হাঁটার সঠিক নিয়ম

হাঁটার সঠিক নিয়ম

আজকাল মেদ কমাতে বা সুস্থ থাকতে অনেকেই ব্যায়ামের পরিবর্তে হাঁটাহাঁটিকে বেছে নিচ্ছেন। অফিসে যাতায়াত, কেনাকাটা, বাজার বা দোকানের যাওয়ার সময় গাড়ি বা রিকসায় না উঠে হেঁটে যাওয়া অবশ্যই ভালো। তবে এতে খুব একটা মেদ ঝরে না। মেদ ঝরাতে গেলে কিছু নিয়ম মেনে হাঁটতে হবে। কখন হাঁটবেন আর কত সময় ধরে হাঁটবেন এর কিন্তু কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। এসব নিয়ম না জানলে আপনার মেদ ঝরানোর চেষ্টা সফল নাও হতে পারে।

সপ্তাহে ২৫০ মিনিট: সপ্তাহে কমেপক্ষে পাঁচদিন এবং মোট ২৫০ মিনিট হাঁটতে হবে। গড়ে কমপক্ষে ৪০ মিনিট। এটুকু হাঁটলে কেবল মেদ ঝরাবে তা-ই নয়, এই দীর্ঘ ক্ষণ হাঁটা হার্টের অসুখ ভাল করে। কোলেস্টেরল কমায়। কিন্তু কেবল সময় মানলেই হবে না। জানতে হবে আরও কিছু নিয়ম।

একটানা রাস্তায় হাঁটুন: হাঁটতে হবে একটানা বা সোজা রাস্তা ধরে। বারবার থমকে, ঘন ঘন দিক বদলে হাঁটার চেয়ে টানা হাঁটায় উপকার বেশি। তাই বাড়ির ছাদে বা লনে না হেঁটে সোজা রাস্তা ধরে হাঁটা ভালো।

পরিবেশ বান্ধব রাস্তা: হাঁটার জন্য এমন পথ বেছে নিন যেখানে ধোঁয়া, যানজট বা বড় গাড়ির উপস্থিতি নেই। গলিপথগুলো হাঁটার জন্য ভাল। হাঁটার সময় বার বার যানবাহনের উপদ্রবে দাঁড়াতে হলে তা হাঁটায় বিঘ্ন ঘটায়। আর যানবাহনের ধোঁয়া তো শরীরের জন্যও ভাল নয়। তাই পার্ক বা উদ্যানই হাঁটাহাঁটির জন্য সবচেয়ে উপকারি।

একা হাঁটুন: দলবেঁধে হাঁটতে বের না হওয়াই ভালো। এতে হাঁটার বদলে গল্পই বেশি হয়। অনেকে তো গল্পের কারণে হাঁটার গতি কমিয়ে দেন। এই অভ্যাসগুলো কিন্তু মেদ কমানোর পথে বাধা হতে পারে। মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতেও হাঁটবেন না। এতে হাঁটার গতি শ্লথ হয় ও বেশি দূর হাঁটা যায় না।

হেডফোনে গান শুনতে পারেন: দুশ্চিন্তা বা উদ্বেগ বাড়াবে এমন কিছু ভাবতে ভাবতে হাঁটা ভালো নয়। এসব উদ্বেগ কমাতে হাঁটার সময় ইয়ারফোন বা হেডফোনে গান শুনতে পারেন। এতে ফিল গুড হরমোনের জোগান যেমন বাড়বে, তেমনই হাঁটার রিদ্‌ম কমবে না। তবে ব্যস্ত রাস্তায় হাঁটলে হেডফোন অবশ্যই এড়িয়ে চলুন।

আরামদায়ক জুতা: হাঁটার সময় কী ধরনের জুতো পরছেন, তার দিকে খেয়াল রাখুন। এমন জুতো বেছে নিন যাতে পায়ের আরাম হয় । অনেকটা রাস্তা হাঁটা যায়, এমন স্পোর্টস শু বা পাম্প শু পরতে পারলে ভালো হয়।

খালিপেটে হাঁটা নয়: হাতে বা পিঠে অনেক বোঝা নিয়ে হাঁটা ঠিক নয়। এতে ক্লান্তি বাড়বে, বেশিক্ষণ হাঁটা সম্ভব হবে না। হাঁটার নির্দিষ্ট কোনও সময়ও নেই। সকালে সময় না পেলে বিকেলে বা সন্ধেয় হাঁটুন। রাতে খাওয়াদাওয়ার পরেও হাঁটতে পারেন। তবে খুব ভরাপেটে বা খালিপেটে হাঁটা ঠিক না।

ডাক্তারের পরামর্শ: পায়ে বা হাঁটুতে বা কোমরে সমস্যায় থাকলে অবশ্যই হাঁটার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া জরুরি। দিনে কতটুকু হাঁটলে আপনার হাড় ও স্নায়ু সহ্য করতে পারবে তা জেনে তবেই হাঁটা শুরু করা উচিত।

GD Star Rating
loading...
GD Star Rating
loading...
এই পোস্টের বিষয়বস্তু ও বক্তব্য একান্তই পোস্ট লেখকের নিজের,লেখার যে কোন নৈতিক ও আইনগত দায়-দায়িত্ব লেখকের। অনুরূপভাবে যে কোন মন্তব্যের নৈতিক ও আইনগত দায়-দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট মন্তব্যকারীর।
▽ এই পোস্টের ব্যাপারে আপনার কোন আপত্তি আছে?

৬ টি মন্তব্য (লেখকের ০টি) | ৬ জন মন্তব্যকারী

  1. মুরুব্বী : ০৩-০৯-২০১৯ | ২১:২১ |

    খুবই প্রয়োজনীয় পোস্ট। বিশেষ করে আমার প্রয়োজন। ধন্যবাদ সুরাইয়া নাজনীন।  https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_good.gif

    GD Star Rating
    loading...
  2. সুমন আহমেদ : ০৩-০৯-২০১৯ | ২১:৩০ |

    আজকাল মুটিয়ে যাচ্ছি। আমারও কাজে লাগবে মনে হচ্ছে। Smile

    GD Star Rating
    loading...
  3. সৌমিত্র চক্রবর্তী : ০৩-০৯-২০১৯ | ২১:৪৫ |

    পারফেক্ট পোস্ট বোন সুরাইয়া নাজনীন। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_heart.gif

    GD Star Rating
    loading...
  4. রিয়া রিয়া : ০৩-০৯-২০১৯ | ২২:২৬ |

    শুভেচ্ছা দিদি ভাই। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_rose.gif

    GD Star Rating
    loading...
  5. শাকিলা তুবা : ০৩-০৯-২০১৯ | ২২:৫২ |

    আহা আমি যদি আপনার পরামর্শ মতো হাঁটা চলা করতে পারতাম !! পারি না।

    GD Star Rating
    loading...
  6. নিতাই বাবু : ০৪-০৯-২০১৯ | ০:৩৬ |

    এতো কিছু তো আগে চিন্তাভাবনা করে হাঁটিনি! এসব বিষয়ে ভাবিওনি। যাক, এখন থেকে আপনার পরামর্শ কাযে লাগাতে হবে৷ আপনাকে ধন্যবাদ।      

    GD Star Rating
    loading...