আমি তোমায় প্রথম দেখেছিলাম
প্রত্যুষের এক বালুকাবেলায়
চিরসবুজের ধ্যানমগ্ন দুপুরে…
তখন আমার প্রথম সময়
টগবগে তরুন বেলা,
অস্তিত্বের ক্ষুদ্র একটি লড়াই চলছিল
আমাদের জগজ্জীবনকে মজবুতও
আরও উজ্জ্বল করার প্রথম প্রচেষ্টা।
সমবেত একদল
তরুণ, দামাল ছেলেমেয়ে
ইউনিভার্সিটির আর দশটা
সংখ্যার মতই আমি একজন সংখ্যা মাত্র
তবুও দৃঢ়চেতা চোখ
আর আপন ব্যক্তিত্ব নিয়ে
আলাদা সত্তায় নিজেকে
তৈরি করেছি এক অনবদ্য মানুষরূপ
তখন নিজেকে চেনা যায়
অজস্র সংখ্যার ভিড়ে
সম্ভবত তখন আমি আরেকটি
সংখ্যায় আবদ্ধ ছিলাম না
হতে পারে সিনিয়র
আর জুনিয়রদের মাঝে
আমি একজন নিজস্ব রূপ
যার প্রতিচ্ছবি অনেকেই
এরইমধ্যে অবলোকন করে।
আমরা ক’জন শক্তিমান
পৃথিবীর অনিবার্য গৌরবে
কূড়তেছিলাম প্রীতির ফসল
ক্ষনিকের সে দুপুর’বেলা
অজস্র ধুলিলিপি ভেদ করে
অনন্য চোখ খুঁজে নিল সুদর্শন যুবক।
ক্ষনিকের চোখ ছুঁয়ে যাওয়া
সেই স্মৃতির আঁকড়ে একদিন
তার নামটি লিখে ছিলাম
হৃদয়ের নশ্বর অস্তিত্বে
যেখানে বারবার অবচেতন মন
দাগ কেটেছিল, নতুন একটি স্বপ্নের
ধুলোর জোয়ারে ভেসে
সাহারার বুকে
সেদিন যে তুফান এসেছিল,
তা আজ হৃদয়ের
শেষ পংক্তিমালায় ধূসর
প্রেমের চিহ্ন একে পুনরায়
জেগে তোলে সুর
পৃথিবীর সব হিসাব পরাস্ত
ঠিক তার কয়েক বর্ষ পর
এ যেন উত্তর কিংবা দক্ষিণ মেরুর
বরফ গলা জল
এই হৃদয়ে সেদিন যে
নামটি লিখে ছিলাম
খেয়ালী অন্তরের উদ্দেশ্যহীন স্মৃতিতে
যে ঢেউ খেলা করেছিলো
তা যেন কঠিন শিলালিপির বুকে
খোদাই-করা জন্ম আর জন্মান্তরের
অমর গাঁথা অজেয় প্রেমকাব্য
তখন আমার লজ্জা মাখা
রুপ লাবণ্যের মুখ
শৈশব কৈশোর পেরিয়ে আসা কিশোরী-তরুণী
সদ্য ফোটা ফুল
সদ্য ফোটা ঢেউয়ের বুকে
কি যেন এক ভুল।
তখন আমি পদ্ম গোলাপ জল
তখন আমার প্রথম লাগা ঢেউ
সেই ঢেউয়েতে হৃদয় উত্তল
আর জানেনা কেউ
বিস্তৃত জীবনের অন্ধকার
ভেদ করে বোহেমিয়ান জীবনের পথে
নিজেকে ভেঙ্গে আবার নতুন করে
গড়ার বাসনায় লড়াই চলছে…
স্পষ্টতই জীবনের সেই
বাতিঘর এখন কোন এক
ঘূর্ণিঝড়ে বেসামাল
যেখানে দৃষ্টির সীমানায়
শূন্যতার জিওগ্রাফি নিজেকে
আরো স্পষ্ট করে
নিজেকে আরও নতুন করে
গড়ার বাসনায় উত্তরোত্তর
ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে চলছে।
❤❤❤
loading...
loading...
কবিতাটির বেশ কিছু অংশ আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে। মুগ্ধ বটে।
এভাবেই নিয়মিত চলুন প্রিয় কবি হ্যাপি সরকার। কলম যেন থেমে না যায়।
loading...
অনুপম বিকাশ।
বেশ লাগলো ।
loading...