বসন্ত ও আমার বউ মিনি
খোঁপায় তোর হলুদ গাঁদা,চোখে প্রেমের হাসি
এই বসন্তে নতুন করে তোরেই ভালোবাসি
নতুন করে মনের কোণে,আলগা হাওয়ার খই
প্রেমিক জানে,হলদে দুপুর হলদে প্রেমিক সই
নদীর জলে আছড়ে পড়ে মনকথাদের দোল
গানের সাথে পিছলে পড়ে “ভালোবাসি” বোল
নদীর ধারে গেওড়া গাঁয়ে শিমুল বনের
পৃথিবী যেনো এক বনসাই লাউ
লাউ বনে গিয়ে দেখি কিছু বেঢপা লাউ
আমাকে ঈঙ্গিত করে শিস দিচ্ছে
আমি ফিরে ফিরে লাউয়ের শরীর দেখি
শরীর বেয়ে ধেয়ে ধেয়ে আসছে পৃথিবীর মতো জটিলতা
লাউটা বৃত্তাকার-
প্রত্যেকটি লাউ যেনো একেকটি পৃথিবী
পৃথিবীর মতো গোল বলে তাকে গ্লোবাল ভাবি
নিজস্ব স্বকিয়তা নিয়ে
কবিতা|
৫ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২১৬ বার দেখা
| ৬৬ শব্দ ১টি ছবি
বিরান হওয়ার রাত
দ্বীপ সরকার
একটা বিরান হওয়ার রাত–
জামদানি কুয়াশার ভেতরে থেকেছি নিশ্চুপ
চারপাশে জ্বালাময়ী ঝোপঝার
সেদিনের সেই ভৌতিক রাতের কথা ভুলিনি—
আঘাতে আঘাতে বিলুপ্ত কথারা মরে যাচ্ছিলো–
লুণ্ঠণের আওয়াজ থেকে শিখেছি বিরহের গান
চোখজুরে নিশিন্দারার কোমল স্পর্শ
তাথৈ নাচে কিছু অন্ধকার এসে ঘিরে ফেলে আমায়
আমি আকণ্ঠ পান করে নিচ্ছি ভয়ার্ত
ভ্রাংগেল দ্বীপ
♦
দ্বীপ সরকার
সন্দেশের মতো মেঘের ফেনা দলবদ্ধ এবং সারি সারি
পা পিচলে পড়ি- পুনরায় চড়ি দ্বীপে
ঘন নিঃশ্বাসের দলা আটকে যায় গলায়
নিসৃত নিস্তব্ধ উজানের ঢেউ এসে লাগে
আমি চেটেপুটে খাই মেঘ,কুয়াশা আর কিছু ভয়
কেউ যায়নি ওখানে, ওতোদূর – তবে আমি গিয়েছি
বোম্বিং শব্দের মতো ফেটে যায় দ্বীপ -ভ্রাংগেল
ডুডল
দীর্ঘ বিরতির পর এই দেখলাম-
তোমার বয়সের ছাপ এসে গেছে- চোখের নিচে
সমস্ত চিন্তার কালো কালো বোধ,
আসলে কতোটা ভালো আছো তুমি?
মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে আমার গভীরতা-
তোমার এই বেঁচে থাকা দেখে
ডুডল এভাবেই আবির্ভূত হয় বিশেষ বিশেষ মহুর্তে
গরুর নাক ডুবিয়ে খাদ্যাভ্যাস দেখে একটা স্মৃতি মনে পড়ে,
ক্যাফেতে পোলাও কোরমা’র ঘ্রাণ যখন পীড়া দিচ্ছিলো
এবং আকাশে উড়ছিলো সুগন্ধীর চিল
ডানে বসা ছিলো একদল ভোজনপিপাসু শ্রেণির মানুষ
দেখছিলাম নাক মুখে ওদের ভাত লেগে থাকা ও
দাঁড়ি গোঁফে মাংসঝোলের শিল্প
ওদের খাওয়া দেখে রোদসীও মুখ
থেকে বোরখা সরিয়ে খেতে
আমি পাথর অথবা ভিসুভিয়াস
আমি পাথর হতে চাইলে তুমি এসে বল্লে হতেই পারো,
অতঃপর আমি পাথর হয়ে গেলাম
নিরেট, নিখাদ দগদগে নীলচে পাথর
এখন আমি গভীর ষড়যন্ত্রেও নিখুঁতভাবে দাঁড়াতে পারি অসহ্যময় পাহাড়ে হেলান দিয়ে
কারন,আমি যে পাথর
অথবা পাথরের
কালাজ্বরের দাউ দাউ
এইখানে একটা জীবিত নরক আছে-
বুকের ঠিক মাঝখানে
যন্ত্রণার ইপিল গাছটা কো-অপারেট
হতে হতে বংশানুক্রমিক হচ্ছে
আমি বোধের রাঙচিতায় মুখস্থ্য করছি
এইসব ইপিল গাছ-
এভাবেই বহুকাল আমার বুকে
চাষা হচ্ছে বংশ পরম্পরার কালাজ্বরের দাউ দাউ
কালাজ্বরের দাউ দাউ
ভয়ানক কর্পোরেট – জ্বলতেই থাকে।
এইসব দৃশ্যাবলী দেখে কেউ কেউ আমার গলায়
খসড়া পাঠ
——————–
এটা আমার চুড়ান্ত কবিতা নয়
খসড়া বলে চালিয়ে দিতে চাই
তোমরা এই কবিতা পড়বেনা
কারন কবিতা হতে হলে প্রথমতঃ
মানুষের কথা বলতে হবে।
কিন্ত এই সব প্রজাতন্ত্রের মানুষগুলোকে
কবিতার আবহে ক্যামনে এনে বলি
আমার কবিতা পড়ো
জন সমুদ্রে আমরা,পরিচিত হাওয়ারা টোকা দিচ্ছে সতত।
ঘোলা পানিতে বৈচিত্র অপহরণ চলছে;
মাদুলিতে তাবিজের ঠিকানায় চলে
ঘুম থেকে উঠলেই ইদানিং চোখগুলো
দ্রুত বায়োস্কপ থেকে বেরিয়ে পড়ার মত
আচনক খুলে ফ্যালে রাত,
ঘুমটা রাত্রীদের বায়োস্কপের মত।
অথবা জনাকীর্ণ দূপুরে সেঁটে থাকা স্বপ্নরোদ।
একটা বীজ খুব চেনা লাগা ধানের মত,
অন্য বীজটা হুতুমপেঁচার বাচ্ছা,
আমার ঘুমগুলো অচেনা একটা ধানরাত-
সবুজবাহী স্বপ্নের মতোন,
আর হুতুমপেঁচাকে ভয়াল ঘামের জননী বলে
ডেকেছি এক