২২ মার্চ, বিশ্ব পানি দিবস। পৃথিবী ব্যাপী পানির প্রয়োজনীয়তা, নিরাপদ পানির সংস্থান ও সুপেয় পানির প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে ১৯৯৩ সাল থেকে সারাবিশ্বে একযোগে ২২ মার্চ বিশ্ব পানি দিবস পালিত হয়ে আসছে। সেইসাথে প্রতিবছর বিভিন্ন বিষয়কে প্রতিপাদ্য করে এই দিবস পালিত হয়।
প্রতিবছরের ন্যায় ২০২২ সালের বিশ্ব পানি দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছেঃ- “Groundwater: Making the Invisible Visible” অর্থাৎ “ভূগর্ভস্থ পানিঃ অদৃশ্য দৃশ্যমান করা”। আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশে পানিকে কেউ গুরুত্ব সহকারে দেখে না। এর কারণ ঝড় বৃষ্টি বন্যার পানি আমাদের নিত্যনৈমিত্তিক চিত্র। তাই আমাদের কাছে পানি বিষয়টি সবসময়ই গুরুত্বহীন। অথচ সুপেয় পানির অভাব দিনদিন বাড়ছেই। তাই আমাদের সুপেয় পানির গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা, পানি দূষণের কারণ ও প্রতিকার, পানির অপচয় রোধ এবং পানির উৎসের যথাযথ সংরক্ষণ নিয়ে জানার উচিত।
মানব জীবনে পানির গুরুত্বঃ
মানুষের বেঁচে থাকার জন্য পানি একটি অপরিহার্য উপাদান। বিশেষজ্ঞরা বলেন, আমাদের শরীরের ৬০-৭০ ভাগেরও বেশি হচ্ছে পানি, এজন্য সারা বছরই পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। খাদ্যে উপাদানের মধ্যে পানি হচ্ছে একমাত্র ক্যালোরি বিহীন উপাদান যা মানুষের শরীরে ক্যালোরির মাত্রা ও পুষ্টি নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
পানি যে শুধু পিপাসা মেটায় তা নয়। পানি মানুষের শরীরে পানিশূন্যতা ও ক্লান্তি দূর করে তাকে শক্তি যোগাতে সাহায্য করে। সেইসাথে শরীরে তাপমাত্রার ভারসাম্য রক্ষা, হজমশক্তি বৃদ্ধি, কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীকরণ, পরিপাকতন্ত্রকে সবল করা, কিডনিতে পাথর হতে প্রতিহত করা, রক্ত সঞ্চালন সঠিক রেখে রক্তচাপ ঠিক রাখা ইত্যাদি নানাবিধ কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
পানিশূন্যতার কুফলঃ
পানি মানব শরীরে অতীব গুরুত্বপূর্ণ উপাদান বিধায়, শরীর পানিশূন্য হয়ে গেলে অনেক ধরণের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমনঃ শরীরে ইলেক্ট্রোলাইট এর ইমব্যালেন্স হতে পারে। যারফলে তীব্র মাথাব্যথা হয়ে থাকে অনেকেরই। তাই জ্বরের সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পান করা উচিৎ। যারা পানিশূন্যতায় ভোগেন তারা সবসময় তৃষ্ণাবোধ করেন। তাদের মুখ, ঠোঁট, জিহ্বা এবং ত্বক অনেক শুষ্ক হয়ে যায়। অবস্থা যখন চরমে পৌঁছায় তখন তারা গাঢ় রংয়ের প্রসাব, মাথা ঘোরা এবং বুকে ব্যথা ইত্যাদি অনুভব করে।
কম পানি পানে হজমে সমস্যা হয়। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যতা দেখা দেয়। পানিশূন্যতায় শরীরের তাপমাত্রার ভারসাম্য হারিয়ে যায়। ফলে ঝিমুনি লাগে, দুর্বলতা বাড়ে এবং সবসময় খুব গরম এবং খুব ঠাণ্ডা অনুভূত হয়। পর্যাপ্ত পানির অভাবে শরীরের বিভিন্ন অংশে অক্সিজেন সরবরাহ বাধা প্রাপ্ত হয়। যে কারণে শরীরের বর্জ্যগুলো বের হতে পারে না। এছাড়া হাড় এবং জয়েন্টেরও ক্ষতি হয়। ফলে শরীরের ভিটামিন এবং খনিজ উপাদানগুলোর মধ্যে ব্যাপক ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়। পরবর্তীতে কিডনি সমস্যা, জ্ঞান হারানো, রক্তচাপ নিচে নেমে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটে। তাই যারা শারীরিক পরিশ্রমের কাজ যেমনঃ খেলাধুলা, ব্যায়াম, কায়িক শ্রম ইত্যাদি করেন তাদের প্রচুর পরিমাণ পানি পান করা উচিত।
পানি প্রাপ্তির অনিশ্চয়তাঃ
মানব জীবনে পানি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপদান হলেও আমাদের দেশে সুপেয় পানি প্রাপ্তির যথেষ্ট অনিশ্চয়তা দেখা দিচ্ছে। আমাদের দেশে সুপেয় পানির সংস্থান হয় ভূ-উপরিস্থ এবং ভূ-গর্ভস্থ এই দুই উৎস থেকে। বিভিন্ন কারণে বাংলাদেশে সুপেয় পানির ব্যাপক অভাব রয়েছে। যার ফলে শহরে ও গ্রামে অধিকাংশ মানুষ বিশুদ্ধ পানি প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ব্যাপক পানি দূষণ, ভূগর্ভস্থ পানির স্তর হ্রাস এবং পানিতে ক্ষতিকর রাসায়নিক বর্জ্য থাকার কারণে বাংলাদেশে বিশুদ্ধ পানির প্রচুর অভাব সৃষ্টি হয়েছে। যা থেকে সহজে উত্তোরণের কোনো পথ নেই।
যেভাবে পানি দূষিত হচ্ছেঃ
ভূ-উপরিস্থ পানির দূষণ দৃশ্যমান হলেও, ভূ-গর্ভস্থ পানির দূষণ এবং পানির স্তর হ্রাস হওয়ার জন্য ভূ-উপরিস্থ পানি দূষণই দায়ী।পানি দূষণের প্রধান ক্ষেত্র হচ্ছে নদনদী, খাল-বিল পুকুর ইত্যাদি। পানি দূষণের প্রধান কারণ শিল্প কারখানার দূষিত রসায়নিক পদার্থ, যেমনঃ অ্যামোনিয়া, ক্লোরাইড, সায়ানাইড এবং বিভিন্ন ধাতুর জিঙ্ক, পারদ, সীসা ইত্যাদি পানির সাথে মিশে পানিকে দূষিত করে। সেই সাথে গৃহস্থালির আবর্জনা নদীনালা, খালবিল, হ্রদ, সমুদ্র ইত্যাদির পানির সাথে মিশে পানি দূষণ করে। নদীনালা, পুকুরে গোসল করা, গরু ধোয়া, কাপড় চোপড় ধোয়ার মাধ্যমেও পানি দূষিত হয়। জমিতে রাসায়নিক সার, কীটনাশক ইত্যাদি দেওয়ার ফলে সেগুলো বৃষ্টির সাথে মিশে নদীনালা, পুকুরে পড়ে পানিকে দূষিত করে।
বৈজ্ঞানিক পরীক্ষাগারে ব্যবহৃত তেজস্ক্রিয় পদার্থগুলো সমুদ্র বা পানিতে ফেলা হয় যার ফলে পানি দূষণ ঘটে। মাটির নিচের স্তর থেকে অনিয়ন্ত্রিতভাবে অতিরিক্ত পানি তুলে নেওয়ার ফলে মাটির নিচে ফাঁকা জায়গায় আর্সেনিক বাতাসের সঙ্গে বিক্রিয়া করে ধাতব যৌগ তৈরি করে পানিকে দূষিত করে।
এছাড়াও দেশের বিভিন্ন নদীর তীরে রয়েছে হাজার রকমের জাহাজভাঙা ও লঞ্চ-স্টিমার মেরামত শিল্প। জলযানের ভাঙা অংশ, তেল, মবিল, তেল জাতীয় সামগ্রী সরাসরি ফেলা হচ্ছে নদীতে। সেই সাথে ছোটবড় কলকারখানার তৈলাক্ত বর্জ্য, ছাপাখানা, টেক্সটাইল, কাপড় ডাইংয়ের বিষাক্ত রাসায়নিক রঙ, ট্যানারির মারাত্মক পানিদূষণকারী রাসায়নিক বর্জ্য ইত্যাদি প্রতিনিয়ত নদীর পানিতে মিশে পানি দূষিত করছে।
শুধু তাই নয় বড় বড় শহরের ড্রেনের লিংক রয়েছে নদীর সাথে। আর এসব ড্রেন দিয়ে প্রতিদিন শহর অঞ্চলের বিভিন্ন হাসপাতালের বর্জ্য এবং সমগ্র শহরের মানব বর্জ্য সরাসরি নদীতে গিয়ে পড়ছে। যা ভূ-উপরিস্থ পানিকে ব্যাপকভাবে দূষিত করছে। এই ভূ-উপরিস্থ দূষিত পানি বিভিন্ন উপায়ে ভূ-অভ্যন্তরে প্রবেশ করে ভূ-গর্ভস্থ পানিকেও নষ্ট করে তুলছে।
যেভাবে পানি দূষণ রোধ করা যায়ঃ
মিঠাপানির সহজ ব্যবহারের সর্বোচ্চ মজুদ হচ্ছে নদনদী। যে পানি রিসাইকেল করে সুপেয় বিশুদ্ধ পানি তৈরি করা যায়। আমাদের দেশের বড় বড় শহর গুলো বিশুদ্ধ পানি যোগান দেয় নদনদীর পানিকে রিসাইকেল করে এবং ভূ-গর্ভে গভীর নলকূপের মাধ্যমে। আর পানি দূষণের প্রধান ক্ষেত্র হচ্ছে নদনদী। তাই নদ-নদীকে পানিদূষণের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য সমস্ত ওয়াসার সিউয়েজ নিগর্মন সহ নদনদীতে সব ধরনের কঠিন, গৃহস্থালি ও সেনিটারি বর্জ্যের বর্জ্যের মিশ্রণ রোধ করা অত্যাবশ্যক।
নদী তীরে শিল্প-কারখানা নির্মাণ বন্ধ, সেই সাথে দেশের বড় বড় শিল্প জোনের শিল্প-কারখানার রাসায়নিক ও ট্যানারি বর্জ্য পরিশোধন বাধ্যতামূলক করা এবং এর নিরাপদ অপসারণ নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষ করে গার্মেন্টস শিল্পে ব্যবহৃত পানির পরিশোধন অতীব জরুরী। কেননা বর্তমানে এই শিল্পে ভূ-গর্ভস্থ পানির ব্যবহার এবং দূষণ উভয়ই ব্যাপকহারে বেড়ে গেছে।
নদী ও সমুদ্রের পাড়ে জাহাজভাঙা শিল্প, লঞ্চ, স্টিমার নির্মাণসহ মেরামত কালে নদী ও সমুদ্রের পানিতে কারখানার তৈলাক্ত বর্জ্যের মিশ্রণ প্রতিহত করতে হবে। কৃষি জমিতে ব্যবহৃত রাসায়নিক সার ও কীটনাশক মিশ্রিত পানি যাতে খাল-বিল-নদীতে মিশতে পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে। পরিবেশ আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিতসহ পানি দূষণকারীদের আইনানুগ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। নদনদী দূষণ রোধে দেশের আপামর জনগণকে সম্পৃক্ত করে তাদের মাঝে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।
পানির অপচয় রোধে করনীয়ঃ
শুধু বাংলাদেশে নয় বিশ্বব্যাপী আজ বিশুদ্ধ পানির হাহাকার। তাই আমাদের উচিত যথাসম্ভব পানির অপচয় রোধ করা। পানির অপচয় রোধে যেসব পদক্ষেপ আমরা নিতে পারি তা হচ্ছে, বিশুদ্ধ খাবার পানি শুধুমাত্র পান করার জন্য ব্যবহার করা এবং নষ্ট না করা। ভূ-গর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমানো এবং বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের পাশাপাশি পানি সাশ্রয়ী কল ব্যবহার করা। অটো সেন্সর ফ্লাশযুক্ত টয়লেট, পানির ট্যাপ, যেখানে পানির ফ্লো রেটমাত্র ১.৫ লিটার/ঘন্টা থাকবে।
ব্যবহৃত পানি পরিশোধন করার মাধ্যমে পূণঃ ব্যবহার করা। প্রাকৃতিক পানির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে সকল পর্যায়ে পানির অপচয় রোধ করতে হবে। পানি ব্যবহারের কার্যকারিতা বাড়াতে যেকোন লিক দ্রুত সারানো, যন্ত্রপাতি মেরামত, সরু ধারার কল ব্যবহার করা। যদি বাথরুমের শাওয়ার ২০ সেকেন্ড’র কম সময়ে একটি বালতি ভরতে পারে তবে শাওয়ার হেডটি বদলানো।
শাকসবজি পরিষ্কারের জন্য প্রবাহিত পানি ব্যবহার না করা। এর পরিবর্তে কিছুক্ষণের জন্য একটি বাটি পানিতে শাকসবজি ভিজিয়ে রেখে পরে ধুয়ে ফেলা। রান্নাঘরের জিনিসপত্র ধোয়ার সময় কল ছেড়ে না রাখা। কোনও ডিশ ওয়াশার কেনার সময়, ‘হালকা-ধোয়া’ যায় এমন দেখে কেনা। দাঁত ব্রাশ করার বা শেভ করার সময় পানি বন্ধ করুন। সেচকাজে এবং শিল্পকারখানায় প্রয়োজনের অতিরিক্ত পানি ব্যবহার না করা। সেই সাথে শিল্পকারখানায় ব্যবহৃত পানি রিসাইকেল করে পূনঃব্যবহার করা।
হুমকিতে ভূ-গর্ভস্থ পানিঃ
ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যাপক দূষণ এবং মিঠা পানির সহজ প্রাপ্যতা না হওয়ার কারণে সারা বিশ্বসহ আমাদের দেশেও দিনদিন ভূ-গর্ভস্থ পানির ব্যবহার বেড়ে গেছে। বিশ্বব্যাপী বিশুদ্ধ পানির প্রায় অর্ধেক, সেচের জন্য প্রায় ৪০ ভাগ এবং শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় প্রায় এক তৃতীয়াংশ পানি ব্যবহৃত হয় ভূ-গর্ভস্থ পানি থেকে। যা ভূ-গর্ভস্থ পানির উপর ব্যাপক একটি হুমকি।
তাই ২০২২ সালের পানি দিবসের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ধরা হয়েছে ” ভূ-গর্ভস্থ পানিঃ অদৃশ্যকে দৃশ্যমান”। অর্থাৎ ভূ-গর্ভস্থ পানি যেহেতু আমাদের চোখের আড়ালে রয়েছে সেহেতু এই পানি সম্পর্কে আমরা কেউ তেমন ওয়াকিবহাল নই। অথচ সারাবিশ্বে ব্যাপকহারে ভূ-গর্ভস্থ পানি ব্যবহারের কারণে ভূ-গর্ভস্থ পানির মজুদ আজ হুমকির মুখে। তাই এই বছরের পানি দিবসের লক্ষ্য হলো ভূ-গর্ভস্থ পানি সম্পর্কে সারা বিশ্বের মানুষকে আরও বেশী সচেতন করা। যাতে বিশুদ্ধ পানির এই উৎস সম্পর্কে মানুষ আরও বেশী সজাগ হয়।
বিশেষকরে ভূ-গর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমানো, দূষণ রোধ এবং এর বিকল্প উৎসের সংস্থান করা। যাতে করে পৃথিবী আরো বেশিদিন এই উৎস থেকে পানি আহরণ করতে পারে। বিশ্বব্যাপী ব্যাপক পানি দূষণের কারণে পৃথিবীতে আজ বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ চরম হুমকিতে। এই অবস্থায় প্রাকৃতিক ভূ-গর্ভস্থ পানিও যদি নিঃশেষ হয়ে যায়, তাহলে বিশ্ব জীববৈচিত্র্য ব্যাপক হুমকির মুখে পড়বে। তাই ২০২২ সালের পানির প্রতিপাদ্য, “ভূ-গর্ভস্থ পানিঃ অদৃশ্যকে দৃশ্যমান করা” একটি যুগোপযোগী বিষয়। আমাদের সকলের উচিত এই বিষয়ে যথাযথ সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
উপরোক্ত আলোচনা থেকে আমরা জানতে পারলাম, পানির প্রয়োজনীয়তা ও উপকারিতা এবং পানিশূন্যতার ক্ষতিকর দিক। সেই সাথে পানি দূষণ এবং পানি দূষণ রোধ ও পানির অপচয়ে করণীয় কী। আরো জানতে পারলাম বিশ্বব্যাপী ভূ-গর্ভস্থ পানির বর্তমান অবস্থা। তাই পানির এই বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের উচিত পানি ব্যবহারে বেশী বেশী সচেতন হওয়া। যাতে আমাদের দ্বারা পানি অপচয় না হয়। কেননা পানি একটি অমূল্য সম্পদ। বিশেষ করে ভূ-গর্ভস্থ পানি সম্পর্কে আমাদের আরো বেশী সচেতন এবং এর পরিমিত ব্যবহার করা উচিত। যাতে পৃথিবীতে এই অমূল্য সম্পদ ধ্বংস বা নষ্ট না হয়ে যায়।
সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী
পতেঙ্গা, চট্টগ্রাম।
loading...
loading...
"পানির এই বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের উচিত পানি ব্যবহারে বেশী বেশী সচেতন হওয়া। যাতে আমাদের দ্বারা পানি অপচয় না হয়। কেননা পানি একটি অমূল্য সম্পদ। বিশেষ করে ভূ-গর্ভস্থ পানি সম্পর্কে আমাদের আরো বেশী সচেতন এবং এর পরিমিত ব্যবহার করা উচিত। যাতে পৃথিবীতে এই অমূল্য সম্পদ ধ্বংস বা নষ্ট না হয়ে যায়।"
যথেষ্ঠ সময়োচিত এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধি-সহায়ক পোস্ট। আসুন সতর্ক হই।
loading...
পানি প্রতিটি জীবনের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা অবহেলায় এখনো পানির অপচয় করছি।
আপনার জ্ঞানগর্ভ মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
loading...
পানির বিকল্প নেই।
’বিশুদ্ধ পানির অপর নাম জীবন’
তাই এ সম্পদ রক্ষণা-বেক্ষণে সকলেরই সচেতন হওয়া উচিত।
মুল্যবান পোষ্ট।
আন্তরিক শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা জানবেন সতত।
loading...
আসুন পানি নিয়ে আমরা নিজেরা সচেতন হই এবং অন্যদেরও উৎসাহিত করি।
আপনার মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা।
loading...