পাখির ভাষা, মানুষের চলার পথ
পাখিভাষ্য শিখতে পারে না মানুষ। কিন্তু মানুষ পোষে পাখি,
উড়ে যেতে চায় পাখির ডানায়- চলে ও চালায়
জীবন, জীবনের ছায়া- জলের একান্ত প্রতিবিম্ব।
মানুষ যে অক্ষর ধারণ করে বুকের পাঁজরে- তার মাঝে
কি থাকে পাখির জন্য সামান্য ভালোবাসা!
অথবা যারা বৃক্ষ হত্যা করে, নগর পোড়ায়,
দখল
বিনয়ের ভিন্নগান
আমাকে সমুদ্র দাও, আমি দেবো সবুজ আকাশ
আমাকে বিষাদ দাও, আমি দেবো সপ্তম গোধূলি
আর বলি,
যদি কিছুই না দাও
তবে এই সমাধি জুড়ে আরেকবার মৃত্তিকা সাজাও ।
এবং সাজিয়ে রাখো আরেকটি স্মৃতির পানদান
কয়েকটুকরো মিষ্টি সুপোরি,
আর জর্দার ঘ্রাণ
আমি তো এভাবেই তোমার জন্য
লিখে যেতে চেয়েছি
বিনয়ের সুতোয় লেখা সমুদ্রের ভিন্নগান।
শেষ পর্যন্ত সত্য প্রকাশ হচ্ছে। মিয়ানমারের কয়েকজন জেনারেলের সোশ্যাল মিডিয়া ব্লক করে দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করানোর দাবি উঠেছে। কী নারকীয় গণহত্যা হয়েছে মিয়ানমারে! মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা গণহত্যায় ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকায় মিয়ানমার সেনা কর্মকর্তাদের অবশ্যই
সমকালীন|
৩ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৩১৮ বার দেখা
| ১১৪৮ শব্দ ১টি ছবি
কবিতার সমান উচ্চতা
[ শহীদ কাদরী- আপনাকে ]
___________________
মানুষগুলো ছায়া হয়ে যায়। পাখিগুলো হয়ে যায় পথ। যারা
ভুল করে সমুদ্রকে অন্যনামে ডাকে, তারা আরেকটি বনবাস
পেরিয়ে গিয়ে দেখে কিছু ধূসর পাতা অপেক্ষা করছে একটি
আকাশ পেরোবে বলে। একটি পোষা মাঘ-; সংরক্ষণ করছে শীত।
আমি কিছুই পেরোবো বলে
কবিতা|
৫ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৫৭৭ বার দেখা
| ১২৭ শব্দ ১টি ছবি
অতন্দ্র তামার আয়নায়
তুমি ক্রমশ ভুলে যাচ্ছ রন্ধনের বন্ধন প্রণালিগুলো।
ভুলে যাচ্ছ জলে ভেজার চতুর্থ গল্প। আকাশের
পরিবর্তে যে আগুন তোমাকে ছাউনি দিয়েছিল,
তার প্রতি কৃতজ্ঞতার ভাষা।
স্মরণ করার মাঝে কোনো কৃতিত্ব নেই।
বরং যারা ভুলে যেতে পারে, তারাই দাঁড়াতে
পারে নতুন নদীর মোহনায়, আগামী বর্ষার জন্য
খুলে দিতে পারে বৃষ্টি জানালা।
আমি
লোরকা
একটি নাটকের জন্যই আটত্রিশ বছরের জীবন
পর্যাপ্ত নয়। কিংবা একটি কবিতা লেখার জন্য-
অথবা বলতে পারো; যে ভ্রমণ সংক্ষিপ্ত করে
সমুদ্রের গায়ে লবণ ছড়ায় কোনো পর্যটক-তার
হাতে-চোখে-বুকে জমে থাকে যে হাজার বছরের
ঘুম,পর্যাপ্ত নয় তার ধ্যানে থাকা রাতের মধ্যপ্রহর।
বন্দুক উঠছে, বন্দুক নামছে- এমন দৃশ্য দেখার
প্রয়োজনে সে সময় দরকার, তার
রাষ্ট্রবিজ্ঞান শিখেছে যে ঈগল
পথ দেখাবার জন্য মাঝে মাঝে অন্য পথিকের সাহায্য নিতে হয়।
আকাশের বিজলী দেখার জন্য মাঝে মাঝে মেনে নিতে হয় মাঠের
আধিপত্য। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ভাষা শিখে যে ঈগল বসে থাকে চুপচাপ,
তার সাথেও মাঝে মধ্যে সেরে নিতে হয় চোখাচোখি খেলা। আর
হাকালুকি হাওরের ঝিনুকচিত্রে কদাচিৎ রাখতে হয়
বঙ্গবন্ধু ♦
আমি কি জমা রেখেছি নাম, ভালো লাগা জলের ভেতর
আমি কি এঁকেছি ছবি, রৌদ্রময় মেঘের গহীনে
নাকি আবার ফিরবো বলে, কথা দিয়ে
উঁচু করেছি হাত!
কিছুই করিনি। রোদের অনুকূলে যে দুপুর
দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়, যে বৃষ্টি টেমসের তীরে
আমার সাথে লুকোচুরি খেলে, শুধু তাকেই বলেছি-
আজকের সমস্ত অনুরাগ তুমি বরাদ্দ
[ ১১ আগস্ট হুমায়ুন আজাদের মৃত্যুদিনে ]
মানুষের দিকে তাকালেই, আমার চোখের দিকে
উড়ে আসে একগুচ্ছ ছাই,
বৃক্ষের দিকে কান পাতলেই, বেজে উঠে
একটি পুরনো করাতের ক্রন্দন ধ্বনি-
আর নদীর দিকে!
না, কি দেখি তা আর বলা যাবে না।
বলতে পারছি না অনেক কিছুই,
দেখতে পাচ্ছি না কবি কিংবা চিত্রশিল্পীদের
মুখ। যারা বাঁশি
আমরা যে মত প্রকাশের স্বাধীনতার কথা বলি, তা কোথায় আছে? ইউরোপে-আমেরিকায়? না- নেই। মধ্যপ্রাচ্য, দূরপ্রাচ্যের কথা বাদই দিলাম। আপনারা কেউ যান তো নিউইয়র্ক টাইমসে একটি বিজ্ঞাপন দিতে, বিশেষ একটি সম্প্রদায়ের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে। ওরা আপনার বিজ্ঞাপন নেবে? না- নেবে না।
বলুন
সমকালীন|
৪ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৪৫ বার দেখা
| ১১২০ শব্দ ১টি ছবি
এত রক্তপাতের পরও
যে কাঁটা গলায় বিঁধার কথা ছিল, তা বিঁধেছে চোখে
কিছুই দেখছি না আর,
কিছুই মনে করতে পারছি না, আদৌ
মানুষ ছিলাম কী না, কোনো জনমে
দাঁড়িয়েছিলাম কী না- কোনো মানুষের পাশে।
উড়ে যাচ্ছে পাথর। উড়ছে রক্ত- বাষ্প হয়ে
তারপরও আমাদের নিষ্ক্রিয় নাসারন্ধ্র, পাচ্ছে না
কোনো গন্ধ, পরখ করতে পারছে
মহাপ্রলয়ের আগে
১
আমরা ভুলে যাবো আমাদের মানবিক পরিচয়
আর তখনই মহাপ্রলয় আসবে নেমে আমাদের
খুলির উপর। যে দেহ- এই মাটি গ্রাস করেছিল
অনেক আগেই,
সেই দেহকে অস্বীকার করবে প্রিয় প্রাণপাখি,
বলবে-
আমি কোনোদিনই তোমার সাথী ছিলাম না।
২
আমি অনেক আগেই পড়েছি হাড় হত্যার কাহিনি
জানি, কীভাবে উল্টে ধরতে হয় ছাতা, কীভাবে—
বজ্র এবং বিবেকের