আমির ইশতিয়াক ১৯৮০ সালের ৩১ অক্টোবর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানার ধরাভাঙ্গা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা শরীফ হোসেন এবং মা আনোয়ারা বেগম এর বড় সন্তান তিনি। স্ত্রী ইয়াছমিন আমির। এক সন্তান আফরিন সুলতানা আনিকা। তিনি প্রাথমিক শিক্ষা শুরু করেন মায়ের কাছ থেকে। মা-ই তার প্রথম পাঠশালা। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শুরু করেন মাদ্রাসা থেকে আর শেষ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ে। তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নরসিংদী সরকারি কলেজ থেকে সমাজবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ছাত্রজীবন থেকেই লেখালেখি শুরু করেন। তিনি লেখালেখির প্রেরণা পেয়েছেন বই পড়ে। তিনি গল্প লিখতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করলেও সাহিত্যের সবগুলো শাখায় তাঁর বিচরণ লক্ষ্য করা যায়। তাঁর বেশ কয়েকটি প্রকাশিত গ্রন্থ রয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য উপন্যাস হলো- এ জীবন শুধু তোমার জন্য (২০০৩) ও প্রাণের প্রিয়তমা (২০০৬)। তাছাড়া বেশ কিছু সম্মিলিত সংকলনেও তাঁর গল্প, কবিতা ছাপা হয়েছে। তিনি নিয়মিতভাবে বিভিন্ন প্রিন্ট ও অনলাইন পত্রিকায় গল্প,কবিতা,ছড়া, ভ্রমণ কাহিনী ও কলাম লিখে যাচ্ছেন। এছাড়া তিনি বিভিন্ন ব্লগ ও ফেসবুক গ্রুপে নিজের লেখা শেয়ার করছেন। তিনি লেখালেখি করে বেশ কয়েটি পুরস্কারও পেয়েছেন।
ফেসবুক লিংক- https://www.facebook.com/amirhossain243
ই-মেইল : [email protected]
ব্যক্তিগত ব্লগসাইট: http://amirishtiaq.blogspot.com
আকাশে শরতের সাদা মেঘ ভেসে বেড়াচ্ছে। খুব ইচ্ছে করছে শরতের সাদা মেঘগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকি। কিন্তু আকাশের দিকে তাকাতে পারছি না। উপরে আকাশ নিচে নদী মাঝখানে আমি ও রফিক। তিতাস নদীর দুপাশে কাশফুল। খুব ভালই লাগছে।
এক
১৯৯৫ সাল।
শীতের সকাল। চারদিকে কুয়াশা। কুয়াশার জন্য দূরের লোকজন তেমন দেখা যায় না। এখনও সূর্য উঠেনি। জসিম উদ্দিন রেললাইনের পাশ দিয়ে হাঁটছেন। ডাক্তারের পরামর্শে প্রতিদিন ভোরে উঠে তিনি হাঁটেন। কিছুক্ষণ হাঁটার পর তার
আজ অফিস থেকে বের হতে শাহিনের অনেক দেরি হয়ে গেছে। সারাদিন তার উপর ধকল গেছে। তাছাড়া বাসার বাজার সদাই করতেও অনেক সময় ব্যয় হয়ে গেল। রাত আনুমানিক দশটা বাজে। মতিঝিল শাপলা চত্বরের পাশে রিক্সার জন্য দাঁড়িয়ে
এই সবুজ!
আমি পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখি ঋতু দাঁড়িয়ে আছে। একটু অবাক হলাম! এ মুহূর্তে ঋতুর এখানে আসার কথা না। কিন্তু কেন আসলো? আমিতো একা থাকতে চেয়েছিলাম। আমিতো তার কাছ থেকে দূরে চলে আসছি। আমি বললাম, কি?
ঋতু
সুবর্ণা ও সজিব ওরা দু’ভাইবোন। সুবর্ণা বড় নবম শ্রেণিতে পড়ে। সজিব ছোট ষষ্ট শ্রেণিতে পড়ে। কয়েকদিন যাবত দু’জনেই পড়ালেখা নিয়ে খুবই ব্যস্ত। কারণ সামনে একটি প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করতে হবে ওদেরকে। প্রতিযোগিতায় দু’জনেরই নাম দেয়া হয়েছে।
গত দীর্ঘ ৯ মাস ২ দিন আমার স্ত্রীর গর্ভের ভেতর বেড়ে উঠছিল একটি প্রাণের অস্তিত্ব। যা আমাকে বাবা হওয়ার স্বপ্ন দেখাচ্ছিল। আমি একটা নতুন জগতের সাথে পরিচিত হচ্ছিলাম। দিন দিন আমি আমার স্ত্রীর পরিবর্তন কাছ থেকে
আমার নানার চার মেয়ে ও দু’ছেলের মধ্যে আমার মা ছিলেন সবার বড়। নানা আমার মাকে খুব ভালোবাসতেন। আমাদের বাড়ি থেকে নানার বাড়ি প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে। গ্রামের নাম চরবাড্ডা মির্জাচর। সবুজ গাছপালা বেষ্টিত গ্রামটি খুবই চৎমকার।
ঈদুল আজহার আর মাত্র এক সপ্তাহ বাকি। বড় ভাই কামাল উদ্দিনের মৃত্যুর পর জামাল উদ্দিন কোন ঈদে কোরবানি দিতে পারেনি। আজ থেকে পনের বছর পূর্বে সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মমভাবে নিহত হন কামাল উদ্দিন। জামাল উদ্দিন ভাবছে এবার
আমি তখন ছোট। বয়স ছয় কি সাত হবে। মাঝে মাঝে স্কুলে যেতাম এবং দিনে একটা করে বই ছিঁড়তাম। আমি ছিলাম নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান। আমার জন্মের পর থেকেই বাবার সংসারে অভাব অনটন দেখা দেয়। অথচ আমার জন্মের
আমি তখন সপ্তম শ্রেণিতে পড়ি। তখন আমাদের ক্লাসে ছিল এক দুষ্টু ছেলে। তার নাম মনির হোসেন মিন্টু। সে সব সময় স্যারদের ক্লাসে পড়া জিজ্ঞাসা করলে উল্টাপাল্টা জবাব দিত। অবশ্য তার জবাবে যুক্তি থাকে। একদিন ক্লাসে বিজ্ঞান
অনিক খুব চঞ্চল স্বভাবের বালক। সারাদিন এ বাড়ী ও বাড়ী ঘুরে বেড়ানো যার কাজ। লেখা পড়ার দিকে তেমন কোন মনযোগ নেই। বাবা-মা স্কুলের কথা বললেই বন্ধুদের নিয়ে চলে যায় খেলার মাঠে। খেলার ছলে কখনো কাউকে চিমটি
মোহতেশাম ছোট্ট শিশু। বয়স আট কি নয়। সে তার বাবা-মায়ের সাথে ঢাকায় থাকে। এবার সে তার দাদার বাড়িতে এসে ঈদ করবে। সামনে কোরবানির ঈদ। তাই এ উপলক্ষে সে ঈদের দু’দিন পূর্বেই গ্রামের বাড়িতে চলে আসল। মেঘনার
টুনি তার নাম। বাবা মায়ের একমাত্র আদরের মেয়ে। সে কেবল অ আ ক খ পড়ে। তার একটা বর্ণমালার বই আছে। বইটি খুবই সুন্দর। ছড়ায় ছড়ায় বর্ণমালা দিয়ে বইটি সাজানো। রঙিন সব ছবি। প্রজাপতির ছবি। পাখির ছবি।