গাঢ় অভিমানটুকু লুকোবার মতো
প্রশস্থ- দৃঢ় – ঋজু একখানা কাঁধ,
পৃথিবীর প্রান্তরে শুধু বালিকার
এইটুকু ছিলো পাবার একান্ত সাধ।
প্রহসন হাসিতে আলোকিত সৌরকর দিন,
স্মিত মুখে কয়, “এ নয় সুরেলা বীণ, এ নয় ক্ষয়িষ্ণু চন্দ্রের মতো ক্ষীণ।”
নয়, নয়, এ অঞ্জলি ভরা তৃষ্ণাবারির জল,
এ নয় কৃষ্ণ কালো কেশসজ্জার রপসী ফুলদল,
নয় শাড়ী-গাড়ী-চুড়ি-চচ্চড়ি
গহনার বাক্সবন্দি কারুকৌশল,
নয় অগনিত মানুষের ভীড়ে ব্যাকুল সংখ্যাবৃদ্ধি রাত্রির কামনা ছল।
এ নয় ফিরে যাওয়া ভীরু দখিনা হাওয়া,
একা অবসরে নিজেকে
নিজেরই মতো করে পাওয়া।
চাঁদনী রাতের মতো গৃহত্যাগী বোধিসত্ত্বা ও যদি জোটে,
এক জীবনের এই একেলা
সোজন-বাদিয়া ঘাটে,
তবু যা ছিলো জীবনের কাছে চাওয়া,
সেই সে অধরা সোনামৃগ,
তারে যায়নাকো পাওয়া।
পঞ্চশরের প্রবল বেদনা যদি
করে তিলেতিলে ক্ষয়,
একা থাকবার দৃঢ় প্রত্যয়,
তবু সেই ভ্রম মৃদু হেসে কয়,
যা চেয়েছি জীবনের কাছে,
শুধু সেটুকুই পাবার নয়, নয়!?!
loading...
loading...
' নয়, নয়, এ অঞ্জলি ভরা তৃষ্ণাবারির জল,
এ নয় কৃষ্ণ কালো কেশসজ্জার রপসী ফুলদল।' ___ অনেক সুন্দর হয়েছে কবিতাটি।
loading...
বেশ ছন্দময় —————–
loading...
Excellent
loading...