হয়ত হাটছ নগর রাজপথে,
হয়ত তুমি পেরুতে
একটা দারুন গানের সুর বাজে,
তোমার হৃদ সৈকতে
থমকে দাঁড়িয়ে পিছনে ফিরে চাও,
তোমার পরান ছুটে
নিজেকে খোঁজে ঘুরে দেখতে কি পাও
বাংলার ফসল মাঠে! হয়ত তাহারা সুদূর হনলুলু,
হয়ত উত্তাল মস্কো
তাদের চারজন রঙিন সিডনি
দুজন কাঠমুন্ডু।
যখন

তোমার দীর্ঘ অনুপস্থিতিতে,
পৃথিবীকে ব্যবহার করতে
আমাকে দিলে অনুমতি!
কিছু ফিরে পাব সেই প্রত্যাশায়, মতিগতি
করে নিয়ে ঠিক
আমি বিনিয়োগ করি অধিক। বলতেই হয় আমার ইতিহাস
ব্যর্থতার পরিহাস।
বিশেষ করে
টমেটোর পাতা ঝরে
এতটা পোকার আক্রমণ
গুটিয়ে নিতে চায় মন! তোমার উচিত হবে
অধিক বর্ষণমুখরতা ঝরঝর

৩ শরীর লিখে বীরত্ব গাথা সময়ের গান গো
ছন্দে ছন্দে গাথি আনন্দে
সময়ের গান গো।
বর্তমানের কথা জুড়ি
অতীতের ও দূর গো।
সময়ের গান গো
ছন্দে ছন্দে গাথি আনন্দে
সময়ের গান গো। অতীত এসে বসল পাশে
সামনে দেখি ভবিষ্যৎ হাসে
লোক সকলে মাতে তাতে
সুধাই আমি দূরে গো।
সময়ের গান গো
ছন্দে

আমাকে আকড়ে রাখো
হারিয়ে ফেলো না-
কি এসে যায়, কে কি বললো
কি এসে যাবে, কে কি জানলো
তোমার প্রথম নাম মুক্তি
তোমার দ্বিতীয় নাম যুদ্ধ
তোমার নামে বইয়ে বেড়াই ভাব, ছন্দ
মানুষের ভিতরের লাল গোলাপ
প্রতিটি জীবে, পদার্থে
আমার মন তোমায় সাথে নিয়ে চলে
চেতনা তোমার ডানায় ভর করে উড়ে স্বাধীনতা, স্বাধীনতা
স্বাধীনতা, স্বাধীনতা আমাকে আকড়ে

১ নিজের গান গাই আপন কথা আপন সূরে নিজের গান গাই
আমার কাব্য দারুন গাথা তোমাকে ছুঁবে তাই
যেমনি অনু পুস্প রেনু সকলি গড়ে তোলে
তেমনি তুমি মাঠের ভূমি অনুর চাকে দোলে
এসেছি আমি পিতার হতে মায়ের কোল জুড়ে
তেমনি পিতা তাহার পিতা এমনি ঘুরে ফিরে। বিজন বনে গভীর মনে আত্মাকে

শুরুতে পেয়েছি ভয়, হৃদয় নির্মুল চিলতা
তুমি ছাড়া বাঁচা মনে হলো নিরেট বাতুলতা
বহু নির্ঘুম রাত কাটিয়েছি ভেবে-
অনেক করেছো প্রবঞ্চনা
নিজেকে দিয়েছি সান্ত্বনা
দূর হও, যাও সুদূরে, ফটকটা আছে খোলা
যেভাবে এসেছো সেভাবে, অনুভবে
তোমার জন্য হই না একটু উতলা- তুমি চলে গেছো আমার জীবনাকাশ থেকে দূরে

কোকিলরে তুই ডাকিস না আর কুহু কুহু স্বরে
তোর সেই ডাকে বারেবারে তাকে বড় মনে পড়ে!
চারিধারে বইছিল এক উড়নচণ্ডী হাওয়া
হলো না আর নির্মল তার মুখখানি ছুঁয়া!
এত যে তারে ভেসেছিলাম ভালো কোথায় হারলো
মন খুশি উর্বশী এ মনে কী বেদনা ছড়ালো
ভুলে ছিলাম জেগে

আমি কিছু লিখি না
কারো সাতে পাঁচে থাকি না
কোথায় কবে একেছে কার্টুন
কোথায় কবে লেগেছে আগুন
কে কোথায় হলো গুম
জুলুমের পরেছে ধুম
এসব আমি লিখি না
কারো সাতে পাঁচে থাকি না। আমি আছি মহা ঝামেলায়
বাজারে গেলে টাকা ফুরায়
খাই বউয়ের ঝারি
এটা আনি সেটা ছাড়ি
স্কুলের

প্রতিদিন মানুষ মরছে।
এটা একটা শুরু।
প্রতিদিন মৃত্যু থেকে
নতুন বিধবা আর এতিম জন্ম লয়।
তারা হাত গুটিয়ে বসে নতুন জীবন নিয়ে ভাবে। তারপর তারা গোরস্থানে যায়
এদের মধ্যে কেউ প্রথম বার।
তারা কাঁদতে ভয় পায়
কখনও না কাঁদতে।
কেউ কেউ গভীর সমবেদনা নিয়ে-
কি করতে

বলেছিলো, কোন এক দেশ হলে হবে,
আমরা বললাম, বাংলাদেশটা লাগবে!
নিজ ভুমে পান্তাপুটি লুটিপুটি খাব
আপনার হাতে শাসনের স্বাদ নিব
চাষী কি শ্রমিক নাই কোন দুখ
হৃদয়ে বাংলার টান , আহা কি যে সুখ! হৃদয় আমার ছাড়খার- খানখান
ধর্ম না জাতি নিব- টানাটানি উপাখ্যান
আজীবন ধর্ম আর

এমন আলোর ঝিকিল দেখে তোমাকে কে কোথায়
খুজে পাবে আর; ছিল বসে তালগাছের তলায়
পুকুর পাড়ে ক্ষুধায়, কেউ নেয়নি খবর তার
থুত্থুরে বৃদ্ধার, ছেলে মেয়ে নিয়ে আপনা সংসার
ঘর, আছে মহা ঝামেলায় এই বাংলার গ্রামে-
আমাকে পাঠালে চিঠি ভরে মহাপ্রকৃতির খামে;
আউশধানের চাল, পুটিমাছ জলপাই টকে

অ ডেকে কয় আ’রে
কি করিস বাপুরে?
ক যাবে মিনারে
কে কারে শুনেরে! ক গেছে বনেরে
খ শুধু ছুটেরে
ঞ লাইন ধরেরে
একুশে গাছের তলেরে। র লালের রঙেরে
ভালোবেসে আহারে
বায়ান্ন ফুলের মালারে
একাত্তুরে পড়েরে। চাচি চেচায়- জোরেরে
বউ অপিসে- গেছেরে
গার্মেন্টস লেবার বাহারে
শান্তিতে

যদি না পাও খুঁজে
আমি যে পথে চলিতাম
জানবে তুমি, আমি গিয়াছি সরে
জানবে হৃদয় খোলা রেখে
আমি শত মাইল দূরে হারালাম। শত মাইল, শত মাইল, শত মাইল
শত শত মাইল দূর হতে সৌরভে
তুমি এই পথে গাওয়া গান শুনতে পাবে
শত মাইল দূর হতে আমাকে