আষাঢ়ের শুভেচ্ছা সবাইকেআমার প্রিয় ঋতু (যদিও সব ঋতুই আমার পছন্দ) ©কাজী ফাতেমা ছবি আষাঢ়ে বৃষ্টি নামবে সেতো চিরাচরিত নিয়মে
আর মনে যে নামছে হর হামেশা বৃষ্টি, সে খেয়াল কেউ রাখে!
অগোচরে ঝরে যায় ব্যথা হৃদয় চুয়ে চুয়ে
রেখে যায় ক্ষত চিহ্ন
বুকের ভিতর ঢেউয়ের পর ঢেউ
আঁচড় কাটে

১।
#জীবন_বড়_অদ্ভুত জীবন বড়ই অদ্ভুত
অদ্ভুত মানুষের মন
অদ্ভুত মানুষের চলাফেরা
আচার আচরণ।
জীবনের মানে কেউ বুঝে
বুঝে উঠতে পারে না কেউ হয়তো।
বুঝে উঠতে উঠতেই সহসা
ডাকে এসে যায় শেষ চিঠি
মানুষ শুধুই অদ্ভূত হা হুতাশ করে
জীবনের কাছে মানুষ প্রয়োজনের বেশীই চায় বুঝি
এজন্য হতে হয় হতাশ,
এক রাশ হতাশা আর অপূর্ণতা

দুষ্টু প্রলাপ-১
মনে আমার আবির রঙে-রাঙিয়ে দেয় কেউ
দু:খগুলো যায় গো উড়ে-মনে সুখের ঢেউ
ইচ্ছে লাগছে আবির নামে-নামটি রাখি তার
থাকলে আবির পাশে আমার-মন খারাপ নয় আর।
যদি আমি আবির বলে-ডেকে তারে কই
আবির তুমি সখা হবে -আমি তোমার সই? দুষ্টু প্রলাপ-২
দূরে থেকেই ছুঁয়ে দিলে-আবেগী এই অন্তর
কি জানি

©কাজী ফাতেমা ছবি
এই মৌসুমে খাব নাকো – ইলিশ মাছের টুকরা ভাজা
জাটকা ইলিশ ফরমালিনে- ইলিশগুলো নয়কো তাজা
পান্তা ভাতের পাতে রেখো – শুকনো মরিচ শুটকির ভর্তা
স্বাধে জিহবায় পানি নিয়ে-খাবেন সুখে ঘরের কর্তা।
ইলিশ ভাজা পান্তা ভাতে- মানায় নাতো পানসে লাগে
তবে কেনো ইলিশ দিয়ে- পান্তা

কতদিন বন্ধুদের ফোন পাইনা
দু:খ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে থাকি অপেক্ষায়
একটা ফোনের জন্য!
মুঠোফোনে বাজে না এখন আর সেই সুরেলা রিংটোন!
তোরা এমন হয়ে গেলি কেন রে? আগে হঠাৎ করে যখন তোদের ফোন আসত
ভিড় করতো এসে কামরাঙা দুপুর
মনের মাঝে বেজে উঠত
রিনিঝিনি বেগুনি জারুল ফুলের

তুমি আমার কাব্য হবে? — হয়ে যাওনা!
বুকের মাঝ লুকিয়ে রবে?– রয়ে যাওনা!
কানে কানে কথা কবে? — কয়ে যাওনা! ছন্দ হবে,হবে মাত্রা?
একই পথে শুরু যাত্রা
এলোমেলো ঝড়ো হাওয়া
জানলায় করবে আসা যাওয়া? তুমি আমার হবে নি:শ্বাস? –হতে পারো
জীবন পথে করবে বিশ্বাস??

রাত্রির গা বেয়ে নেমে আসে নিশাবিহার আয়াস মৌন ইশারায় হাত বাড়িয়ে ডাকে নিশাকর
দীর্ঘশ্বাসের প্রহরে দুই-ই একা; আমি-নিশাকর
ইচ্ছা-অনিচ্ছার ভিড়ে হারিয়ে গেছি, হেরেছে স্বপ্ন
যা বয়ে গেলো- নিয়ে গেলো সময়ের স্রোত
যে বুঝে সে উপভোগ করে আর যে বুঝে না
সে রয়ে যায় দীর্ঘশ্বাস প্রহরেই!
আগ-পাছ ভাবিনা আর,

©কাজী ফাতেমা ছবি

স্বাধীনতা মানে কি তবে এই-জঙ্গীর কবলে বাংলাদেশ
স্বাধীনতা মানে কি তবে এই-সর্বত্র কেবল আতংকের রেশ!
স্বাধীনতা বুঝি- নেতাদের মুখের হড়বড় মিথ্যে বুলি
স্বাধীনতা মানে কি- দেশজুড়ে সন্ত্রাসীরা খেলে রক্তের হুলি!
স্বাধীনতা বলতে কি – সত্যের পথগুলো হয়ে গেলো রুদ্ধ
স্বাধীনতা হায়- দূর্নীতির কবলে পড়ে

১।
কাঁধেতে ঝুলানো ব্যাগ-মুখে ছড়ানো আবেগ
ক্যামেরা ঝুলানো গলায় -হেঁটে চলে বেলা অবেলায়
চেহারায় ক্লান্তির নেই ছাপ-
থেমে নেই,মাথায় তীক্ষ্ণ উত্তাপ।
ক্যামেরা হাতে,ফুটপাতে দু’চোখ-
চেয়ে থাকে অপলক,কতক মলিন মুখ।
ক্লিক ক্লিক অজানতেই জীর্ণ চেহারায়
কবির চোখে মুখে ছাপ পুর্ণ হতাশায়।
পার্কের বেঞ্চে খানিকটা সে বসে
জীবনের মূল্য কোথায়? অংক কষে,
কলমের খোঁচা

নেট কালেকটেড এনিমেশন ছবিটি
©কাজী ফাতেমা ছবি
মেঘলা আকাশ-মেঘলা দিনে
বসে জানলার পাশে
বইয়ের পাতায় তোমার ছবি
চোখে কেবল ভাসে।
এসে দেখো এখান’টাতে
ঝরছে বৃষ্টি অঝোর
জোড়া শালিক বৃষ্টি দেখছে
আমি কেবল বেজোড়!
জানলার পর্দা নড়ে চড়ে
ফাঁকে আসে হাওয়া
বৃষ্টির ছিটায় ভিজল পাতা
ভিজল দখিন দাওয়া।
গাছের পাতায় বৃষ্টির কান্না
থিরথিরিয়ে কাঁপে
এসো চলে কাটবে

ঝিরিঝিরি যাচ্ছে ঝরে- আহা চৈত্রের বৃষ্টি
লাগছে ভালো বারান্দাতে-রাখতে উদাস দৃষ্টি। পাতার নাচন বৃষ্টির সাথে-জলের প্রেমে পাতা
ভিজছে ঐ যে খোকা খুকু-জলে ভেজা মাথা। ঠান্ডা হাওয়ায় আরাম দেহে-পরিবেশে শান্তি
মরে গেলো বৃষ্টির জলে-ধূলো ময়লা ক্লান্তি। কলাগাছে বৃষ্টি পড়ে-পাতা উঠে কেঁপে
ও-রে বৃষ্টি যা ঝরে যা- রোদ্দুর দিব মেপে। জলের

সমুদ্রের তলদেশ এঁকেছে

১।
ঝাল নুডুলস খাইয়া জেরী কয় মা, আমার মন নাই, কই জানি গেছেগা, চোখের সামনে একটু আলো বাকি সব কালো আর আমার মনে হইতেছে আমি আস্তে আস্তে ছোট হইয়া যাইতাছি, বেচারা এক বাটি নুডুলসের সাথে দুই গ্লাস পানি খাইছে আহারে

ইচ্ছের কথা বলে আর লাভ নেই জান তো
ইচ্ছেরা সময় অসময় পাখনা মেলে
কত কিছুই করতে ইচ্ছে করে
ইচ্ছেদের কোন শেষ নেই সীমাও নেই। কোথাও দূরে যাচ্ছো! বাক্স গুছিয়ে দিচ্ছি আমি
ইচ্ছেরাও খেলছে এলোমেলো খেলা।
এই মুহুর্তে ইচ্ছে করছে আমার সব ব্যাকুলতা
তোমার বহন করা বাক্সে