ফকির ইলিয়াস-এর ব্লগ

কবিতা লিখি, থাকি নিউইয়র্কে।

লাগাতার সন্ধ্যার আয়তন
ক্রমশ আইসিইউ তে চলে যাচ্ছে গোটা বাংলাদেশ!
দীর্ঘতর সন্ধ্যায় গালে হাত দিয়ে বসে আছেন মা,
একটি গামছা দিয়ে জড়িয়ে ছোটবোন’টিকে নিয়ে-
হাসপাতালের দিকে ছুটছেন অগ্রজ!
এম্বুলেন্স ছুটছে,
সাইরেন বাজানো ভুলে গিয়ে শুধুই
আকাশের দিকে তাকাচ্ছেন চালক ;
ঠাঁই নাই – ঠাঁই নাই
ক্লিনিকের করিডোরে কাঁদছে বিষণ্ণ কাক! মৃত্যু পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১১৯ বার দেখা | ১২২ শব্দ
পৃথিবীর পশ্চিম দুয়ার
পৃথিবীর পশ্চিম দুয়ার
শব্দের কোনো ঘ্রাণ নেই,
ঢেউয়ের বর্ণ কেমন-
তা জানতে চেয়ে যখন তোমার চোখের দিকে
তাকাই; তখন একটি প্রবীণ বটবৃক্ষের ছায়া-
আমাকে বলে,
তোমার একটি ছাতার প্রয়োজন, কবি! যাযাবরদের কোনো ছাদ থাকে না,
থাকে না নির্দিষ্ট কোনো আনন্দ,
পৃথিবীর পশ্চিম দুয়ার যখন আমাকে স্বাগত জানিয়েছিল,
তখনই বুঝেছি,
তোমার পড়ুন
কবিতা | ৪ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১৩২ বার দেখা | ৫২ শব্দ ১টি ছবি
অজাতিসত্তার অসুর
মৌলবাদ বাঙালী জাতিসত্তার অংশ নয়,
কিংবা যে সাম্প্রদায়িকতার খোলস পরে আছ তুমি-
তা ও নয় আমার পরিচয়;
আমি জাতহীন মানবের নিধি
দেখ, এই মাটির পাঁজরে মিশে আছে আমার বুকের পরিধি, আর যে আগুনের উল্লাস দেখে তুমি ভীত হও
আমি তার প্রতীক শুধু- এমন একটা
হিসেব লিখে লও
জেনো- যে শক্তি অজাতিসত্তার অসুর,
কবিতায়, পড়ুন
কবিতা | ৩ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১৯১ বার দেখা | ৬২ শব্দ
এই আষাঢ়ের চিঠি
দূরের পাখিরা জানে এই আষাঢ়ের অন্যনাম-তোমার চিঠি। অথবা ভালোবাসার
পুরনো খাম- নতুন অক্ষরে সাজানো একটি কদমফুল। ভুল করে উজানে বয়ে
যাওয়া নদীর প্রশ্বাস জমা রাখা দুপুর। হতে পারে ভোর- কিংবা দুপুর। যে সময়ের কাছে রেখে এসেছি আলোর অতীত।
মনে পড়ে ? এই আষাঢ়েই আমরা গেড়েছিলাম আরেকটি বিশ্বাসের ভিত পড়ুন
কবিতা | ৩ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৪৬৫ বার দেখা | ৪৫ শব্দ
ধর্ম
একটি পাতা পড়েছিল-
অর্ধেক জলে, অর্ধেক স্থলে,
নদীর চরে। প্রচণ্ড ঝড়ো হাওয়া এসে
পাতাটিকে উড়িয়ে নিয়ে গেল। পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৪১৪ বার দেখা | ১৩ শব্দ
শঙ্খময় পৃথিবীর ছায়া
করোনা বলে আসলে বিশেষ কোনো বীজাণু নেই!
যা আছে, তা দীর্ঘঘুমের একটি বাহু মাত্র!
যে বাহু না থাকলে প্রেমিক তার প্রেমিকাকে
জড়িয়ে ধরতে পারে না। ফেরাতে পারে না বৈশাখি তাণ্ডব! অগণিত মৃত্যুর ভার নিয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে যে পৃথিবী
আমার এখন আর তার দিকে তাকাবারও ইচ্ছে
করে না। বরং পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১১৩৭ বার দেখা | ১২২ শব্দ
সময়ের শব্দাবলি
সাহিত্য আর সংস্কৃতিতে
দখল নিয়ে বলতে চায়
একাত্তরে ভুল করেনি
তাদের মরা বাপ-দাদায়। এখন বলে মিলে মিশে
আসুন আমরা দেশ গড়ি
শহিদ স্মৃতি ভুলে গিয়ে
খেলাফতের পথ ধরি মূল পরিচয় লুকিয়ে রেখে
সুশীল সেজে, হাটবাজার
গরম করে- চেয়ে দেখো
আওলাদে সব রাজাকার। পড়ুন
কবিতা | ৩ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১০৩৬ বার দেখা | ৩৩ শব্দ
তিনটি ছায়া
পৃথিবী প্রথম যেদিন আমার কাছে এসেছিল, আমি তাকে
উপহার দিয়েছিলাম তিনটি ছায়া,
একটি আমার, একটি শ্রাবণের আর আরেকটি
সে ছায়াটি কার ছিল, তা জানিয়ে তোমাকে এর আগেও
বহুবার লিখেছি প্রবন্ধ। নিবন্ধকার তার লেখার চৌহদ্দি
জানেন না, এমন ইঙ্গিতও ছিল আমার লেখায়, আর ছিল
আগামী শীতে আমাদের বাগানে পাপড়ি কুড়াবে পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১৬৬ বার দেখা | ৮০ শব্দ
ব্যাখ্যা বিষয়ক বচনপঞ্জিকা
তুমি অনেক কিছুই ব্যাখ্যা করতে পারো। ‘জল’কে কেউ কেউ কেন ‘পানি’ বলে, ‘গোরস্থান’ কে ‘কবরস্থান’- কিংবা ‘খোদা হাফেজ’কে ‘আল্লাহ হাফেজ’। কেন কেউ কেউ মাঝে মাঝে ‘তস্কর’ কে ‘লস্কর’ বানিয়ে বাজারে সেরে নিতে পারে মামুলি বেচাকেনা। ‘বাতাসা’ খেতে গিয়ে যারা ‘বাতাস’ খেয়ে তৃপ্ত হয়ে নগরে পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১৯৩ বার দেখা | ১০২ শব্দ
জাগো হে জ্যোতির্ময়
সুরমা নদীতে রক্তের ফোয়ারা আমি একাত্তরে দেখেছি
ক্বীনব্রীজের পূবাকাশে প্রতি ভোরে,
যে সূর্য ওঠে- আমি দেখেছি তার জ্যোতি।
এবং সেই জ্যোতি নিয়েই আমি গ্রহণ করেছি নির্বাসন। মানুষ নির্বাসিত হয়
কিন্তু তার ভিটে ভুলে যায় না
মানুষ আত্মহারা হয়
দেখে দেখে শিকড়ের আয়না চাদনিঘাটের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে আমি
সেই ঢেউ ছুঁয়েছি বহুবার, বহু দুপুরে।
আর বলেছি,
ভালো পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৩৯ বার দেখা | ১০৫ শব্দ
বংশীবাদকগণ
পৃথিবী আপাততঃ বেঁচে থাক অন্ধ হয়ে। চলো, আলোর
আয়োজনে আমরা পূরণ করি তরুপ্রতিম সবুজের ছায়া।
তারপর বিলিয়ে দিই, এইসব পূরণ ও প্রমাণ। যারা নিতে
চাইবে – তাদের হাতেই তুলে দেবো দুপুর, দৈন্যতা ও দ্রোহ।
অন্ধত্বের দ্বিতীয় অভিষেক সেরে যারা আমূল গৃহহীন, তাদেরকে
দেখিয়ে যাই ভাঙনের অষ্টম পয়ার। আবার ভাঙুক। পড়ুন
কবিতা | ৪ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১১৯২ বার দেখা | ১১৯ শব্দ
নাট্যনীড়
নগ্ন আকাশ দেখি দ্বিতীয় আভায়। প্রাচীন পতঙ্গগুলো গোল
হয়ে তাকাচ্ছে সেই নগ্নতার দিকে। আমি দর্শক নই, তবু
উঁকি দিয়ে দেখি, কারা এসে মিলিত হয়েছে এই আশ্রম
সীমানায়। কীভাবে লিখিত হচ্ছে বিশ্রামের তন্দ্রানিয়মাবলী। আরো এসেছেন দেখতে যারা, তারা সবাই বিশিষ্ট নাট্যজন।
নীড় নিয়ে খেলা করাই কাজ তাদের। কখনও হাসিয়ে যান।
কখনও পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১৪৪৩ বার দেখা | ৫৮ শব্দ
ভাইরাস কিংবা বিতর্ক যেভাবেই দেখো
চতুর্থ মৃত্যুর আগে প্রাণকে সেরে নিতে হয় তৃতীয়
মহাযুদ্ধ। পাঁজরের স্তরে স্তরে সাজানো এই যে
অভিমান; তাও করে দিতে হয় অবিন্যস্ত।
আলোকানন্দ অথবা বৈশ্যবিষাদ’কে দিতে হয়
সম অধিকার। যারা ছায়াপাতের নামতা পড়তে
পারে, তাদেরকেই দীক্ষক মেনে বিশ্লেষণ করতে
হয় পথে পথে পড়ে থাকা বীজাণু। অন্তর বাজিয়ে আকাশ বলতে হয়-
তুমি পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২১১ বার দেখা | ১০৪ শব্দ
কাব্যাণুকম্পন
॥ক॥
সবুজ ঘাসের কাছে নত হয়ে দেখি
একটা ছবির কংকাল
পড়ে আছে খুব কাছে
তার পাশ দিয়ে হেঁটে গেছে
আরও কিছু জলের সকাল। ॥খ॥
আমিও কাঁপতে গিয়ে ধরেছি যে হাত
সেই হাতে লেগেছিল আকাশের রঙ
ছিল দুটি লাল বালা,
ছুঁতেই দেখেছি বিনম্র আষাঢ় এসে
ঝরিয়েছে রোদ
আর আমি হেসে হেসে মুছেছি ঝড়
বৃষ্টিকে থেমে যেতে দিয়েছি পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১৭৯ বার দেখা | ১১০ শব্দ
আর কিছু প্রস্থানদৃশ্যের পদছাপ
রোদের রক্তিম রঙে ভিজে যায় বুকের পশম। গায়ে জ্বর নেই, তবু দেখি থার্মোমিটারের পারদ উঠানামা করছে অহরহ। ধমনি ও শিরা কখনও পালন করছে না কার্যকর ভূমিকা। একসময় প্রাত্যহিক প্রেমতালিকার অনেক কিছুই অকার্যকর হয়ে পড়ে। স্মৃতি-মোহ-মায়া, ছড়ানো পালকের মতো বিছিন্ন পড়ে থাকে মহাসড়কে। পথচারী যায়- পড়ুন
কবিতা | ৩ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১২০৭ বার দেখা | ৯১ শব্দ