নীরার সবদিন টাই শ্বশুড়বাড়িতে জেলবন্দী জীবন। এইদিন অত্যাচারের মাত্রা বেশী ছিল। সকাল থেকে খেতে ইচ্ছে করছিল না। বর রীতিমতো লোকদেখানো র জন্য রান্না করে আর নিজের ইচ্ছেমতো চলাফেরা করে, বৌ কে পদে পদে ছোট করানো হল তাঁর কাজ।
সংসার সুখের হয় রমনীর গুণে”-রমনীকে যদি রমনী হিসেবেই না মানে কি করে সুন্দর হবে।
খেতে ইচ্ছে করে না কেমন যেন বাঁচাটা তাঁর কাছে দায়। খুব কষ্টের। নিজের ইচ্ছায় জল” খাওয়াটাও হয় না। মেয়েদের হয়তো কোন ইচ্ছের দাম দেওয়া হয় না।
মেয়েদের কাজের লোক হিসেবে সংসারে দেখা নিয়ম। গ্রামে শিক্ষিত মেয়েদের কোন মর্যাদা নাই। তাঁরা খুন্তি দিয়ে সময় কাটাবে পরচর্চা করে সবাইকে তাঁদের মতো থাকতে হবে না হলে সমস্যা স্বামীকে দিয়ে মার খাইয়ে এইসব মহিলা মজা পায়।
মানুষের ধর্ম হল দুর্বল লোককে চেপে ধরা। নীরা একজন এম এ পাশ মেয়ে। এদের মত করে না চলতে পারলে এদের সয়তানী বুদ্ধির স্বীকার হতে হয়। গ্রামের লোক সবাই সহজ সরল সিনেমা য় দেখায়। একদম পাক্কা ভুল ধারনা। গ্রামের লোক সবথেকে বেশী হিংস্র টাইপের হয়ে থাকেন। এরা নিজেরা নিজেদের ভালো চাননা। এদের স্বভাব মানুষের ব্যক্তিগত ব্যাপারে নাক গলানো। কেউ পড়াশোনা করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাইলে তাঁকে প্রতি প্রতি পদে পদে বিপদে ফেলানো। পিছন টে নে ধরা হল মানুষের ধর্ম। নীরা পড়তে ভালোবাসে ঘরকুনো পরচর্চা পছন্দ করে না এটা হল তাঁর সরলতা।
এটার ই সুযোগ নিয়েছে তাঁর শাশুড়ি স্বামী। অত না মেশার কারনে পাড়ার কেউ তাঁর পক্ষে কথা বলতে চাইত না।
এইদিন নীরা কেমন এলোমেলো। মেঘ থেকে লক ডাউন লক ডাউন ঝলকানি। আনন্দহীন জীবনে প্রকৃতি যেন রামধনু নিয়ে ইশারা দেয়। গালিগালাজ খারাপ ব্যবহার পাওয়া সামাজিক ক্রুয়েলিটি মেন্টাল ক্রুয়েলিটি অনেক বেশী সহ্য করতে হয়।
loading...
loading...
বেশ লাগল———-
loading...
নীরব অথচ শব্দ সরব জীবন কথা। প্রতিবাদ বা প্রতিবাদী’র কণ্ঠস্বর হতে পারে।
loading...
আমার মেয়ের জীবনটাও আপনার লেখার প্রথমাংশের মতনই ছিলো। বর্তমানে আগের চেয়ে ভালো। আপনার লেখা "নীরাকথা" পড়ে আমার মেয়ের কথাই বারবার মনে পড়ছে। ওর জন্য আশীর্বাদ প্রার্থী।
শুভকামনা থাকলো।
loading...