মেয়েরাই বাবা-মায়ের দেখাশোনায় এগিয়ে

প্রথমবারে মতো বাবা-মা হওয়ার সময়ও ছেলে সন্তানেরই আশা করে থাকেন বেশিরভাগ দম্পতি। এর সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে সামাজিক মর্যাদা ও নিরাপত্তা। বেশিরভাগ বাবা-মাই মনে করে থাকেন, ‘মেয়েদের তো বিয়ে দিয়ে দেব, তারা পরের ঘরে চলে যাবে। তাই বৃদ্ধ বয়সে ছেলে সন্তানদের কাছেই আমাদের থাকতে হবে এবং তারই তো আমাদের দেখভাল করবে।’

কিন্তু সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, এই ধারণাটি ঠিক নয়, পুরোপুরি ভুল।

ওই গবেষণায় দেখা যায়, একটা মেয়ে তার বৃদ্ধ বাবা-মায়ের পরিচর্চায় মাসে ১২.৩ ঘণ্টা সময় দেয়। বিপরীতে একটা ছেলে সময় দেয় মাত্র ৫ দশমিক ৬ ঘণ্টা। অর্থাৎ মেয়েদের তুলনায় অর্ধেকেরও কম সময় দেয় ছেলেরা।

একটা মেয়ে তার বাচ্চা-কাচ্চা, চাকরি এবং সংসারের হাজারটা সমস্যা সামাল দেয়ার পরও অন্য কারো সাহায্য ছাড়াই অনেক আন্তরিকতার সঙ্গে বৃদ্ধ বাবা-মায়ের দেখভাল করে থাকেন। অন্যদিকে ছেলে সন্তানেরা এ কাজটা করে থাকেন বোন, স্ত্রী কিংবা কোনো কাজের লোকের সহায়তায়। তারপরও বাবামায়ের যত্নে তাদের মধ্যে গাফিলতি দেখা যায়।

বেসরকারি ওই সংস্থাটি পঞ্চাশোর্ধ ২৬,০০০ লোকের উপর জরিপ করার পরই এ কথা জানিয়েছে।

অথচ যুগের পর যুগ ধরে আমরা এই ভ্রান্ত ধারণাটা নিয়ে বসে আছি যে, কেবল ছেলেরাই বৃদ্ধ জনক জননীর দেখভাল করবে। আসলে বৃদ্ধ বাবা-মায়ের সেবাযত্নের ক্ষেত্রে লিঙ্গ কোনো ফ্যাক্টর নয়, দরকার কেবল একটা মায়াভরা মন। তাই মেয়ে বা ছেলে যাই হোক না কেন, সব সন্তানকেই সমান স্নেহ মমতায় বড় করে তুলতে হবে। তাদের প্রকৃতপক্ষে মানুষ বানাতে হবে। তারা মানবিকভাবে বেড়ে উঠার সুযোগ পেলে তবেই না বৃদ্ধ পিতামাতার যত্ন করবে। নইলে তো তারা কেবল নিজেদের অর্থিক উন্নতির চেষ্টা করবে। এ সমস্ত সন্তানদের কাছে বাবা-মায়েরা তো কেবলই বোঝা। বুড়ো বাবা-মায়েদের জন্য তারা তো নিজেদের মধ্যে কোনো টানই অনুভব করে না, যত্ন করবে কি করে?

GD Star Rating
loading...
GD Star Rating
loading...
এই পোস্টের বিষয়বস্তু ও বক্তব্য একান্তই পোস্ট লেখকের নিজের,লেখার যে কোন নৈতিক ও আইনগত দায়-দায়িত্ব লেখকের। অনুরূপভাবে যে কোন মন্তব্যের নৈতিক ও আইনগত দায়-দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট মন্তব্যকারীর।
▽ এই পোস্টের ব্যাপারে আপনার কোন আপত্তি আছে?

৫ টি মন্তব্য (লেখকের ০টি) | ৫ জন মন্তব্যকারী

  1. মুরুব্বী : ০৭-০১-২০২০ | ৮:৪০ |

    মেয়ে বা ছেলে যাই হোক না কেন, সব সন্তানকেই সমান স্নেহ মমতায় বড় করে তুলতে হবে। তাদের প্রকৃতপক্ষে মানুষ বানাতে হবে। তারা মানবিকভাবে বেড়ে উঠার সুযোগ পেলে তবেই না বৃদ্ধ পিতামাতার যত্ন করবে। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_good.gif

    GD Star Rating
    loading...
  2. সুমন আহমেদ : ০৭-০১-২০২০ | ১২:২০ |

    শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

    GD Star Rating
    loading...
  3. সৌমিত্র চক্রবর্তী : ০৭-০১-২০২০ | ২০:৪৮ |

    শেয়ারিং এ শুভেচ্ছা বোন সুরাইয়া নাজনীন। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_heart.gif

    GD Star Rating
    loading...
  4. রিয়া রিয়া : ০৭-০১-২০২০ | ২১:৩৩ |

    অনেক অনেক শুভেচ্ছা প্রিয় দিদি ভাই। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_rose.gif

    GD Star Rating
    loading...
  5. যুনাইদ : ১১-০১-২০২০ | ১৭:২২ |

    এই ধরনের লেখার জন্য আপ্নাকে সূত্র উল্লেখ করতে হবে কোথা থেকে এই ডাটা পেয়েছেন। সেটা দিলেই লেখার বক্তব্য গ্রহনযোগ্য হবে।

    তবে আপনার লেখা সব ক্ষেত্রে ঠিক নয়। ছেলে বা মেয়ে হোক বাবা মার দায়িত্ব সবারই থাকে।

    GD Star Rating
    loading...