মীমাংসিত মেঘহিস্যা
মীমাংসিত মেঘহিস্যা বুঝে নিতে নিতে তুমি
আকাশকে ভুলে যাচ্ছ
ভুলে যাচ্ছ আগামী ঠিকানা, কি এক ঘোরের ভেতর
সাজাচ্ছ বিভিন্ন বিরহ
অন্য আকাশ ভেদ করে একটি পাখি উড়ছে
একটি সবুজ আপেল গাছে
লুকিয়ে পড়ছে চাঁদ,চাষ ভুলে গিয়ে
স্থির দাঁড়িয়ে আছে- সমকালীন একটি গ্রহ।
পেরেকপাত্রে একা
আমাকে যে আপেলবাগানে নিয়ে যেতে চাইছো,
সেখানে অনেকগুলো কালো ভোমর থাকে।
আমাকে নিয়ে যেতে চাইছো যে আখক্ষেতে, সেখানে
এক মধ্যরাতে মুখ থুবড়ে পড়েছিল চন্দ্রের শবদেহ
আর কয়েকটি পিঁঁপড়ে, সেই শবদেহ টেনে নিয়ে
ফেলে দিতে চেয়েছিল নদীতে।
পেরেকপাত্রে এতোদিন একা পড়েছিল আমার যে
মৃত আত্মা, তুমি তাকে দিতে চেয়েছিলে যে প্রেম-
আমি
মেঘের সাথে, মুহুর্তের সাথে
প্রতিদিন একজন মেঘভিক্ষুকের সাথে আমার
দেখা হয়। প্রতিরাতে আমাদের ডেরায় উঠে আসে
চাঁদগল্পের ছায়া। আমি চাষাবাদ জানি। তাই –
সাজিয়ে রাখি স্তরে স্তরে বিনীত কাশমৌসুম।
মেঘের সাথে মানুষের সম্পর্ক নতুন নয়। বরং
মুহুর্তের মহিমায় ডুবে থাকে যে জীবন; সে ই
লিখতে পারে অনন্ত উৎসের উপাখ্যান। মেঘ
তখন সেই
জলপাহাড়ে ঘর
কেউ গেয়ে যাচ্ছে ক্লান্তকণ্ঠে, বনজ সঙ্গীত। মন্দ
লাগছে না এই কোলাহল, পাতার পৃথক ভাষা,
সূর্যের বিবৃতি। পাহাড়ের প্রান্ত ছুঁয়ে জেগে উঠছে
যে প্রেমকণা- তাকে গ্রহণানন্দে, ভিজে যাচ্ছে প্রেমিকার চোখ।
এই শহরে যারা সাঁতার জানে না, তারাও ভাসতে এসেছে আজ
যারা কখনও পড়েনি, রাধা-কৃষ্ণের প্রেম কাহিনি, তারাও
বাঁশি হাতে নিয়ে
ভ্রূণের শহর ছেড়ে ♠
ভ্রূণের শহর ছেড়ে চলে আসা নদীর কাছে জানতে চাই,
পুষ্পেরা কেমন আছে। উত্তরে হাসে নদী, বলে –
ভাসাই বলেই আমি জোয়ারের জনক
আর যারা ভালোবাসার মর্মার্থ জানে,
তারাই বলতে পারে- কী মহান বিরহের ত্বক।
উজানের উৎস থেকে উঠে আসা মেঘের কাছে
জানতে চাই, তুমি কি পারো
বিশ্ব নেতৃবৃন্দ আশা করেছেন, আগামী নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগই আবার ক্ষমতায় আসবে। এই আশাবাদ প্রায় সকলেরই। বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য তার নেতৃত্ব দরকার।
বিগত বছরগুলোতে অর্থনৈতিক উন্নয়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাফল্য এবং রোহিঙ্গা সঙ্কটে ভূমিকার জন্য শেখ হাসিনার সরকার
সমকালীন|
৩ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১১৪৫ বার দেখা
| ১২১৪ শব্দ ১টি ছবি
নৈর্ব্যক্তিক ভোরচিত্র
আমি ততোদূরই যাবো , যতোদূর পর্যন্ত অংকিত হবে আমার পদছাপ।
নৈর্ব্যক্তিক নদীর ছায়া খুঁজে যে দুপুর হেঁটেছিল একা, তার সাথে খুব
সংগোপনে করে যাবো ভাব বিনিময়। ক্ষতি হয়, হোক । লভ্যাংশের
শেষ সিরিজ অনেক আগেই নিয়েছি পাঠ। বিরাট কোনো সম্ভাবনা জীব-
বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ বিরোধী একটি ‘জাতীয় ঐক্য’র ডাক লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিএনপির মূল মোর্চায় এই ঐক্যের ছায়াতলে এসে সমবেত হয়েছেন ড কামাল হোসেন, ডা বি চৌধুরী, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, ডা জাফরুল্লাহ চৌধুরী, আসম আবদুর রব, মাহমুদুর রহমান মান্না। হঠাৎ
পশম ও পুষ্পের গান
আমি চিরকাল লিখে যেতে চাই পশম ও পুষ্পের গান
কালো কোন আকাশ পেলে
বদলে দেব সূর্যের আদল আর
বেদনার মুখাবয়বে ডুবে থাকা রোদের অসুখ-
সুখ দেব বলে কোন প্রতিজ্ঞা না করেই ঢেউগুলোকে দেবো
সমুদ্রের সোনালি সোহাগ …
দেবো আরও অনেক কিছুই। পাতার পতন দেখে যে দুপুর
কেঁদেছিল নীরবে,
দুয়ারের খিলের ভেতর
কিছু দাগ চাপা পড়ে থাকে
কিছু জোছনা বয়ে যায় উজান।
কিছু পাখি একাকী আড়ালে
অরণ্যে একা—
গেয়ে যায় প্রিয় গান।
সেই গান-কলি
হয়তো বা কেউ শোনে,
হয়তো বা কেউ
দুয়ারে খিল দিয়ে,
সাজায় আগুন কিংবা পৌষ বুনে।
অনেক দাগের মাঝেও কিছু দাগ
হস্তরেখায় ছড়িয়ে যায় বিবাগ।
বৃহস্পতির ভোরে ♦
আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম
বরফ হয়ে জমে থাকবো পাহাড়ের চূড়ায়
অথচ তার আগেই দেখলাম আকাশ,
সমুদ্র হয়ে নেমে আসছে আমাদের বুকে
আর আমরা কান্না রপ্ত করতে শিখে গেছি
দেখলাম, ঘুমশীতল বৃহস্পতির ভোরে
গান গাইছে যেসব কল্পনাবিদ পাখি,
তাদের বিনম্র সুখে শামিল হচ্ছে মানুষও-
আমাদের নামগুলো কেবল বাদ পড়ছে
সেই তালিকা
মাননীয় অনুতাপেষু
কোনো মহড়ার জন্যই মানুষের অনুতাপ থাকে না।
পূণ্যগৃহের ভেতর ডুবে থাকে যে প্রাচীর,
মানুষ তাকে ছুঁয়ে ঘটাতে চায় শুদ্ধ-নির্বাসন,
আলেখ্য আলোয় লিখে আর পড়ে, মেঘঝরনার লিরিক।
অনুতাপের পরাগে পরাগে একান্ত মানুষই করতে পারে
সর্বশেষ স্নান।
মাননীয় মনের অজান্তে-
পরিচয়হীন পথ গুলোই পড়ে থাকে পৃথিবীর না না প্রান্তে।
এই মধ্যরাত, এই মৃতশামুকের দাগ
কঠিন পাথরের হাসি দেখে আমি আবার তাকাই। মধ্যরাত ঝুলে আছে বিবর্ণ দেয়ালে। এই দেয়ালে একটা ছবি ছিল গৃহমালিকের। তিনি দেশত্যাগ করেছেন অনেক আগে। আর রেখে গেছেন যে ধুলোচিহ্ন, এখন তারও অবশেষ খুঁজে পাওয়া যায় না আর। মধ্যরাতের মাঝখানে মাঝে মাঝে
শ্যামশাস্ত্র
নিজের হাতে নিয়ন্ত্রণ রেখে বীজগুলো ঢুকে যাচ্ছে
মাটিগর্ভে। যে দুপুর এই দৃশ্য দেখছে, তারা জানে
অন্ধ রাতের প্রাঙ্গণ সব সময় দখলে থাকে জোনাকি দলের।
বাকি পোকাগুলো কেবলই ঘুমায় নিজের আভা নির্মাণ করে।
মূলত মানুষের নিজস্ব কোনো আভা নেই। প্রকৃতির কাছ
থেকে ধার নেওয়া রং কিংবা আয়ু দিয়েই মানুষ লিখে
নিজস্ব