ওপার বাংলার কলেজ স্কোয়ারে সড়কের এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে আছি। বেশ রাত। আনুমানিক এগারোটা বাজে। এ সময় একজন মধ্যবয়স্ক দীর্ঘকায় লোক কোনও বিশেষ ঠিকানা বা কোনওকিছু জানতে চাইলে, আমি আমার আয়ত্তের মধ্যে তাকে যথাসম্ভব সাহায্য করি। লোকটা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে গা’য়ে পড়ে আমার সঙ্গে আলাপ জমাতে লাগলো। এব্যাপারে আমার মোটেও কোনও আগ্রহ ছিলো না। তারপরও সমাজ রক্ষার্থে কথোপকথনে অনিচ্ছাসত্ত্বেও জড়িয়ে পড়ি। বয়সে বড় কাওকে সরাসরি বলতেও পারি না যে, আমি এখন বেশি কথা বলতে চাচ্ছি না! এক পর্যায়ে আমার ভাষা শুনে সে বুঝতে পারে, আমি বাংলাদেশী। আমিও কথায় কথায় তাকে দ্বিধাহীন জানিয়ে দেই, বাংলাদেশ থেকে এসেছি, ট্যুরিস্ট, অমুকদিন এসেছি, তমুকদিন যাবো ইত্যাদি। তারপর এক পর্যায়ে সেই ভদ্রলোক তার পরিচিত আরও কোনও বাংলাদেশীর কথা বলতে লাগলো আমাকে; ভারতে পরিচয়, হিন্দু, বাংলাদেশের বিশেষ জায়গায় বাড়ি, নাম ইত্যাদি। যে কোনও কারণেই হোক লোকটা অনেকটা নিশ্চিত ছিলো যে, আমি হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। এ পর্যায়ে আমি সেখান থেকে যেতে উদ্যত হই। লোকটা আসলে চাইছিল যে, আমার সাথে পথ চলতে চলতে কিঞ্চিত এই পরিচয়টাকে আরও স্থায়ী করতে। বেশ হাসিখুশি উজ্জ্বল মুখে তখন আমাকে সে আচানক জিজ্ঞেস করে বসলো, “আপনি তো হিন্দু তাই না?” এমনিতেই বিরক্তির পারদ উপরে চড়া ছিলো, তারপর আবার এরকম অপ্রয়োজনীয়, অনাকাঙ্ক্ষিত, অর্থহীন ব্যক্তিগত প্রশ্ন! আমি উত্তরে বেশ খানিকটা কঠিন স্বরে সোজাসাপ্টা বললাম যে, “আমি হিন্দু কিনা সেটা জেনে তার কি হবে? চেনা নেই জানা নেই অকস্মাৎ এভাবে অপরিচিত কাওকে সে হিন্দু কিনা জিজ্ঞেস করার কোনও অর্থই হয় না!” খুবই বিরক্ত হয়েছিলাম হঠাৎ এরকম প্রশ্নে।
(আগামী পর্বে সমাপ্য)
loading...
loading...
ধর্মান্ধতা কোন ধর্ম বা ধর্মাচার নয়।
লিখাটা ভাল হয়েছে তবে আরো তথ্য সম্বৃদ্ধ হতে পারতো।
শুভকামনারইলো
loading...
ধন্যবাদ। এব্যাপারে আরও কিছু বলার আছে। (আগামী পর্বে সমাপ্য)।
loading...
্মানুষের প্রতি সহনশীল হোন।
loading...