এবার বাংলাদেশে বর্ষা শুরুর আগ থেকেই আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে বৃষ্টি নেমেই চলেছে; ঢাকার রাস্তা যখন কাদায় আর পানিতে পরিপূর্ণ তখন শহুরে জনতার টক অফ দ্যা দেখনো হচ্ছে মুনিয়া, কখনো পরিমনী আবার কখনো আবু ত্ব-হা আদনান। সোস্যাল মিডিয়ার ওপর কখনও মেঘ আবার কখনো বৃষ্টির মতো ঝাঁপিয়ে পড়ছে খবর গুলো; তার চাইতেও অধিক গতিতে নারী ভিকটিমের চরিত্রের ওপর চড়াও হচ্ছে কতিপয় ফেসবুকার, এদের সংখ্যা কম নয়।
এমন ঘটনা বাংলাদেশে নতুন না, তবে আমাদের স্বভাব হচ্ছে আমরা নতুন কোন ইস্যু পেলে পুরনো অনেক ঘটনাই বেমালুম ভুলে যাই অনেকে। মূল আলোচনায় ফিরে আসছি, তার আগে জেনে নেই মদ অর্থাৎ অ্যালকোহলের উৎপত্তি এবং এ সম্পর্কে দু’টো হাদিস।
Nobody knows exactly when humans began to create fermented beverages. The earliest known evidence comes from 7,000 BCE in China, where residue in clay pots has revealed that people were making an alcoholic beverage from fermented rice, millet, grapes, and honey. So how did alcohol come to fuel global trade and exploration? Roderick Phillips explores the evolution of alcohol.
-Rod Phillips
মদ বা অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় এক ধরনের পানীয় যাতে ইথাইল অ্যালকোহল (ইথানল) থাকে। এটি অল্প পরিমাণে গ্রহণ করলে মনে উৎফুল্ল ভাব সৃষ্টি হয়, দুঃশ্চিন্তা কমে যায় এবং সামাজিকভাবে মেলামেশা করার ইচ্ছা বৃদ্ধি পায়। অন্যদিকে কেউ যদি মদ মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে গ্রহণ করে তাহলে তার নেশা হয়, মোহ বা ঢুলুঢুলু ভাব ধরে এবং জ্ঞানও হারাতে পারে। গবেষকেরা বলছেন, ১৫-৪৯ বছর বয়সী মানুষের ১০টি মৃত্যুর মধ্যে একটি ঘটে মদের কারণে। নিয়মিত মদ্যপান শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ ও টিস্যুতে বিরূপ প্রভাব ফেলে।
মদ ইসলামী শরিয়তে নিষিদ্ধ। কোনো মুমিনের জন্য তা গ্রহণ করা বৈধ নয়। কোরআন ও হাদিসের একাধিক বর্ণনায় মুমিনদের মদপান থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেমন—আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে বিশ্বাসীগণ! মদ, জুয়া, পূজার বেদি ও ভাগ্যনির্ণায়ক শর হচ্ছে শয়তানের অপবিত্র কাজ। সুতরাং তোমরা তা বর্জন করো, যাতে তোমরা কল্যাণ প্রাপ্ত হও।’ (সুরা : মায়িদাহ, আয়াত : ৯০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর অভিশাপ মদের ওপর, তা পানকারীর ওপর, যে পান করায় তার ওপর, যে বিক্রি করে তার ওপর, যে তা নিষ্কাশন করে এবং যার আদেশে নিষ্কাশন করে তার ওপর আর যে ব্যক্তি তা বহন করে এবং যার কাছে পৌঁছে দেয়, সবার ওপর।’ (সুনানে আবি দাউদ)
আমার আলোচনা শুরু করছি উপরে বর্ণিত হাদিসের শেষ লাইন দিয়ে। মদ ইসলামে নিষিদ্ধ করা হয়েছে কেবলমাত্র যিনি গ্রহণ করছেন তার জন্য নয়, যিনি উৎপাদন থেকে আরম্ভ করে বহন করা এবং বিক্রি করার ক্ষেত্রেও ভুমিকা রাখছেন তাদের ওপরও সমান নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া বহুল আলোচিত ঘটনায়, বাংলাদেশের অতি পরিচিত নায়িকা পরিমনী’র ওপর মদ গ্রহণের দায়ে ফেসবুকে অসংখ্য আল্লাহওয়ালা মুমিনদের বক্তব্যে আমার কেবল এটাই মনে হয়েছে যে মদ খাওয়া নারী’র জন্য নিষিদ্ধ বা হারাম।
গেল ১০ জুন রাতে ঢাকা বোট ক্লাবে বোট ক্লাবের চেয়ারম্যান নাসিরুদ্দিন মাহমুদ অভিনেত্রী পরিমনীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছনা করেন, ঘটনার চারদিন পর পরিমনী তার বাড়িতে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, তার ওপর ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টা করা হয়েছে। ঘটনা তদন্তের জন্য তাৎক্ষনিক ভাবে বাংলাদেশ পুলিশ উদ্যোগ নেয় এবং অল্প সময়ের মধ্যে নাসিরুদ্দিন এবং ব্যবসায়ী অভিকে আটক করা হয়।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য নাসির উদ্দিন মাহমুদ, তিনি বড় ব্যবসায়ী হয়েও গ্রেফতার এড়াতে পারেন নি, যদিও এর আগে আমরা মুনিয়া হত্যার / আত্মহত্যার পর দেখেছি বসুন্ধরার এম ডি সায়েম সোবহানের বিরুদ্ধে বেশ কয়েক ডজন তথ্য প্রমাণ থাকা স্বত্ত্বেও তার নাম অব্দি কোন পত্রিকা বা নিউজে দেখা যায় নি প্রথম দিকে, তাকে ধরা তো অনেক দূরে, কয়েকদিন আগেই ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন তাকে ফুল দিয়ে আসছে, তার আগে সে শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রের প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন। একটা হত্যা মামলার আসামী ক্যামেরার সামনে দিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে, পুলিশ তারে ধরছে না।
অপর দিকে, পরিমনী ইস্যুতে দেখলাম আইন শৃংখলা বাহিনী যথেষ্ট তৎপর ছিলেন। পরিমনী ঘটনার চারদিন পর অভিযোগ করেছেন; কোন প্রমাণ দিতে পারেন নি, তাতেও শুধুমাত্র মোখিক অভিযোগের ভিত্তিতে কিন্তু নাসিরুদ্দিনকে আটক করা হয়েছে, এমন ঘটনা এইদেশে বিরল। এটা কি সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী বরাবর পরিমনীর’র মা মা করে লেখা ফেসবুক স্ট্যাটাসের কারণে, নাকি পরিমনী যথেষ্ট জনপ্রিয় নায়িকা নাকি নাসিরুদ্দিন জাতীয় পার্টি করেন, আওয়ামী লীগের কোন বড় পদে তার নাম নেই।
আসলে কারণ যাই হোক, এইটুকু নিশ্চিত যে শারীরিক লাঞ্চনার স্বীকার হলে ফেসবুকে লেখা বেশি কার্যকরী থানায় মামলা করবার চাইতেও। কিছু অতি পাকনা জনতা ঘটনার সুবিচার দেখার চাইতে নারী ভিকটিমকে উলঙ্গ করতেই বেশি উদ্যত অনলাইনে, তাই কেন এতো কম সময়ে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিনকে এবং অভিকে ধরা হলো সেটা না ভেবে ভাবছেন, কেন পরিমনী মদ খেল ? কিভাবে খেল ? বারে কেন গেল ? কেন স্বল্প পোশাক পড়লো ? কেন তিনটা বিয়ে করলো ? কেন সিনেম করলো ? কেন দুবাই গেল ? এমন অনেক অনেক কেন দিয়ে তারা ফেসবুকের পাতা ভরিয়ে ফেলে যেখানে একটা মেয়েকে শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। নুসরাতের মতো পর্দানশীল নারীও এমন ট্রলের শিকার হয়েছেন তার গায়ে আগুন দেওয়ার পরো, মুনিয়া মরে যাবার পরো তার নাচ লোকে ভাইরাল করেছে, আনুস্কা বা তনু কেওই এই ধরণের নোংড়া ট্রল থেকে রেহাই পায়নি।
ধর্ষিতা হবার পর তার জন্য একমাত্র দায়ী করা হয়েছে নারীর চরিত্রকে এবং এই প্রথা আগেও ছিল এখনো চলছে, ভবিষ্যতে চলবে না এমন কোন গ্যারান্টি নেই। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কোন নারীর ওপর যখন আক্রমণ করা হয়েছে এমন সংবাদ আসে, তখন অধিকাংশ পাঠক বিশাল সাইজের গবেষক হয়ে যান। উক্ত নারীর চরিত্র নিয়ে তারা থিসিস করতে আরম্ভ করেন, তার লেখা পড়া থেকে শুরু করে বিয়ে অব্দি পুরো বায়োগ্রাফি পাঠকের হাতে চলে আসে চোখের পলকে। এতে করে অপরাধী চলে যায় সবার নজরের বাইরে, তার অপরাধ যেন ধীরে ধীরে হালকা হতে থাকে যদি কোন ভাবে প্রমাণ করা যায় উক্ত নারী রাত করে বাড়ি ফিরেন অথবা বাইরে কাজে যান। আর পরিমণির বেলায় বিষয়টা খুব সহজ ছিল।
পরী একজন ফোর্বস ম্যাগাজিনের লিস্টেড নায়িকা, তিনি কী পড়বেন কোথায় ঘুরবেন, কার সাথে ঘুরবেন তার জবাবদিহি দর্শককে দেবার কথা না যে দর্শক শত টাকা খরচ করে হলে তাকে দেখতে যায়, সেই দর্শক কী করে আশা করেন যে পরি বোরখা পড়বেন, আর নায়িকা বোরখা পড়ে অভিনয় করলে কি দর্শকের পয়সা উশুল হতো ? পরিমনী মদ খান ব্যস এই জায়গায় মদ একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। পরিমনী যেহেতু মদ খেতে বারে যান তাহলে তাকে যে কোন পুরুষ যে কোন সময় ধর্ষণ করতেই পারে। মদ কেবল পরিমনী খাচ্ছেন তা কিন্তু না, ক্লাবে মদ সাপ্লাই করা হচ্ছে, সেখানে অভিনেত্রীর পাশাপাশি বসে পুরুষ সম্প্রদায় মদ খাচ্ছেন, যিনি আক্রমণ করেছেন এবং তাকে সহায়তা করেছেন তিনিও মদ্যপ ছিলেন। তবুও তাদের অপরাধ কোনভাবেই আলোচনায় উঠে আসেনি ফেসবুকারদের অতর্কিত মন্তব্যের তীব্র বানে।
পরিমনী রাত করে বাইরে থাকেন এবং মদ খান এবং তার তিন বিয়ে, এই বিষয় গুলো বেশি আলোচিত হয়েছে আর নারী’র মদ্য পান অন্যতম ভাবে দায়ী। অবস্থাদৃষ্টে বোঝা যাচ্ছে, সমাজ পুরুষদের মদ খাওয়াটাকে খুবই স্বাভাবিকভাবে নিয়েছে। পাপ পূণ্যের যে হিসাব অনলাইন হুজুররা প্রতিনিয়ত তাদের বক্তব্যে দিয়ে আসছেন তার মধ্যে মদ্যপ নারীর ক্থা উঠে আসলেও মদখোর পুরুষদের জন্য কোন বয়ান নেই যদি এলকোহল দুই জাতির জন্যই হারাম বলেছে ইসলাম।
বনানী থানায় কেন মামলা নেওয়া হয়নি, এমন প্রসংগে ওখানকার দায়িত্বরত কর্মকর্তা বলেছেন ‘পরিমনী মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন, তাই তাকে বাসায় যেতে বলা হয়; পরে মামলা নেওয়া হবে।’ এখন কথা হচ্ছে একজন লোক যদি মদ্যপ অবস্থায় কোন নারীকে ধর্ষণ করে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইন কি সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে না, নাকি মাতাল বলে ক্ষমা করে দেবে। শহরের রাস্তায় কেও যদি মাতাল অবস্থায় হেঁটে যায় সেখানে দাঁড়িয়েও পুলিশ মামলা করে দেয় তাৎক্ষনিক, তাহলে এই মামলা হয় কোন ভিত্তিতে সেটা আমার কাছে পরিষ্কার নয়। মাতালের নিরাপত্তা তো রাষ্ট্রের দায়িত্ব বলেই আমি বিশ্বাস করি।
পরিমনী অভিযোগ করেছেন তাকে ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টা করা হয়েছে, তবে অভিযুক্তদের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে মাদক আইনে। তার মানে এখনো পরিমনী তার অভিযোগের সঠিক বিচার পান নি। এই পরিমনী ইস্যুতে বাংলাদেশে কিছু নব্য মুসলিমদের বিরা্ট উপকার হয়েছে, তারা আবু ত্ব-হা আদনানের জন্য তাদের চোখের জল দেখাতে পেরেছেন রাষ্ট্রকে। আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দিন রাত একত্র করে তাদের ত্ব-হাকে হাজির করেছেন তাও আবার আজ; তার শ্বশুর বাড়ি থেকে। কোথায় ত্ব-হাকে গুম করা হয়েছে বলে বলে ফেসবুক গরম করে ফেলেছে একদল, তাদের আশায় এমন জল ঢেলে দেওয়া ত্ব-হার একদম উচিৎ হয় নি। আরো কিছুদিন প্রথম পক্ষের শ্বশুরবাড়িতে কাটালে দ্বিতীয় স্ত্রী’র কাছে গুরুত্ব আর এক ধাপ বাড়তো, আরো কিছুদিন আদনানের ভিডিও শেয়ার হতো, আরো কিছু নারী বিদ্বেষী বক্তব্য ভাইরাল হতো, তারপর আবু ত্ব-হার জন্য জাতি মিছিল নিয়ে রাস্তায় নামতেন, ব্যাপারটি কতো দূর চলে যাচ্ছিল। আইন শৃংখলা বাহিনীর জন্য আমার মায়াই হয়, এই বৃষ্টির মধ্যেও তাদের অযথা হয়রানি !
যাই হোক, প্রধানমন্ত্রী বরাবর কান্নাকাটি করলে যে অনেক কাজ হয় সেটাই আমি উপলন্ধি করেছি বেশ কয়েক বছর ধরে। সেই যে নোয়াখালীর নুসরাতকে পুড়িয়ে মারা হলো, তাদের পরিবার যদি প্রধানমন্ত্রীর কাছে সুবিচার না চাইতেন তাহলে তো অপরাধীদের শাস্তি হতো না (যদিও নুসরাত মেয়েটিকে আমরা হারিয়ে ফেলেছি বীভৎস ভাবে)
{ বিএনপি ঘরের ভেতর সেমিনার না করে এই ফর্মুলায় এগুলে এতদিনে বেগম খালেদা জিয়া বিদেশে চিকিৎসা পেয়ে যেতেন সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত। }
এটা পরিমনীর বেলায়ও দেখলাম। কিন্তু মুনিয়া বা আনুস্কাদের বেলায় তা দেখিনি, মুনিয়ার বড় বোন বা আনুস্কার মা তাহলে মনে হয় ঠিকঠাক করে কান্না করতে পারেন নি। মা সম্বোধনে প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটা চিঠিও পাঠাতে পারেন নি, আমি অন্তত শুনিনি। মুনিয়া বা আনুস্কা দুই জনেরই সম্ভাব্য খুনি তাদের বয়ফ্রেন্ড, তাদের অপরিণত বয়সের প্রেম। এই দুইটি ঘটনার কোন সমাধান আজো আইন শৃংখলা বাহিনী করতে পারেনি। তেমনি তনু হত্যার বিচার করতে পারে নি, আদিবাসী বাচ্চা মেয়েটি বাবা সহ আত্মাহূতি দিল, বিচার হয়নি, ঘরের ভেতর প্রবেশ করে গাজিপুর ছোট শিশুকে রেপ করা হয়, বিচার হয়নি, আশুলিয়ার বাসে দুই নারী শ্রমিককে ধর্ষণ করা হয়, কোন বিচার নাই; এমন শত শত নারী দৈনিক শারীরিকভাবে লাঞ্চনার শিকার হয়।
বিচার পায়না এরা, উলটো এদের চরিত্র নিয়ে কথা ওঠে সোস্যাল মিডিয়ায়, এদেরকে বেশ্যা উপাধি দেওয়া হয় আর এই দেশে বেশ্যাদের ধর্ষণ করা খুবই নেক কাজের মধ্যে অন্যতম একটি বলেই বিবেচিত। আজ সুপ্রিম কোর্টের বড় বিচারপতি কে তাঁকে আমি চিনি না, তাঁকে চেনার আমাদের কোন দরকার নেই। আমরা চিনি আমাদের মা’কে; আমাদের দেশের গণতান্ত্রিক সরকারের প্রধানমন্ত্রীকে, আপনাকেই বলছি; ‘মা, আপনার মেয়েগুলো বড় অসহায় আপনার রাষ্ট্রে। তাদের ইচ্ছে করলেই হাঁটুজল বৃষ্টিতে পা ডুবিয়ে খেলতে পারে না, তারা খোলা ছাদে চুল এলিয়ে দাঁড়াতে পারে না মা, তাদের ইচ্ছে করে সাইকেল নিয়ে এই শহর ঘুরে বেড়াতে, খোলা পুকুরে ডুব সাঁতার দিতে। মা, তাদের জন্য একটি নিরাপদ জায়গা দিন, তাদের অবাধে কাজ করার সুযোগ করে দিন, তাদের বেঁচে থাকার নিরাপত্তাটুকু দিন মা।
মা, আপনি কি এই নারীদের আর্তনাদ শুনতে পাচ্ছেন ? মা, আপনিই এই অসহায় মেয়েদের একমাত্র আশ্রয়স্থল, আপনিই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত, একমাত্র প্রধান বিচারপতি।‘
loading...
loading...
আমি বিশ্বাস করি; একটি দরজা যখন বন্ধ হয়ে যায় তখন হাজার দরজা খুলে যায়। আমার কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে সত্য প্রকাশে এগিয়ে এলো শব্দনীড় ব্লগ; অসংখ্য কৃতজ্ঞতা সম্পাদক আজাদ ভাই, এভাবেই নির্ভীক সংবাদ প্রকাশে পাশে থাকুন।
loading...
দেশের গণতান্ত্রিক সরকারের প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করছি, আমাদের মা বোনদের অন্তত একটি নিরাপদ জায়গা দিন, তাদের অবাধে কাজ করার সুযোগ দিন, তাদের বেঁচে থাকার নিরাপত্তাটুকু দিন। এর চাইতে বড় প্রত্যাশা আর কী ই বা থাকতে পারে।
loading...
রোদলা দিদি কেমন আছেন
খুবি ভাল লেখেছেন
এরকম লেখা আগে পড়েনি
অনেক শুভেচ্ছা রইল ——-
loading...
ধন্যবাদ লিটন ভাই , বেশ ভালো আছি ।
লেখাটা অনেক ভিন্ন ভাবে উপস্থান করেছি ভাইয়া ।
loading...