বৃষ্টিরা ঝরে যায় অথচ আকাশে শুভ্র মেঘের আনাগোনা
আকাশের বুকে হয়ে যায় অগণিত স্বপ্ন বোনা,
উড়ন্ত মেঘে মন রেখে দেই, মন চলে যায় দূর,
বৃষ্টির আকাশে মেঘ আহা মনে সুখ এক সমুদ্দুর। যাক মেঘ’রা উড়ে যাক, ফিরে আসুক আমার আকাশে
আমি বৃষ্টির হাওয়া টেনে নেব

ও পাখিরে যা না ওড়ে
ফুল নিয়ে তুই ঠোঁটে,
তারে দিবি পাখি, নইলে
মন যাবে আজ টুটে। সাত সমুদ্দুর তেরো নদ
পার হয়ে তুই যাবি?
সেথায় গিয়ে পাখি জানিস?
তার দেখা তুই পাবি! অদৃশ্য এক বন্ধু আমার
দেয় না দেখা এসে,
কোথায় জানি কোন সে সুখে
যাচ্ছে সে যে ভেসে। কত

ও চন্দ্রপ্রভা তোর নাম দিয়েছি হিমু ফুল
বুঝিস না ভুল,
গায়ে হলুদ পাঞ্জাবি জড়িয়েছিস, উফ কী সুন্দর
তোদের দেখে সুখে উচ্ছল হৃদ বন্দর। আমি কী রূপা হবো? তাহলে হয়ে যায় সাদা চন্দ্রমল্লিকা
রূপালী পাড়া সাদা শাড়ি পরে, জ্বালাই প্রেমের শিখা;
খুব ইচ্ছে হয় চন্দ্রপ্রভা তোদের ছুঁয়ে

মন কথনিকা-৪২৬৫ কাব্য লিখি তোমায় নিয়ে পড়লে না আর তুমি,
বিষাদ আর বিতৃষ্ণায় ভরা আমার মনের জমি,
সাহিত্যরস নেইকো মনে, নিরামিষ জন তুমি,
চিরকালই করে গেলে কেবল গুয়ার্তুমি। মন কথনিকা-৪২৬৬ তিতে কথা বলে বলে করলে পাগল আমায়,
পাই না সাহস লিখতে, সময় মধ্যি পথে থামায়,
চুপ লুকিয়ে লিখি

আমায় নিয়ে যাবে ঘুরতে
বন্ধু পদ্মা সেতু,
ঘুরতে আবার লাগে নাকি
বলো কোনো হেতু? সবাই যাচ্ছে তুলছে ফটো
আমায় নিয়ে যাও না,
তোমার কাছে কত বায়না
রয়ে গেল পাওনা। পদ্মার উপর সেতু হলো
দেখতে ইচ্ছে জাগে,
একটুখানি সুখ মুগ্ধতা
এনে দেবে বাগে? সেতুর উপর ঠায় দাঁড়িয়ে
দেখবো পদ্মা নদী,
ইচ্ছে করে পদ্মাতে যাই
নিয়ে যেতে

ও করুণাময় তোমার সৃষ্টি এই আকাশ
আহা এখানেই যে তোমার কত নিয়ামতের বসবাস,
চোখ মেলে তাকালেই পাই শুদ্ধতার আলো,
ও মাবুদ তোমাকেই আমি বাসি ভালো। ও আমার রব তোমার সৃষ্টির সৌন্দর্য মেঘ,
তুমিই তো অতি উত্তাপে বান্দার কল্যাণের জন্য
দাও বাড়িয়ে হাওয়ার বেগ,
তোমার আকাশে কত পাখ

আকাশে মেঘ নেই, রোদ্দুর অতি,
সময় দ্রুত উড়ে, যেন সে প্রজাপতি,
আকাশ দেখতে গিয়ে হোঁচট খাই
সময় পারি না ধরতে, সময় যে আমার হাতে নাই। আকাশের রঙ বদলায়, বদলায় জীবনের রঙ,
এই পৃথিবী যেন পেরেশানির আড়ঙ;
অফুরন্ত অবসর আর পাই না খুঁজে
আর পারি না রাখতে আকাশে

ঘুম পায় আমার ঘুম পায়, তপ্ত দুপুর বেলা,
ইচ্ছে করে ভাসাই ঘুমপুরীতে স্বপ্ন ভেলা,
অফিস কর্ম ভুলে, ঘুম এ যেন জেগে স্বপ্ন দেখা,
তার চেয়ে বরং চা খাই, চা ছাড়া সুখ ফিকা। চোখের পাতা ভারি,
ইচ্ছে হয় ঘুমের দেশে দেই পাড়ি
ইচ্ছেগুলো গুঁড়ে বালি,
চা কোথায়

তুমি যেন বৃষ্টির আকাশে এক টুকরো মেঘ,
ছুঁয়ে ফেলো সহজেই আমার আবেগ,
তুমি যেন রঙধনূ রঙে আঁকা নীল আকাশ,
ভালোবেসে কেড়ে নাও আমার যত দীর্ঘশ্বাস। চাই এমন আবেগী আহলাদী এই মনটারে
বেঁধে রাখো প্রেমের সুতায়, বাজাও হরদম
সুখের সুর মনের তারে!
মেঘের মত মন আমার, অল্প কষ্টেই

তোমাকে মেঘে ভরা একটি আকাশ দেবো। নেবে?
তোমাকে ক্ষেত ভতি কাশফুল দেব। নেবে, দেখো ভেবে!
মন রাঙিয়ে দেব রঙধনু রঙে,
সুখ শিহরণ তুলে দেব সারা অঙ্গে। তুমি আমায় কী দেবে বলতো, দেবে কিছু?
একটা কিছু নেবোই বন্ধু, ছাড়বো না পিছু!
তুমি আমায় দাও একটি পাহাড়
দেবে ঝর্ণা,

মনে আর দুর্নীতি পুষো না বন্ধু, বকাঝকা আর কত
কেউ কী হতে পারে কারো মত, আমি তো আমার মত;
এতসব অভিযোগ ছুঁড়ে ফেলে দাও চায়ের কাপে
তোমার মনে প্রেম আসুক, ঠোঁট পুড়ুক চায়ের উত্তাপে। এসো গাল গল্পে কিছু সময় কাটিয়ে দেই
দিনভর ঝগড়াঝাটি উফ! আমরা

মন খুব উচ্ছল হতো, আনন্দে যেত ভরে,
একঘেঁয়েমীতে ধরেছে বন্ধু, মন নেই মন ঘরে;
ইচ্ছেগুলোর এবার নাও না যতন,
চলো শাপলা ফুটা ঝিলের জলে ঘুরে আসি ইচ্ছে মতন। জলের উপর ডিঙি ফেলে
ভাসবো না হয় এলেবেলে,
একটা দুইটা শাপলা তুলে
দিয়ো না হয় আমার কোলে। ঘুরতে যাবো, ভুলবো

নদীর বাঁকে আছি বসে,
উদাস যে মন ভারী,
উথাল পাথাল বিষাদের ঢেউ
মারছে মনে বাড়ি! কার কথা যে ভাবছি আমি
মন উদাস কার লাগি!
ভেবে কিছু পাচ্ছি না হায়
মন কেন বৈরাগী! দমকা হাওয়া আসছে বয়ে
মনের হাওয়া বৈরী
কেম্নে ভাসাই মন সায়রে
আমার সুখের তরী! অকারণে মন ভালো না,
কী যে এখন

দৃষ্টি ফেরাতেই দেখি আমার আকাশ খালি,
কী দমকা হাওয়া পাতার সাথে বাজায় তালি,
মেঘগুলো উড়িয়ে নিয়ে যায় দখিনা হাওয়ায়
আমি হাওয়ার খেলা দেখতে বসে থাকি চুপ দাওয়ায়। সুনসান নিরবতার একটি দুপুর,
হাওয়ার তোড়ে বাজে পাতায় পাতায় নূপুর,
মেঘ আসে মেঘ যায়, আকাশ কখনো ফাঁকা,
বিষণ্ণ আকাশে

একটা কিছু তো রেখে যেতে পারি,
থাক না কবিতা লিখার অভ্যাসগুলো
যদিও বদভ্যাস বলে কেউ করে ভৎসনা,
তবুও নিজের বলে কিছু তো থাকলো! চাই না এমন বদভ্যাস পরিত্যাগ করি,
চাই না কবিতারা আমায় ছেড়ে পালাক,
অচেনা শব্দগুলো থাকুক আমি ছুয়ে না হয়,
কবিতার বুকে তো দীর্ঘশ্বাস ফেলতে পারি অনায়াসে। আমায় কে চেনে