প্রথম পর্বের পর:
“ও আচ্ছা। এত লজ্জা পাস আমার সাথে ঘুরতে? তাইলে রিলেশনশিপে গেলি কেন, লজ্জা করবে না? নাহ করবে না।” “আগে কখনও কারো সাথে প্রেম করিনি তো তাই!” এই বেটা এই আমি কি এর আগে রিলেশনে ছিলাম নাকি? গাধা একটা আচ্ছা আজকে যে দেখা করতে এলি একটা ফুলতো আনতে পারতিস? তুই একটুও রোমান্টিক না” “তাতে কি তুই আমাকে রোমান্টিক বানিয়ে নিবি, কোথায় কি নিয়ে যেতে হয়, ক্যামনে যেতে হয় এগুলো তুই শিখিয়ে দিবি” আচ্ছা বাবা দিব” এবার বল কি খাবি?
ফুসকা খাওয়া।
ফুসকাওয়ালাকে ডাক দিয়ে রুদ্র বলে এই মামা দুই প্লেট ফুসকা দিয়েন।
আচ্ছা মামা বসেন।
তারপর বল, কেমন লাগছে আজ গার্লফ্রেন্ডের সাথে ঘুরতে এসে?
তেমন কিছু না তো!
গাধা, তুই আসলে আমাকে ভালোই বাসিস না!
ভালোবাসি তো তোকে অনেক ভালোবাসি।
আচ্ছা বাবা বুঝেছি।
এভাবেই চলতে থাকে গল্প-আড্ডা। দুজনের জীবনেরই প্রথম প্রেম। তবে বেস্টফ্রেন্ড থেকে পার্থক্য এমন কারো কাছেই লাগেনি।
অতঃপর ২ ঘন্টা ঘোরার পর নীলাকে বাসে তুলে দিয়ে বাসায় চলে আসে রুদ্র। আর তারপর রিকশা করে নিজের বাসায় ফিরে যেতে যেতে রুদ্র নিজেকে প্রশ্ন করে, আচ্ছা গার্লফ্রেন্ড আর বেস্টফ্রেন্ডের মাঝে পার্থক্য কি? সেটা কি শুধুই একটা শব্দভেদ নাকি আরো অনেক বড় কিছু? রেসপন্সেবলিটি থাকে রিলেশনশিপে? তো রেসপন্সেবলিটি কি বেস্টফ্রেন্ডশিপে থাকে না। যে আমার উপর পুরোটা বিশ্বাস করে কাটিয়ে দিচ্ছে দিনেরপর দিন।তার জন্য কি রেসপন্সেবলিটি নেই? কি জানি? নীলাকে জিজ্ঞেস করবোনি.. ও আবার এগুলো ভালো বোঝে। খালি আমিই মনে হয় বুঝিনা।আচ্ছা ও তো আগে অন্য যেকোন মেয়ের সাথে মিশতে দিতো। তাইলে এখন কি দিবে না? এসব ভাবতে ভাবতেই সে তাকিয়ে দেখা রিকশা বাসা পর্যন্ত এসে গেছে! “মামা, নামবেন না, এইহানেই তো আসতে কইলেন!” ওহ হ্যাঁ এখানেই। ওইযে নীল বিল্ডিংটা ওখানে সাইড কর। এবার রিকশায় থেকে নেমে বাসায় চলে যায় রুদ্র। এভাবেই কেটে যায় তাদের সম্পর্কের প্রথম দিনটি।
চলবে…
loading...
loading...
অতুলনীয় লেখা।
loading...
ইন আ ক্লোজড রিলেশনশিপ এর দ্বিতীয় পর্বও পড়া হলো। চলুক নিয়মিত …
loading...