আর নয় পরীক্ষার ভয়
পরীক্ষা এলেই শিশুরা ভয় পেয়ে থাকে। কীভাবে পরীক্ষা দেবে বা ভালো ফল হবে- এসব ভীতিকর পরিস্থিতি কাজ করে তাদের মনে। সেই সঙ্গে মা-বাবাও দুশ্চিন্তায় পড়েন। এ জন্য পরীক্ষা নিয়ে শিশুদের মধ্যে অতিরিক্ত উদ্বেগ কাজ করে। তবে শিশুদের পরীক্ষার ভয়ভীতি দূর করতে বাবা-মায়ের অনেক করণীয় রয়েছে। খবর-আনন্দবাজার পত্রিকা।
আসুন জেনে নিই শিশুর পরীক্ষাভীতি দূর করবেন কিভাবে-
শিশুকে সময় দিন। পরীক্ষার দুই মাস আগে থেকেই শিশুকে সময় দিন। মাথা ঠাণ্ডা করে পড়ান। কোনো কারণে শিশুর ওপর অতিরিক্ত রেগে যাবেন না।
রুটিন বানিয়ে দিন। শিশুর পড়ার জন্য রুটিন বানিয়ে দিন। গোসল, খাওয়া, ঘুম ও খেলা করতে সময় দিন।
পড়ার প্ল্যান। কীভাবে পড়বে তার প্ল্যান করে দিন। যেসব বিষয়ে দুর্বল সেগুলো বেশি করে পড়তে বলুন। পড়ার বিষয়গুলো মনে রাখতে গল্প আকারে পড়ান। পড়াগুলো বারবার লেখার অভ্যাস করুন। তা হলে মনে থাকবে বেশি।
অতিরিক্ত চাপ। পরীক্ষার সময়টায় শিশুকে অতিরিক্ত চাপ দিয়ে নয়; বরং আগ্রহ সৃষ্টি করে পড়ানো উচিত। আর আগ্রহ সৃষ্টি করতে সারাক্ষণ পড়তে না বসিয়ে রেখে বরং মাঝে মাঝে বিরতি দিন।
তাড়াতাড়ি পড়া শেষ করতে হবে। পরীক্ষা চলে এসেছে দেখে সবসময় অনেক পড়া আছে, তাড়াতাড়ি পড়া শেষ করতে হবে- এসব বলে ভয় দেখিয়ে পড়ানোর চেষ্টা করা উচিত নয়।
পরীক্ষা খারাপ হয়ে গেলে। কোনো একটি পরীক্ষা খারাপ হয়ে গেলে তা নিয়ে বকাঝকা করলে পরবর্তী পরীক্ষা নিয়ে আরও বেশি ভীত হয়ে পড়ে। ফলে পরবর্তী পরীক্ষাটিও খারাপ হতে পারে।
রাত জেগে পড়া। পরীক্ষার আগের রাতে রাত জেগে পড়তে দেয়া উচিত নয়। কারণ রাত জেগে পড়লে পরীক্ষার দিন শারীরিকভাবে অসুস্থবোধ করে।
পরীক্ষার ফল। সন্তানকে আশ্বস্ত করুন যে ফলই করুক, আপনি কোনোরকম অসন্তুষ্ট হবেন না। পরীক্ষার আগের রাতেই পেনসিল বক্সটি গুছিয়ে রাখুন। পরীক্ষার দিন তাড়াহুড়ো করলে কোনো কিছু বাদ পড়ে যেতে পারে।
সঙ্গে করে স্কুলে নিয়ে যান। বিশেষ করে পরীক্ষার সময় শিশুকে সঙ্গে করে স্কুলে নিয়ে যেতে হবে। যাওয়ার সময় তাকে সাহস দিন। তুমি সব পারবে।
loading...
loading...
শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ সুরাইয়া নাজনীন।
loading...
শিশুদের পরীক্ষার ভয়ভীতি দূর করতে বাবা-মায়ের অনেক করণীয় রয়েছে।
loading...
শিশুদের পরিচর্যা সহজ কাজ নয়। বেশীর ভাগ শ্রম মায়ের উপর দিয়েই যায়।
loading...
আপনার সুন্দর যুক্তিযুক্ত পরামর্শ সংবলিত পোস্টখানা শব্দনীড়ের সবার মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
loading...
শিশুদের প্রতিপালনে মায়ের ভূমিকাই সবচে বেশী দিদি ভাই।
loading...
করণ করণীয় দেখছি সবই শেয়ার হয়ে গেছে বোন সুরাইয়া নাজনীন। শুভেচ্ছা।
loading...
loading...