‘ফুলকপি’ বড়দের গল্প। আয়তনেও বড়, নভেলা বলা যায়। গল্পটা টাইমলাইনে শেয়ার করার আগে কিছু বলা দরকার- এখন একটানা তিন চার লাইনের বেশী লিখতে পারি না, চোখে প্রচণ্ড চাপ পড়ে। চোখের চাপ ছড়িয়ে যায় মাথায়। ছাইপাশ বা অখাদ্য যাই লিখি, হিরো আলমের গানের এসব লেখারও কিছু পাঠক আছেন। এদের অনেকে নতুন লিখার জন্য তাগাদা দেন- হাসিমুখে এড়িয়ে যাই। তবে Asif Iqbal-এর নিয়মিত তাগাদা – “তুমি কিন্তু ক’মাস ধরে তেমন কিছুই লিখছো না, কিছু লিখ। মনসুখিয়া বা গল্প- যা হোক লিখ।” ওকে বলা হয় না, “লিখতে তো চাই, কিন্তু পারি না।” শেষ পর্যন্ত ঘরবন্দী অবস্থায় ভয়েজ টাইপিং’য়ে ধীরে ধীরে “ফুলকপি” গল্পটা লেখা হলো, প্রযুক্তিকে ধন্যবাদ। খসড়াটা কথাসাহিত্য ডটকমে প্রকাশ করেছিলাম। এরপর ধীরে ধীরে এডিট করতে গিয়ে আকার আরও বড় হলো। বড়দের বড়গল্প ‘ফুপকপি’ ভালো না খারাপ সে প্রশ্ন যৌক্তিক, তবে বাংলায় বাটারফ্লাই ইফেক্ট প্রভাবিত এই ধরণের পলিটিক্যাল স্যাটায়ার লেখার সংখ্যা খুবই কম, হয় তো আগে লেখাই হয়নি, কেউ লেখার প্রয়োজনীয়তা বোধ করেন নাই।
আজ ফুলকপি গল্পের প্রথম পর্ব শেয়ার করলাম-
ফুলকপি (বড়দের গল্প)
ফুলকপি (বড়দের গল্প/ফাইনাল)
১.
ফুলকপি দু’টা কি করবে – দ্বিধাগ্রস্ত হানিফ সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। প্রতিদিন ভোর ৫টার মধ্যে তার দোকানদারি শেষ হয়ে যায়। আজ সোয়া চারটার মধ্যে দু’টা বাদে সব কপি বিক্রি হয়ে গেছে। লাভসহ চালান উঠে এসেছে। এখন ভোর পৌনে ছ’টা, ফুলকপি নিয়ে বিভ্রান্ত হানিফ দাঁড়িয়ে আছে।
হানিফ মাঝরাতে কারওয়ান বাজারের আড়ত থেকে ঠিকায় দু’শ ফুলকপি আর এক’শ বাঁধা কপি কিনে। খুচরা বাজারে নিজের দোকানে সাইজ অনুযায়ী সাজায়। ক্রেতার চাহিদার পরিমাণ অনুযায়ী সাইজ ভেদে পাইকারি ও খুচরা দামে বিক্রি করে। এই কৌশলে তুলনামূলক বেশী লাভ হয়। বর্তমানে ফ্যাশন অনুসারে হানিফকে সবজী উদ্যোক্তা বলা যায়, কিন্তু চল্লিশ বছর বয়সী হানিফ পঁচিশ বছর ধরে একই কৌশলে ব্যবসা করে আসছে।
অবিক্রীত ফুলকপি জোড়া হানিফের মনে বাবার স্মৃতি জাগিয়ে তুলে। বাবা বেঁচে থাকতে ধমক খাওয়া ছাড়া হানিফকে কোনো কিছু করতে হয় নাই- না পড়ালেখা, না কাজ। এই কথাটি অবশ্য আংশিক সত্য, কারণ পড়ালেখার দৌড়ে সে ক্লাশ সেভেনের প্রথম সাময়িক পরীক্ষা পর্যন্ত টিকেছিল। এরপর বস্তির বখাটে বন্ধুদের সাথে ঘনিষ্ঠতার শুরু। এক একদিন একা বা দলবেঁধে দয়াগঞ্জ রেল লাইন ধরে হাঁটতে হাঁটতে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা বা ঢাকার কমলাপুরে চলে যাওয়া, বস্তির বাইরের ক্লাব ঘরে ক্যারাম খেলা, নিয়মিত সিগারেট খাওয়া এবং মাঝে মধ্যে খুচরো মাস্তানি – এসবকে যদি কাজ বলা যায়, তবে সে কাজও করেছে। এসব কাজের চাপে হানিফ এক ফূর্তিময় জীবন যাপন করছিল।
বাবা রিকশা চালাতেন। স্বল্প আয়, তবু খাবার ব্যাপারে তার জমিদারের মত বাছবিচার ছিল। অন্য রিকশাচালকরা আকিজ বিড়িতে অভ্যস্ত হলেও তিনি স্টার সিগারেট টানতেন। ফুলকপি ছিলো তার অপছন্দের সব্জী। ফুলকপির গন্ধ সহ্য করতে পারতেন না। মুখে তোলা তো দূরের কথা, পাতেও তুলতেন না, বলতেন, “মাইনষ্যে ফুল্কফি খায় ক্যাম্নে!” এই বিস্ময় বা প্রশ্নের মিমাংসা জরুরী ছিলো না, তাই গ্রহণযোগ্য উত্তর পাবার আগেই শীতের এক কুয়াশাঘন সকালে তিনি বিদায় নিলেন। টিকাটুলি মোড়ে “সমগ্র বাংলাদেশ পাঁচ টন” গোত্রের ট্রাক তাকে পিষ্ট করে পালালো। তার থেতলে যাওয়া দলাপাকানো শরীরটা তিন চারবার ঝাঁকি দিয়ে স্থির হয়ে গেল । আইনী প্রক্রিয়া মেনে থানা থেকে মেডিকেল কলেজ, ফের মেডিকেল কলেজ থেকে থানার চক্কর কেটে সন্ধ্যায় লাশ দয়াগঞ্জ বস্তিতে আনার পর হানিফ, একমাত্র ছোট বোন আর তার মা’কে স্বজন হারানোর বেদনা নয়, আসন্ন দিনের অনিশ্চয়তা গ্রাস করেছিল।
বাবা মারা যাওয়ার পর হানিফের সামনে দুটি পথ খোলা ছিল – বাবার পেশা রিকশা চালানো বা দয়াগঞ্জ বস্তির বেল-বাটি পার্টিতে যোগ দেয়া। ট্রাকের চাকায় পিষ্ট বাবার দলাপাকানো শরীরটা বহুদিন হানিফকে আতঙ্কে আচ্ছন্ন করে রেখেছিল। রিকশার প্যাডেলে পা রাখার সাহস হয় নাই। বেল-বাটি পার্টিতে যোগ দিলে রিকশার বেল চুরি, ছিনতাই এবং ফেনসিডিল ও হিরোইনসহ মাদক কারবার করা যায়। স্বাধীন পেশা, ‘নো ওয়ার্ক নো পে’ নীতি সত্ত্বেও উপার্জন বেশ ভাল। তবে দু’টা ঝুঁকি রয়েছে- নেতারা পুলিশের সাথে ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে ঝামেলা করলে বা পত্রিকায় বেল-বাটি পার্টির দৌরাত্ম্য ও পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা বিষয়ক খবর ছাপলে পুলিশ অতি তৎপর হয়ে পার্টির সাধারণ সদস্যদের গ্রেফতার করে অমানবিক ধোলাই দেয়। দ্বিতীয় ঝুঁকি আরও মারাত্মক- পাবলিকের হাতে ধরা পড়লে নির্বিবাদী ও ভীতু মানুষগুলিই দানবে পরিণত হয়, পৈশাচিকভাবে পিটায়। মেরে ফেলার কৃতিত্বে উল্লসিত হয়। সাহসের অভাবে বেল-বাটি পার্টিতেও হানিফের যোগ দেওয়া হলো না।
রিকশার মহাজনের দেওয়া পাঁচ’শ টাকা পূঁজি নিয়ে হানিফের নতুন জীবনের শুরু। বয়স তখন চৌদ্দ কি পনেরো বছর, ফজরের ওয়াক্তে পুরান ঢাকার শ্যামবাজার থেকে কাঁচামরিচ, লেবু, ধনেপাতা, পুদিনা পাতা, শসা পাইকারি দামে কিনে সকালে সূত্রাপুর বাজারে খুচরা দামে বিক্রির মাধ্যমে হানিফের সব্জী ব্যবসায়ে হাতেখড়ি। সময়ের পরিক্রমায় রায় সাহেব বাজার ও জুরাইন বাজার পেরিয়ে, কিছুদিন ঠাটারিবাজারে মাছের ব্যবসা শেষে টানা আট বছর ধরে হানিফ কারওয়ান বাজারের সব্জী কারবারি। ক্ষুদ্র পূঁজির পাইকার। বাঁধা ক্রেতাদের অনেকেই তাকে ‘মাহাজন’ বলে ডাকে।
হানিফ সবুজ রঙের মাফলারটা গলা থেকে খুলে কোমড়ে বাঁধে। লুঙ্গিতে গুঁজে রাখা গোল্ডলিফের প্যাকেট বের করে। সিগারেট ধরায়। চা’য়ের জন্য আশপাশে তাকায়। মোখলেস নামের দশ বারো বছরের একটা ছেলে মাঝরাত থেকেই ফ্লাস্কে করে চা বিক্রি করে। মোখলেসকে বাজারের সবাই মেসি নামে ডাকে, কেনো ডাকে হানিফ জানে না। সম্ভবত মোখলেসের মেসি হবার ঘটনা কেউই জানে না। আশেপাশে মেসিকে দেখা গেলো না। হানিফ সিগারেটে টান দেয়। প্রথম টানের ধোঁয়া ছাড়তেই মনে জিহাদী হুজুরের চেহারা ভেসে উঠে। জিহাদী হুজুর ওয়াজে সিগারেট টানার এমন অভিনয় করে যে সবাই হেসে গড়াগড়ি খায়। ইউটিউবে যতবার জিহাদী হুজুরের ওয়াজ দেখেছে ততবারই হাসির দমকে হানিফের দম বন্ধ হয়ে আসার উপক্রম হয়েছে। কিন্তু এখন হাসি পাচ্ছে না, গোঁফ চুলকে ভাবছে- আজকের লটের সবচে সুন্দর ফুলকপি দু’টা বিক্রির জন্য আরও অপেক্ষা করবে না প্রতিদিনের মত বাড়ির ফেরার পথ ধরবে।
চলতি মৌসুমে ফুলকপির সরবরাহ বেশ ভালো। বাজারে শীতের সবজি আসার শুরুর দিকে মাঝারি আকারের এক জোড়া ফুলকপি দেড়’শ থেকে দু’শ টাকায় বিক্রি করতে পেরেছে। এখন দাম কমে জোড়া ষাট থেকে সত্তুর টাকায় নেমে এসেছে। হানিফ সিগারেট খাওয়া শেষে ফুলকপি দু’টোর দিকে তাকায়। সবুজ ডাটার মাঝখানে বরফ শাদায় হালকা হলুদ আভায় আচ্ছাদিত বৃত্ত। জমাট বাঁধা ফুল- চূড়োয় মধ্যবিন্দুকে রেখে ফুটবলের অর্ধাংশের মত সুষমভাবে স্ফিত হয়ে আছে। ফুলের কারণে সামান্য এবড়োথেবড়ো হলেও কোমল ও মসৃণ। হানিফ কপির ডাঁটি দুটো ফুলের তোড়ার মত দুই হাতে শক্ত করে ধরে। ঘ্রাণ নেওয়ার ভঙ্গিতে নাকের কাছে এনে শুঁকে। মুহুর্তের মধ্যে ওর চোখ বন্ধ হয়ে আসে। বাজারের কোলাহলকে দখল করে গাঢ় নিরবতা। বন্ধ চোখে ভেসে ওঠে আবছায়া ঘর, ছোটো জানালায় লাগানো প্রিন্টের পর্দা ফুড়ে ঢুকা নরম আলোয় সবুজ ব্লাউজ খোলা মাকসুদার ফর্সা বুক। শ্বাস নেবার দোলায় উঠছে নামছে। ফুলকপির ডাঁটির মত পাতলা-শুকনা একটা গতরে এত স্ফিত বুক কিভাবে হয়- হানিফের কাছে এ এক অমিমাংসিত রহস্য।
দ্রুতই নিজেকে সামলে নেয় হানিফ। কিছুটা লজ্জাও পায়। কল্পনার রাজ্য ছেড়ে কোলাহল আর প্যাচপেচে কাদা ও সব্জীর মিশ্রণে সৃষ্ট গন্ধ ভরা বাজারে ফিরে আসে। মাথার ভিতরে জেগে থাকে মাকসুদা। মাকসুদার এই উপস্থিতি তাকে অন্যান্য দিনের মত ফুলকপি জোড়া বাসায় নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে অনুৎসাহিত করে। মাকসুদা সব কিছুই খুব ভালো রান্না করে। কিন্তু ফুলকপির তরকারি রান্না করতে পারে না। ফুলকপির তরকারিতে এত বেশী হলুদ দেয় যে খেতে বিস্বাদ লাগে। বিস্বাদ ফুলকপির তরকারি উগরে আসা বমি চেপে হাসিমুখে খেতে হয়। খাওয়া শেষে প্রশংসা করতে হয়। কঠিন কিছু বললে মাকসুদা ফ্যাচ ফ্যাচ করে কাঁদে, হানিফের কষ্ট হয়। আজ সে নির্যাতিত হবার মত বস্তু নিয়ে ঘরে ফিরবে না, কম দামে হলেও ফুলকপি বিক্রি করে তারপর ফিরবে।
মাকসুদাকে নিজের জীবনের সাথে জড়াতে হানিফ রাজী ছিলো না। বাবা মারা যাবার এক বছরের মাথায়, বাবার অভাবটাহাড়ে হাড়ে টের পেতে শুরু করেছে, মধ্যবয়সী মা এক ঠেলাওয়ালাকে বিয়ে করে আগারগাঁও বস্তিতে চলে গেলেন। তখনই হানিফ প্রতিজ্ঞা করেছিল বিয়ে করবে না। সে মরে গেলে বউ অন্য পুরুষের সাথে সংসার করবে, রঙ্গ তামাশা করবে, এক বিছানায় শুবে – এ কথা ভাবতেই বিয়ের প্রতি অনাস্থা এবং সংসারের প্রতি তীব্র বৈরাগ্য ও ঘৃণা জন্মেছিল। একমাত্র ছোটবোন তাকে বিয়ের জন্য ত্যাক্তের চূড়ান্ত করলো। “ভাই, তোমার বয়স বাড়তাছে, সেবাযত্ম দরকার” এবং “তোমার থেকা বুইড়া বয়সে মাইনষ্যে বিয়া করে, তোমার বিয়া করতে সমস্যা কি” – এই যুক্তিতে ছোটবোনের নেতৃত্বে সাঁড়াশি আক্রমণে যোগ দিলো বোন জামাই, ভাগ্না-ভাগ্নি আর এক চাচা। হানিফ শেষ পর্যন্ত বিয়েতে সম্মত হলো।ছোটবোন নিজ উদ্যোগে চল্লিশ বছর বয়সী ভাইকে দূর সম্পর্কের বাপ-মা মরা এতিম বিশ বাইশ বছর বয়সী ননদ মাকসুদার সাথে বিয়ে করালো। বয়সের ফারাকজনিত হীনমন্যতার কারণে অল্প বয়সী রূপবতী বউয়ের প্রতি হানিফ কঠোর হতে পারে না।
হানিফের দোকানের তিন-চার দোকান পরই ওবায়দুলের আলুর দোকান। ওবায়দুল অনেকক্ষণ ধরে হানিফকে খেয়াল করছিল। চোখাচোখি হতেই ওবায়দুল ইশারায় হানিফকে ডাকে। হানিফ কাছে গিয়ে দাঁড়াতেই ওবায়দুল বলে,
– ফুলকপি দুইটারে বুড়া হাত্তির বিচির মত ঝুলায়া দুই ঘণ্টা ধইরা খাড়ায়া আছো ক্যান? বাড়িতে লয়া যাও।
– আইজ বাড়িতে লইয়া যাইত্তাম না।
ওবায়দুল হাসে,
– ক্যান! ফুলকপি লয়া গেলে ভাবী মাইর দিবো! ভাবীরে ডরাও! ভাবী চিল্লাইবো! বাড়িত থেকা বাইর কইরা দিবো! রাইতে একলগে..
ওবায়দুলের রসিকতা হানিফের ভালো লাগে না। ওবায়দুলের কথা শেষ হবার আগেই বলে উঠে,
– ডাইকছো ক্যান! কি কইতে চাও তা কও!
ওবায়দুল হাসে,
– বাড়িতে না নিয়া গেলে আমারে দাও, আমি লয়া যাই। শইল মাছ দিয়া রাইন্ধা বউপোলাপান লয়া খাই।
ওবায়দুলের রসিকতায় তেঁতে থাকা হানিফ ঝাঁঝের সাথে বলে,
– দাম দিয়া নিবা! মাগনা দিতাম না।
ওবায়দুলের স্বরে ঝাঁঝ,
– ওই মিয়া! দামের গরম আমার লগে দেখাইও না। দাম দিয়াই লমু। ওবায়দুল মাগনা কিছু লয় না। বুড়া হাত্তির বিচির দাম কত চাও, কও?
হানিফ নরম হয়। একটা সিগারেট ধরিয়ে ওবায়দুলকে দেয়। ওবায়দুল সিগারেটে টান দিয়ে ধোঁয়া ছাড়লে হানিফ বলে,
– চ্যাতো ক্যান! আমি কি কইছি তুমি মাগনা নিবা! ফুলকপির আজকার দাম তো তুমি জানোই। ওই দাম লাগবো না। আমার বাড়িত যাওনের বাস ভাড়া বিশ টাকা, তুমি বিশ টাকা দিলেই সই। এমন কপি সারা বাজারে নাই।
এতক্ষণ পর ফ্লাস্ক হাতে মেসিকে দেখা যায়, হানিফ মেসিকে ডেকে ওবায়দুলকে বলে,
– চা খামু। তিয়াস পাইছে। খাওয়াইবা!
ওবায়দুল ফুলকপির দাম বাবদ বিশ টাকা দেয়, হানিফের সাথে নিজেও রঙ চা আর কাচ্চা বিস্কুট খায়। হাসিমুখে হানিফকে বিদায় দেয়।
ওবায়দুল ফুলকপি দু’টার দিকে মন্ত্রমুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। একজোড়া সরস ফুলকপি, দেখলেই মন ভরে যায়। হানিফ মাত্র বিশ টাকার বিনিময়ে এই ফুলকপি বিক্রি করেছে- ভাবতেই আশ্চর্য হচ্ছে। সকাল ৮টার পর খুচরা ক্রেতার কাছে এই কপি দু’টা খুব কম করে হলেও দেড়’শ টাকায় বিক্রি করা যাবে। নগদ লাভ এক’শ ত্রিশ টাকা। কিন্তু ওবায়দুল বিক্রি করবে না। সবকিছুতে টাকার লাভ দেখলে চলে না। আরও অনেক বড লাভ প্রাপ্তির লক্ষ্যে সে এই ফুলকপি জোড়া বিনিয়োগ করবে।
(চলবে)
loading...
loading...
অসাধারণ এবং অসামান্য গল্প।
loading...