সন ২০১৬। সাইবার হ্যাকিং এর মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে চুরি হয়ে যায় ৮ কোটি ১০ লক্ষ ডলার। হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে ব্যাংকিং লেনদেনের আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক সোসাইটি ফর ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ইন্টার ব্যাংক ফিন্যান্সিয়াল টেলিকমিউনিকেশন (সুইফট) সিস্টেমসে ভুয়া বার্তা পাঠিয়ে এ অর্থ ফিলিপিন্স ও শ্রীলংকার দুটি ব্যাংকে সরানো হয়েছিল।
পরবর্তীতে নানান অনুসন্ধান পেরিয়ে রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং কর্পোরেশনসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির নামে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের সাউদার্ন ডিসট্রিক্ট কোর্টে মামলা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা আইনি প্রতিষ্ঠান “কোজেন ও’কোনর মামলাটির পক্ষে লড়েছিলো। ১৯-০০৯৮৩ নথিভুক্তি নম্বরের মামলার শিরোনামে ছিলো বাংলাদেশ ব্যাংক বনাম রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং কর্পোরেশন। এই মামলার নথিতে উল্লেখ ছিলো, মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের নিউইয়র্ক শাখায় রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার অজ্ঞাতনামা হ্যাকাররা হাতিয়ে নেয়। এ বিপুল পরিমাণ অর্থ চুরির মধ্যে ফিলিপাইনে যায় ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার এবং শ্রীলংকায় যায় ২ কোটি ডলার। এর মধ্যে ২ কোটি ডলার শ্রীলংকা থেকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।
উল্লেখিত নথিতে ফিলিপাইনের আরসিবিতে বা রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং কর্পোরেশনে পাচার করা হয়েছে ৮ কোটি ডলার। এবং এই প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট কয়েকজন কর্মকর্তা মানি লন্ডারিং এর বিধিবিধান পালন না করেই সেসব অর্থ ছাড় করার মাধ্যমে ক্যাসিনো সহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে পাচারে সহায়তা করেছে। আর এই চুরিতে সহায়তা করেছিলো উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা। এছাড়াও মামলায় আরো বলা হয়েছে, ই অ্যাকাউন্টগুলোর ওপর আরসিবিসি এবং এর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ছিল। কী ধরনের অপরাধ হচ্ছে তা জেনেও অ্যাকাউন্ট খোলা, বিপুল পরিমাণ অর্থ স্থানান্তর এবং পরে অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়ার বিষয়গুলো কোনো ধরনের বাধা ছাড়াই ঘটতে দিয়েছেন তারা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ম্যানিলাভিত্তিক রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং কর্পোরেশন (আরসিবিসি) ও ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়ের করা মামলা খারিজ করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের আদালত। সোলেয়ার রিসোর্ট অ্যান্ড ক্যাসিনিও অপারেটর ব্লুমবেরি রিসোর্টস কর্পোরেশনের বরাতে মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন বলেছে,
২০ মার্চ মার্কিন আদালতে ষড়যন্ত্রের দাবি প্রমাণ করতে ব্যর্থতার জন্য বিবাদীদের দায়ের করা অভিযোগ খারিজ করার প্রস্তাব অনুমোদন করে মার্কিন আদালত।
প্রশ্ন হলো বাংলাদেশ ব্যাংক কি ভাবছে এই বিষয়ে?
এই প্রশ্নটির উত্তরও ফেব্রুয়ারির পাঁচ তারিখে প্রথম আলোকে জানিয়ে রেখেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে মামলা চালানোর রায় না এলে তারা আপিল করবে। কারন উক্ত মামলা অন্য দেশে গেলে মামলায় তারা হেরে যাবে। সেজন্য যুক্তরাষ্ট্রই বাংলাদেশের জন্য নিরাপদ স্থান।
সবচেয়ে অদ্ভূত ব্যাপার হচ্ছে নিউইয়র্কে বাংলাদেশ ব্যাংক এতোদিন ধরে যে মামলাটি চালিয়েছিলো সেটা ছিলো ক্ষতিপূরন মামলা, টাকা উদ্ধার মামলা নয়। অন্যদিকে ফিলিপাইনের ব্যাংকে বাংলাদেশ ব্যাংকের যে ১২ টি মামলা চলছে। মামলা চলার গতিবিধি বাংলাদেশের মতো বলে, সেখান থেকে টাকা উদ্ধারের কোন সম্ভাবনা নেই বলেছেন সংশ্লিষ্টরা। যদিও সেদেশের আদালত বড় একটা এমাউন্ট জব্দ করে রেখেছে।
loading...
loading...
এমনটা যে হবে আগে থেকেই অনুমান করা যাচ্ছিলো। সুতরা এই মামলায় খুব আশাবাদী হবার প্রয়োজনই ছিলো না।
মাহমুদুর রহমান ভাই। কেন জানি মনে হচ্ছে আপনার এই পোস্ট গুলো নিউজ পোর্টালের। শব্দনীড়কে আমরা সাহিত্য চর্চার স্থান মনে করি। খুব বেশী গুরুত্বপূর্ণ না হলে প্রথম পাতায় এতো গুলোন নিউজ পোস্টের প্রয়োজন মনে করি না। দুঃখিত।
loading...
আমার এই লিখাগুলো পত্রিকা পড়ার ফলাফল। আর এখানে প্রত্যেকে যার যার অবস্থান থেকে যার যার ভাবনা অনুযায়ী পোষ্ট করবেন। এটাই ব্লগের সংজ্ঞা। আমি সেই চিন্তাধারা মাথায় রেখে এখানে লিখালিখি করছি।
ভালো থাকুন।
loading...
বাংলাদেশের ভঙ্গুর অর্থনীতি অসাধু মানুষের জন্য কোনদিনই আর পারফেক্ট হবেনা। বিচার হবে না এই কেলেংকারীর নেপথ্যের মানুষদের। অদূরদর্শী সব অযোগ্য মানুষের ভীড়ে আমাদের দেশ। দুঃখজনক।
loading...
আর এই সম্পূর্ণ সিস্টেমটাই আমাদের তৈরি করা।
loading...