হলুদ পাতার ধ্বনি
অক্টোবরের আলো বুকে দাঁড়িয়ে থাকে রোববারের দুপুর। মেঘাচ্ছন্ন মন
এর আগেও তোমাকে ভেবেছিল- আর বলেছিল, আবার কি দেখা হবে-ঋতু!
জানি অনেক পদছাপই আর খুঁজে দেখা হয় না। অনেক রোদ কেবলই
ঝরে পড়ে গাঁয়ের ওপারে। একটা প্রজাপতি গোটা বিকেলের গায়ে
তার আহ্লাদের
কবিতা|
৬ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৪২৮ বার দেখা
| ৯৭ শব্দ ১টি ছবি
দ্রোহ নেই, শুধুই পাথর ♦
নিক্ষেপ করার জন্য যে জল আমার হাতে
তুলে দিয়েছিলে, তা হয়ে গিয়েছিল শিলা।
দ্রোহের ধানে ধানে সাজাতে চেয়েছিলে যে হেমন্ত,
তা হয়ে গিয়েছিল ধূসর কার্তিকের সূর্য।
আমি সেই সূর্যের মুখোমুখি দাঁডিয়ে একটি পলাতক
দোয়েলের চোখের দিকে তাকিয়েছিলাম। আমার
অনটন, আমাকে দূরে সরিয়ে রেখেছিল
সকল উৎসব থেকে।
একদিন নদীর
আঁধারের সেমিকোলন
আমরা অনেক আগেই বেচে শেষ করেছি আমাদের
শুভবুদ্ধির পসরা। কফ এবং কষ্টগুলো দেখাতে,
চিরে ফেলতে হচ্ছে বুক। স্নায়ু, ধমনী, অস্থি-মজ্জা
সুই-সুতোর ঘাই দেখতে দেখতে ঝাঁঝরা হয়ে গেছে
যে চোখ- সাক্ষী মানতে চাইছি তাকেই স্বজন ভেবে।
পক্ষে দাঁড়াবার কেউই পাশে নেই আর। না যজ্ঞ, না যতি-
হেরে যাচ্ছে উপাসনার
নবম প্রবর
পথ’কে আগলে রেখেছেন পৃথক ঈশ্বর
আমি কাছে যেতে চাই
একটা নদী হয়ে, একটা গোলাপ হয়ে
যে মাটি আমাকে সাজায়,তার প্রতিমূর্তি হাতে
হয়ে কোনো নবম প্রবর।
হতে চাই ছায়াসাথী, পাহারাদার জলের
আর কোনও খ্যাতি নেই
জেনে যে পাখি- ঝাড়ে তার পালক
আমি সেই পালকশিখায়,
ভালোবাসা রেখে যাই,কয়েকটি হেমন্তফুলের।
রেখে যাই দ্যুতি আর দম
তুমি তার
একটি বাউল গান [] তোমার কোনো পরিচয় নাই
তোমার কোনো পরিচয় নাই,
আমি যদি ডাক না দেই
আমি তোমার ছবির বাহক
সাথেই আছি- কোথায় নেই!
১। সব কর্তৃত্ব আমায় ঘিরে
পাপ আর পূণ্যের সব বিচার,
তোমার হুকুম পালন করি-
আমার তো নাই অধিকার,
আমি ছাড়া তুমি বেকার,
লুকিয়ে আছ আলোতেই ।।
২। যুগে যুগে তোমায়
বাদককে যেদিন ওরা হত্যা করে ফেললো
সাইরেন বাজাতে বাজাতে চলে গেল একটি এম্বুলেন্স। নিয়ে গেল
একটি দেহ, একটি ভাঙা গিটার- আর একটি পুরনো শব্দমালার
খসড়া। নিয়ে গেল কিছু ভাংতি পয়সা। ওজনহীন মধ্যরাত।
পাতালরেলের প্রবেশপথে দাঁড়িয়ে যে লোকটি বাজনা বাজাতো,
সে আজ আর সেখানে নেই। জায়গাটি ফাঁকা পড়ে আছে। একটি
চড়ুই,
অন্ধত্বের অনুরাগীরা
না দেখার অহংকার নিয়ে থাকি। কত
ঢেউ আমাকে না চিনেই পাড়ি দেয় উজানে, কত পাখি
ডানায় পুরে কালের ভালোবাসা
উড়াল দেয় নতুন সাকিনে, আমার কোনো গন্তব্য না থাকায়
বসে থাকি, আর দেখি ভাটির পড়াশোনা।
যে অন্ধ অনুরাগীরা নদীকে অবিশ্বাস করে
অন্য দেশে যেতে চায়
তাদের জন্য কোনো পাঠ বাকি না
গুহাজীবন
আমার প্রতিবেশী ছিল আলখেল্লা পরা একটুকরো রাত, ডানপাশে
কয়েকটা মাকড়শা বুনছিল তাদের স্বপ্নজাল। আর শুকনো পাতার
মর্মরে বাজছিল অনাগত দিনের দ্যোতনা, কিছু সমবেত পিঁপড়ে
খুঁড়ছিল মাটি। মাঝে মাঝে এভাবে খুঁড়ে যেতে হয় – তা আমার
আগেই জানা ছিল। কালো বন্দুকটার গায়ে হেলান দিয়ে আমি
যে মমতার স্থির চিত্র আঁকতাম,
মেঘলা মাঘের মুখ
শুধু পদছাপ রেখে যাবার জন্য এসেছিলাম,
সেকথা আমি বলিনা। উত্তীর্ণ আকাশ ছুঁয়ে
অবনত হয় যে বর্ষার স্রোত ,আমি তার সতীর্থ
হয়ে ভাসিয়েছি চাঁদের ডিঙা। কিছুটা জল
আর প্রেমের প্রবল প্রতাপে হতে চেয়েছি
পরাক্রমশালী। রক্তিম রোদে বার বার দেখতে
চেয়েছি মেঘলা মাঘের মুখ ।
যারা আমার কবিতাগুলো পড়বে বলে
বাংলাদেশে এখন রাজনীতি নির্বাচননির্ভর। অনেক কিছুই ঘটছে। অনেক কিছুই ঘটবে। সবচেয়ে বড় চমকের বিষয় হচ্ছে, এখন জোটবদ্ধ রাজনীতি। অনেক অপরিচিত রাজনীতিক এখন তাদের দলকে জোটভুক্ত করতে মরিয়া হয়ে আছেন। সংখ্যা বাড়াতে চান তারা। তাদের ভোটের মাঠে শক্তি কেমন- তা
সমকালীন|
৩ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২৭৭ বার দেখা
| ১২৬৩ শব্দ ১টি ছবি
জলহাড়, হাড়ের ভ্রমণ
স্থির দাঁড়িয়ে জলশব্দের ধ্যান দেখি
আমি সাধক নই,
নেই আমার সাধন-ভজন ও
তবু মায়াবি চান্দের ছায়া আমাকে বলে যায়
সাগরও পুড়ে, পুড়ে নগর
অক্ষত থাকে জলহাড়, হাড়ের ভ্রমণ।
সেই হাড়ে জমে যে ক্ষরণ
প্রেমিক-প্রেমিকা তার হিম ছুঁয়ে ছুঁয়ে
সেরে নেয় প্রতীক্ষার সব জলবরণ।
@
মেমোরি ও মনকানা
জানার আগ্রহ সাগরে ভেসে যায়। ভাসে ধূলিকণা
আমারও ভাসার কথা ছিল।
পারিনি, ওজন কম বলে আমাকে রিক্রুট করেনি
বনের হাওয়া, ঝড়ের গতি আর সমুদ্র সময়।
আমি মনকানার হাটে হারিয়েছিলাম আমার
যে মেমোরিচূর্ণ, আজ তা আবার খুঁজে দেখি
পাই না কিছুই। যে হাড় আমার ছিল
যে মজ্জা ছিল কালের
যে প্রশ্নটি তুমি নিজেকেই করতে পারো
মৃত্যু, বিশ্বে আলোচিত কোনো বিষয় নয়।
এমন কি হত্যাও। যাকে খুন বলা যায়-
যাকে বলা হয় ‘আততায়ীর কর্মকাণ্ড’
সেসব নিয়েও এখন খুব বেশি ভাবে না কেউ।
বরং ব্যাধিগ্রস্থ বানিয়ে যে সবুজকে খাবলে
খাচ্ছে শাসকেরা, ভয় এখন তাদের নিয়ে।
আরও সহজ করে বলা যায়, পেট্রোডলারের
বিনিময়ে যারা
কোথায় দাঁড়াবে বাংলাদেশ
যারা একাত্তরে ধর্ষণ করেছে আমাদের বোন
যারা একাত্তরে জ্বালিয়েছে আমাদের স্বজনের ঘরবাড়ি
যারা আমাদের মায়ের রক্তাক্ত লাশের উপর করেছে উল্লাসনৃত্য
আজ তাদের অনুসারীরাই দেখাচ্ছে ফণা। তাদের উত্তরসূরীরাই
হয়তো একদিন বলবে এই গুলামও ভাষাসৈনিক ছিল
শহিদ মিনারে রাখতে হবে এরও মরদেহ-
এ- কেও দেখাতে হবে রাষ্ট্র্রীয় সম্মান !
কোথায় দাঁড়াবে
যন্ত্রস্থ যমুনার মুখ
স্ব-কাল’কে সাজিয়ে রেখেছি বিদ্যুতপাথরে। চাইলেই ছুঁড়ে
দিতে পারি। আর পারি স্বীকার করে যেতে শান দেয়া চাঁদের
জনম। নিদ্রার নিমগাছ জড়িয়ে জেগে থাকা ভাদ্রের বিবরণ।
পারি আরো অনেক কিছুই। শোকের সংযোগ খুঁজে যে নদী
বয়ে যায় উজান, তার গতিপথ আটকে দিয়ে আমিও হতে
পারি ঝড়ের সমান। তাবৎ তীক্ষ্ণতার