আমাদের সময়গুলো বিষাদের সুতায় গাঁথা,
সময়ের বুকে মনোমালিন্যের পাটি পাতা,
তাতে তুমি একাই থাকো শুয়ে, ঠোঁটে নেই মধু বুলি,
আমায় নিয়ে আকাশ পাতাল ভাবনা বুঝি, বুকে খেলে হোলি! কী বিষণ্ণতায় কেটে যায় তোমার প্রহর, হাসীহীন
ইচ্ছে করে, কী আছে খুলে দেখি তোমার বুকের গহীন,
আমার স্মৃতিশক্তি অল্প, তাই ভুলে যাই

বন্ধ আকাশটা তোমার মত, রঙ নেই অল্প,
আকাশের সাথে শরতের নেই কোনো গল্প,
কেমন বিষণ্ণ আলোয় ছেয়ে আছে ধরা,
বন্ধু মন খারাপের চিঠি নিয়ে আসছে বৃষ্টি হরকরা! আজ আকাশটা তুম হয়ে আছে, দেখো তাকিয়ে,
আকাশ হেমন্ত হয়ে তাকাচ্ছে চোখ পাকিয়ে,
পেঁচা মুখি বন্ধু, আকাশটাও আজ তাই,
এমন

চোখ বন্ধ করে ছেড়েই দেখি বেলা গড়িয়েছে, সূর্য উপরে
কী করে যেন হেলায় হেলায় কেটে যায় সময়
কী করে যেন বিতৃষ্ণা এসে দাঁড়ায় মনের সম্মুখে
কিছুতেই সময় না ধরতে পারার আক্ষেপ থাকি ছুঁয়ে। বেলা যে যায় বয়ে, হাসি গান ঠাট্টা আর আনন্দে
কোথায় যেন ছন্দহারা

বন্ধু তুমি কই গো, তুমি কই আজ
মনের বাড়ি কুহু পাখি তুললো যে সুখ আওয়াজ;
শুনবে নাকি কাছে এসে ভালোবাসার গল্প
চা দেব সাথে যে টা, দেবে সময় অল্প? কুহু পাখি হয়ে আসবে, বসবে মনের ডালে?
নাচবে নাকি সঙ্গে বসে ফাগুন হাওয়ার তালে?
হলুদ রঙা চা

দেহমনে শীতল অনুভূতি নিমেষেই উষ্ণতা আনে,
চায়ের কাপ হাতে বারান্দায়, রোদ্দুর বামে ডানে,
ফুলগুলো হলুদ আলো উঠে হেসে,
ঐ যে ধুলিকণারা হাওয়ায় যায় ভেসে। সুখের অনুভূতি কেউ দেবে না এনে
সুখ নিজেকেই নিতে হয় কাছে টেনে,
আলগোছে জড়াতে হয় সুখ বুকের খাঁচায়,
স্বস্তির রোদ্দুর ঠিক তখনি জ্বলে

ডুবে আছি ভাবনাতে আজ
বিষণ্ণতা চোখে
সময় যেন দিল মুখে
ব্যথার হাওয়া ফুঁকে। সুখ পাচ্ছি না খুঁজে কোথাও
হলো না কেউ আপন,
পাশের মানুষ পর হলো হায়
বুকে ব্যথার কাঁপন। আমার কথা তিতে নাকি
বলি কর্কশ সুরে?
মিষ্টি বুলি নাই বলে কী
সুখ’রা সরলো দূরে! ভাবনার নদী আমায় নিয়ে
খেলছে নিরিবিলি,
বোবা সেজে নিত্যদিনই
তিতে

নানা রঙের দিনগুলো সেই
পেতাম যদি ফিরে
কত যে সুখ ধরা দিত
আবেগী মন নীড়ে। মেঘ বালিকা ডানপিঠে এক
সময় আমার ছিল,
ভবিতব্য এসে আমার
সুখ ছিনিয়ে নিলো। যেখানটাতে দূর্বাঘাসে
বসতো শিশির বিন্দু
সেখানটাতে সুখ ছিলো যে
সাত নদী সাত সিন্ধু। গোধূলিয়ায় রক্তিম মেঘ’রা
করতো নীলে খেলা,
চুপ তাকিয়ে মুগ্ধতা ছুঁই
কেটে যেত বেলা। ফড়িং ছিল

এইতো পশ্চিমে রক্তিম আভা নিয়ে সূর্য
বাজে হাওয়ায় হাওয়ায় বেলা চলে যাওয়ার তূর্য,
দিনের বুক আঁধারে ছেয়ে যায়,
আকাশও তার রঙ বদলাবে। এইতো সূর্যটা আকাশের গায় আছে ঝুলে
সে কেন হাঁটে পশ্চিমে আলোর কথা ভুলে,
বেলা কেন চলে যায় আমায় ফেলে,
আমার আটকায় বেলা বয়সের জেলে। এইতো সূর্যটা

সত্য কথা লিখে আবার ব্যাকস্পেইসে মুছি,
বললে শুনবো কটু কথা, শুনতে যে নেই রুচি,
সত্য বললে বেজার মানুষ, স্বীকার করতে কষ্ট,
মিথ্যে মোহে মানুষের বাস স্বভাব করে নষ্ট। মন কথনিকা-৪৬২৮
সত্য বলি তাই বলে তো, কয় না সকল কথা,
বলে দিলে হয় সর্বনাশ, ঝামেলা অযথা,
কাছের মানুষ লুকায় কথা, কীযে কষ্ট

কষ্টে সাগরে ডুবে আছি আকাশ জানিস
চাই তুই আমায় কেবল তোর কাছে টানিস,
তোর বুকে চোখ রেখে আমি হতে চাই সুখী,
আমি আল্লাহকে ডাকি এবেলা হয়ে উর্ধ্বমুখী। আকাশ জানিস কী? তোর বুকে লিখে রাখি কষ্ট কবিতার ছন্দ
তোর বুকে মেঘ রাখি, দিস দুই দন্ড আনন্দ
আমি

মন কথনিকা-৪৬২৯ লিখে এত লাভ কী আমার, ভাবি নাকো এসব,
বুকের ভিতর লেগে থাকে শত শব্দের উৎসব
লিখতে আমার লাগে ভালো, মনে লাগে শান্তি,
লিখতে পারলে পাতা ভরে যায় মুছে যায় ক্লান্তি। মন কথনিকা-৪৬৩০ এত যে সুখ চারিপাশে, শান্তি আমার মনে নাই,
কত কথা মনে জমা বন্ধু আমার সনে নাই,
রাগ করে

কাছের মানুষগুলো নিজ স্বার্থে ব্যস্ত, নিতেই অভ্যস্ত,
একবার খুললেই ঠোঁট, পাশাপাশি থাকতে হয় ভীত সন্ত্রস্ত;
আপনজন’রা সব কেড়ে নিতে ওঁৎ পেতে বসে থাকে,
কখন কোন ফাঁকে সব হাতিয়ে নেবে, সে চিত্র আঁকে। দিতে পারলেই তুমি মহা ভালো, দয়ায় ভরা দেহ
যদি ফেরত চাও তবেই তাদের

মন বাগানে ফুটেছে ফুল, উড়ছে প্রজাপতি রঙিন ডানায়
সুখ হাওয়ার তোড়ে যদি যাই হারিয়ে অজানায়,
খুঁজবে আমায় খুঁজবে, নাকি যাবে ভুলে,
স্মৃতিগুলো রাখবে বন্ধু বুক দেরাজে তুলে? তুমি বিষাদ দাও তাই বলে মন হবে না প্রজাপতি
মন জমিন মুগ্ধতায় উর্বর করলে কী বা এমন ক্ষতি,
বাঁকা

সেই যে উড়ে বেড়ানোর দিনগুলো
অতীত হলো বর্তমান পথের উড়িয়ে ধুলো
সেই যে আমার ডানা মেলা দিন
সু দিন ছিলো ধীরে ছুঁয়ে রই দুর্দিন। কী সবুজাভ মন নিয়ে উড়ে বেড়িয়েছি দিনভর
মনের জমিন প্রেমে ভালোবাসায় সুখে কতই না উর্বর
বুড়ো হয় সময় ভেঙ্গে যায় ডানা,
এবেলা এসে

দুনিয়ার মোহ জয়ে বাহবা দিচ্ছি, সুর তুলছি নিত্য
দুনিয়ার রঙ তামাশায় রাখছি সুখি চিত্ত;
কেউ জানি না কত না পাপ তুলছি আমলনামায়,
গেয়ে যাচ্ছি সুখেরই গান, ঠোঁট রেখেছি সারেগামায়। উল্টে রাখছি পাল্টে দিচ্ছি ধর্মীয় বিধি বিধান,
জীবন জুড়ে আসছে নেমে পাপের নিদান;
কোথায় কী আর বলি, নিজের মতামত নিয়েই চলি,
মত