কদমফুল বিলকুল খা খা রোদ্দুর
ছুটবি হেথা, থামবি কোথা, কদ্দূর?
-ওরে তুই ঠিকানা খুঁজিস কার!
পথ আছে যার শুধু চলবার
পথেই ছন্দ-আনন্দ, পথে সুরাসুর।
ঠিকানা একটা ছিল ছন দিয়ে ঘেরা
তাতে বেধেছিলাম ছোট একটা ঢেড়া
পিপিলিকা দল ছুটে যেত স্ত্রত
আকাবাকা পথটি হয়ে সাব্যস্থ
প্রেম দাও
গতকাল রাতে কিছুতেই ঘুমাতে পারিনি,
কিছুক্ষণ পরপর নয়নের জলে বালিশ ভিজেছে।
হে প্রভু তুমিতো জানো,
সন্তানকে আমরা কতটা ভালোবাসি!
সন্তানের জন্মের যে রসায়ন তুমি আমাদের
শরীরে দিয়েছো
আমরা তার খবরও রাখি না
শুধু প্রেমোন্মাদনায় কাঁপি-
কেউ যদি কখনও এই সন্তানেরে অবহেলা করে,
তুমিতো জানো নিজেকে
জাগো চরবাসী জাগো
প্রতিদিন হতাশার কালো চিল আমার হৃদয়ে ডানা ঝাপটে চলে যায়। কিন্তু আমাকে ধরতে পারে না।
একদিন ছিল।
কঠিন সে দিন।
মঞ্চে স্বরচিত কবিতা আবৃতি করতে হবে বলে ছুটে যেতাম ধ্যাধধেরে ছ্যাঙার চরে।
গিয়ে দেখতাম যে ছেলেটা আমার কবিতার ভক্ত সে আয়োজকদের সাথে ঝগড়া
বিজয়
ইস্পাতের চিল উড়ে গেল ছুঁই-ছুঁই, তালগাছটার ঠিক উপর দিয়ে
দু’টা চক্কর দিয়ে দক্ষিণ থেকে উত্তরে ছুটে গেল দানব আওয়াজ ছড়িয়ে
এবং বদলে গেল দৃশ্যপট-
উঠানে বিছানো ধান-খাওয়া মগ্ন কাক কা কা রবে উড়ে গেল এলোপাথাড়ি
লড়াইরত বিড়াল দু’টি ছুটে গেল পাশাপাশি একই নিরুদ্দেশে
এবং গরু, বাছুর, ছাগল আর মানুষের
শীত কাল।
ঘন কুয়শায় চলমান দৃশ্যাবলী দূরে অদৃশ্য
চরাচরে নেমে আসে মৃত্যুর আগমনী সংকেত
আমার মন বড় আনচান করে ওঠে
কবিতারা দূরে চলে যায় হৃদয় থেকে-
অনেক গল্প এসে কিলবিল করতে থাকে
মাথার ভিতরে।
সে অনেক দিন আগের কথা।
গ্রীক পুরানের মৃত্যু আর অন্ধকারের দেবতা হেডস
প্রেমে পরল!
কি না করল সে!
ওখানে অন্যেরা ছিল; তাদের শরীরে
আমার প্রস্তুতি পর্ব-
আমি দেখতে এসেছি, যেমন তারা।
শুরুতে কান্নার বাষ্প উড়ে।
পৃথিবীর গহীনে অনেক বেদনা
নিরাকার শোক
ক্ষুধা যার শারীরিক ভাষা।
এবং ক্যাম্পাসে, ফুলে ফুলে ঘুষাঘুষি
সৌরভের এলোপাতাড়ি ছড়াছড়ি,
অতঃপর সংসারের ভয়ানক আত্মত্যাগের সূচনা
নর-নারীর দৈহিক বৈধতা
একটা সোনালী আলোর পথ বেয়ে
এক
কে যায় সেখানে? নির্বোধ, দুর্বোধ্য, নিথর;
হারিয়ে ফেলেছে দক্ষতা?
ভোজ উৎসব হতে শক্তি রূপান্তরে,
হারিয়ে ফেলেছে সর্ব কর্মসঞ্চালন ক্ষমতা?
সে আজ মৃত!
জীবিত বা মৃত যে কোন অবস্থায়
মানুষের প্রকৃত অবস্থা কি?
আমি আমার কে? তুমি তোমার?
তুমি তো জানো, মৃত্যু কেন্দ্রিক
জীবন যাপনের যে পদ্ধতিগুলি প্রচলিত
আমি তাতে পুরোপুরি অভ্যস্থ নই,
মানুষতো মৃত্যুতে যে
তখন উঠেছিল অষ্টাদশীর চাঁদ
দেখেছিলাম পঞ্চম তলার ছাদ
তুমি ছিলে নিরিবিলি ছাদের উপর একা
ভুতের মতো হঠাৎ দিলেম দেখা
খল নায়ক নয়, এন্টি হিরো বলতে পারো, সরি
তোমায় আমি চেয়েছিলেম সুন্দরী!
জোর করে ধরেছিলেম তোমার নরম হাত
ভেঙ্গে ছিলো জমে থাকা না বলা কথার বাঁধ
বলেছিলেম তোমায় আমি বড্ড ভালবাসি
হেসেছিলে তাচ্ছিল্যের ক্রর
কবিতা|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৩০৫ বার দেখা
| ৮৫ শব্দ