরকানসাস শহরের সেই প্রায় পাঁচ হাজার পাখির জন্য এই
অশুদ্ধ সূর্যতলে পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৫৭২ বার দেখা | ১২২ শব্দ
কন্দরের ক্ষরণকাল ...
কন্দরের ক্ষরণকাল ঝিনুক কুড়োতে গিয়ে পেয়ে যাই একটুকরো ভাঙা কাঁচ।আঁচ পেয়ে যাই আগুনেরও
আমাদের প্রতিবেশী সমুদ্রে। কোনও ভয়, হিম হয়ে ছিল না সেখানে- পাই তারও
তথ্য-প্রমাণ।অথবা ১২২৮ খ্রীষ্টাব্দে, যে জাহাজটি ডুবে গিয়েছিল আটলান্টিকে-পাই
তারও একটুকরো লোহা।আমি লোহার সংসারে মানুষের মমি দেখে আঁতকে উঠেছি
বহুবার।দেখেছি- ভেসে যাওয়া প্রেমের প্রতিকল্প।অল্প অল্প পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৬৭ বার দেখা | ৫৮ শব্দ
শিশুপদ্মের পদ্য
শিশুপদ্মের পদ্য আসলে কবিত্বের কোনো জীবন নেই। জীবনের কবিত্বই
শিশুপদ্মের মতো মানুষের পাশে দাঁড়ায়।যারা দেখে না,
তাদের স্বেচ্ছান্ধ বলা যায়। কবিতার জন্য কোনোদিনই অপেক্ষা করেনি কোনও
ছন্দেশ্বর। বরং যারা ধলেশ্বরী নদীতে এর আগে
ভেসেছিল একা- তারাই কেটেছে সাঁতার। বাকী
সবাই ঢেউয়ে ভেসে গেছে। মিথ্যা-সত্য কিছুই আরাধ্য নয় কবির। দর্পণে
আগুনচূর্ণ দেখে, যারা সনাক্ত পড়ুন
অন্যান্য | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১৩২৪ বার দেখা | ৫৫ শব্দ
বিনম্র বিষের মায়া
বিনম্র বিষের মায়া সাক্ষী দিতে গিয়ে দেখি আমার ছাউনি সরিয়ে নেয়া হয়েছে
বেশ আগে। দংশনের বিপক্ষে কথা বলার আগে, আমিই হয়েছি
দংশিত লখিন্দর। বিনম্র বিষের মায়া আঁকড়ে ধরেছে আমার
সর্বাঙ্গ। ভঙ্গ করে সকল অঙ্গীকার আমি দাঁড়িয়েছি জলের
কাঠগড়ায়। বৃষ্টিতে ভিজে একটি আশ্বিন খুঁজে বার বার গিয়েছি
সমবেত শরতের কাছে। এভাবে পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৪৯৬ বার দেখা | ৭১ শব্দ
শীতের ওজনগুচ্ছ
শীতের ওজনগুচ্ছ ১
অবশেষে তুমিই আমাকে
শিখিয়ে দিলে-
শীত ও ঠাণ্ডার পার্থক্য! ২
তোমার কাছে এলেই
আমি ক্রমশ
মাইনাস আঠারো হয়ে যাই! ৩
মাপার যোগ্যতা না থাকার পরও
তুমি,
আমাকে বললে, নব্য ওজনদার! ৪
জানুয়ারির এই ভোরে
দেখলে সূর্যের নিক্তি,
মনে হয় শীতের সাথেই
হয়েছে শেষ চুক্তি! ৫
ভালোবাসি বলে
হাত বাড়িয়ে দিলেই
আমার দিকে এগিয়ে আসে
গুচ্ছ গুচ্ছ সুবর্ণ শীত। ৬
শীতসংগ্রহের রাতে,
আমিও ছিলাম তোমার পাশে
রাগ ভরা পড়ুন
কবিতা | ৪ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৬০৭ বার দেখা | ৪৮ শব্দ
চূর্ণচয়নগুচ্ছ
চূর্ণচয়নগুচ্ছ ♥ কাঁথা
———–
প্রচণ্ড শীত এলেই,
আমি পেয়ে যাই
তোমার ভেতরে ঢুকে যাওয়ার
অবাধ অধিকার।
*
কম্পন
—————
হাত না ধরলেও চলে,
কিংবা না ছুঁলেও ওষ্ঠ
তবু কাঁপতে কাঁপতেই
ভুলে যাই-
নাম ভুলানো শীতের এই কষ্ট!
*
আঁধার
—————–
জড়াজড়ি করে থাকি
দুপুরের এই আঁধার
তবু কেন বুকের
উত্তাপ বাড়ে না!
*
বিকল্প
—————
শীতের বিকল্প
তোমার বুক,
মাটি হে!
আরেকবার পাঁজর খুলে দাও।
*
সিঁদুর
————-
বহুদিন দেখিনি
আগুনের ওজন,
শীতের সিঁথিতে যে
লাল,
আমি তাকেই উৎসর্গ করে পড়ুন
কবিতা | ৪ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৪৫৫ বার দেখা | ৪৯ শব্দ
পুনরায় জন্মজীবনে
পুনরায় জন্মজীবনে খুব বেশি হাঁটতে পারিনি। খুব বেশি বলতে পারিনি
এখানে দাঁড়াও। আমার জন্য অপেক্ষা করো, অথবা
আমিই থেকে যাবো অপেক্ষায়- এমন ওয়াদা,
কোনোদিনই দেয়া-নেয়া হয়নি আমার। বিরহী জলে
আর অবশিষ্ট মেঘাবর্তে- শুধুই লিখেছি মরম, মৃত্তিকা। একদিন ভূমিষ্ঠ হবো, তা যেমন জানা হয়নি, তেমনি
জানা হয়নি হামাগুড়ির কৌশল, পদরেখার ছাপতন্ত্র
জেনে পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৪৪ বার দেখা | ৭৬ শব্দ
তুষারপাতের ঘ্রাণ
তুষারপাতের ঘ্রাণ ♦ তুষারের গন্ধ পেলেই আমি হয়ে উঠি, বারুদময়।
রোদ দেখবো না জেনেও আকুতি রাখি, সূর্যের চরণে
আহা! বিগত পৌষ! তুমিও আমার জন্য-
রেখে গেলে না কিছু উষ্ণ হিম, কাঁথার করুণা! আগামী চব্বিশ ঘন্টা এই নগরের সড়কে সড়কে
ঝরবে যে বরফ, কিংবা যে ঝড়োহাওয়া
উড়িয়ে নিয়ে যাবে পুরনো বৃক্ষের বাকল,
কি পড়ুন
কবিতা | ৩ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৪৯১ বার দেখা | ৯১ শব্দ
কেউ কেউ জানতে চাইবে
কেউ কেউ জানতে চাইবে অনেকের ভালো লাগে না বিচ্ছেদভৈরবী। যারা শালুক সন্ধানে
মাড়িয়েছিল বিলের ছায়া, তারা দেখেছে হাওয়ার ভরাট সামন্ত
কী যাদু নিয়ে লিখে রাখে পাখিদের কোলাহল। কবিতার খাতায়
প্রিয়তমার নাম লিখে রাখার সাহস দেখাতে পারেন ক’জন কবি।
অথবা যার কোনো আরাধনা নেই- সেই মানুষটি পাপ মোচনের
পরীক্ষা পাতায় কেমন পড়ুন
কবিতা | ৩ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৬০ বার দেখা | ৮৩ শব্দ
হিমাংকের উত্তরপূর্বে
হিমাংকের উত্তরপূর্বে ♥ হিমের ঊষা নিয়ে আছি। হিমাংকের আলোয়,
কাটিয়ে রাত; আছি জন্মোৎসবের আনন্দে
আছি বিষাদেও, গৃহহীন পাখিগুলোর দিকে তাকিয়ে,
মাইনাস পাঁচ ডিগ্রির নিউইয়র্কে, পাতাহীন
বৃক্ষদের ছায়ায়। কোনো হিমই অপ্রয়োজনীয় নয়। তুষারপাতের আগে,
ঘনকালো আকাশের রঙ, মনে করিয়ে দেয়
শাদায় শাদায় ভরে যাবে মাটি, তৃণ, তৃষ্ণা
আমাদের শান্তির জন্য যে জমাট বরফ পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩১৬ বার দেখা | ৬৫ শব্দ
জলের জন্মদাতা
জলের জন্মদাতা তুমি চেয়েছিলে জলতন্ত্র
আর আমি শুধু বৃক্ষের পাতায়
লিখে রাখতে চেয়েছিলাম রাতগুলোর জন্মবার্ষিকী,
কিন্তু এখন দেখি – এ কী !
ঝরে যাচ্ছে পাতা
আর কিছু ভুল জমা করে করে
কেবলই দেশান্তরি হচ্ছে জলের জন্মদাতা
তুমি চেয়েছিলে পর্বত
আমি যে ক্ষত বুকে নিয়ে
ভেসেছিলাম সমুদ্রে,
তারপরও তৃষ্ণায় কাতর হয়ে
আমি পান করেছিলাম ভোর
একান্তই মঙ্গলগ্রামের রৌদ্রে
আমি পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৪৩ বার দেখা | ৫৭ শব্দ
সব দুঃখই পাখি হয়ে যায়
সব দুঃখই পাখি হয়ে যায় [] সব দুঃখই পাখি হয়ে যায়। সকল বেদনাই চৈতন্যের
জল হয়ে সমুদ্রে ভাসে। কোনো পরদেশী জাহাজের
পাটাতন তা ছুঁতে পারে, কখনও থেকে যায় অস্পর্শের অতল। ঝড়গুলো বিভক্ত হয়ে প্রদক্ষিণ করে উত্তর এবং
দক্ষিণ মেরু। যারা পূর্বে থাকে, তারা তাকায় পশ্চিমে।
সূর্য ডুবলো বলে, জোনাকিরা গায়ে পড়ুন
কবিতা | ৩ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৩৫ বার দেখা | ৮৩ শব্দ