পোস্টারে, মিডিয়া এবং আলোতে সবাই আছে কিন্তু নেই শুধু মহিলা ফুটবল দলের কারিগর কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। ২০০৯ সাল হতে জীবনের সব কিছু বিসর্জন দিয়ে পড়ে আছেন মহিলা ফুটবল দলের পিছনে। নিজ সন্তানের মত অত্যন্ত আদর যন্ত্রে গড়ে তুলে এশিয়া সেরা করেছেন। মানুষের কটু কথা, তুচ্ছ তাচ্ছিল্য এমনকি রটনা ও ঘটনা কোনো কিছুই তোয়াক্কা করেননি।
কলসিন্দুর স্কুলের শিক্ষক মিনতি রাণী শীল ও মফিজ উদ্দিন, এক প্রত্যন্ত অঞ্চলের অজপাড়া গাঁয়ে নিরীহ স্কুলে নীরবে তৈরি করেছেন দেশ সেরা এক মহিলা ফুটবল টিম। নিজ টাকায় খেলার সরঞ্জাম এবং খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন স্কুলের শিক্ষার্থীদের। অথচ মিডিয়ার আলোর ঝলকানিতে তাঁরা নেই, এমনকি নামও নেই কোনো প্রিন্ট মিডিয়া কিংবা ইলেকট্রিক মিডিয়ায়। মফিজ উদ্দিন অবশ্যই মারা গিয়েছেন কয়েক বছর আগে তবুও উনার নামটা স্মরণ করা যেত। প্রচার করা যেত উনার পরিবারের গভীর অনুভূতি।
আজ বড় বড় কর্মকর্তাদের ছবি আর বক্তব্যে সয়লাব সব মিডিয়া। সামনের মানুষ গোলাম রব্বানী ছোটন আর সাবিনা পিছনে অসহায় দাঁড়ানো। মেদওয়ালা পিছনের মানুষ হাসি মুখ নিয়ে সামনে চেয়ারে বসা। ছোটন ভাই আপনি ঘরহীন সম্পদহীন সংগ্রামী একদল আন্তরিক লড়াকু সৈনিক দিয়ে ফুটবল দলকে জিতিয়ে দেশকে সম্মানিত করেছেন তাই আপনার স্থান ১৬কোটি মানুষের হৃদয়ের গভীরে।
আপনাদের অবহেলা আর অপমান জনগণ মেনে নেয়নি তাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদের প্রচণ্ড ঝড়। মাথা মোটা কিছু লোক হয়তো অচিরে আপনাকে কিংবা আপনাদেরকে জনগণ হতে দুরে সরিয়ে দিবে। তবে এর বিচারও জনগণ কঠোরভাবে করবে, নিশ্চিত থাকুন। দেশের প্রতি আস্থা রাখুন ভালোবাসায় অবিচল থাকুন। গোল্ডকাপ জেতা ওরা সবাই জনগণের মাথার মুকুট।
Pic# LinkedIn
loading...
loading...
"ছোটন ভাই আপনি ঘরহীন সম্পদহীন সংগ্রামী একদল আন্তরিক লড়াকু সৈনিক দিয়ে ফুটবল দলকে জিতিয়ে দেশকে সম্মানিত করেছেন তাই আপনার স্থান ১৬কোটি মানুষের হৃদয়ের গভীরে।" গোল্ডকাপ জেতা ওরা সবাই জনগণের মাথার মুকুট।
loading...
বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই
loading...