মশা ঘনুবাবু ও ছটা বিয়াল্লিশ

চটাস করে এক চড় নিজেরই ডান পায়ের গুলফের ওপর কষালেন ঘনুবাবু। চলন্ত ট্রেনে যে এত মশা কি করে থাকে! আশ্চর্য! হালকা সাদা আলোয় হাতটা চোখের সামনে তুলে এনে দেখলেন নাহ মরেনি ব্যাটা। মশা মারায় ঘনু একেবারেই অপদার্থ। গিন্নীও হামেশাই বলেন সেকথা। অবশ্য এই একটাই কথা বলেন না। বলতে গেলে সারাদিনই অসহ্য নাকচাবি পরা বোয়াল মাছের মত জাবদা মুখখানা চলছে তো চলছেই। সেই সাতসকালে শুরু হয়ে এই কথার চর্বিতচর্বণ চলতেই থাকে অবিরাম। তাকে থামায় কার বাপের সাধ্যি। আর সব কথার সার হল, ঘনুবাবু অতি অকর্মণ্য। ভাগ্যিস বহু তপস্যা করে তাঁর মত একপিস বউ পেয়েছিলেন তাই বর্তে গেছেন। নইলে যে ঘনুর কি হতো, ভাবলেও তিনি শিউরে ওঠেন। পাড়ার আর পাঁচটা বউকে দেখুক ঘনু, তাহলেই বুঝবে সে কি রত্ন পেয়েছে। শুধু পাড়ার বউদেরই নয়, তার সাথে নিজের অকালকুষ্মান্ড পরিবারের অন্য মেয়ে বউ দেরও দেখুক। তাহলেই হাড়ে হাড়ে বুঝবে তার নিজের বউ কত্তো গুনী। এটসেট্রা…এটসেট্রা…

পাড়ার বউদের যে দেখেন না ঘনু, তা নয়। বরং কাছেপিঠে বউ নেই দেখলেই বেশ ভালো করেই তাকিয়ে তাকিয়ে দেখেন। চব্ব্যচোষ্য করেই চেটেপুটে দেখেন। আর শুধু দেখাই নয়, অনেককিছু কল্পনাও করেন। মাঝেমধ্যে অবশ্য বউএর অবস্থানটা দেখে নিতে হয়। এখন এই মাঝবয়সে পাড়া কেন দুনিয়ার তাবৎ অন্যলোকের বউ কেই দেখার কি যে সুখ! আহা! চলতি ট্রেনেই মুচকি হাসি ভেসে ওঠে তাঁর দুঠোঁটের মাঝে। পাশের লোকটার এক ঠেলা খেয়ে একটু কাত হয়ে পড়তেই সংবিত ফিরে এল তাঁর।

-“আস্তে রে ভাই! আস্তে আস্তে”।
এই ছটা বিয়াল্লিশের লক্ষীকান্তপুর লোকালের আশি পার্সেন্ট প্যাসেঞ্জারই ডেইলি। তাই মোটামুটি সবাইই মুখ চেনা। বীভৎস ভীড় হয় এসময়টায়। শেয়ালদা থেকে ছাড়ার সময়েই ভীড় কামরা ছাড়িয়ে রড ধরে ঝুলতে থাকে। সবই ছোটখাট চাকরীজীবী কিম্বা হকার, ছোট দোকানদার। সারাদিনের পেটের বন্দোবস্ত করে ফিরে চললো নিজের গ্রামের বাড়ীতে। এই ভীড় ঠেলে ওঠা বা নামা দুইই বেশ কসরতের কাজ। বছরের পর বছর রীতিমত ঠোক্কর খেয়ে তাঁকে শিখতে হয়েছে ওঠা-নামা- দাঁড়িয়ে থাকার কায়দা কানুন। যদিও খুব বেশিদূর যাতায়াত নয় তাঁর। শেয়ালদা থেকে মাত্র খান চারেক স্টপেজ পরেই বাঘাযতীন। বাসেও যেতে পারেন, কিন্তু সিগন্যালে ঠেক খেতে খেতে বাসের প্রায় ঘন্টা দেড়েক লাগে। তাছাড়া শেয়ালদা থেকে এদিকের বাস পাওয়াও সমস্যা। অনেকক্ষণ দাঁড়ালে তবে একটা ভীড়ঠাসা বাস আসে। অনেক ভেবেচিন্তে এই ট্রেনলাইনই বেছে নিয়েছেন তিনি। হোক ভীড় তবু মিনিট পনেরোর মধ্যেই পৌঁছে যাওয়া যায়। আর বছর সাতেক চাকরী আছে। চালিয়ে নেবেন এভাবেই। একটা স্টেশন এল। উঁকি মেরে দেখলেন পার্কসার্কাস।

-“দাদারা, বোনেরা, মিস্টার এন্ড মিসেসেরা, এই চলন্ত ট্রেনে অনেক হকারই আপনাদের কাছে আসে। রোজই তাদের দেখেন। অনেকেই খুব পরিচিত হয়ে গেছে আপনাদের”।

এই ঠাসা ভীড়ের মধ্যে কিভাবে যে এই হকাররা যায়, সেটা একটা ম্যাজিক। শুধু যাতায়াত করাই নয়, কাউকে বিরক্ত না করেই দিব্যি নিজের প্রোডাক্ট নিয়ে বকবক করে গছিয়ে টাকা পয়সা নিয়ে চলেও যায় ফের। আর কি না বিক্রী করে ওরা! সেফটিপিন থেকে জলের বোতল, গামছা থেকে ডাব। ভাবা যায় না। ওই ভারী জিনিসগুলো বয়ে অনায়াসে এ কামরা সে কামরা করে বেড়ায় ওরা। ঠিকই বলেছে এই নতুন হকার, বহু হকারই ডেলি প্যাসেঞ্জারদের পরিচিত হয়ে গেছে।

একটু স্বস্তি পেয়ে, ভালো করে হকারের দিকে তাকালেন ঘনুবাবু। বাপরে! এই লোকালে রীতিমত সাদা শার্ট, প্যান্ট, টাই পরে সেজেগুজে উঠেছে লোকটা। টাই দেখলেই ঘনুবাবু বেশ সম্ভ্রমের চোখে তাকান। তিনি জীবনে কখনো ওই জিনিসটা ছুঁয়েও দেখেন নি। আসলে টাই এর কোনো দরকারই পরেনি তাঁর। টাই বাঁধতে গেলে যে জিনিস টা দরকার, সেই স্যুটও নেই তাঁর। থাকতোও যদি তাহলেও ওই অফিস-বাড়ী-বাজারের পরিক্রমায় তিনি কিছুতেই সেটা পরতেন না প্যাঁক খাবার জন্যে। অথচ এই হকার তো দিব্যি পুরোদস্তুর অফিসার মার্কা চেহারা আর সাজগোজ নিয়েও চলে এসেছে। এঁকে তো আগে কোনোদিন দেখেননি তিনি। অন্য ডেইলিদের মুখের দিকে তাকিয়ে দেখলেন তারাও কেমন হাঁ করে তাকিয়ে রয়েছে ওই হকারের দিকে।

এ নিশ্চয়ই খুব শিক্ষিত কেউ। অবস্থার চাপে পড়ে আজ হকারি করতে এসেছে। মনে মনে ভাবলেন ঘনু। এবার মন দিলেন ওর কথায়।

-“ দাদারা- বৌদিরা! আপনারা রোজই হরেক সমস্যায় বিব্রত। সারাদিন হাড়ভাঙা খটুনির পরে সন্ধেয় বাড়ী ফিরে চলেছেন একটু শান্তির আশায়। নিঝুম সন্ধ্যায় ক্লান্ত পাখীরা কুলায় ফিরছে সারাদিনের শেষ হয়ে যাওয়া এনার্জি লেভেল বাড়ীর শান্তিতে একটু ঘুমিয়ে বাড়িয়ে নিয়ে আগামীকাল ফের ঝাঁপিয়ে পড়বেন জীবন যুদ্ধে।

কিন্তু ভাবুন তো দাদারা-বৌদিরা, বাড়ী ফিরে সেখানে শান্তি পাবেন কি? বাড়ীতে ঢুকে হাত মুখ ধুয়ে যেই একটু বিশ্রামের জন্যে জলখাবারের প্লেট হাতে মাদুরে কিম্বা চেয়ারে কিম্বা টুলে কিম্বা বিছানায় বসবেন, ওমনি প্যাঁক… ইয়াব্বড় ইঞ্জেকশনের সিরিঞ্জ হাতে আপনার জন্যে অপেক্ষা করছে কয়েক লক্ষ মশা। কোথায় পালাবেন? রান্নাঘরে- মশা, বাথরুমে- মশা, ক্লাবে- মশা, রাত্তিরে বিছানায় থইথই করছে মশাবাহিনী। আর কি না রোগ বয়ে আপনার শরীরে ঢুকিয়ে দিতে ওঁত পেতে বসে আছে ওরা। ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, এনকেফেলাইটিস, এনসেফেলাইটিস, ফাইলেরিয়া আরো কত হাজার রোগ। একটা মশা কামড়ানো মানে আপনার কাজ বন্ধ, ডাক্তারের কাছে বা হাসপাতালে ছোটাছুটি। টাকার শ্রাদ্ধ”।

এত রোগের ফিরিস্তি শুনে যেন ঘনুর শরীর টা খারাপ লাগতে শুরু করলো। আজ সকালেই বাজারে শুনে এসেছেন আজাদগড়ে একজন ডেঙ্গুতে মারা গেছে। ডেঙ্গু না কি ডেঙ্গি তাও জানেন না তিনি। কেমন জঙ্গি জঙ্গি মনে হয় শব্দটা। ডেঙ্গু হলে কি করে লোকে মরে যায় পটাস করে তাও তাঁর অজানা। কিন্তু শব্দটা শুনলেই গায়ে কাঁটা দেয়।

-“আপনারা এতদিন বহু কোম্পানির অনেক নামী দামী প্রোডাক্ট ব্যবহার করেছেন। কিন্তু একবারও ভেবেছেন কি, সেইসব কয়েল বা লিকুইড বা ম্যাটের সাইড এফেক্ট কি? জানেন কি এগুলো দিনের পর দিন ব্যবহার করলে হাঁপানি, চর্মরোগ, এমন কি ক্যান্সারও হতে পারে!”

ঘনুর অবস্থা এখন রীতিমত করুণ। ক্যান্সার! ওরেবাবা! অফিসের এক পিওন সদ্য পটল তুললো ওই রোগে। শুনেছেন ভয়ংকর যন্ত্রণা পেয়ে দগ্ধে দগ্ধে মরতে হয়। গরমে নাকি ভীড়ের চাপেই দরদর করে ঘামতে থাকেন ঘনু।

-“ আমি আজ আপনাদের কাছে হকারি করে জিনিস বিক্রী করতে আসিনি দাদারা-বৌদিরা। আমি এসেছি বিখ্যাত বিজ্ঞানী নিধিরাম নস্করের তৈরী এক অনবদ্য ওষুধ এই প্রথম পরীক্ষামূলক ভাবে আপনাদের কাছে পৌঁছে দিতে। কিছুদিনের মধ্যেই পেটেন্ট এসে যাচ্ছে। এরমধ্যেই হামলে পড়েছে দেশ বিদেশের বড় বড় নামী দামী কোম্পানী। ওদের হাতে এর স্বত্ত্ব চলে গেলেই আকাশছোঁয়া দামে বিক্রী করে বিপুল লাভ করবে ওরা”।
পেটেন্ট টা কি ব্যাপার! কাল অফিসে জানতে হবে অম্লানের কাছে। ভাবলেন ঘনু।

-“এই জগতবিখ্যাত ওষুধের কোনো সাইড এফেক্ট নেই। একটা ওষুধ সুতোয় বেঁধে ঘরে ঝুলিয়ে দিলেই মশারা পিলপিল করে পাড়া ছেড়ে পগাড়পার। কোনো রোগ নেই, কোনো অস্বস্তি নেই, আর দামও আপনার হাতের নাগালেই”।

-“পরে এই ওষুধের কি দাম হবে জানিনা। কিন্তু এখন প্রথম আমার দেশকে প্রনাম জানাতে বিজ্ঞানী নস্কর এই ওষুধের দাম রেখেছেন প্যাকেট প্রতি মাত্র পাঁচ টাকা – পাঁচ টাকা – পাঁচ টাকা। প্রায় জলের দরে কিম্বা ফ্রী বলতে পারেন। আর শুধুমাত্র আপনাদের জন্যেই আছে একটা স্পেশাল অফার। তিনটে একসাথে যেকোন বড় দোকানে পরে কিনতে গেলে আপনার পড়বে প্রায় একশো টাকা। কিন্তু আপনাদের জন্যে, শুধুই আপনাদের জন্যে আজ একসাথে এই তিন প্যাকেট নিলে দাম পড়বে মাত্র দশ টাকা – দশ টাকা – দশ টাকা। আমার কাছে আজ বেশি প্যাকেট নেই। পরীক্ষামূলকভাবে মাত্র কয়েক পিস এনেছি। যদি কারো দরকার লাগে তাহলে দয়া করে হাত বাড়ান”।

দেখতে দেখতে লোকটার ব্যাগ খালি হয়ে গেল। ঘনু শুধু নেবার সময় আস্তে জিজ্ঞেস করেছিলেন-“দাদা কাজ হবে তো?” লোকটা ভুবনমোহন হাসি হেসে বললে-“ বহু টাকাই তো জলে যায় দাদা, এটা একবার ব্যবহার করে দেখুন। তারপরে আবার আমাকে খুঁজে বেড়াবেন”। বেশ গর্বিত হাসি হেসে ঘনু প্যাকেট তিনটে তাঁর ছেঁড়া রঙচটা ক্যাম্বিস ব্যাগে ঢোকালেন।

#
অন্যদিন মশা তাঁকে খোঁজে, আজ বিছানায় বসে তিনি মশা খুঁজছেন। এখনো পর্যন্ত দেখতে পাননি। সদ্য রাতের বরাদ্দ রুটি আর আলু বিহীন পেঁপের তরকারি খেয়ে বিছানায় বসে মেজাজে একটা বিড়ি ধরিয়েছেন। গিন্নী এখন রান্নাঘরে ব্যস্ত থালাবাসন ধোবার কাজে। রাতের বাসন ধুয়ে না রাখলে সকালে ফের রান্না করতে অসুবিধা হয় তাঁর। সন্ধেয় বাড়ীতে ফিরে বেশ মেজাজে ব্যাগ থেকে প্যাকেট তিনটে বার করে তার গুণাগুণ বোঝাতে শুরু করেছেন, অমনি এক ঝামটা দিয়ে তাঁকে থামিয়ে দিয়েছিলেন গিন্নী।

-“দয়া করে ওসব কেরামতি না দেখিয়ে এখন হাত মুখ ধুয়ে খেয়ে আমাকে উদ্ধার কর। আবার রাতের রান্না আছে”।

বেজার মুখে পড়তে বসে উৎসুক তাকিয়ে থাকা মেয়েকেই চুপিচুপি বুঝিয়ে উঠে পড়েছিলেন ঘনু। গিন্নীর যে তাঁর ওপর এতটুকু আস্থা কেন নেই কে জানে!

মেয়ে আগেই পাশের ঘরে শুয়ে পড়েছে। কাল ওর ক্লাসটেস্ট আছে। তিনটে প্যাকেট ওই খুলে সুতো দিয়ে টাঙিয়েছিল খেতে যাবার আগে। হাসি হাসি মুখে বেশ প্রশ্রয়ের ভঙ্গীতেই দেখছিলেন ঘনু। গিন্নী এলেন হাতের কাজ চুকিয়ে।

-“কি গো মশারী না টাঙিয়েই শুয়ে পড়েছ যে? বাঘাযতীনের বাঘা মশা কি তোমাকে ছেড়ে দেবে ওই পুরিয়াগুলো দেখে?”
-“হে হে, দেখ, এখনো পর্যন্ত একটাও মশা নেই”।
আর কথা না বাড়িয়ে আলো নিভিয়ে শুয়ে পড়েছিলেন ঘনুজায়া।

এপাশ ওপাশ করতে করতে সবে ঘুম আসছিল, তখন মনে হল পায়ে একটা কিছু কামড়ালো। পা টা চুলকে নিলেন ঘনু। মনের ভুল হয়তো। ভাবতে না ভাবতেই চারদিক থেকে সাঁড়াশী আক্রমন। এদিকে কামড়ায়, ওদিকে কামড়ায়। উঠে আলো জ্বালাতেই দেখেন গৃহিণী আগেই উঠে বিছানায় বসে আছেন।

-“রইলো তোমার এই পাগলের সংসার। কাল সকালে উঠেই আমি বাপের বাড়ী চলে যাব। আর সহ্য হচ্ছে না। থাক তুমি এ ঘরে তোমার পুরিয়া আর মশাদের নিয়ে, আমি মেয়ের ঘরে চললাম”।

রেগে গজগজ করতে করতে পাশের ঘরে চলে গেলেন তিনি।
আলোয় ঘরটা দেখে ঘনুর চোখ কপালে। গিজগিজ করছে মশা। ঘরের মশা বাইরে যাওয়া তো দূরের কথা, মনে হচ্ছে বাইরের যত মশা ঘরের মধ্যে চলে এসেছে। উঠে পাশের ঘরে উঁকি দিলেন তিনি। অন্ধকারে আবছা আলোয় দেখলেন মেয়ে আগেই মশারী টাঙিয়ে নিয়েছে। ভীষণ রেগে ঘরে ফিরে এলেন ঘনু। একটানে সুতো ছিঁড়ে নামিয়ে আনলেন প্যাকেট টা। আজ হেস্তনেস্ত করেই ছাড়বেন তিনি। দেখবেন কি মহামহৌষধ আছে ওতে।
প্যাকেট মানে ফুটো ফুটো প্লাস্টিকে মোড়া একটা পুরিয়া। সেটা ছিঁড়তেই ভেতরে আরেকটা কাগজের পুরিয়া। সেটা খুলতে বেরোল আরেকটা ছোট কাগজের পুরিয়া। উত্তরোত্তর রাগ বাড়ছে। এটাও খুললেন ঘনু। ভেতরে মোড়া একটা সাদা কাগজ। তাতে লেখা-

“মশারী টাঙান। এর কোনো সাইড এফেক্ট নেই।– ইতি বিজ্ঞানী নিধিরাম নস্কর”।

GD Star Rating
loading...
GD Star Rating
loading...
মশা ঘনুবাবু ও ছটা বিয়াল্লিশ, 5.0 out of 5 based on 1 rating
এই পোস্টের বিষয়বস্তু ও বক্তব্য একান্তই পোস্ট লেখকের নিজের,লেখার যে কোন নৈতিক ও আইনগত দায়-দায়িত্ব লেখকের। অনুরূপভাবে যে কোন মন্তব্যের নৈতিক ও আইনগত দায়-দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট মন্তব্যকারীর।
▽ এই পোস্টের ব্যাপারে আপনার কোন আপত্তি আছে?

১টি মন্তব্য (লেখকের ০টি) | ১ জন মন্তব্যকারী

  1. মুরুব্বী : ০৩-০১-২০২৩ | ১০:২৩ |

    যাপিত জীবনের অসামান্য এক গল্প লিখাটিতে অনন্য ভাবে উঠে এসেছে। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_Yes.gif.gif

    GD Star Rating
    loading...