করোনা বলে আসলে বিশেষ কোনো বীজাণু নেই!
যা আছে, তা দীর্ঘঘুমের একটি বাহু মাত্র!
যে বাহু না থাকলে প্রেমিক তার প্রেমিকাকে
জড়িয়ে ধরতে পারে না। ফেরাতে পারে না বৈশাখি তাণ্ডব!
অগণিত মৃত্যুর ভার নিয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে যে পৃথিবী
আমার এখন আর তার দিকে তাকাবারও ইচ্ছে
করে না। বরং
কবিতা|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৪৬১ বার দেখা
| ১১৪ শব্দ
অনেক মা বাবাই জানেন না তার সন্তান কবিতা লিখে। অনেক পুত্র-কন্যাও
বলে- মাঝে মাঝে তাদের পিতা কাগজ ও কলম নিয়ে বসেন। কী লিখেন
সেটা জানে না তারা। এমন কি অনেক মাতৃকাব্যকথাও পড়ে’নি তার সন্তান
– এমন বর্ণনা শুনতে শুনতে আমি যখন নদীর কাছে পৌঁছলাম,
দেখলাম কয়েকটি ঢেউ ছিন্ন-বিছিন্ন
কবিতা|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২২৭ বার দেখা
| ১২৩ শব্দ
কিছুই বাঁচানো গেল না
সন্তান, সম্ভ্রম, স্বাধীনতা
বাঁচানো গেল না সময়, শরত ও শবদেহ
বাঁচানো গেল না সূর্যের প্রখর আলো, শিয়র, শয্যা
কিংবা বাঁচানো গেল না সন্ধ্যাও। সমুদ্রও হয়ে গেল দখল।
বাঁচানো গেল না কিছুই। রক্তের দাগ, রিক্ত শিশুর আর্তনাদ
বাঁচানো গেল না, পিতার শোকার্ত পুরোনো কোর্তা
অথবা বোনের সংকুচিত ভ্যানিটি
কবিতা|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২৪১ বার দেখা
| ১৪৮ শব্দ
পৃথিবী প্রথম যেদিন আমার কাছে এসেছিল, আমি তাকে
উপহার দিয়েছিলাম তিনটি ছায়া,
একটি আমার, একটি শ্রাবণের আর আরেকটি
সে ছায়াটি কার ছিল, তা জানিয়ে তোমাকে এর আগেও
বহুবার লিখেছি প্রবন্ধ। নিবন্ধকার তার লেখার চৌহদ্দি
জানেন না, এমন ইঙ্গিতও ছিল আমার লেখায়, আর ছিল
আগামী শীতে আমাদের বাগানে পাপড়ি কুড়াবে
ফ্যাকাশে মমির নীচে সারাদিন খুঁজেছি চাঁদ। দিনে লুকোয় কোথায়
এই ভেবে সেরেছি সব সমীক্ষা। এবং প্রতীক্ষার সূর্যকে তালাশ করেছি
রাতভর, এখানে আগুন থাকে-জানার পর হাত দিয়েছি অন্ধ আগুনে।
পিপাসিত সমুদ্রকে বলেছি, শিখে নিতে শুদ্ধ রসায়ন।
জ্বলে ওঠো অনুপম, এবং জ্বালাও
আর যারা যেতে চায় জলে
পারদ পৃষ্ঠা পাঠে তাদেরেও সাথে
কিছুটা বিশিষ্ট হবার আগে এ মাটির অস্তিত্ব ছিল জলের আকর। আঁকাআঁকি নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম বলে আমাদের ও দেখা হয়ে ওঠেনি, বৈঠার টান আর
নদীদের বিবিধ সূত্রমুখ। পাশ কাটিয়ে যেতে যেতে
কেবল গোণে রাখতাম দূরের বনমুদ্রা এবং সুদূরের প্রান্তিক পরাণ। কেউ সাথে যাবে না জেনেও আমরাই বাড়িয়ে
পরিবেশবাদী পাখিরা জানে বিবিধ ভাঙনের সংজ্ঞা।
নির্ধারকরা নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করে কিভাবে নির্ধারণ করে বনেদি কৃষিনীতি, তা দেখেও বুঝতে পারে না কালের কৃষক। হায় ভূমি ! হায় জমিনের বিবর্ণ প্রচ্ছদ !
আমি তোমার লালিত মুখ এঁকে যাচ্ছি আমার যে সুনীল কবিতাটিতে- সেটাই আপাতত আমার শেষ ইশতেহার।
ফেরার
তুমিও ছিলে জলতীর্থের সাথী। পাতি হাত তোমার কাছে আবার।
অসার এই ভুবনদিন মুছে দাও কাছে এসে। পাশে, রেখে ঝড়ের
প্রকার। আর যারা দেখে’নি তাণ্ডব, তাদের হাতে দাও গোঁজে ফুল।
ভুল আর ভ্রান্তির সড়ক হারিয়ে যাক অন্য কোনোও আকাশে। দেশে,
বিদেশে, অপ্রবাসে- স্মৃতি খুঁড়ে যারা। পাহারা দেয় এই ঐতিহ্যের
আমাদের সামনেই হারিয়ে গেল মহান সন্ধ্যা। স্মৃতিচূড়ায় ধারণকৃত গুল্মরোদ
বলে গেল, আবার দেখা হবে বন্ধু ! আবার কাছে এসে ছায়া দেবে প্রাণের
ভৈরব। সবকথা বলা হবে অথবা নাও হতে পারে। যা জরুরী নয়, এমন
শঙ্খস্বর্ণ ছুঁয়ে গ্রহগামী মানুষেরা জেনে যাবে বিনোদনের দ্বাদশ জলকলা।
নেভানোর আনন্দ নিয়ে বয়ে গেল
জীবন আদিষ্ট থাকে সনাতন লৌহনৃত্যঘুমে। জাগার যৌবন নিয়ে
উনুনের উদর থেকে তাকিয়ে দেখে ইস্পাতের সহস্র সবুজ। কী এক
তন্দ্রার আলো, ছুঁয়ে আছে সমুদ্র নোলক ! এসব ব্রাত্যকথা ভেবে
কলমও লিখে রাখে নম্বরবিহীন খাতার জবানী। আদৌ সুড়ঙ্গ নেই।
তবুও যেন পাতালের পদরেখা এসে শেষ হয়েছে এই নিরক্ষর পথে।
আর যারা
ক
তোমার জন্য কিছু চিহ্ন রেখে যাবো। দাগগুলো আমারই থাক,
এমন ধূসর শরীরে মাটির মমি হয়ে যেমন ঘুমিয়ে থাকে, পুরনো
কাঠের শিকড়, পচে যাওয়া পাতাবৃক্ষ কিংবা গোলাপের পাপড়ি
প্রদেশ। রেখে যাবো আঁকন আর কাঁপনের আঁচড়। চর, নৃ-নদী।
দাগগুলো শুকিয়ে যায়। চিহ্ণ শুকায় না কখনো। দাগগুলো ঢেকে
রাখে মানুষ। চিহ্নগুলো অন্য
কবিতা|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৮৩ বার দেখা
| ২০৮ শব্দ
কবির সাথে আমার প্রতিদিনই কথা হয়। তাঁকে জানাই, এনগরে কীভাবে
সর্পছানারা বাস করে মানুষের বুকের আস্তিনে। কীভাবে মাঝে মাঝে কারো
পকেট থেকে দ্রুত লাফিয়ে পড়ে ধূর্ত ইঁদুর। কিংবা পোষাকুকুরগুলো কীভাবে
লেজ নাড়াতে নাড়াতে কিছু শুকনো খাবারের জন্য দেখায় নিজেদের মিডিয়া
প্রভূত্ব। কীভাবে কালোকে
কবিতা|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৯০ বার দেখা
| ১৫৬ শব্দ ১টি ছবি
পোড়া কর্পূরের গন্ধ স্পর্শ করছে মমির শরীর,
ভাঙা কলমের নিব ছুঁতে পারছে না ভরা কালির দোয়াত,
অচেনা সাগর অথবা ভূতলে বিনা নোটিশে হারিয়ে গেল
২৩৯ জন যাত্রী সহ মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনসের যে ফ্লাইট-
এমএইচ৩৭০,
আমার সামনে থেকে তুমি সেই দৃশ্যগুলো সরিয়ে নাও।
সরিয়ে নাও এই বসন্তে- হত্যাকারী কোকিলের ছবি,
যার গান
কবিতা|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৫০ বার দেখা
| ১০৩ শব্দ