একদিন তুমিও তোমার মতো করে সুখি হবে,
আমিও আমার মতো,
কিছু বলা আর কিছু না বলা স্মৃতি জমা হয়ে রয়ে যাবে পুরোনো ডাইরির পাতায়,
কোন একদিন হয়ত সময়ের তাগিদে তোমাকে মনে পড়ে যাবে,
আমাদের বেলা অবেলায় কাটানো দিন গুলো,
জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে একাকী দ্বিধান্বিত মনে বসে
বিবেকের মুখোমুখি হিসেবের খাতা খুলে
স্বপ্নের বিষাদ ভুলে বিবেকের চোখে চোখ তুলে মনে হবে
তাহলে কেন এত কলাকৌশল ?
কেন স্বার্থের জন্য প্রতিদিন মানবীয় সত্তার জলাঞ্জলি ?
কেন দুঃখের আগুনে পুড়ে হৃদয় বারংবার ?
সোনালি খঞ্জর তুমি আসা যাওয়া দুদিকেই কাটো,
তোমার সান্নিধ্যে সুখ শিহরণ আবার তোমার সান্নিধ্যেই অন্তরে রক্তক্ষরণ,
তুমি কেন এতো নির্দয় ? কেন এতো পাষান ?
তুমি এলেই বেদনায় আমার বুক ভারী হয়
চোখ দুটো সমূদ্র হয়ে যায়
কেন তুমি আসো ?
কেন তুমি এসে রোজ ঝড়ের মত আমায় সব এলোমেলো করে দিয়ে যাও ?
আমি জানি না আমার কোন ভুলে
রোজ তুমি আমার আকাশ ভেঙেচুরে দাও,
কেনোই বা চোখের জলে ভাসাও
তুমি আর এসো না
এই আঁধারে আমায় কাঁদিয়ে তুমি আর হেসো না,
প্রেমিককে নিয়ে কবিতা লিখে এক জীবন কি কাটিয়ে দেওয়া যায় না ?
এক জীবন কি পাড় করে দেওয়া যায় না নিঃসঙ্গতা বুকে লালন করে ?
কি এমন ক্ষতি হয় নিঃস্ব হলে, কি এমন ক্ষতি হয় তুমিহীন একা বেঁচে থাকলে ?
আমার শাড়ির আঁচলে, কাঁচের চুড়িতে,
চোখের কাজলে, ঠোঁটের ম্লান হাসিতে,
আমার বৃষ্টির জলে ভেজা শরীর ছুঁয়ে তুমি থেকে যাবে চিরকাল,
তুমি থেকে যাবে আমার কবিতায়,
আমার তুমিহীন নিঃসঙ্গ যাপনে,
আমার গোটা জীবনজুড়ে থেকে যাবে তুমি,
এক জীবনে সবকিছু পেতে হয় না,
অনেককিছু পেতে নেই,
অনুভবেই থাকুক কিছু বুক পিঞ্জরের বাম পাশেই,
নিঃসঙ্গ বুকে একটা গোলাপ গাছ লাগিয়ে দিয়ে
শিশিরভেজা পায়ে প্রতিদিন হেঁটে যাই আগামীর সান্নিধ্যে
আর কুহেলিকার সঙ্গে নিত্য করি বসবাস………….
— ফারজানা শারমিন
০৯ – ১১ – ২০২০ ইং
loading...
loading...
"জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে একাকী দ্বিধান্বিত মনে বসে
বিবেকের মুখোমুখি হিসেবের খাতা খুলে
স্বপ্নের বিষাদ ভুলে বিবেকের চোখে চোখ তুলে মনে হবে
তাহলে কেন এত কলাকৌশল ?"
loading...
অসংখ্য ধন্যবাদ কবি……………….
loading...
সুনির্মাণে সমুজ্জ্বল লেখা।
loading...
অসংখ্য ধন্যবাদ………………
loading...
বেশ অনুভূতির প্রকাশ কবি আপু
loading...
অসংখ্য ধন্যবাদ………………..
loading...