ফকির ইলিয়াস-এর ব্লগ

কবিতা লিখি, থাকি নিউইয়র্কে।

তুষারপাতের ঘ্রাণ
তুষারের গন্ধ পেলেই আমি হয়ে উঠি, বারুদময়।
রোদ দেখবো না জেনেও আকুতি রাখি, সূর্যের চরণে
আহা! বিগত পৌষ! তুমিও আমার জন্য-
রেখে গেলে না কিছু উষ্ণ হিম, কাঁথার করুণা! আগামী চব্বিশ ঘন্টা এই নগরের সড়কে সড়কে
ঝরবে যে বরফ, কিংবা যে ঝড়োহাওয়া
উড়িয়ে নিয়ে যাবে পুরনো বৃক্ষের বাকল,
কি দিয়ে মোচন পড়ুন
কবিতা | ৩ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১৯৩ বার দেখা | ৮০ শব্দ
প্রণীত প্রান্তর
দাগ দেখে আগের মতোই সনাক্ত করতে পারি জন্মের আবাস। কিছু ভুলতৃণ
ঢেকে দিয়েছে যে ভগ্নাংশ, সেই নদীভাঙনের রাতকেও ধরে রাখি বুকের আঁচলে।
আর বলি,
চুম্বনের কামাংশ হয়েই থাক এই মরুচিহ্ন, এই প্রণীত প্রান্তর।
প্রণয়নের বীরত্ব আমার একার নয়। কিংবা আমি একা নই, এই
সমুদ্ররেখাগুলোকে জোড়া লাগাবার অংশীদার। একদা পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১৯৬ বার দেখা | ৭৮ শব্দ
বিদ্রূপগুলো অন্যরকম
সামন্ত সমুদ্রের দিকে তাকাও
দেখবে, কিছু বাষ্প উড়ে যাচ্ছে। কিছু ফেনা,
হয়ে যাচ্ছে বিলীন। অথচ একদিন ঢেউয়ের সমান্তরালে
তারা কাঁপিয়ে তুলতো জাহাজের পাটাতন। মাঘের কুয়াশার দিকে তাকাও। জানি তা
কোনোদিন স্পর্শ করেনি তোমার পা।
হাতে নিয়ে দেখা হয়নি মর্মর পাতার যে রেখা,
তাকাও তার দিকে। দেখবে অনেকগুলো
পথচিহ্ন একা পড়ে আছে। আর পড়ুন
কবিতা | ৩ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২১৭ বার দেখা | ৭৫ শব্দ
শীতের ওজনগুচ্ছ
শীতের ওজনগুচ্ছ

অবশেষে তুমিই আমাকে
শিখিয়ে দিলে-
শীত ও ঠাণ্ডার পার্থক্য! ২
তোমার কাছে এলেই
আমি ক্রমশ
মাইনাস আঠারো হয়ে যাই! ৩
মাপার যোগ্যতা না থাকার পরও
তুমি,
আমাকে বললে, নব্য ওজনদার! ৪
জানুয়ারির এই ভোরে
দেখলে সূর্যের নিক্তি,
মনে হয় শীতের সাথেই
হয়েছে শেষ চুক্তি! ৫
ভালোবাসি বলে
হাত বাড়িয়ে দিলেই
আমার দিকে এগিয়ে আসে
গুচ্ছ গুচ্ছ সুবর্ণ শীত। ৬
শীতসংগ্রহের রাতে,
আমিও আছি পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১৭১ বার দেখা | ৪৬ শব্দ ১টি ছবি
চূর্ণচয়নগুচ্ছ ♥
চূর্ণচয়নগুচ্ছ ♥
কাঁথা প্রচণ্ড শীত এলেই,
আমি পেয়ে যাই
তোমার ভেতরে ঢুকে যাওয়ার
অবাধ অধিকার। কম্পন হাত না ধরলেও চলে,
কিংবা না ছুঁলেও ওষ্ঠ
তবু কাঁপতে কাঁপতেই
ভুলে যাই-
নাম ভুলানো শীতের এই কষ্ট! আঁধার জড়াজড়ি করে থাকি
দুপুরের এই আঁধার
তবু কেন বুকের
উত্তাপ বাড়ে না! বিকল্প শীতের বিকল্প
তোমার বুক,
মাটি হে!
আরেকবার পাঁজর খুলে দাও। সিঁদুর বহুদিন দেখিনি
আগুনের ওজন,
শীতের সিঁথিতে যে
লাল,
আমি পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১৫৫ বার দেখা | ৪৫ শব্দ ১টি ছবি
ফেব্রুয়ারি
আমার ভালোবাসা মানেই তোমার হাতে লেখা পাঁচটি অক্ষর,
আমার ভালোবাসা মানেই মুক্ত আকাশে
উড়ন্ত কোনো শালিকের স্বর। © নিউইয়র্ক
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ পড়ুন
কবিতা | ৩ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১৯৩ বার দেখা | ২০ শব্দ
ভূমিকম্পের আগে
তোমার কাঁপন দেখলেই বুঝতে পারি, কেউ
সমুদ্রে গভীর রাতে খেলেছে ঢেউখেলা। দিগন্তের
আড়মোড়া ভেঙে উঠছে পূবের সূর্য। কামকুয়াশায়
ভেজা পৌষের শেষ সন্ধ্যা- কয়েকটি রক্তজবা হাতে
অপেক্ষা করেছে আরেকটি কাঁপনের। পৃথিবী কেঁপে উঠলে ভয় পায় মানুষ। মানুষ কেঁপে
উঠলে গোলাপ ছড়িয়ে দেয় তার প্রথম পরাগ। পরাগায়ণের প্রথম নিশীতে- একটি উটপাখি কাঁধে
তুলে নিয়েছিল পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২০৯ বার দেখা | ৬৩ শব্দ
১২॥ ১২॥ ২০১২
বারোটি ফুলের কাছে জমা রেখে সবগুলো ভুল
বারোটি আকাশ থেকে তুলে আনি আলোর খোয়াব
বারোটি জোনাকী জানে তুমি-আমি করেছি যে ভাব
বারোটি কবিতা আঁকে সেই ছবি, প্রেমের সমূল। বারোটি দূরের রেখা কাছে এসে বলে- লিখে যাই
বারোটি ঘুমের রাত আমাদের রক্তমাংস ছুঁয়ে
বারোটি বিরহী পাখি উড়ে যায়, পাতাগুলো নুয়ে
বারোটি মাসের পড়ুন
কবিতা | ৩ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩৫১ বার দেখা | ৯২ শব্দ
পদচিহ্নাবলী
সে দৃশ্য আবার ফিরে আসুক। সে সমতল ভূমির মন লিখে
রাখুক নাগরী হরফে তাদের পদচিহ্নাবলী। আর যারা পদাতিক
পাতার আড়ালে বার বার লুকিয়েছে নিজেদের কৃতিদিন-স্মৃতিরাত,
প্রভাত হবার আগে জেগেছে চৈতন্যে। বনকে ভালোবেসে সেজেছে
পুষ্পে, নদীকে ভালোবেসে বয়ে গেছে নৈঋতে। দিতে কিছু মন আর
নিকষিত কালের কদম, হিজল – জারুল পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৯৮ বার দেখা | ৬০ শব্দ
বিজয়ের জলচাদর
গায়ে জড়িয়ে নিতে নিতে অনুভব করি রক্তের ওম
এই চাদর গায়ে দিয়েই নদী পার হয়েছিলেন আমার
সহোদর, আমার বুকের ভেতর যে পাখি দম নেয়
প্রতিদিন, তার জন্য জমা রাখি অমর উষ্ণতা। এই বিজয়ের ভোরে
আমি বার বার পাঠ করি সেই চাদরের ভাজ
বার বার খুলে দেখি কিছু নাম পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১৭৯ বার দেখা | ৫৮ শব্দ
সূর্যবালার হাত
রাতের ভেতরে হারিয়ে যেতে যেতে আমি আবারো
খুঁজে ফিরি আঁধারের নিজস্ব ওম। যারা নিজেদের
সাম্রাজ্য বাড়াবে বলে খুঁড়েছে আমার ভিটে, তাদের
প্রেতাত্মা দেখে আমি হেসে উঠি। এরা একাত্তরে ঠিক
এভাবেই হেরে গিয়েছিল আমার পূর্বসূরির কাছে। রক্ত
ও রোদের নিয়ন্ত্রণে জয়ী হয়েছিল সূর্যবালার দুটি হাত। দিনের ভেতরে হারিয়ে যেতে যেতে আমি পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১৬৭ বার দেখা | ৭১ শব্দ
আমি বিশ্বাস করি
আমি বিশ্বাস করি,এই বাংলার আকাশে প্রতিদিন সূর্য উঠে,
শহিদের ঘাম আর দম নিয়ে। যে গোলাপ
আমার দিকে তাকিয়ে হাসে, অথবা-
যে শিশু সড়কে দাঁড়িয়ে কাঁদে, জানে সে ও,
এখানে একদিন মানুষের কান্নারও অধিকার ছিল না। আমি বিশ্বাস করি, পিতারা যুদ্ধে গেলেই,
সন্তান দ্রোহী হয়।
মায়ের আঁচলে হাত মুছে যে মেয়ে স্ট্যানগান
তুলে পড়ুন
কবিতা | ৪ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১৯২ বার দেখা | ৯৬ শব্দ
নদীশাসন বিষয়ক
জীবনের গল্প লিখতে পুনরায় খুলে বসি খাতা।
গতরাতে শব্দটি নিয়ে ভেবেছি বেশ। ‘নদীশাসন’-
একধরনের পেশীবাজীর ঝলক আছে শব্দটিতে,
রাষ্ট্রশাসকের কথা শুনতে শুনতে, মনে হয়েছে
একদিন যে নদী মানুষকে শাসন করতো-
আজ সেই নদীই শাসিত হবে মানুষের হাতে,
আর মানুষ নদীতেই মিশিয়ে দেবে সকল অর্জিত বিনয় তারপর দখলের মন্ত্র ভুলে জড়িয়ে ধরবে পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১৯৩ বার দেখা | ৬৯ শব্দ
অষ্ট্রেলিয়া
আকাশে আকাশে মহড়া দিচ্ছে যুদ্ধবিমান।
টাইম স্কোয়ারে হাজারও মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে
আমিও বলে এসেছি, যুদ্ধ নয় – শান্তি চাই
বলেছি, এই শীতার্ত দুপুরে যে মার্কিনী শিশু
ব্যানার হাতে এখানে এসেছে তার কথা পড়ুন
মাননীয় প্রেসিডেন্ট! বুঝতে চেষ্টা করুন
তার চোখের ভাষা। যারা বিশ্বনীতির সর্দারি করেন, তারা আমার
মতো পড়ুন
কবিতা | ৪ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২২৮ বার দেখা | ১৪১ শব্দ
স্বপ্নের লালসুতো
২০২২ সালের প্রথম কবিতা 🌹 স্বপ্নের লালসুতো সূর্যেরা ছায়া রেখে ডুবে যায় অন্য গ্রহে। যে পাতা
এই সূর্যকে ঢেকে রেখেছিল- সে’ও প্রকাশ্যে লিখে
রাখে আগামী পৃথিবীর স্বপ্ন! আর লালসুতো দিয়ে
মোড়া আরোগ্যের কথাবিতান! বিশ্ব একদিন ফিরে পাবে তার সেই পুরোনো জৌলুস!
আবার মানুষ হাসবে প্রাণখুলে! আবার ভালোবেসে
ফুলের সুবাস; পাখিরা উড়বে ডালে পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৪২৭ বার দেখা | ৮০ শব্দ