অপরূপ দেহভঙ্গিমায় সারাদিন দুলে দুলে
বাতাসের কানে কানে কথা কয় জানালার ঝাউগাছটি। পাখিরা তার ডালে ডালে উড়ে উড়ে ঘুরে বেড়ায়। পড়া ভুলে একটি বালক নির্নি্মেষ তাকিয়ে রয় তার দিকে।
প্রখর সূ্র্যালোকেও কিছু অন্ধকার লেগে রয় তার পাতার ফাঁকে ফাঁকে। যেন অজানালো্কের কোন্ এক আলো আঁধারির রহস্য খেলা করে।
কাজের অবসরে এই ঝাউগাছের দিকে
মাঝে মাঝে তাকিয়ে থেকে মন এক অনাবিল প্রশান্তিতে ভরে উঠে। হে বনঝাউ, তোমার পেছনে দাড়িয়ে
থাকা নীল আকাশ যেন তোমার অবয়ব বুকে ধারণ করে আরো বেশী নীল হয়ে উঠে। তোমার বহু বছরের বেড়ে ওঠার স্বাক্ষী এই আকাশ।
ছোট্ট চারাগাছ থেকে জীবন শুরু করে আজ তুমি পূর্ণ যুবতী এক বৃক্ষ। তোমার পাতার গোলাকার বিস্তার থেকে হঠাৎ বেড়ে ওঠা দুটি বিশালাকার ডাল যেন কোন
অপরূপা পরীর মেলে দেয়া দুটি ডানা।
তোমার দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে
কেবলই মনে হয়—–তো্মার-আমার এই জীবন যেন অসীম অনন্ত, মহাকালের বিলীন গতিতে যেন কোনদিন শেষ হয়ে যাবার নয়, যেন ধরনীর বুকে চির যৌবনা।
loading...
loading...
মানুষ নশ্বর হলেও … মানুষের স্মৃতি মানুষের মনে অবিনশ্বর।
স্মৃতি জাগানিয়া লিখাটি শব্দনীড়ে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ কবি।
loading...
সুন্দর রচনা।
loading...