ফকির ইলিয়াস-এর ব্লগ

কবিতা লিখি, থাকি নিউইয়র্কে।

প্রান্তিক পক্ষশক্তি
আমিও অনেকটা টিপসই জানা মানুষ। বৃদ্ধাঙুলের রেখায় যে কালো কালি
লেগে থাকে তার দিকে তাকিয়ে চিনি আঁধারের পরিচয়। জানি, নিরক্ষর
নদীদের জন্মঠিকানা। পাহাড়ের আত্মদানের ইতিহাস। চূড়ার অতীত জীবনী। যারা কিছুই জানে না বলে দাবী করে, তারা কিছুটা হলেও জানে গৃহপ্রবেশের
কৌশল। আমি এ বিশ্বাস স্থাপন করেছি পাতাদের হাতে পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১৯১ বার দেখা | ১১৩ শব্দ
ছায়ামনে, মেঘের সংসার
ভেসেছিলাম একক সায়রে, সাথে নিয়ে পিতল বরণ মেঘ
নিধুয়া নদীর বাঁকে জমে থাকা বিরহ অপার
বলেছিলো সাথে যাবে, যদি যাই হিজল জমিনে
হতে পারে দেখাদেখি— ছায়ামনে, মেঘের সংসার। আঁকড়ে যে জন থাকে ভিটেজল, ঢেউয়ের আকর
টেনে নেয় কাছে ঝড়, বসন্তের অরূপ মহিমা
বীমাহীন জীবনের যতসব লেন-দেন সেরে
অতিক্রম করে যায় পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১৯৮ বার দেখা | ৫৯ শব্দ
তুষারপাতের আগে
জমে যাচ্ছি, প্রগাঢ় শ্বাসকষ্টের ভেতর। পাতাহীন বৃক্ষের
প্রতিবেশে পাখিরা যেমন মুখ লুকিয়ে রাখে প্রেমিকার
বুকের বা’পাশে। কাঁপছি – পালকে বুনা ভারী কোট
গায়ে দিয়ে, একাকী সড়কে। আমাকে ফেলে রেখেই
চলে যাচ্ছে যাত্রী ভরা বাস। কাজল বরণ রঙ ধারণ করে মাথার উপর,
দাঁড়িয়ে আছে উইকেন্ডের আকাশ।
পৃথিবীর অন্যপ্রান্তে, বিজয়ের ফুলকি হাতে
সাজাচ্ছে ভবিষ্যত, পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২২৭ বার দেখা | ৭৬ শব্দ
অনেক আলোর বিধান ঘিরে
শিশিরের সিক্ততা ছড়িয়ে হেমন্ত চলে যায়। ঘোরের
আভা নিয়ে বাঁচে যে রাখাল,তাকে তুমি বন্দি,
বলতেই পারো। অথবা লিখে রাখতে পারো-
জীবিতদের জন্যই জীবন, মৃতের জন্য- শুধু দীর্ঘশ্বাস উত্থানের কাহিনি শুনিয়ে সূর্য ডুবে যায়। তপ্ত দুপুর
ছিল বুকের দুপাশে, তার সাক্ষী শুধুই থাকে নদী
আর প্রিয় পিপাসা- অনেক আলোর বিধান ঘিরে
রচিত পড়ুন
কবিতা | ৩ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২২২ বার দেখা | ৭৪ শব্দ
উষ্ণ আমিষ থেকে
শব্দের সন্ধানে হেঁটে যান প্রিয় পিতামহ
তাঁদের পায়ের ছাপে ভেসে যায় কাল বৃন্দাবন
আমিও খুঁড়েছি কতো শিলাবুকে সমান দহন
দেখেছি ঋতুর বীজে সূর্যের সবুজ বিগ্রহ। জ্বলে উঠে এই ভূমে দাঁড়িয়েছি আরো বহুবার
কবির আকাশ থাকে স্মৃতিময় নিজ করতলে
ডাক দিলে কাছে আসে যদি কোনো মহান সকালে
তবেই নমিত সুখে সাথী হয় পড়ুন
কবিতা | ৩ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২২৪ বার দেখা | ৮২ শব্দ
ছায়াগুলো সাজানো ছিল
নাটকের যবনিকা এলে বদলে যায় পর্দার রঙ। যারা
অভিনয় করেছিল, তারা পোশাক পাল্টে মিশে যায় জনস্রোতে।
হাততালি দিতে দিতে যারা উপভোগ করেছিল দৃশ্যাবলি-
তারাও ভুলে যায় বিগত সংলাপ। নাটকটি মূলত সাজানো ছিল,বলতে বলতে নাট্যকার
হাত দেন পরবর্তী পরিচ্ছেদ পরিকল্পনায়। বোকা মাটির ঘ্রাণ
বুকে নিয়ে পাখিরা সেরে নিতে পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২০৩ বার দেখা | ১০৪ শব্দ
রক্তাক্ত চন্দ্রগ্রাম
গুলিবিদ্ধ পাখির ডানায় ডুবে থাকে তারা।যে ভোর
জাগবে বলে ঝলক দেখায়,তার বাহুতে জমে উঠে
রক্তদাগ। নদীদের অভিমানের সাথে মিশে থাকা
বারুদগন্ধ, বয়ে যায় কালের উজানে। এই মাটির ছায়ায় লুকিয়েছিল যে আঙুলের আলো,
সে ও জেগে উঠে ‘জয় বাংলা’ বলে। একজন
মা, তার সন্তানকে বিদায় দিতে দিতে বলেন
– ফিরে এসো পড়ুন
কবিতা | ৩ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৫৬ বার দেখা | ৬৫ শব্দ
ফিদেলের জন্য পদ্মমালা ♦
বুকপকেটে আমরা যে রক্তজবা লুকিয়ে রাখতাম-
তা অনেকেরই নজর কাড়তো না। কিংবা যে সূর্যকে
বশ্য বানাবো বলে কোমরে ঝুলিয়ে রাখতাম কোমল ইস্পাত,
তা ও বার বার থেকে যেত রোদের অগোচরে,
অথচ ঢাকার রাজপথ কিংবা বলিভিয়ার জঙ্গল
সবই ছিল আমাদের নখদর্পণে, ছিল লালকালিতে
আঁকা ঝড়ের রোডম্যাপ। আমরা হামাগুড়ি জানতাম ঠিকই, কিন্তু মুছে
ফেলেছিলাম পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩৭৭ বার দেখা | ১১৬ শব্দ
দেবনগর
মানুষের পা ভিজিয়ে দেয় যে কুয়াশা, তার কোনো
পরিচয় নেই। পৌষ কিংবা মাঘ তার জন্মমাসও নয়।
ভালোবাসার ভোর থেকে ঝরে বিন্দু, কিছুটা হিম
আর কিছুটা অসীম আনন্দ নিয়ে, মানুষ খালি পায়ে হাঁটে। এখানে দেবীরা আগুন হাতে অপেক্ষা করতো উষ্ণতার;
এখানে শীত হাতে রাইকিশোরী, একাই গাইতো-
প্রাণের কৃষ্ণগীতি। আর পুষ্পগুলো,
আনমনে সেরে পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৩৬ বার দেখা | ৭৭ শব্দ
বীমা বিষয়ক বিষ্ফোরণ
শুধুই মৃত্যু নিয়ে কথা বলতে হয় বলে,
হতে চাই’নি জীবন বীমার এজেন্ট!
শুধুই আগুনে হাত রাখতে হয় বলে,
হতে পারিনি কামার!
কিংবা কুমারের কাছে গল্প শুনতে
শুনতে –
বার বার ভীত হয়েছি ভেঙে ফেলব
বলে মাটির বাসন! সব কাজ সকলের দ্বারা হয় না,
সব মাটিতে সবাই পুঁতে রাখতে
পারে না বীজ।
যারা অস্ত্র চালায়, পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২২৫ বার দেখা | ৭১ শব্দ
অবলা হেমন্তে ♠
আমার চারপাশে ঘুরে প্রকাশিত পথ।
অবলা হেমন্ত বলে যাই
আসবে শীত, এই আনন্দে যখন আমি বাসর সাজাই
দেখি, চাদর নেই- নেই উষ্ণতার ঘোর ব্যবচ্ছেদ
আর কিছু বিরহ শুয়ে আছে মাথার উপর, সফেদ
শাড়ী পরে। আমার খুব ভয় হয়- কারণ এর আগে এতো বেশি মাতাল
আলো দেখিনি আমি। যা দেখেছি তা পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৪২ বার দেখা | ৮০ শব্দ
পাখিদের সদস্যপদ
আমাদের ঋতুসম্ভার দেখে পাখিও সদস্য হতে চেয়েছিল,
গান ভুলে দোয়েল- খাঁচায় চেয়েছিল আশ্রয়,
আর আমরা নদীগুলোকে ভরাট করতে করতে – খুব
বড় বড় চোখে তাকিয়েছিলাম আকাশের দিকে
ইচ্ছের রিপুতে ভেসে – চেয়েছিলাম, প্রেম ও প্রকৃতি ভুলে
যদি আকাশটাকেও দখল করে জোতদার হতে পারতাম ! চেয়েছিলাম, বাঁশীবাদক হয়ে দখল নিতে সকল পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২১৭ বার দেখা | ৮০ শব্দ
যৌগিক যুগমন্ত্র
অনেক আগেই শেষ হয়েছে মৌলিক মন্ত্রপাঠের সমাপনী
উৎসব। যারা মূলত শক্তির অধিকারী ছিল- তারা
মাটিতেই সমর্পণ করেছে তাদের আত্মা। যারা পরমাত্মার
ছায়া কুড়িয়ে পুষ্ট হওয়ার কথা ছিল- তারা ডুবে গেছে
গাণিতিক ভাগ-পূরণে। হিসেব মিলে’নি দেখে অভিমানে মুখ ফিরিয়ে
নিয়েছে নিম্নবর্গের চাঁদ। পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩৮৮ বার দেখা | ৭৩ শব্দ
অরণ্যে অন্তহীন রোদে
যে ভয়ের কথা তোমরা বলছো, সে ভয় থাকে পশুদের।
কারণ তাদের ধাওয়া করতে পারে মানুষ
যে অনিশ্চিত জীবনের কথা তোমরা লিখছো, তা-
হতে পারে নদীদের,
কারণ তার বক্ষদেশ ভরাট করে দিতে পারে কোনো কালোহাত। আমি হাতবিহীন ভোরের কথা বলছি,
বলছি রোদমাখা অরণ্যের কথা-
কিংবা অন্তহীন দুপুরের ছায়াসমগ্রের কথা
যে ছায়া মাথায় নিয়ে পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১৯৪ বার দেখা | ৭৮ শব্দ
যখন হত্যাকারী ধন্যবাদের যোগ্য হয়ে উঠে
পরম যুদ্ধে অবতীর্ণ হই। রিপু হত্যার অপরাধে বনবাস উপহার পেয়েছিলেন
যে বাউল, তার কনিষ্ঠ আঙুল ধরে আমি বয়েত নিয়েছি অনেক আগেই। আর
প্রচলিত ধ্যানের সমুদ্রকে দূরে ঠেলে দিয়ে, আকাশকে বলেছি- তুমি সরে যাও
আমার মাথার উপর থেকে। যে বাঘ মানুষ হত্যা করে, কিংবা যে সাপ সকল প্রাচীন পাপ পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৪৬১ বার দেখা | ১১৩ শব্দ