০২/১৯/২২
আমি তখন স্কুলে,
রাজবাড়ীর গ্যাটের পাশে কৃষনচুড়ায়
ফুটেছে আগুন রংঙা ফুল।
চোখে মাদকতায় মাদক নেশা
টের পাই কে যেন মেলছে পাখা।
সূর্যকে পিছনে রেখে হেটে যাই
দুই সারি বিশাল দউতকায় গাছের ছায়ায়,
ভাংগা ইটের ধুলামাখা পথে।
জোর পুকুর পার হয়ে সোজা পূর্বে।
দৈত্যের মত বিশাল শিমুল শাখে
পাখিদের হললা ঝগড়া
শিমুলের বিনীত প্রেম ছড়িয়ে উদবাহূ মেলে
বিদায়ী সূযের শেষ নমস্কারে শিমুল যেন
রক্তা্কত হৃদয়ের কিংবদন্তির কথা বলে।
আমি বিচলিত।ঊনমাদ প্রায়।
দুই ধারে ফসলের মাট, পএহীন বনজপতি,
চনমনে মনে হেটে যাই, খেয়াঘাট অবধি।
বট গাছের নীচে খানিক্ষন দাঁড়ায়, দেখি
দখিনা সবুজ সমুদ্রের খেলে ফাগুন হাওয়া
উওরে শশ্মান মন্দিরের চূড়া।
খেয়ার ওপাড়ে, গ্রামের বাড়ির মাঝে দিয়ে
ধূলিমাখা পথ,
বেখেয়ালি মন যখন ফিরে এল মনে
তখন আমি কেশুরিতা বাজারে বিশালাকার
এক প্রকান্ড বট বৃক্ষের নিচে,
মনে পড়ে গেলো শামসুর রাহমানের,
বয়েসী বটের ঝিলিমিলি পাতা।
আমার সামনে অন্তরালহীন সবুজ
ফিরুজা আকাশে ছাই রং এর মেঘ।
আঁকাবাকা খেতের আইল ধরে
আমিও যাই হেটে এঁকেবেঁকে।
অপার আনন্দের অনুভূতিতে
সম্মোহিত হয়ে চলে যাই বাড়ি।
অস্তির রাত শেষে
আমি এক বিপন্ন-বিস্ময়ের কবি।
loading...
loading...
কবি'র প্রতি একরাশ শুভ কামনা। শুভ সকাল।
loading...