বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস আতঙ্ক সারা পৃথিবীকে গ্রাস করেছে। সেইসাথে এ রোগ নিয়ে নানা বিভ্রান্তি ও ভুল তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে এ সময়ে করোনা সংক্রান্ত সঠিক তথ্যটি জেনে রাখা খুবই প্রয়োজন।
জ্বর
আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে এখন জ্বর হওয়া অনেক স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে সময়টা যেহেতু কোভিড-১৯ এর, ফলে জ্বর হলে ভয় পাচ্ছেন অনেকেই। কারণ করোনাভাইরাসের অন্যতম প্রধান লক্ষণ হলো জ্বর। তাই জ্বর যদি ৭ দিনের বেশি থাকে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
কানে ব্যথা করোনাভাইরাসের আরেকটি লক্ষণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে কানে ব্যথা। কানে তীব্র বা মৃদু ব্যথা থাকতে পারে। কানের ভেতরে চাপ অনুভূত হতে পারে। কানে ব্যথা থাকলে মাসাজ করা যাবে না- বলেছেন বিশেষজ্ঞরা।
মাথাব্যথা সাধারণ ফ্লু এর ক্ষেত্রে মাথাব্যথা থাকতে পারে। ডিহাইড্রেশন হয়েও সেই সময় মাথাব্যথা আরও বেড়ে যেতে পারে। প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খেলে এই ব্যথা সেরে যায়। তবে করোনাভাইরাসের কারণে মাথাব্যথা হলে প্যারাসিটামল খেয়েও সাধারণত ব্যথা কমে না।
চোখ জ্বালাপোড়া ঘুম কম হওয়া, টেনশন বা রেটিনার সমস্যার কারণে চোখ জ্বালাপোড়া করতে পারে। তবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনার লক্ষণ হিসেবেও চোখ জ্বালাপোড়া করতে দেখা গেছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত অনেক রোগীর শারীরিক লক্ষণগুলোর মধ্যে ছিল চোখ জ্বালাপোড়া করা।
গলাব্যথা করোনাভাইরাসের অন্যতম লক্ষণ হলো গলাব্যথা। সাধারণ ঠান্ডাজনিত সমস্যা ও টনসিলের কারণে গলাব্যথা থাকতে পারে। তবে এখন যেহেতু সারাবিশ্ব করোনাভাইরাস আতঙ্কে কাঁপছে, ফলে গলাব্যথা থাকলেও দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
গায়েব্যথা
করোনাভাইরাসের আক্রান্ত ব্যক্তিদের অভিজ্ঞতা হলো, গায়ে প্রচণ্ড ব্যথা ছিল তাদের। বিশেষ করে হাত ও পায়ে। সাধারণ জ্বরের ক্ষেত্রেও হাত, পায়ে ব্যথা থাকতে পারে। তবে করোনাভাইরাসের লক্ষণ হিসেবে যেহেতু এই সমস্যাটি পরিচিত, ফলে অবহেলা করার উপায় নেই।
শ্বাসকষ্ট করোনাভাইরাসের আক্রান্ত হলে তীব্র শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে। এ পর্যন্ত বেশিরভাগ করোনা রোগীর ক্ষেত্রে এই লক্ষণ দেখা গেছে। সুতরাং শ্বাসকষ্ট যে কারণেই হোক, সচেতন থাকতে হবে।
ক্ষুধা মন্দা করোনাভাইরাসের অন্যতম লক্ষণ হলো খেতে ইচ্ছা না করা। ক্ষুধার অনুভূতি থাকে না। ফলে শরীরিক দুর্বলতা ও ক্লান্তি আসতে পারে।
বুকে ব্যথা বুকে ব্যথা, ভার অনুভূত হওয়া, কফ জমে থাকাও করোনাভাইরাসের লক্ষণ। ফলে এমন সমস্যা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।
loading...
loading...
এই বিপদ থেকে বাঁচতে সচেতনতার কোন বিকল্প নেই। কেবলই চাই সচেতনতা জ্ঞান।
loading...
শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ বোন সুরাইয়া নাজনীন।
loading...
ভালো থাকুন। একমাত্র আল্লাহই রক্ষাকর্তা ।
loading...
ঋতু পরিবর্তনের কারনে আমরা অনেকেই ভোগান্তিতে পড়ি আর তা হলো সর্দি-কাশি এবং জ্বর।এসব করোনায় আক্রান্ত হওয়ার লক্ষন মনে হলেও এটাকে করোনায় আক্রান্ত বলে ধরে নেয়া যাবে না।বিশেষজ্ঞরা বলছেন,একজন ব্যক্তির যদি জ্বর হয় আর সে জ্বরের সাথে যদি শুকনো কাশি হয় তাহলে সেটা নিয়ে করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনার কথা ভাববেন তারা।আর সেটা নিশ্চিত করনের জন্যে পরীক্ষা করবেন।চিকিৎসক অন্দিরাম বলেছেন, কফ সাদা হলে চিকিৎসক বুঝবেন রোগী ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের শিকার হয়েছেন। তখন সেই সংক্রমণ থেকে বের করে আনতে তাকে অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া হবে।কাজেই জ্বর,সর্দি-কাশি হলেই করোনার ভয়ে ভীতসন্ত্রস্ত হওয়ার কোন প্রয়োজন নেই।
loading...
আজ সকালে আমার চোখ জ্বলছিলো । আমি তো ভয়ই পেয়ে গেছিলাম ।
তবে ঘরে থাকছি । বের হচ্ছি না । আল্লাহ মালিক ।
সবাই ভালো থাকুন । ঘরে থাকুন ।
loading...