অস্থির যুবার মতো ওলোট পালোট করা
আমার স্বভাবগত নয়।
তাই, থাকছি – থাকবোও।
অবশ্যই এ নিয়ে বিজ্ঞাপিত ভাবনা নয় আদৌ।
কারণঃ ভাবের কপাটে চাবি,
চাবিকাঠি অন্যের জিম্মায়।
কেমন রয়েছে গাঁথা বন্ধ্যা দাওয়ায়
নিরুপায়ী বে-আব্রু শরীর –
নিয়ত অনুগ্রহ জতুগৃহে
ঠায় বসে থেকে থেকে
আপাদমস্তক ঘন শক্ত ফসিল।
এখন, অবিশ্বাসী- ছইহীন-চটাওঠা
ডিঙি ঢুঁড়ে ঢুঁড়ে শুঁটকি গন্ধ ছাওয়া
ছাত্লা ধরা নোনা খোলচায়
একবিংশের সপ্রতিভ নারী
আমি ঠিক অস্তিত্বের নলেন সুগন্ধিটুকু
আলো – হাওয়াদের আনাচে – কানাচে
মাত্রাহীন হীনমন্যতায়,
সহজাত যন্ত্রনাতে
আবিস্কার করে করে যাই –
অস্থির যুবার মতো শস্ত্র হয়ে ফেরা
আমার যে স্বভাবে আসে না।
অস্থির যুবার মতো ভাঙ্গচুর করা
একেবারে স্বভাবেই নেই।
তাই, দিকচক্রবাল জোড়া
মুগ্ধ – প্রতিবন্ধী জাল কেটে
নিঃসাড়ে আসতে হলো
ভৈরবের গাজন তলায় –
বাউন্ডুলে গাজন – যোগীর
খুলিনাড়া আজ্না – বাজনা
জীয়ন্ত করোটীর স্নায়বিক ভাঁজে
বড়ো কষ্টে গেঁথে নিই –
ফিরবো তো নিশ্চয়ই,
আমার যে অস্থিরতা নেই- ই,
তাই ফিরবো সুনিশ্চিত্।
এবং শুধু ফিরবো যে তাই- ই নয়,
বছর কাটাবো ঐ দুর্গন্ধে সুগন্ধের ঘোরে।
গাজন – বাজনা তাই
মগজের ভাঁজে পুরে নেওয়া
আজকের তীব্র প্রয়োজন।
কিন্তু তবু বলে যেতে চাই –
গাজনে এসেছি বলে
সহজেই খাজনা ফুরাবো
এমন ভেবোনা –
অস্থির যুবার মতো সর্বস্ব গুঁড়িয়ে দেওয়া
যেহেতু স্বভাবগত নয় –
একান্তে গড়ছি তাই,
সর্বাঙ্গ নিঙরে আনা
তাবৎ কর্মক্ষমতায়
রোজ রোজ পাকা ধানে
মই দেওয়া ইদুঁরের
সর্বশেষ আশ্রয়ের কল।
loading...
loading...
সুন্দর কবিতা। একরাশ শুভেচ্ছা প্রিয় কবিবন্ধু।
loading...
বেশ অনুভূতির ছোয়া কবি দিদি
ভাল থাকবেন————-
loading...