দৃশ্যপট ১. চতুর্থ মেয়াদে নির্বাচিত হবেন শেখ হাসিনা, ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন, (শেখ হাসিনার সময়োচিত অর্থনৈতিক সংস্কারের প্রশংসায় ব্লুমবার্গ। দ্যা ডেইলিস্টার ০১-০৪-২৩)
দৃশ্যপট ২. বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল: মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
(বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল: মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী,
দেশ রূপান্তর ০১-০৪-২৩)
যে আমেরিকা বাংলাদেশের জন্মকে অস্বীকার করে সরাসরি বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রাম তথা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল। এবং কি এখনও আমেরিকা নিজের স্বার্থের জন্য ক্রমাগত বাংলাদেশের বিরদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র লিপ্ত, সেই খোদ আমেরিকার সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন বাংলাদেশ বাকী বিশ্বের কাছে এখন মডেল। এটা ভেবে আনন্দিত হচ্ছি যে আজ আর আমাদের নিজেদের প্রচার করতে হচ্ছে না।
এই বিশ্বায়নের যুগে দেশ, বিদেশের মানুষ দেখতে পাচ্ছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের অন্যতম অর্থনৈতিক পরাশক্তি হতে যাচ্ছে। শুধুই অর্থনীতি? না। সামাজিক নিরাপত্তা, সুশাসন থেকে শুরু করে সকল ক্ষেত্রে আজ বাংলাদেশ অদম্য ও অপ্রতিরুদ্ধ। আর এর স্বীকৃতি দিচ্ছে খোদ বিশ্ব মোড়ল ও তাঁর নিয়ন্ত্রণাধীন বিশ্ব ব্যাংক, আইএমএফ, জাইকা, আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম ব্লুমবার্গ। ওরা নিজ থেকে বলছে শেখ হাসিনার আমলে বাংলাদেশ বাকী বিশ্বের কাছে এখন উন্নয়নের মডেল। আর বাংলাদেশে পাকি রাজাকারের সাবেক ছানা, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর বলছে, পাকিস্তান আমল নাকি ওদের কাছে ভালো ছিল। ছি, ছি, ছি ধিক তোমাদের দেশপ্রেমকে। লজ্জা পাই তরুণ প্রজন্মের একজন নাগরিক হিসেবে। মুক্তিযুদ্ধের এতগুলো বছর পরেও এসে কতিপয় রাজনৈতিক নেতৃত্বের মুখে শুনতে হচ্ছে সেই মুসলিম লীগ, জামাতিদের তোতা পাখির বুলি। আর এর নেতৃত্ব দিচ্ছে বিএনপি জামাতের ছাপোষা কতিপয় বুদ্ধিজীবী, তাঁদের দোসররা। ওরা বারবার একই ভাঙ্গা ঢোল বাজিয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশ শ্রীলংকা হয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে। অথচ তাঁদের পেয়ারে পাকিস্তান এখন দেউলিয়ার পথে। বাক্ স্বাধীনতার নামে যেসব কুলাঙ্গার এই দেশে বসে দেশবিরোধী কথা বলে, স্লোগান দেয়, সাংবাদিকতার আড়ালে অপপ্রচার ও অপসাংবাদিকতার মাধ্যমে ক্রমাগত মিথ্যাচার করে যাচ্ছে তাঁদের জন্য করুণা হয়।
ওরা ভোট ও জনগন ভুলে এখন বিদেশীদের তাবেদারি শুরু করেছে। দেশে বিদেশে বসে নালিশ দিয়ে দেশকে বিশ্বের কাছে অকেজো রাষ্ট্র হিসেবে দেখাতে চায়। কিন্তু বিধিবাম যাকে বলে উল্টো মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওদের মুখে কষে চপেটাঘাত করেছে। ব্লমবার্গ বলেছে আবার টানা চতুর্থবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসীন হতে যাচ্ছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর দল আওয়ামীলীগ।
এখানে হুবহু তুলে ধরছি ব্লুমবার্গের রিপোর্টের কিয়দংশ-
‘তিনি (শেখ হাসিনা) টানা চতুর্থ মেয়াদে জয়ী হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।’ একই সঙ্গে শেখ হাসিনাকে পুরো তহবিল পেতে আরও সংস্কার করতে হবে বলেও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, শেখ হাসিনা ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনে টানা চতুর্থ মেয়াদে সম্ভাব্য জয়ী হওয়ার কারণ এটা নয় যে, তার অনেক প্রতিপক্ষ কারাগারে আছেন বা আইনি ফাঁদে পড়েছেন। নিবন্ধে বলা হয়েছে, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সাফল্যের কারণেই তার চতুর্থ মেয়াদে নির্বাচিত হওয়া ব্যাপকভাবে প্রত্যাশিত।
আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির সময়োপযোগী সংস্কারের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ প্রাপ্তির পটভূমিতে ব্লুমবার্গ দু’টি উপ-শিরোনামসহ ‘বাংলাদেশ লিডার বেটস আইএমএফ-ম্যান্ডেটেড রিগর উইল পে অফ ইন পোলস’ শিরোনামের এই নিবন্ধটি প্রকাশ করে।
এতে বলা হয়, পুরো তহবিল পেতে শেখ হাসিনাকে আরও সংস্কার করতে হবে। নির্বাচনে তিনি টানা চতুর্থবারের মতো জয়ী হবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ব্যালট বাক্সে পরাজিত হওয়ার ভয়ে বিশ্বজুড়ে সরকারি দলের নেতারা প্রায়শই আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সঙ্গে সম্মত সংস্কার বাস্তবায়নে পিছিয়ে পড়ছেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের মতো নন।”
কি ভাবছেন শেখ হাসিনা কি সরাসরি বলবেন আমি আজ থেকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী? না শেখ হাসিনা জনগণের ক্ষমতায়নে বিশ্বাসী। দেশের মানুষ শেখ হাসিনার আমলে ভালো আছে বলেই, তাঁরা আবার ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে পুনরায় ক্ষমতায় আনবে। এটা যেমন দেশের সাধারণ নাগরিকরাও বুঝেছে এবং তাঁরা মুখিয়ে আছে নৌকার পক্ষে ভোট দেওয়ার জন্য। অন্যদিকে বিশ্ববাসীও দেখছে এবং প্রকাশ্যে তাঁরা বলছেন। সে জন্য তাঁরা শেখ হাসিনার বিরদ্ধে এখন আর উচ্চবাচ্য করছে না।
কারণ এদেশের মালিক জনগন, তাঁরা যাকে ভোট দেবে তারাই ক্ষমতায় আসবে। তাই আমেরিকা, বিশ্ব ব্যাংক ষড়যন্ত্র বন্ধ করে বাংলাদেশকে নিয়ে, শেখ হাসিনাকে নিয়ে এখন দ্বিতীয়বার ভাবতে বসেছে। বাংলাদেশের পাশে থাকার চেষ্টা করছে। আর এটাই শেখের বেটির রাজনৈতিক দূরদর্শিতার প্রমাণ। এটাই শেখ হাসিনার সফল রাজনৈতিক ও কূটনীতির জয়। এখানেই খালেদা,তারেক, মান্না, রব, অলি, বাম-ডানের পরাজয়। তোমরা দেশে, বিদেশে বসে যতোই ষড়যন্ত্র করো না কেন শেখের বেটির এক চালেই হবে সব কুপোকাত। তোমরা শেখ হাসিনার কাছে রাজনীতির মাঠে এখনো দুধভাত। ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়েছেন, এখন ইতিহাস সৃষ্টি করে আবার ৪ চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় আসবেন জননেত্রী শেখ হাসিনা।
জয়তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনা।
জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।
লেখক,
এইচ আই হামজা
সাংগঠনিক সম্পাদক
কলাবাগান থানা ছাত্রলীগ।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ।
loading...
loading...
শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয় লিখক।
loading...
আপনার প্রতি ভালোবাসা রইলো ভাইয়া…
loading...