নীরা পর্ব/ রিয়েল কাহিনী

নীরা পর্ব/ রিয়েল কাহিনী
আমি চাই সবাই কমেন্ট করবেন।

নীরা একজন নির্যাতিতা। নীরা র জন্ম হয়েছিল এক নামী হাসপাতালে/ চারিদিকে বসন্তের আনাগোনা / দোলের রঙিন প্রজাপতিরা উড়ছে / ঠিক তখন ই নীরা মায়ের কোল জুড়ে জন্ম নিয়েছিল/ নীরা” নামটি তাঁর জ্যাঠু র রাখা। তাঁর বাবা একজন ডাক্তার। জ্যাঠু ও। গরিব মধ্যবিত্ত জেলে পরিবার। বাবার আটভাই।

কলকাতায় নীরা বেড়ে উঠতে লাগল। মামাবাড়িতে থাকাকালীন কত স্বপ্ন কত আশ্বাস দৌড়াদৌড়ি করতে থাকে তাঁর শিরায় শিরায়। নীরা আপনমনে বড় হতে থাকে একটা মেয়ের বড় হওয়া তাঁর স্বপ্ন তাঁর আত্মাকে বড় করে তোলা অনেক কষ্টের কাজ।

নীরার যখন চার বছর বয়েস তাঁর জীবনে নেমে এল বিপর্যয়। সচ্ছল জীবনযাপন ছিল তাঁর কিন্তু নীরার বাবা ভালো মনের মানুষ ছিলেন বলা যেতে পারে। কিন্তু পুরুষ দের ইগো বেশী আর অন্যের কথা শোনে বেশী। অন্যের কথা শুনে বৌকে সন্দেহ করে মারধর করত/ বৌ বাচ্চা কোণঠাসা” জীবন যাপনে বাধ্য করত।

বাচ্চাদের সামনে পর্যন্ত মা কে ধরে মারধর করত নীরার মা শিক্ষা থাকলেও বুদ্ধি কম তাই কিছুই করতে পারে নি বা করার প্রয়োজন মনে করেনি নিজে বাঁচলে বাপের নাম তাই নিজেকে বাঁচাতে এক নরকে” বংশটাই পুরোটা নরক ছিল শিক্ষিত বংশ হলেও আটটা ভাই একেবারে অলশ আর গন্ডমূর্খের মতো আচরণ করত / নীরার জ্যাঠিমা রা যেমন স্বার্থপর শয়তান জঘণ্য নিচ মনের মানুষ ছিলেন/ এতোদিন মামাবাড়িতে ভালোই কাটছিল এরপর মেদিনীপুরের গ্রামের বাড়িতে চলত তাঁর নরকজীবন যাপন তাঁর এক বোন ছিল।

পরিবারের সবাই কেউ ভালোবাসত না শুধুমাত্র সম্পত্তি ও টাকার লোভে ভালোবাসার মোহে মজিয়ে রাখত। নীরার নরকযন্ত্রণা পাঁচ বছর বয়েস থেকে শুরু হল নীরার বোন ও অসহ্য কষ্টের মধ্যে জীবন যাপন করত নীরার কাকু জ্যাঠিমা পিসি বাড়িতে ঘরজ্যামাই — এরা সবাই মিলে প্রত্যক্ষ ভাবে আবার পরোক্ষ ভাবে মিথ্যেকথা বলে তাঁর বাবাকে দিয়ে মার খাওয়াতো। একরকম জীবন নরক” হয়ে উঠেছিল।

তাঁর পর জীবনে এলো দাদু। বাবা প্রচুর নেশা করত মেয়েদের সংগে ঘুরে বেড়াতো বাবার জীবন একপ্রকার শেষ/ নেশা করে এখানে ওখানে পড়ে থাকত ডাক্তারী চাকরি ছেড়ে একপ্রকার ঘরে বসে থাকল। মেয়েদের উপর আর পালিত বাবা র উপর অকথ্য অত্যাচার করত।

নীরা র কথা ভাবুন মায়ের ছায়া মাথা থেকে নামতে না নামতেই বাবা মারত বাড়ির সবাই প্রায় মানসিক শারিরীক অত্যাচার করত। এসব সহ্য করে নীরা বড় হতে লাগল। খেতে পেত না অর্ধেক দিন না খেয়ে স্কুলে যেতে হত। অনেক কষ্টে পড়াশোনাটা চালাতে হত। বাবা পড়ানোর নাম করে প্রচুর মারধোর করত। খেতে পরতে দিত না। জ্যাঠিমা দিদি রা হিংসে করত পিসিরা দাদুর ঘাড়ে বসে খেত আর নীরা আর নীরার বোনকে দিয়ে রান্নাবান্না করাতো। বাবা এককথায় কসাই ছিলেন। একজন ডাক্তার” কখনো বলা যায় না। নিজের মেয়ে কে মারতে মারতে অজ্ঞান করে দিতো। উনি মানসিক অসুস্থ ছিলেন। একজন জ্যাঠু ডাক্তার উনি বাবাকে সারানোর কোন ব্যবস্থা ই করেননি নিজের ঝুটা ইগো” সন্তুষ্ট করার জন্য/ নীরা নিজেই বুঝতে পারছিল না কি করবে/ নীরা ও মানসিকভাবে বিধ্বস্ত জীবনযাপন করত।

নীরা র বোন টা হাসিখুশি ছিল। তাঁর জীবনটাও নষ্ট করে দেওয়া হল। ষোল বছরে এক বুড়োর সংগে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়। বাড়িতে এক দিদি ঘরজ্যামাই থাকতেন উনি খুব বাজে চরিত্রের শয়তান মানুষ ছিলেন। বাইরে ভালো মানুষ সেজে থাকত দিদি আর দাদাবাবু খুব মানসিক ভাবে অত্যাচার করত। গালিগালাজ করত। গায়ে যখন তখন হাত দিত। বাড়িতে মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় ব্লু ফিল্ম দেখাতো যাতে সে বাজে কাজে নিজের লাইফটা বরবাদ করে নে। বারবার গায়ে যেখানে সেখানে হাত দিত। নোংরা মজা অনুভব করত। খুব বাজে প্রকৃতির মানুষ।

বিয়ের জন্য এতো চাপ দিত যে নীরা মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে কোনরকম একজন বাংলাদেশী আধাবুড়ো টাক না দেখে শুনে আর এক নরকে নিজেকে ফেলে দিতে বাধ্য হল / নীরা নিজেই বুঝতে পারছিল না কি করবে ? দাদু কে বাবা মারত? বাবা সবসময় ঝগড়া ঝাটি করত? ছোটবোনটার বিয়ে হয়ে যেতে বাবার পাগলামো আরো বেড়ে গিয়েছিল? কি করবে? কোথায় যাবে? ওই আঠারো বছর বয়েসে আত্মহত্যা করবে? কি করবে? বুঝে উঠতে পারছিল না?

যাকেই পেল সে ভালো কিনা পরিবার ভালো কিনা না দেখেই এক দিনে লাফিয়ে পালানোর সিদ্ধান্ত নিল। ভাবল ছেলেটা বলছে ভালোবাসে তাহলে ভালোবেসে বিয়ে করতে চায় কিন্তু ছেলেটা কোনদিন ভালোবাসে নি শুধুমাত্র নিজের স্বার্থের জন্য নীরাকে বিয়ে করেছিল — এক নরকের জীবন থেকে পালিয়ে বেঁচে আর নরকের জীবন যে অপেক্ষা করছিল—সেটা ঘুণাক্ষরে ও বুঝতে পারেনি— নীরা পালিয়ে আসতে নীরার দাদুকে বুদ্ধি করে নীরার বাড়িতে থাকা জ্যামাইটা মেরে দিল সম্পত্তির লোভে পিসিদের সংগে মিলে—

নীরার এখন কি করা উচিত??? কার দোষ এখানে বলুন?

GD Star Rating
loading...
GD Star Rating
loading...
এই পোস্টের বিষয়বস্তু ও বক্তব্য একান্তই পোস্ট লেখকের নিজের,লেখার যে কোন নৈতিক ও আইনগত দায়-দায়িত্ব লেখকের। অনুরূপভাবে যে কোন মন্তব্যের নৈতিক ও আইনগত দায়-দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট মন্তব্যকারীর।
▽ এই পোস্টের ব্যাপারে আপনার কোন আপত্তি আছে?

৫ টি মন্তব্য (লেখকের ০টি) | ৪ জন মন্তব্যকারী

  1. ফয়জুল মহী : ২৩-০৮-২০২০ | ২২:২৬ |

    প্রীতিজনক ও  স্নিগ্ধোজ্জ্বল লেখনী 

     

    GD Star Rating
    loading...
  2. নিতাই বাবু : ২৪-০৮-২০২০ | ৩:২৪ |

    সব ভাগ্য বিধাতার বিধান। কপালের লিখন। এভাবেই মানুষ বাধ্য হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। আর যাঁরা কষ্ট করে ধৈর্য ধরে নিজেকে সামলে নেয়, তারা তিলে তিলে নিজে নিজের ধ্বংস হতে থাকে। একসময় এমনিতেই জীবন নামের প্রাণ পাখিটা উড়ে যায়। নীরার প্রাণটাও একসময় উড়ে যাবে এমনিতেই। 

    খুব কষ্ট লাগলো। মহান সৃষ্টিকর্তা নীরাদের সহায় হোক, এই কামনা করি।                      

    GD Star Rating
    loading...
  3. আলমগীর সরকার লিটন : ২৪-০৮-২০২০ | ৯:২৫ |

    নারী চরিত্রটা ব্যাপক অর্থবহ আমাদের সমাজে প্রভাব বেশি কিন্তু সম্মান অনেক কম দিয়ে থাকি তবে এটা ঠিক নয় 
    অনেক সুন্দর লেখেছেন কবি দিদিhttps://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_flowers.gif

    GD Star Rating
    loading...
  4. মুরুব্বী : ২৪-০৮-২০২০ | ৯:৪৫ |

    ভালো বা মন্দ সহানুভূতি দেখানো সম্ভব হলেও জাজমেন্ট দেয়া কঠিন। প্রত্যেকটি মানুষ তার নিজ আবহে বড় হতে থাকে আর দায়ভার ব্যক্তিগতভাবে তার না হলেও মেনে নেয়া ছাড়া গত্যন্তর থাকে না। 

    আমরা পাঠক নীরা'কে সম্মান বা সাময়িক সিদ্ধান্তকে পজেটিভ রায় দিলেও নীরা'কেই সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কারণ জীবনটা তার। শব্দনীড়ে আপনার পোস্ট এফবি'র বন্ধুদের জন্য শেয়ার করুন। ধন্যবাদ। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_good.gif

    GD Star Rating
    loading...
  5. মুরুব্বী : ২৫-০৮-২০২০ | ১২:৩৬ |

    নীরা পর্ব/ রিয়েল কাহিনী
    আমি চাই সবাই কমেন্ট করবেন।

    ___ পাঠকের প্রতি লেখকের মন্তব্য কোথায় লেখক। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_Frown.gif.gif

    GD Star Rating
    loading...