পৃথিবী আপাতত বেঁচে থাক অন্ধ হয়ে। চলো, আলোর
আয়োজনে আমরা পূরণ করি তরুপ্রতিম সবুজের ছায়া।
তারপর বিলিয়ে দিই, এইসব পূরণ ও প্রমাণ। যারা নিতে
চাইবে – তাদের হাতেই তুলে দেবো দুপুর, দৈন্যতা ও দ্রোহ।
অন্ধত্বের দ্বিতীয় অভিষেক সেরে যারা আমূল গৃহহীন, তাদেরকে
দেখিয়ে যাই ভাঙনের অষ্টম পয়ার। আবার ভাঙুক।
ফড়িঙের পাখাবদলদৃশ্য দেখার সময় হয়ে উঠে না আমার। চলে যায় বসন্ত,
বাসন্তী রঙের আভা রেখে বিদায় নেয় চৈত্র। খরার কথা মনে রেখে সাজিয়ে
রেখেছিলাম যে ছাতা, সে-ও ছায়া প্রদান থেকে বিরত থাকবে বলে ডাকে
ধর্মঘট। আর নগরে যারা ধার্মিক ছিল- তারা আমার পাপের বোঝা দেখে
ঘৃণায় ফিরিয়ে নেয়
নগর নগ্ন হয়ে মুছে দেবে এই কৃষ্ণপক্ষ। আর ছায়া কুড়ানি
মানুষেরা মুদ্রিত লোকায়ন চোখে দেখবে সব নমস্য সুন্দর।
বিবর থেকে এর আগে যারা স্থানান্তরিত হয়েছিল অন্য দ্বীপে,
তারাও আসবে ফিরে। ফিরতেই হয়, শতাব্দীর শবদেহ থেকে
যে জ্যোতি থেকে যায় অম্লান – তার চূর্ণ ভেদ করে আবারও
জন্ম নেয় মাঘের
মাঝে মাঝেই আমি কান্না ভুলে যাই। মাঝে মাঝেই,
একগুচ্ছ হলুদ বৃষ্টি আমাকে আলিঙ্গন করে।
অনেকগুলো বিষাদ-
সারিবদ্ধ দাঁড়িয়ে আমাকে বিদায় জানায়।
অনেকগুলো মৃত্যু,
আমার চারপাশে ছিটিয়ে যায় ফুল, পরাগের প্রহর।
আমি মানুষের প্রস্থানদৃশ্য দেখি। দেখি,
আকাশে আকাশে তারা হয়ে ঝলক দিচ্ছে
যে প্রাণ,
একদিন তারা মাটিতে ছিল। ছিল আমার
কবিতা|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৭৫ বার দেখা
| ৯৫ শব্দ ১টি ছবি
অসমাপ্ত তথ্যভাণ্ডারগুলো ছুঁয়ে আমিও রচনা করি ভোরের ইন্দ্রজাল। এই শিশিরকণা
আমার হবে, এমন নিশ্চয়তা পেয়ে শিবুগুপ্তের থলিতে জমা করি কয়েকটি সূর্যের ছায়া।
শিবু আমার বন্ধু। একসাথে হেঁটেছি অনেক পথ। পাখিসঙ্গী দুপুরের পথে একসাথেই
রেখে গেছি পদছাপ। সেই দুপুর গড়িয়ে যখন সূর্য স্পর্শ করেছে
কবিতা|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৫১ বার দেখা
| ৯৮ শব্দ ১টি ছবি
লাঙলগুলো একদিন ঠিকই সনাক্ত করে নেবে লঙরখানা। থালা হাতে বসে আছে
যে মানুষেরা, তাদের কুশল জানতে চাইবে আটলান্টিক মহাসাগরে দায়িত্বরত
সবক’টি যুদ্ধজাহাজ। এয়ারফোর্স ওয়ান থেকে নেমে আমাদের রাষ্ট্রপ্রধান দেখবেন
তার সাথে হাত মিলাবার জন্য যে মানুষেরা লাইন ধরেছে- তাদের সকলের পরনেই মহাত্মা গান্ধীর সেই পোশাক। গায়ে কাদা
অফুরন্ত রোদের পসরা সাজিয়ে উড়ে যায় মেঘ
অন্য কোনো রূপের আকাশে, জেগে থাকে তারাতন্ত্র
এই ডেস্কটপে ক্রমশই ঘুরতে থাকে একটি শাদা চাঁদ
ছিল হলুদ, এখন রঙবদল করে পেয়েছে প্রথমা পরশ।
ভোরগুলো রাঙা হবার আগে, জলেরা ভিজিয়ে যায়
নদীর কিনার। আর চরের পাখিরা আবারও বর্ণকোলাহলে
পথের পাঠশালা থেকে ফিরে আসে মশগুল পাঠক
হাতে বই নেই। এক ফালি রোদ হাসে তার মুঠোয়
ধরে রাখে- ঝড়, বিপন্ন বসন্ত। তাতেও থাকে খুশি
আর খোশগল্প করে ঢেউয়ের সাথে। সারারাত।
নদীই প্রেমিকা তার- অভিযোগ নেই, নেই কোনো
কামজ আগুন। ধ্যানে, জমায় অবিন্যস্ত কাঠফলক।
ফলকে রতিচিত্র দেখে আমার ভাবনায়ও লাগে আগুন।
দাউ
জগতে আর কি আছে দুইয়ের অধিক!
তুমি আমি, আমি তুমি
সত্তা ও পরমাত্মা
অণুক্রমিক ঝড়ের শরীরে বাহারি বিজলীর খেলা
দুটি চোখ সৃষ্টিভ্রমণ শেষে দুটি কর্ণ’কে
সাক্ষী রেখে যায়, যেভাবে দুটি নদী পাশাপাশি
ব’য়ে যেতে যেতে তাকায় দুটি উঁচু পর্বতের দিকে
কিংবা বলতে পারো,
দুটি হাত যেমন আঁকড়ে ধরে আশ্রয়ের
সর্বশেষ মৃত্তিকা।
মাঝে মাঝে খুব ইচ্ছে হয়, পাশাপাশি রাখি ক্লাউন ও করাত। স’মিলের দাঁত
দিয়ে কাটা কাঠখণ্ডের মতো ক্লাউন গুলোও হোক খণ্ড-বিখণ্ড। দন্ডপ্রাপ্ত বৃক্ষ
ও প্রশাখাগুলো আবার দেখুক মুক্তির আলো। নিভিয়ে দেয়া নিয়ন বাতিগুলো
আবার জ্বলে উঠুক। লেদ মেশিনেই নির্ণিত হোক লোহার ভাগ্য। লৌহমানব-
লৌহমানবীরা, সমাবায়ী হাত তুলে দখল নিতে
অস্ত্রহীন যুদ্ধের অস্তিত্ব
বুলেট শেষ হয়ে গেলে সৈনিককে দেখাতে হয় বাহুর দক্ষতা। ক্যরাটে কসরত
করে নিতে হয় মাঠের দখল। যে যুদ্ধ অস্ত্র হাতে শুরু হয়েছিল- সেই মুক্ত
হাতের দশটি আঙুলই হয়ে উঠে সর্বশেষ মরণাস্ত্র। জামানত হারিয়ে তখন
বজ্রশিলার মতো বৈশাখও সৈনিকের পাশে দাঁড়িয়ে বলে-এগিয়ে যাও। বাঁচো,
ও বাঁচাও
পালক পৃথিবী হয়ে উড়ে যাচ্ছে আমাদের মন
এই মেঘমুখ-এই মনমৃত্তিকা ছোঁবার প্রত্যয়
নিয়ে আমরা সাজাচ্ছি নৌকা। পার হবো, দেবো
পাড়ি, কালের দারিদ্র- আর ক্ষুধার বিবাদ, মানুষের
সাথে। একটা বকুলগুচ্ছ দেবো সাজিয়ে এই পথের
চূড়ায়। তুমি আসবে তাই- বদলে দিতে ঘোরের নিয়ম।
তারপর আমাদের ছাপাখানা থেকে ছেপে নিয়ে একটি
পোষ্টার- বিলি করে