বিভাগের আর্কাইভঃ সাহিত্য

আনন্দ খেলাঘর

ঘুরে ফিরে বারে বারে হয় কত কারুকাজ
শুক্লপক্ষের জ্যোছনায় ভেসে যায় আকাশ!
হালকা ধাচের সাদা মেঘ অরূপ মায়ার সাজে
খানিক আধারে চুমু দিয়ে ছুটে চলে যায় লাজে!
চারদিকে দিগন্তজোড়া দালানের উঁচু নিচু ছাদ।
পাতাভরা গাছের মাথায় উঁকি দিয়ে চাঁদ-
যাচ্ছে লুকোচুরি খেলে
সুন্দর আজ প্রাঙ্গনে হেসেছে অবগুণ্ঠন মেলে।

এই যে আকাশ ভরা তারা
সংখ্যাতে হতে হয় দিশেহারা
বৈচিত্র্যময় গ্রহ, নক্ষত্র, উল্কা, ধুমকেতু
নীহারিক, গ্যালাক্সি ঘূর্ণন হেতু
কোথা থেকে কোথা চলছে ছুটে
আমিও তাদের অংশ হয়ে থাকি চিত্রপটে।

এই যে জলবাহী পবনের উড়ন্ত স্রোতধারা
আছড়ে পড়ে মিটায় জমিনের খড়া
গাছ গাছালি মাটি ফুড়ে এসে
কেঁপে কেঁপে উঠে প্রাণের উল্লাসে।
আগে শুন্য, অজানা রইল পর
শুধু এইখানে আজ বুঝি এই আনন্দ খেলাঘর!
আমার হৃদয়ের অপার্থিব স্পন্দিত ফল্গুধারা
সাগর- ঊর্মি, হরিত- প্রান্তর, প্লাবিত বসুন্ধরা
আমারে ডুবায়ে নিয়ে যায়, ভাসায়ে নিয়ে যায়,
আমারে না জানি কোথায় হারাইয়া লইয়া যায়!

তিন শূন্যের পৃথিবী

তিন শূন্যের পৃথিবী
সাইদুর রহমান.

সবুজ শ্যামল সোনার বাংলার
এত উর্বর মাটি,
গরিব কৃষান ভাবে দেশটি
যেন শস্যের ঘাঁটি।।

তবুও হায় রে দারিদ্রতা
ছাড়ে না তার পিছু,
কখনো হায় উপোষ কাটায়
জুটে নাকো কিছু।

মোদের সকল ছেলে মেয়ে
শিক্ষা নিয়ে শেষে,
কাজের খোঁজে সকল দ্বারে
ঘুরে চাতক বেশে।

বাবা মায়ের বুকের স্বপ্ন
ভেঙে হয় গো চুরমার,
বেকারত্বের সে কি জ্বালা
কে শুনে সে চিৎকার ?

আজ কী শুধু শব্দ দূষণ
খাদ্যে ভেজাল চারপাশ,
হেথা হোথা কার্বন দূষণ
বিষে ভরে নিঃশ্বাস।

ছড়ায় ক্যানসার আয়ু কমে
প্রাণ স্পন্দন যায় থেমে
পাই পরম সুখ কার্বন দৃষণ
শূন্যে যেই যায় নেমে।

দেশে বেকার আর দারিদ্র
যদি আর না থাকে,
এই পৃথিবীর সবাই ভাববে
তখন স্বর্গ তাকে।

মূলঃ নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড.মোহাম্মদ ইউনূস
ছন্দ মাত্রা স্বরবৃত্তঃ ৪+৪/৪+২

তিন শূন্য সমীপে

Tin_Shunner_Prithibi-Dr_Muhammad_Yunus-0254a-454383

তিন শূন্য সমীপে…
ফকির আবদুল মালেক

আকাশে উড়বে টাকা
সিঙ্গাপুর সিটি! ঢাকা-
কবি তুমি লিখ কবি’তা
রঙীন কল্পনা বাহ্বা!

তোমার মানুষ ভুখা
দিনে খাবার হয়না
শব্দের উপর শব্দ
কবি তুমি নিস্তব্ধ!

ওই শুনি মুক্ত ক্ষুধা
বেকার মুক্তির ধাঁধা
কার কাছে তুমি চাও
ঢাকা সিউল বানাও!

পৃত্থি নিয়া উনি আছে
বক্তৃতা দিতাছে মিছে
নিজ দেশের মানুষ
ভুখা আছে নেই হুশ!

কবি ধনী বাসনা ছাড়
যারা আছে নিচে, ধর-
খাই যদি এক মুঠো
খাব একসাথে , ওঠ।

image-52538-1738221104

অবচেতন ইশারা

নিঃস্ব

থুথু ফেলে দিয়ে আবার
মাটি থেকে চেটে খাওয়ার অভ্যাস নেই আমার,
তবুও মাঝে মাঝে সন্দেহের বোরাক
চেপে ধরে মাটিতে।

তখন অসহ্য যন্ত্রণায় তিতো লাগে সকল অস্তিত্ব,
একটু বেঁচে থাকার জন্য
হাঁসফাঁস করতে করতে উঠে বসি।

বর্তমান তরঙ্গের সাথে
বাঁচা-মরার প্রতিশ্রুতিতে আক্ষেপ থেকে যায়,
সেও বুঝি চোখ বন্ধ করে!
হৃদয়-চোখে হাজার প্রশ্নের ঝড় তুলে,
লণ্ডভণ্ড করে আমায়!

কি জানি! কি পাপ করেছি এ প্রকৃতির সাথে,
যে শুধু দাবিয়ে রাখার খেলায়
আমি একটি বস্তু মাত্র—
অবচেতন ইশারায়
আমাকে বারবার ঠুকি দিয়ে চলে যায়।

মনগড়া কলেমায় আমি থেকে যাই
পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের খলনায়ক চরিত্রে।
কে জানে!
নিয়তির এ দুর্গমগিরির অন্ধকার পথে,
পাশে থেকেও,
আর কতটা পথ একা একা হাঁটা লাগে?

স্বাধীনতা তুমি কি?

ইকরামুল শামীম
স্বাধীনতা, তুমি কি?
কখনো হবে এই অদম্য প্রেরণা বিলীন?
নাকি উত্তপ্ত, রক্তাক্ত পথ ধরে
হবে এক নতুন ইতিহাস রঙিন?

স্বাধীনতা, তুমি কি?
কখনো হবে নতজানু লজ্জাবতীর কাঁটা?
নাকি বদ্ধ ঘরে নির্যাতিত কিশোরীর আর্তনাদে
ফুরাবে নীলিমার নীল আলো ছাটা?

স্বাধীনতা, তুমি কি?
কখনো থাকবে কৃষকের হাসিতে?
নাকি উজান বয়ে যাওয়া স্রোতের মতো
মিশে যাবে কালো অন্ধকারের কণ্ঠরোধিত রীতিতে?

স্বাধীনতা, তুমি কি?
কখনো সইবে বেকারের হাহাকার?
নাকি এলিট শ্রেণির মুখোশী ভাষায়
হবে স্বপ্ন ভঙ্গের নিষ্ঠুর উপহার?

স্বাধীনতা, তুমি কি?
কখনো বইবে নিরপরাধের আর্তনাদ?
নাকি জনদরদী তারার মতো
ঝলমলিয়ে হারাবে অবিচারের বিষাদ?

স্বাধীনতা, তুমি কি?
পেয়েছো কি ত্রিশ লক্ষ প্রাণের প্রতিদান?
নাকি কালো মেঘের আড়ালে ঢাকা
একটি ধূমকেতুর মতো দিশাহীন উড়ান?

স্বাধীনতা, তুমি কি?
কখনো আসবে মিলনের স্বপ্ন নিয়ে?
নাকি বইয়ের পাতায় আঁকা ইতিহাস হয়ে
হারাবে জীবনের বাস্তব সৃষ্টিতে?

স্বাধীনতা, তুমি কি?
কখনো ফুটবে সুবাসিত রজনীগন্ধা ফুল?
নাকি বিষাক্ত সমাজের রুগ্ন হাতে
হয়ে যাবে বিষে ভেজা এক কুটিল ভুল?

রৌদ্র ছায়া

=====রৌদ্র ছায়া

বাঁধিতে তারে
বেবস হৃদয়ে মোহ
নাহি চেতন ফিরে
ধরত্রী মোহ হয়ে করেছে হরণ;
যা ছিল সম্বল!

আঁধার ক্ষয়ে,
বিলাপে মিশে নিত্য নতুন সঙ্গ লয়ে।
বেবস তন্দ্রা তাই
সহসাই জেগে উঠে; হৃদয় যাপনে।

মন ছাপিয়ে
সহসা কতক বিদ্রোহ আঁকে?
হৃদয়ে মোহ;
ক্ষণতাপে, প্রতাপে
দ্রোহ সনে আঁতাতে
বিদ্রোহ কপাট খুরে রয়!

আজ ২৫ মাঘ ১৪৩১

নিত্য নতুন মোহ!

=====নিত্য নতুন মোহ!

নিত্য নতুন মোহ!
বাসনায় বাঁচে; আঁচল পেতে বসে
করিতে হরণ যা আছে তলানীতে জমা, যত সামান্য
কিঞ্চিত কড়ি! ফুরালো তা বুঝি
লোভের আতশবাজি পুড়িয়ে।

কোন পথে যে চলা?
কোথা হতে কোন মেঘ ভেসে আসে?
আঁধার রাতে সিদঁকেটে সব লুটেছে;
যা ছিল সম্ভ্রম!
বাসনা টুকু ছাড়া।

তাড়না ভারি মোহ ভুলায় মন
চঞ্চল ভারি তেলে জলে মৌনতা ভুলায়।

আজ ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

এই জনমের আগে

শীতের মধ্য রাত
রাতজাগা পাখির ডানা ঝাপটানোর শব্দে
ঘুম ভেঙে যায়
মনে পড়ে যায় এই দেশে এই পথে
এসেছিলাম এর আগে
এই জনমের আগে
আরো একবার শতবার কিংবা সহস্রবার।

এই আনাচের ক্ষেত
এই ধুন্দল মটর মশুর ডালের ক্ষেত পেরিয়ে
এই জলাশয়ে জাগ দেয়া পাট শুকানোর গন্ধ নিয়ে
এই গোধুলী সন্ধায় ধোঁয়াটে কুয়াশা চাদরের
মাঠ দেখতে দেখতে
এই বড়াল ব্রীজ চাটমোহর ঈশ্বরদী পেরিয়ে
চলে গেছি সুদূর দিনাজপুেরে,
দেখা হয়েছিল সেখানে
ক্যাডাভিয়ার সাথে,
কথা হয়েছিল তার সাথে, তাহার সাথে
উষ্ণ নিশ্বাস ছেড়ে বলেছিল সে আমারে
এক পৃথিবী ভালোবাসা দিলাম আজ তোমারে।

সেই রাতে ডানা ঝাপটিয়েছিলো এক রাতজাগা পাখি
দেখেছিলাম আমরা মেলে আমাদের চারিটি আঁখি
ভয় পেয়েছিলো সে রাতে আমার ক্যাডাভিয়া
চারিদিকে ছিলো অন্ধকারের বিমূর্ত ছায়া
তাকিয়েছিলো ক্যাডাভিয়া সেই রাতে নক্ষত্রের পানে
কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বলেছিলো আমার কানে কানে
চলে যেয়ো না কখনো তুমি আমাকে ছেড়ে
কেউ যেনো তোমাকে নেবে আমার থেকে কেড়ে।

দিয়েছিলাম কথা আমি তারে, তাহারে
যাবো না কখনো আমি তোমাকে ছেড়ে
রাখতে পারনি আমি সে কথা তার, তাহার
তাইতো ফিরে আসি আমি বারেবার
বহু দেশ ঘুরে ঘুরে খুঁজেছি তারে
পাইনিকো দেখা তারে, তাহারে
হয়তো বা কোন এক বলাকার বেশ ধরে
কিংবা কখনো আকাশে বালিহাঁসে ভর করে
মনে পড়ে যায় এই দেশে এই পথে
এসেছিলাম এর আগে
এই জনমের আগে
আরো একবার শতবার কিংবা সহস্রবার।

ভ্রূণের শহর ছেড়ে

ভ্রূণের শহর ছেড়ে চলে আসা নদীর কাছে জানতে চাই,
পুষ্পেরা কেমন আছে। উত্তরে হাসে নদী, বলে –
ভাসাই বলেই আমি জোয়ারের জনক
আর যারা ভালোবাসার মর্মার্থ জানে,
তারাই বলতে পারে- কী মহান বিরহের ত্বক।

উজানের উৎস থেকে উঠে আসা মেঘের কাছে
জানতে চাই, তুমি কি পারো হে বন্ধু
পুঁতে যেতে ভাসানের বীজ..
আমাকে উদাস রেখে মেঘ চলে যায়,
পৃথিবীর অন্যবাঁকে, যমজ শিশু
আমাকে দেবে বলে, দুহাতে কুড়ায় খনিজ।

পীড়িত দৃষ্টিপাত

ভোরের দেয়ালে লাগানো আয়না।
ক্রমশ বদলে যাচ্ছে আয়নার ভেতর-
দৃশ্যগুলো ক্লান্ত বহুকাল।
দৃশ্যের ফাঁকে আমরা বড় একা-
আটকে আছি অসুস্থ সময়ের আচ্ছাদনে।
তবুও আতঙ্ক আর দীর্ঘশ্বাস-
গোপন করে আকাশের দিকে তাকাই
দেখি, আমাদের বারান্দায় আকাশ থেকে-
ঝরছে নতুন চাঁদের ভাঙা ভাঙা আলো।

আমরা আধভাঙা বিশ্বাস নিয়ে—
তাকিয়ে থাকি সেই বারান্দার দিকে।

মুখ ও মুখোশ

মন ভালো রাখতে ব্রহ্মপুত্রের কাছে এসেছিলাম
এখানেও তিল রাখার মত জায়গা নেই
পঙ্গপালের মত গিজগিজ করা মানুষ
দুই চোখ… চার চোখ…
কোনটা ছেলে কোনটা মেয়ে… কোনটা
বুড়ো আর কোনটা আইবুড়ো বুঝা মুশকিল
লাল ফিতার দৌরাত্মার চেয়েও মেকাপের দাপট বেশি!

সেই কবে পড়েছিলাম- শস্যের চেয়ে আগাছা বেশি
আজ এখানে মুখের চেয়ে মুখোশ বেশি!

ছায়া, দগ্ধের ওপরে

এক
এ-জীবন কোনও কিছুর অপেক্ষায় রাখো
ছাদ-অপেক্ষায় রাজমিস্তিরি,
বাঁশি থাকে হাওয়া-সাধনার…

কখন ভাসানে ক’রে রোদ উঠে গেল
তুমি ব’সে আছ, মেরুদণ্ডে বেঁধানো কুঁড়িটা

একটা পুজোর গান অপেক্ষায় রাখত গোটা পাড়া
একটি শাড়িনী রাস্তার চৌমাথাভরা ইয়াং ছেলেদের।
তেমন আতিথ্য নিয়ে জলের পিঠে দাও
ছোট হাতের ভরসা
ঘাসের হাড়ে যেন ফের ঘাস না গজায়
সন্ধে আসে জীবন-অনুভূমিক

দুই
সন্ধে নেমে আসার পদ্ধতি আমি দেখেছি কাছ থেকে
দিনকে কমিয়ে ডীম ক’রে আকাশের হাতে
তুলে দেওয়া — মা-দিদিমা বাসনমাজার থালা ডোবালে জলের মধ্যে, কাঁসাপেতলের মুদিত চোখ পেছন-পেছন ঘাটে আসা আমাদের যেটুকু দেখেছে
তেমন সাপের তলপেট, চাঁদ থেকে লাফ দিচ্ছে
সন্ধের ক্রশিং
যেন কোথাও জাগ দেওয়া ছিল কুচিকুচি
সজনে পাতার নিচে, এখন সুরৎ বোম্বাই
সা-নি-ধা নামছে, “আহা কোন বাগানে ছিল”
বলছে সন্ধের হকার, আমাদের সন্ধ্যাতারাবাবু

তিন
আমি সন্ধে নামাই সমুদ্রবেদিতে
অভাবে পুষ্কর, ডোবাও চইলবেক
চারিদিকে বনগন্ধ পরাক্রম, “ও আমার
দলে খেলবে” ব’লে ইলেকট্রিক খুঁটিকে
গাছ বানিয়েছে জার্মানিলতা
উল্কাসনে ব’সে এক-তরোয়ালে চিরে দিচ্ছি
আকাশের পেট থেকে জমির নাবাল
চুঁয়ে নামল কালো প্রস্ফুটিত
পাটগন্ধ, পাটশব্দ, একমুঠো ধুলোর তণ্ডুল…

আমি সন্ধ্যা নামাইয়া থাকি

.
[‘নবরত্ন কারাদণ্ড সবুজ’ বইতে আছে]

পর্যটন নিশি

তপ্ত নিশ্বাসে উবে যায় ঘুম..
অধীর ত্রাসে
মিশে থাকে নিঝুম পর্যটন
অচিন পর্বতারোহণের নেশা;
জ্যোৎস্নার বনে
পুনমী আলো ছায়া
সুগন্ধি মোহন মৃগ
অস্থির…
ঠুমরীর তালে নাচে নটরাজ
গোপন মুদ্রায়
স্ফুরিত মধুপের সুক্ষ্ণ কারুকাজ!

অগ্রন্থিত গান

প্রতি সন্ধ্যা পার হলে আশঙ্কার রাত এসে তাতে
দিনগুলো ছেঁটে অভিজাত মোম—দৃষ্টি জ্বলায়—
বিপর্যস্ত পিতলের ঘন্টায় বেঁধে রাখা দলছুট
পাহাড়ের মতো স্কেচ করা সেই ডাস ঘোড়াদের
কুচকাওয়াজ, ঘাসের আসন থেকে তুলে আনে
তুমুল নৃত্য, বুক ভার পৃথিবী।শোভাযাত্রা ছড়ায়
–পেখমধরা নদী, সমতলের দিকে মেলে দেয়
আঙুল দুটির শ্বাসকষ্ট—শরীর…

সবুজ ব্যথায় একদল সেচজমি খসে পড়ে—
বুকে-ঘরে। আটাকল মেশিনের গমফুল,
পাখি ক্রমশ মানুষের সমান ভূমিরেখা চেহারার
মতো গর্জন ফলানো—অগ্রন্থিত গান, সকল মাটি
মোটাসোটা রূপসী প্রেম, মধুপিপাসা, একদিন
এখানে জন্মেছিল বিখ্যাত সম্মেলন। জানি—
সেই দিনগুলোয় বেড়াতে আসত দূরের মানুষ।

কামনার বন। ধূলোয় জমানো বারান্দা রাত—দিন
পুরুষের সংসার, লাউপাতার তলে সবুজ সাপ।

জীবন সাজিয়ে দাও ডায়ান্থাস ফুলের মতন

chh

ঝরা শিউলী হতে চাই না, চাই না বকুল হতে
হতে চাই সে ফুল, যে ফুলের আয়ূ অথৈ
হাঁটতে চাই না ঝরা ফুলের পথে,
ফুলে পা মাড়িয়ে চলি, তাতে স্বস্তি কই!

তুমি মন জমিনে রুয়ে দাও ম্যাজেন্ডা ডায়াস্থাস
রঙবাহারী ফুল ফুটুক, পাপড়ি মেলুক ডানা
চাই না হতাশা দাও আর, দাও দীর্ঘশ্বাস
আমার মন ভুবনে ঝগড়া ফ্যাসাদ এখন থেকে মানা।

মানা শুনলে ভালো, না শুনলে আমি একলা পাখি
বসে থাকবো ঠায় মনে মুগ্ধতা নিয়ে
যাবো না বেরসিক তোমাকে আর ডাকি;
তুমি তো কেবল পারো শান্তি নিতে ছিনিয়ে।

এবেলা মন বড় আনমনা,
ভাবনাতে নেই কেউ
তুমি এসো রংবাহারী মন নিয়ে, করো না ছলনা
মনে ওঠাও বন্ধু ভালোবাসার ঢেউ।

রঙের ধরায় পানসে সময় কাটাতে চাই না
মন যে ফুল, পাপড়ির ডানা মেলতে চায়
রাখবে এবেলা ছোট বায় না
সুখ রোদ্দুর দেবে তুলে মনের মাঁচায়।

দীর্ঘশ্বাসের প্রহরগুলো দিয়ে দেব ছুটি
যদি রুয়ে দাও গোলাপী ডায়ান্থাসের চারা
ফুটুক ডালে ডালে প্রেম ফুল, মৌ পোকারা খাক সুখে লুটোপুটি,
কই তুমি? সম্মুখে এসে হও খাড়া।

.
(স্যামসাং এ সেভেন, ঢাকা)