কী শান্ত নিরিবিলি পরিবেশ, মিহি হাওয়া
এক টুকরো রোদ্দুর দখল করেছে দখিন দাওয়া,
চা এক কাপ হলে হয় না মন্দ,
মনের খাতায় উড়ে আসুক সুর ছন্দ। অলিখিত কাব্যগুলো জমা পড়ে থাক্ মনে,
প্রেম হয়ে যাক এবেলা চায়ের সনে,
কিচিরমিচির সুরে উদাস এ মন,
চায়ে চুমুক দিলেই দেহে

থাকবো বসে নিরিবিলি
গোধূলিয়ার পাড়ে,
চাই না বসুক কেউবা এসে
ছুঁয়ে আমার ধারে। মন বিষণ্ণ হলে আমার
ইচ্ছা একলা থাকি,
কাঁদি বসে আপনজনদের
চোখ ‘কে দিয়ে ফাঁকি। দুঃখ বাটি সন্ধ্যার সাথে,
গোধূলী হয় বন্ধু,
প্রকৃতির সাথ থাকলে মনে
শান্তি তেরো সিন্ধু। মন বিষাদে থাকলে পূর্ণ,
ভাল্লাগে না কিছু,
মন্দ সময় অযথাই
নিলো আমার পিছু। গোধূলির রঙ

সূর্যমুখীর প্রেমে মশগুল এবেলা, হলুদ আভায় মাতোয়ারা;
আমার সূর্যমুখী দিন বুক চুয়ে বইছে সুখের ফোয়ারা;
এই শুনো না, খোঁপায় দেবে গুঁজে হলুদ রাঙা সূর্যমুখী?
এমন উদাস বেলা হয়ে যেতাম নিমেষেই সুখী। মন কেঁপে উঠে বাপু, আমি পারবো ছিঁড়তে ফুল;
তুমি বুঝো না ভুল,
গুঁজে দাও চুলে

এমন কেন তু‌মি, পাথ‌রে গড়া যেন মন
‌প্রেম ভা‌লোবাসায় দেহম‌নে উ‌ঠে না প্রেম শিহরণ;
মন তোমার মে‌ঘের মত হয় না, তু‌মি পাথর,
অ‌ন্যের অ‌ভিমা‌নে ব‌্যথায় হও না একটুও কাতর। এক‌দিন সময় ক‌রে এক‌টি বি‌কেল ‌দি‌য়ো
‌তোমায় আ‌মি আকাশ দেব প্রিয়,
আকা‌শে তা‌কি‌য়ে মুগ্ধ হ‌তে ‌শেখা‌বো,
আমার

নদীর কা‌ছে যে‌তে চাই বি‌কে‌লের আ‌লোয়;
যে‌তে পারতাম য‌দি! কে‌টে যেত হয়‌তো ভা‌লোয়;
যেখা‌নে আমার নাড়ী গাঁড়া
সেখা‌নে ফি‌রে যে‌তে মন পাগলপাড়া। ‌ফি‌রে যে‌তে চাই বয়সী বটবৃ‌ক্ষের ছা‌য়ে
ফি‌রে যে‌তে চাই, ভাস‌তে চাই উথাল হাওয়ার না‌য়ে;
যেখা‌নে প্রজাপ‌তি ফ‌ড়িঙ‌য়ের ওড়াউ‌ড়ি
‌যেখা‌নে পা রাখ‌লেই মন হয়

ভালোবাসার একটি নীড় চাই যেখানে হাসি খুশি খলখলানি
সুর কলরব, যেখানে নেই বিতৃষ্ণা, বিষাদের ছোঁয়াছুঁয়ি
ভালোবাসার একটি নিরিবিলি প্রহর চাই
যেখানে অশান্তির রেশ নাই। একটি নীড় চাই শান্ত নিরিবিলি
যেখানে ভালোবাসার স্পর্শ আছে, আছে সুখ অনন্ত
হৃদয় বাড়ী ভরা স্বস্তির আলো
এমন একটি নীড় চাই যেখানে থাকবে

নাজা‌তের দিন যায় যায়, যায় ঐ চ‌লে,
আস‌ছে ঈদ আহা, কী সুখ তরঙ্গ ম‌ন নদী‌তে;
ঈদ মা‌নেই আনন্দ, হা‌সিখু‌শি দিন
‌সেমাই পা‌য়েস আর বি‌রিয়া‌নির মৌ মৌ ঘ্রাণ। এক কাতা‌রে দা‌ঁড়ি‌য়ে আল্লাহু আকবার ধ্ব‌নি,
‌কে ধনী কে গরীব, থা‌কে না ‌দ্বিধা আর,
কোলাকু‌লি আর হাত মিলা‌নোর দৃশ‌্য
পু‌রো

তুমি ভালোই থাকো, আমার মন খারাপ তোমায় যায় না ছুঁয়ে;
তোমার মন খারাপের রঙ আমার চোখ ছুঁয়ে যায়;
কতটা কাছে তুমি অথচ অনন্ত দূরত্ব দুজনার মাঝে;
আমার দীর্ঘশ্বাস তাই বুঝি তোমাকে দেয় না নাড়া
তুমি উঠো না ব্যথায় কেঁপে। তুমি সমুদ্র হতে যদি, আমি হতাম

মনে মনে বুঝি রঙের ফানুস ওড়াও,
প্রেম ভালোবাসা ছাড়া কী দিয়ে মন জুড়াও?
চোখের তারায় আগুন বোম, তুমি কী আতঙ্ক;
জটিল না সরল বুঝি না তোমার মনের অঙ্ক। এত শত বুঝি না বাপু, আমি প্রেম চাই,
তোমার বুকের ভিতরে পেতে চাই ঠাঁই;
সহজ হও, হও নরম,

চন্দ্র দেখি তারা দেখি, চলো বসি খোলা ছাদে,
বসো নিরব আমি বন্ধু মাথা রাখি তোমার কাঁধে,
চলো না যাই বনারণ্যে, চাঁদের আলো চলো ভাসি,
হও না রাজি দাও না কেন একটুখানি মুগ্ধ হাসি। শত শত তারার আকাশ, মুগ্ধ হয়ে চলো দেখি,
শুনছো না আর কথা

রোদ পোহাচ্ছিস প্রজাপতি, ফুলের উপর বসে;
তোর সময়টা কাটছে বুঝি সুখে রঙ্গে রসে?
ভাবনা চিন্তা আছে কি তোর, তুইতো সুখেই উড়িস
দিনদুপুরে পাতায় পাতায় হাঁটিস উড়িস ঘুরিস। কত রঙের বসন গায়ে, পরে আছিস যে তুই,
ইচ্ছে করে ফুলের উপর তোর মত করে শুই;
ইচ্ছে করে তোর

শুনো বন্ধু শুনো কথা, দুষ্টুমিতে মন ভরেছে,
বৃষ্টি হচ্ছে বাইরে দেখো, অথৈ বৃষ্টি আজ ঝরেছে;
করো না আর মানা তুমি ভিজবো আমি বৃষ্টির জলে
ছেলেবেলায় যাবো ফিরে একটুখানি ভিজার ছলে। দাও ছাতাটা উল্টো করে বৃষ্টির পানি ধরবো তাতে
ঠোঁট বাকিয়ে শুনিয়ো না কটু কথা

বিতৃষ্ণায় মন ভরে উঠে, মুখে না দেখলে তোমার হাসি
এমন জটিল মনের মানুষ কেমনে বলো ভালোবাসি;
তোমার চাহনীতে রক্ত ঝরে,
মন থাকে না আর মন ঘরে! কেমন যেন তুমি
সারাক্ষণই গুয়ার্তুমি;
ভাল্লাগে না কথা বলি, তবুও বলি, কও না কথা,
তোমার সাথে বাক্য ব্যয় অযথা। তবুও ভাবি ইশ

মন কথনিকা-৪০৯৩
আমারই দোষ, ভালো সবাই, আমার কপাল মন্দ,
ঝগড়া করি তর্কের সাথে দেই লাগিয়ে দ্বন্দ্ব,
আমার চোখে জলই থাকুক, কেউ না দেখুক এসে,
চুপই থাকবো, বোবা ব্যথায় গেলামই বা ভেসে। মন কথনিকা-৪০৯৪
ধৈর্য্য বাড়াও।আরও মাবুদ দাও ক্ষমতা সওয়ার,
দাও খুলে দাও আমার জন্য নিয়ামতের দুয়ার,
বুকে আমার কষ্টের পাহাড়, মনে আক্ষেপ

মনের আলো ধীরে নিভে যায়, অতীত হয় সুখ
জরাজীর্ণতা এসে দাঁড়ায় সম্মুখ;
সময়ের জলে মনের আলো ধুয়ে নিতে নিতে দেখি
সেই কৈশোরের ডানা মেলা দিন কাছে আর নেই একি! যেতে যেতে সম্মুখে ডাকে হাত বাড়িয়ে
তারুণ্য আমার, কানে কানে বলে আবার যেতে হারিয়ে।
সেই পুরোনো ক্যাসেট রেকর্ডার, কেউ কী ফিরিয়ে