ক্রমশ আইসিইউ তে চলে যাচ্ছে গোটা বাংলাদেশ!
দীর্ঘতর সন্ধ্যায় গালে হাত দিয়ে বসে আছেন মা,
একটি গামছা দিয়ে জড়িয়ে ছোটবোন’টিকে নিয়ে-
হাসপাতালের দিকে ছুটছেন অগ্রজ!
এম্বুলেন্স ছুটছে,
সাইরেন বাজানো ভুলে গিয়ে শুধুই
আকাশের দিকে তাকাচ্ছেন চালক ;
ঠাঁই নাই – ঠাঁই নাই
ক্লিনিকের করিডোরে কাঁদছে বিষণ্ণ কাক! মৃত্যু

এই বাঁকে কী এর আগে দাঁড়িয়েছিল কেউ। মাস্তুল কাঁধে ফেরারী মাঝির
মন নিয়ে দেখেছিল ভাঙনের সপ্তদৃশ্য ! এবং ওপারের মানুষের বিরহে
ঢেকেছিল দু’চোখ ! এমন প্রশ্ন নিয়ে জল খেলে ঘূর্ণি ঘূর্ণি খেলা
বেলা বয় ধীরে-
যমুনার দুই পাড়ে স্মৃতিমেদ বসিয়েছে মেলা !

মেঘের আলোয় লুকিয়ে রাখি মেঘালয়। অনাদি ঈশ্বর এসে ঢেকে দেবেন
আমাদের কামঘুম, সে প্রত্যয় নিয়ে গোণি প্রহর। বুঝে, না বুঝে আমরা
যারা খেলি প্লাস-মাইনাস খেলা, তাদের সমবেত তাঁবুতে ছিটাই কুয়াশামন। সংগ্রহ শেষ হলে পাঠিয়ে দেবো তোমার ঠিকানায়। লগো দেখে তুমি তা
যুক্ত করে নিতে পারবে তোমার ডেস্কটপে। তারপর

কিছুটা গৌরবগরজ নিয়ে আছি। কিছুটা রক্তাক্ত রাতের শরীরে মিশিয়ে শরীর।
এভাবে থেকে যেতে হয়। বিনয়ের কবিতা পড়ে শিখেছি বিনয়।
আর শক্তির কাছ থেকে ধার নিয়ে শক্তি, খুঁজেছি নির্জনতার ছায়া। শনাক্ত করতে পারলে বুঝা যায় জলভাষা। দৃষ্টির দিগন্ত ছুঁলে ধরা যায়
বৃষ্টিবর্ণ। প্রতিবেশী প্রেমিকাকে ঘাসগল্প শুনিয়ে ঘুরা যায় নক্ষত্রনগর। কিছুটা

ছড়িয়ে আছে পাথরদানা। জানা- অজানার বনভূমি ছুঁয়ে শিশুরা খেলে
যাচ্ছে সাপ-লুডু খেলা। বেলা দাঁড়িয়ে দেখছে জীবনের গমনদৃশ্যরূপ।
চুপ করে থাকি। আঁকি আমিও সম্প্রসারিত ভুলের কোলাজ। আওয়াজ
দেবার কথা ছিল যাদের, তারাও ছিটমহলের বাসিন্দা এখন। দ্রবণ
শেষ হলে প্রেমও কি তবে ছিটকে পড়ে পরাকাশের, প্রান্তে অবশেষে!
ভালোবেসে মাটির মরম, দেখে

যে কবিতাটি আমি একটি জাতীয় দৈনিকে
পাঠিয়েছিলাম, তা আর কেউ পড়েনি। শুধু
পড়েছিলেন ঐ দৈনিকের সাহিত্য সম্পাদক।
তারপরে ছুঁড়ে দিয়েছিলেন ডাস্টবিনে। সেই
থেকে আমার ঐ কবিতাটির পাঠক সংখ্যা
একজনই। তিনি ফেলে দিয়েছিলেন, কারণ তার ভালো
লাগেনি কবিতাখানি। এই ভবের বাজারে, অনেকের অনেক কিছুই
ভালো লাগে না।
কারো ভালো লাগে না যোগাত্মক যন্ত্রনা।
আবার, কারো ভালো

বদলে যাওয়া মানেই বর্জ‌্যের শেষ তলানিটুকু নয়-
বদলে যাওয়া মানেই- পরে নেয়া নয় পশুত্বের খোলস
বদলাবার নামে যারা পান করতে চাইছে ধুমকেতুর সিগ্রেট
অথবা যারা গাইতে চাইছে দেহদক্ষিণার গান,
তাদের কাছে বদলে যাওয়া মানেই-
গায়ে জড়ানো একটি মৌসুমি হাওয়ার প্রলেপ। বানর বদলে মানুষ হয়েছে
অথবা মানুষ বদলে হয়েছে পাথর-
এমন অনেক

ঘুমতালিকার দ্বিতীয় বোতাম প্রথমটি খসে পড়েছে অনেক আগেই। আমি যখন তৃতীয় বোতামটি
তালাশ করছিলাম, তখনই দুচোখ জুড়ে নেমেছিল বৃষ্টিঘুম। বেশ দীর্ঘ
হয়েছিল রাততালিকা। আর এই গ্রীষ্মাকাশে তারা উড়াবে বলে, ক’টি
পাখি আমার সাথে ধরেছিল বাজি। হারা-জেতার ভয় না করেই।
রাত মানেই ঘুম।ঘুম মানেই রাত। এই বিনম্র শর্তাবলি অস্বীকার করে
আমি

আমার প্রিয় কবিতা
আপনারও ভালো লাগতে পারে ফটোশপে বানানো ছায়া আলো দিয়ে বানাবার কথা ছিল ঘর, তা দখল করে নিচ্ছে
ফিকে রেখা। মানুষের মনে জমে থাকার কথা ছিল যে
বিনীত ধর্মের বয়ন, তা চলে যাচ্ছে মিথ্যের দখলে।
কিছু প্রতারক ছবিদোকান খুলে, বিক্রি করছে, মেকি
হাড়-মাংস, অনুভুতি,অহংকার, প্রেম,এবং ভূমিমাটি। যাদের

উনুনে উদার আকাশ। ছিল সবই, আঙিনার হলুদ বকুল
শিমুলের উজ্জ্বলতা, চিত্রা নদীর বাঁক ফেরা ভ্রমণ। তার
পরও অবসন্ন বিকেলকে সাথী করে ছুটেছি চাঁদভাঙা রাতে,
তোমাকে পাবো বলে অতিক্রম করেছি রক্ষণের সপ্তদশ
সীমান্ত। দেয়াল খুলে দিলে যে কেউ হতে পারে যে কোনো
দেশের বাসিন্দা। আমি কেবল সীমান্ত পেরিয়েছি। কেউ
আমাকে আশ্রয়

সকল প্রার্থনা, প্রদীপ হয়েই জ্বলবে জানি তোমার
চোখে। আলোর ঝলক; ধারণ
করবে চোখ, ললাটে বৃষ্টির দাগ
স্পর্শ করবে বনেদি আগুন-
না ছুঁয়ে দেখা ঈশান কাছে এসে
বলবে,
নেবে! তুলে নেবে এই বৃষ্টিবিতান! মেঘেরা ফিরে যাবে ঘরে। সূর্যপিতার আদেশ পেয়ে
রাতও বিছিয়ে দেবে তার নমস্য সুন্দর। আমি কিছু
পবিত্র পাপের আরাধনা সেরে আবার ঝড়

চে,
অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র থাকাকালে
‘ছোটদের রাজনীতি’ পড়তে পড়তেই
আমি জেনেছি তোমার নাম!
আদৌ তোমার কোনো জন্মদিন
ছিল কী না –
তা,না ভেবেই আমি হিসেব করেছি
সূর্যের বয়স! এই পৃথিবীতে
অনেকগুলো সূর্য আছে;
অনেকগুলো বিপ্লব ভ্রমণ করে
বহুবিদ মেহনতী মানুষের পাঁজর-
তা জানতে জানতেই আমি লিখেছি-
চাঁদের গায়ে প্রিয় বিপ্লবীদের নাম। চে,
৩৯ বছর

[ খোন্দকার আশরাফ হোসেন- আপনাকে ] দুহাতে তুলে রাখি কিছু বনঢেউ। আজ আমি কিছুই সাজাবো না।
না আকাশ, না পুষ্প, না আগুন। কারো গায়েই পরাবো না
নতুন কোনো পোশাক। কিছু অন্ধকার আমার প্রিয় হোক, কিছু
বিচ্ছেদ ছিন্ন-বিছিন্ন করুক আমার পাঁজর – এমন প্রত্যয় নিয়ে
আজ আমি নগরে বেরোবো যারা

কথা হোক বনের আলোতে
জোসনায়-ভেজা চুলের স্মৃতি শুকাতে শুকাতে
বেদনায়,
বৃষ্টির লালিমায় মেঘ যেমন মুখ লুকোয়-
পরিণত ভোরগুলো গেয়ে যায় জীবনের জয়। কথার আড়ালে থাকুক, অনেক কথার পাহারা
নিতে নিতে বর্ণময় নিশ্বাস-
জলের সমান্তরালে জল
ফুলের সমান্তরালে ফুল
সাজিয়ে আসুক কাছে,
জ্যোৎস্নাগন্ধ পেতে চায় যারা। কথা হোক, রাত্রির বাহুতে রেখে চোখ
প্রতিবেশী পরাগেরা –
প্রণয়ের চিরসাথী হোক।

যারা পেয়ে যায় আন্তর্জাতিক প্রবেশাধিকার শুধু তারাই বলতে পারে আমার
কোনো দেশ নেই। পৃথিবী স্বদেশ আমার- এমন উচ্চারণে কাব্যপংক্তিমালায়
কন্ঠ মিলায় কবিও। আর প্রকৃতই উদ্বাস্তু যারা, তারা একটুকরো ভিটের স্বপ্ন
দেখে কাটিয়ে দেয় ভিনগ্রহের জীবন। মার্কিনী নীল পাসপোর্ট পাবার পর যাদের
জন্য উঠে গেছে সিংহভাগ রাষ্ট্র সীমান্তের ব্যারিকেড,