যে কারণে প্রাক্তনকে ভুলে যাওয়াই শ্রেয়

2949

বিচ্ছেদের পর প্রাক্তনের সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখতে চাইলে কিছু বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখা উচিত।

প্রেমের মতো বিচ্ছেদও জীবনের একটি অংশ। নারী-পুরুষের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠার প্রথম ধাপই হচ্ছে বন্ধুত্ব। বন্ধুত্বের ওপর ভিত্তি করে যোগাযোগ, মেলামেশা ও ঘনিষ্ঠতার মাধ্যমে বিপরীত লিঙ্গের কারও প্রতি প্রেমের অনুভূতি জেগে উঠতেই পারে। এইটা মোটেই দোষের কিছুই নয়। বিভিন্ন কারণে সেই সম্পর্ক ভেঙ্গেও যেতে পারে। কখনো সেই প্রেম ভেঙে গেলে অপর পাশের মানুষটার সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখা উচিত কিনা তা নিয়ে অনেকেই কনফিউজড থাকে? আবার কেউ কেউ বিচ্ছেদের পরেও প্রাক্তনের সঙ্গে বন্ধুর মতো সম্পর্ক বজায় রাখেন। অনেকেই ভেঙে যাওয়া প্রেমের স্মৃতি ভুলে যেতে প্রাক্তনের সঙ্গে যোগাযোগ তো দুরের কথা মুখও দেখতে চান না।

আসলে বিচ্ছেদের পরেও প্রাক্তনের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক রাখা কিংবা না রাখার সিদ্ধান্তটি যার যার একান্ত নিজস্ব বিষয়। তবে মনোবিদেরা কিন্তু প্রাক্তনের সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখার বিষয়ে নিরুৎসাহিত করেছেন। তারপরেও প্রাক্তনের সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখা নিয়ে তাঁদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু সেক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত যাতে সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়। যেমনঃ

(১) ফ্লার্ট বা রোমান্স না করা: প্রাক্তনের সঙ্গে যদি বন্ধুত্ব রাখতে হয় তাহলে কখনোই তার সঙ্গে ফ্লার্ট করা অথবা রোমান্টিক কোনো কথা বলা উচিত না। কারণ দুই পক্ষের মধ্যে কেউ যদি একটু মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে, তাহলে আবার তাদের মধ্যে একে অপরের প্রতি অনুভূতি জেগে উঠতে পারে। সেক্ষেত্রে মানসিক ও সামাজিক জটিলতায় পড়তে হতে পারে, তখন দুজনের মধ্যে তৈরি হবে বিব্রতকর পরিস্থিতি।

(২) দূরত্ব বজায় রাখা: বন্ধুত্বের সম্পর্কে পরস্পরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা এবং দূরত্ববোধ একপাশে সরিয়ে রাখা একটি অলিখিত নিয়ম। কিন্তু যদি প্রাক্তনের সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখতে হয়, তাহলে অবশ্যই এ নিয়মের ব্যত্যয় ঘটবে। প্রাক্তনের সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখতে চাইলে যেমন তার সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে, তেমনি অপরকেও নিশ্চয়তা দিতে হবে যে আপনার দিক থেকে দূরত্ব ঘোচানো হবে না।

(৩) অনুভূতি নিয়ন্ত্রণে রাখা: প্রেমের সম্পর্কে থাকা অবস্থায় পরস্পর রংময় পৃথিবীতে থাকে। সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর কিন্তু অপরিচিত আগন্তুকের মতো হয়ে পড়ে। যদি প্রাক্তনের সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখতেই হয়, তাহলে তার প্রতি নিজের অনুভূতিকে চার দেয়ালের সীমানায় বন্দি করে ফেলতে হবে। নয়তো যদি একে অপরের প্রতি আবার অনুভূতি সৃষ্টি হয় তাহলে তা অবশ্যই ক্ষতিকর পর্যায় চলে যাবে। কারণ একজন বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিলে, অপর জন মনোকষ্টের ভুক্তভোগী হবেনই।

.
প্রচ্ছদ ছবি—ঢাকা ট্রিবিউন।

GD Star Rating
loading...
GD Star Rating
loading...
যে কারণে প্রাক্তনকে ভুলে যাওয়াই শ্রেয়, 5.0 out of 5 based on 1 rating
এই পোস্টের বিষয়বস্তু ও বক্তব্য একান্তই পোস্ট লেখকের নিজের,লেখার যে কোন নৈতিক ও আইনগত দায়-দায়িত্ব লেখকের। অনুরূপভাবে যে কোন মন্তব্যের নৈতিক ও আইনগত দায়-দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট মন্তব্যকারীর।
▽ এই পোস্টের ব্যাপারে আপনার কোন আপত্তি আছে?

৬ টি মন্তব্য (লেখকের ৩টি) | ৩ জন মন্তব্যকারী

  1. মুরুব্বী : ২৪-০৭-২০২২ | ১০:০১ |

    যদি একে অপরের প্রতি আবার অনুভূতি সৃষ্টি হয় তাহলে তা অবশ্যই ক্ষতিকর পর্যায় চলে যাবে। কারণ একজন বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিলে, অপর জন মনোকষ্টের ভুক্তভোগী হবেই। ___ আলোচনাটি পূর্ণ সত্য বলে মনে করি। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_good.gif

    GD Star Rating
    loading...
    • ফয়জুল মহী : ২৪-০৭-২০২২ | ১৩:১৪ |

      Thank you so much for comment 

      GD Star Rating
      loading...
  2. আলমগীর সরকার লিটন : ২৪-০৭-২০২২ | ১০:৪৩ |

    বাহ সুন্দর মনোবিজ্ঞানের কথা মহী দা ভাল থাকবেন

    GD Star Rating
    loading...
  3. নিতাই বাবু : ২৪-০৭-২০২২ | ১৮:৩৮ |

    বিচ্ছেদ বিচ্ছেদ বিচ্ছেদ-এর আলামতের দিনে সময়োপযোগী পোস্ট। তবে আশা করবো এই বিচ্ছেদ যেন কারোর জীবনকে ছেঁদ না করে। এই ছেদন মানুষের জীবনে সারাজীবনেরই কান্না। 

    GD Star Rating
    loading...
    • ফয়জুল মহী : ২৫-০৭-২০২২ | ৯:৪৯ |

      হা হা হা দারুণ এক মন্তব্য । এই ছেদন ছেদ করে জীবন

      GD Star Rating
      loading...