গান গাইতাম বলে
আমাকে কোয়েলের মতো নরম ভেবেছিলো,
ছবি লিখতাম বলে
ভেবেছিলো দিগন্তের মতো খোলামেলা,
টুকরো টাকরা ডালপালা জুড়ে
রক্ষিনী- যক্ষিণী ছাঁচ গড়ে দিতাম বলে
সে তার আদিম অরণ্যে
হাত ধরে টেনে নিতে
এক ফোঁটা অপেক্ষা রাখেনি—
তারপর, শিকারের চেরা রাতে
ভেষজ এরোমা মাখা
জ্যোৎস্নার আয়নায়
পোড়াগাছ–টেরাকোটা বলিরেখা
নষ্টচাঁদ কালপুরুষে
মাখামাখি — কান্নাহাসি– বানভাসি জল চালাচালি
ফের আবার ফিকে ভোর
ফের সেই ঠা ঠা তামাসা রোদ্দুর…।
অথচ, এতো কিছুর পরেও
আমার রুক্ষ পাথর শতচ্ছিন্ন করতল ভ’রে
যখন সত্যি সত্যিই আকাঙ্খা আদলে
ঝকঝকে আগুন বুকে
শুধুমাত্র প্রদীপই ফললো—
সে, ভর্ৎসনা হিমভাস্যে
বুলি ছুঁড়ে ছিলো —-
বাঘ মারার প্রস্তুতি না নিয়ে
কেন তুমি নীলবর্ণ শেয়ালের
সহজ খোরাক হতে গেলে!
GD Star Rating
loading...
loading...
GD Star Rating
loading...
loading...
এই পোস্টের বিষয়বস্তু ও বক্তব্য একান্তই পোস্ট লেখকের নিজের,লেখার যে কোন নৈতিক ও আইনগত দায়-দায়িত্ব লেখকের। অনুরূপভাবে যে কোন মন্তব্যের নৈতিক ও আইনগত দায়-দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট মন্তব্যকারীর।
যাপিত জীবনের কথা কাব্য। মুগ্ধ হলাম প্রিয় কবিবন্ধু। ভালো থাকবেন।
loading...
বাঘ মারার প্রস্তুতি না নিয়ে
কেন তুমি নীলবর্ণ শেয়ালের
সহজ খোরাক হতে গেলে!
শেষটা অসাধারণ। শুভেচ্ছা রইলো কবি।


loading...
মাধুর্যমণ্ডিত লিখনী
loading...