আধুলি // রুকসানা হক

আধুলিটা আকাশের দিকে বিদ্যুৎ গতিতে ছুটে চলেছে, ক্রমাগত ছুটছেই। বিশাল বিশাল বৃক্ষ পল্লবের মাথা ছাড়িয়ে, বাতাসকে পাশ কাটিয়ে ছুটেই চলেছে। ফিরে আসার নামটিও নেই।

নোলক স্তব্ধ হয়ে বসে আছে, কোঁকড়ানো যন্ত্রণা পরবাসী অস্তিত্বে জমা রেখে প্রতীক্ষার প্রহর গুনছে, পাণ্ডুবর্ণ বিষণ্ন তার মুখ। আপন মনেই কথা বলে
ঃ তোমাকে আর ফিরিয়ে আনবো না। আধুলি তুমি মুক্ত।

আধুলিটা মেঘের উপরে উঠে গেছে, কোন এক মহাকর্ষ শক্তিবলে সে আকাশের ঠিকানা খুঁজে পেয়েছে। বিশাল নীলেই যেন তার অবমুক্তি। নোলক চেয়ে আছে, মিটি মিটি হাসছে। মুক্তির অদ্ভুত স্বাদ দু’চোখের অক্ষিগোলকে জমা রেখে হৃদয় মন দিয়ে চেটে পুটে পান করছে তা।

সে তো আর বাসন্তী রঙ শাড়ি নিংড়ে নদীপাড়ে কাশবনে ছুটে চলতে পারে না। তার পায়ে বাঁধা বিরাট শেকল। অকস্মাৎ খিলখিল করে হেসে ওঠে সে। নিজের পায়ের দিকে তাকায়। তার হাসিটা পোড়ো জমির ফাটলের বুকে ভারী চাকার ক্লিষ্ট শব্দের মত মনে হচ্ছিল।

সে পশু হয়ে জন্মায়নি, ভীষণ রকম এক সৌভাগ্য তাকে মানবজন্মের খ্যাতিতে পূর্ণ করে রেখেছে। পশু হলে তো শেকলটা গলায় বাঁধা থাকতো। পশুর হাত অচল বলেই গলাই তার উপযুক্ত বাঁধনের স্থান। কিন্তু নোলকের তো আবার হাত চলে। পায়ে শেকল পরানোটাই নিরাপদ। দশ গজ লম্বা লোহার শেকলের একপ্রান্ত নোলকের পায়ে আর অন্য প্রান্ত পাকা খুঁটির সাথে বাঁধা।

আধুলি ছুটছে।
অস্পষ্ট ধোঁয়াশায় মোড়া এক উদ্ভিন্ন গোধূলির ভাষায় একা একা কথা বলে নোলক। নিজেকে ধিক্কার দিতে থাকে। কেনো যে মাথায় মাঝে মাঝে খুন চেপে যায়। সেদিন কেনোই বা বুয়াকে ওভাবে কষ্ট দিল ? আবারো খিলখিল করে হেসে ওঠে। ঊর্ধ্বপানে আধুলির দিকে অনিমেষ চেয়ে থাকে।

খুব মধুর স্বরে বুয়াকে ডাকতে ইচ্ছে হয়েছিল তার
ঃ বুয়া একটু আমার কাছে এসো না। পিঠ চুলকাচ্ছে। হাত দিয়ে নাগাল পাচ্ছি না। আমার পিঠটা চুলকে দাও না ?
ঃ না আপা আপনি আমাকে মারবেন। আমি পারবো না।
ঃ না না কি বলো বুয়া ? আমি মারবো কেনো ? আমার মাথা এখন পুরোপুরি ঠাণ্ডা।

অনুনয় বিনয় করে বুয়াকে ডেকে এনেছিল কেনো যে, সে নিজেও বুঝতে পারে না। বুয়া সরল মনে কাছে আসতেই বুয়ার শাড়ি দিয়েই গলা পেঁচিয়ে ধরলো নোলক। একটা অদ্ভুত আনন্দ আছে এমন কাজে। বুয়া র জিহ্বাটা যখন বাইরে বের হয়ে আসছিল কেমন যেন একটা স্নিগ্ধ পুলক অনুভব করেছিল সে। কিন্তু শেষ মেশ কিছুই হলো না। বুয়া গগনবিদারী চিৎকার দিলো —– “ও মাগো আমাকে মেরে ফেললো গো”
সাথে সাথেই দৌড়ে এলো ঘরের ছোটবড় সবাই। তুমুল ধ্বস্তাধস্তি করে বুয়াকে ছাড়িয়ে নিলো।

বসে বসে এখন ভাবছে নোলক, এসব কি না করলে হতো না ? সবাই তাকে পাগল ভাবছে। শেকল পরিয়ে রেখেছে। কিন্তু মানুষের গ্রীবা খুব আকর্ষণীয় মনে হয় নোলকের কাছে। কাছে পেলেই খপ করে ধরে ফেলতে ইচ্ছে করে।

আধুলির ছুটে চলাটাও খুব ভালো লাগছে। আধুলি আকাশের বুকে গিয়ে থামবে, একটা নতুন নক্ষত্রের মতই আকাশের গায়ে চকচক করবে। পৃথিবীসুদ্ধ মানুষ যেমন হ্যালির নামে ধুমকেতুকে চিহ্নিত করে ঠিক তেমনি এই নক্ষত্রের নাম চিহ্নিত করবে নোলকের নামে। নাম হবে নোলকের নক্ষত্র।

অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে সে। বাড়ির সবাই কেমন ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ওরা হয়তো ভাবছে মাথাটা আরো গরম হয়ে গেলো কিনা ? এমনিতেই একটা অলিখিত সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ রয়েছে তার চারপাশ জুড়ে, কাছে এলে বিপদ অথবা একশ’ হাত দূরে থাকুন এ জাতীয় কথা দিয়ে।

মণিকে দেখলেই খুব আদর করতে ইচ্ছে করে নোলকের।
মনি কিছুতেই বোঝে না এ ছন্নছাড়া ফুপিটির অন্তঃস্থিত শিশিরের প্রহ্লাদ। একমাত্র ভাইয়ের ছেলে দশ বছরের মনির জীবনের বড় অংশ কেটেছে নোলকের স্নেহে।

চারমাসের শিশু মনিকে ফেলে রেখে মনির মা রাগ করে সেই যে বাপের বাড়ি গেলো, আর ফিরে এলো না। মনির লালন পালনের সম্পূর্ণ দায়িত্ব পড়লো নোলক আর তার মায়ের উপর। মা মেয়ে মিলে মনিকে কোলেপিঠে করে বড় করলেন। মনির জন্য কতরাত যে নোলককে জেগে থাকতে হয়েছিল তার হিসেব নেই। অথচ সেই মনি এখন তার কাছে আসে না। একটা ভয়ংকর ভয় ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে এ ছোট শিশুটির মনে।
মনি বল নিয়ে খেলছিল।
প্রাণপণে ডাকলো নোলক
ঃ মনি একটু কাছে আয় বাবা।

ডাক শুনেই ভয়ার্ত চোখে তাকালো শিশুটি। বলটা হাতে নিয়ে দিলো ভোঁ দৌড়। আহত হলো নোলক। আধুলির ছুটে চলাটা দেখানোর বড় ইচ্ছে ছিল তার। একদিন সে থাকবে না এ পৃথিবীতে। আকাশের গায়ে সেঁটে থাকা আধুলি অনন্তকাল ধরে বলে যাবে বেদনার তুমুল বর্ষণে গৃহবন্দী এক যুবতীর কথা। সে কথাটাই বলতে চেয়েছিল মনিকে।

আজকাল মাকেও মনে পড়ে খুব।
নোলকের জীবনের ভয়ংকর সে রাতের কাহিনী না জেনেই মা পাড়ি দিলেন না ফেরার দেশে। সে বলেনি কাউকে। বললেই বা কি হতো ? হয়তো অনেক হইচই হতো। মঈনুল কে মারধোর করা হতো, বড় জোর তাড়িয়ে দেয়া হতো বাড়ি থেকে। তাতে কি নোলক তার সম্ভ্রম ফিরে পেতো ? যে ক্ষতিটা তার হয়েছিল তা কি পোষানো যেতো ?

হঠাত চোখ বেয়ে গলগল করে অশ্রুর প্লাবন নেমে এলো তার। চিৎকার করে কাঁদতে শুরু করলো। সবাই ভাবলো আবার শুরু হয়েছে এই হাসি এই কান্না। ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে। অবস্থা ক্রমেই খারাপের দিকে যাচ্ছে।

বড় বোন নীলম আদুরে গলায় জিজ্ঞেস করলো
ঃ কি রে শরীর খারাপ লাগছে ?
মাথা নেড়ে জবাব দিলো নোলক —
ঃ না
ঃ তবে কাঁদছিস কেনো ? এই না হাসতে হাসতে মরে গেলি।
ঃ আমি মরে গ্যাছি ? কই ? বলেই একটা খামচি দিলো নিজের হাতে, চুলে সজোরে টান দিল
ঃ না মরি নি তো আপা ? ব্যথা পাচ্ছি তো। মড়ারা কখনো ব্যথা পায় ?

নীলম চোখ মুছতে মুছতে চলে যায়।
নোলক ভাবে আধুলিটা যদি মঈনুলের কপালে গিয়ে সজোরে আঘাত করতো ? না তা করবে কি করে ? মঈনুল হারামজাদা তো গাড়ির নিচে পড়ে চ্যাপ্টা হয়ে গ্যাছে। আকাশের কোথাও যদি কদর্য কিছু হয়ে লটকে থাকে এই দুরাত্মা, তবে হয়তো সেখানে গিয়ে আঘাত হানতে পারে আধুলি। কিন্তু আধুলিটা চিনবে কি করে এই শয়তানকে ?

মঈনুলের কথা মনে হতেই একটা কষ্ট শিরদাঁড়া বেয়ে মাথার সূক্ষ্ম ছিদ্রে এসে থামল। অভিশপ্ত সময়ের পলাতক কান্নার ধ্বনি ছড়িয়ে পড়লো ঘুটঘুটে অন্ধকার সে রাত্রির চিৎকারে।

সে বীভৎস রাতে নিজের রুমে দরোজা ভেজিয়ে ঘুমিয়েছিল নোলক। তখন মাত্র ক্লাশ টেনে ছিল সে। সুযোগ বুঝে পশুর মত ঝাঁপিয়ে পড়েছিল মঈনুল। কিছুতেই ছাড়াতে পারেনি নিজেকে। শিয়রে জমে থাকা বীভৎসতার প্রগলভ উচ্চারণে আত্মহত্যা করতে ইচ্ছে হয়েছিল তার। গলায় ওড়না পেঁচিয়ে সজোরে টান ও দিয়েছিল। কিন্তু মৃত্যুকে ছুঁতে পারেনি সে। এক দীর্ঘমেয়াদী স্তব্ধতার ভেতর আটকানো যেন তার উত্তরের বাতাস। সেখানে মৃত্যুর অস্তিত্ব ক্ষীণ।

একদিন খবর এলো মঈনুল ট্রাকচাপায় নিহত হয়েছে। নোলক চিৎকার করে উঠেছিল, সে চিৎকারের ভেতরে নিহিত ছিল প্রচন্ড ক্ষোভ আর ঘৃণা। প্রতিমুহূর্তে ওর মৃত্যু কামনা করলেও এতো সহজ মৃত্যু সে চায়নি কিছুতেই।

মঈনুল নামটা উচ্চারন করেই হো হো হাসিতে ফেটে পড়লো নোলক। তখন সর্বস্ব হারিয়ে কয়েকদিন উদ্ভ্রান্তের মত ছিল। কতবার মাকে বলতে চেয়েছে কিন্তু কিছুই বলা হয় নি তার। ভেতরে ভেতরে গুমরে মরেছে, অথচ কেউ বুঝতেও পারেনি নোলকের হিমের কাফনে জড়ানো গ্লাণির ভাষা।

মঈনুলদের মতো দুরাত্মারা মরে না, ওরা শতাব্দীর পর শতাব্দী বেঁচে থাকে।

মাথায় প্রচন্ড যন্ত্রণা হতো। বীভৎস সে দৃশ্য চোখের সামনে ভেসে উঠলে ঘৃণায় নিজের শরীরে থু থু ছিটোতো। চামড়া খামচে খামচে রক্তাক্ত করতো। প্রতিদিন আট থেকে দশবার গোসল করেও মনে হতো নিজেকে অপবিত্র।

তার এই অদ্ভুত পরিবর্তন লক্ষ্য করছিল সবাই। পরামর্শ চলছিল দিনের পর দিন। ঠিক এমনি এক সময় হঠাৎ দু’দিনের ডাইরিয়ায় মা মারা গেলেন। সম্পূর্ণ অসহায় হয়ে গেলো নোলক। সে শোক আর সইতে পারেনি সে।

ঘরের জিনিসপত্র তার কাছে ভয়ংকর শত্রুর মত মনে হতো। আছড়ে আছড়ে ভাঙত সব কিছু। কারো গলা দেখলে ভীষণ ইচ্ছে করতো চেপে ধরতে। এভাবে কয়েকজনকে ধরার পরই তার পায়ে শেকল পরান হলো।

আধুলিটা মেঘের স্তর পার হয়ে গ্যাছে। উল্কার গতিতে ছুটে চলেছে। সেই ছুটে চলা মুহূর্তগুলোর আনন্দ প্রাণভরে উপভোগ করছে নোলক। খিল খিল করে হাসছে। অন্তত এই আধুলিটা মঈনুলের কদর্যতা খুঁজে বের করবে।

এই আধুলি কোথায় পেয়েছিল মনে করতে পারেনা নোলক। তবে ঝাড়ফুঁকের একটা অংশ যে এ আধুলি তা বুঝতে দেরি হয়নি তার। তাইতো একে ছুঁড়ে একবারে আকাশের ঠিকানায় পাঠিয়ে দিয়েছে।

তার এখন একটাই লক্ষ্য, কুৎসিত মঈনুলকে খুঁজে বের করা। সে চেয়েছিল মঈনুলকে নিজহাতে শাস্তি দেবে। কিন্তু কুলাঙ্গারটা ভোরের আলো ফোটার আগেই পালিয়ে গিয়েছিল সেদিন।

এখন এ শক্তিমান আধুলি পশুটাকে খুঁজে বের করুক। ওর মৃত কপালে আঘাত করুক।

নোলকের মামাতো ভাই লিটন ইংল্যান্ডে থাকে। ওখানে স্থায়ী বসবাস তার। কিছুদিনের জন্য দেশে বেড়াতে আসে সে। দেশে ফিরেই নোলককে দেখতে আসে। শেকল বাঁধা মেয়েটাকে দেখে কষ্টে মুষড়ে পড়ে। বড় আপাকে অনুরোধ করে –
ঃ আপা ওকে খুলে দাও।
ঃ ও খুব ভায়োলেন্ট হয়ে যায় রে
ঃ কিচ্ছু করবে না। আমি দেখবো।
ঃ না তুই সামলাতে পারবি না

বড় আপা খুলে না দিলেও লিটন নোলকের শেকলটা খুলে দিয়ে ওকে মুক্ত করে। নোলক যেখানে বসা ছিল সেখানেই বসে থাকে। লিটন কাছে গিয়ে বলে
ঃ তুমি এখন মুক্ত নোলক। এসো আমরা বাইরে যাই।

নোলক হাসে। এমন মুক্তি যেন সে চায়নি কোনকালে। দাঁত দিয়ে নখ খুঁটতে খুঁটতে বলে
ঃ কেনো খুলে দিয়েছো শেকল?
ঃ তোমাকে বাঁধা দেখতে আমার ভালো লাগে না তাই।
ভ্রু কুঁচকে লিটনের দিকে তাকায় নোলক।
মুহূর্তেই মঈনুলের কুৎসিত অবয়ব যেন দেখতে পায় লিটনের মাঝে। ভয়ে কুঁকড়ে গিয়ে খাটের কোণায় জড়সড় বসে থাকে। ভয়ে থরথর কাঁপছে মেয়েটা।

লিটন অবাক হয়।
ঃ কি হয়েছে নোলক, এমন করছো কেনো?
ঃ আমার আধুলিটা? আধুলিটা কোথায়?
হন্যে হয়ে আধুলি খুঁজতে থাকে। আধুলিটা ছুঁড়ে মারতে চায়। কিন্তু অনেক আগেই ওটা ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিল সে।

উপরে তাকায়, আকাশ খুঁজে, যেন আকাশেই আধুলিটা সেঁটে আছে।

কিসের আধুলি কি আধুলি লিটন কিছুই বুঝতে পারে না। তবে এটা বুঝে মেয়েটাকে যেকোন ভাবেই সুস্থ করে তুলতে হবে।

সে জানে নোলককে সুস্থ করে তোলা খুব সহজসাধ্য নয়। পরিবেশ পরিস্থিতি কোনভাবেই নিজের অনুকূলে থাকবে না। লিটনের ভাবনার আকাশ জুড়ে যে নোলক তার সামান্যতম স্থান যে এ সুস্থ সমাজে নেই, এ ক’দিনে হাড়ে হাড়ে তা বুঝতে পেরেছে সে।

ধীরে ধীরে নোলক যেন কোন এক বিশ্বাসের আকাশ খুঁজে পাচ্ছে, যেখানে মঈনুলরা থাকেনা, থাকেনা তাদের কদর্য নোংরা হাত। তার আধুলির গতিপথে ছোট ছোট অনুভূতি জড়ো হতে থাকে। যে অনুভূতিগুলো সেই নোংরা রাতের বীভৎসতায় পচেগলে একাকার হয়ে গিয়েছিল।

এখন আর বিছানার কোণে নিজেকে জড়োসড়ো করে লুকোতে চায় না নোলক। এখন সে উন্মোচিত হতে চায়।

GD Star Rating
loading...
GD Star Rating
loading...
এই পোস্টের বিষয়বস্তু ও বক্তব্য একান্তই পোস্ট লেখকের নিজের,লেখার যে কোন নৈতিক ও আইনগত দায়-দায়িত্ব লেখকের। অনুরূপভাবে যে কোন মন্তব্যের নৈতিক ও আইনগত দায়-দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট মন্তব্যকারীর।
▽ এই পোস্টের ব্যাপারে আপনার কোন আপত্তি আছে?

২০ টি মন্তব্য (লেখকের ৯টি) | ৯ জন মন্তব্যকারী

  1. মুরুব্বী : ২১-০৭-২০১৯ | ১৫:১১ |

    লিখাটি পড়তে গিয়ে প্রথম প্রথম আমি শিউরে উঠেছিলাম। ধাতস্ত হবার জন্য সময় নিয়েছি। আবার শুরু করেছি। গল্পের প্রেক্ষাপট খুব বেশী অচেনা না হলেও এর বুনন শিল্প, এমন অসাধারণ যে পাঠ শেষে যে কাউকে মুগ্ধ করবে এটা আমার বিশ্বাস। 

    GD Star Rating
    loading...
    • রুকশানা হক : ২২-০৭-২০১৯ | ৮:৫১ |

      আপনার চমৎকার মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হই সবসময়ই। এমন স্বীকৃতি একজন লিখিয়ের জন্য উৎসাহব্যঞ্জক নিঃসন্দেহে। গল্প লেখা আসলে আমার জন্য নয়, তবুও লিখি। কবিতায় নিজেকে খাপ খাওয়াতে বেগ পেতে হয় না, গল্পে যা হয়। ভালো থাকবেন।

      GD Star Rating
      loading...
      • মুরুব্বী : ২২-০৭-২০১৯ | ৯:০৮ |

        আপনাকেও ধন্যবাদ আপা। সালাম।

        GD Star Rating
        loading...
  2. শান্ত চৌধুরী : ২১-০৭-২০১৯ | ১৬:০১ |

    চমৎকার ভাবনা ও লিখা

    GD Star Rating
    loading...
    • রুকশানা হক : ২২-০৭-২০১৯ | ৮:৫১ |

      ধন্যবাদ অনিঃশেষ। ভালো থাকুন আপনি ।     

      GD Star Rating
      loading...
  3. মাহমুদুর রহমান : ২১-০৭-২০১৯ | ১৭:৫৬ |

     গল্পে নোলক আসলে কে? 

    GD Star Rating
    loading...
    • শাহাদাত হোসাইন : ২১-০৭-২০১৯ | ১৮:২৯ |

      প্রিয় মাহমুদ ভাই,নোলক একটি নারী চরিত্র। গল্পটি পড়ুন আবার।

      GD Star Rating
      loading...
      • রুকশানা হক : ২২-০৭-২০১৯ | ১১:২৫ |

        নোলক চরিত্রটি আমাদের চারপাশে জুড়েই রয়েছে মাহমুদ ভাই।  জীবনের অন্ধকার যাদেরে আলোকবঞ্চিত রাখে। অনেক ধন্যবাদ শাহাদাত হোসেন ভাই ও আপনাকে ।

        GD Star Rating
        loading...
  4. শাহাদাত হোসাইন : ২১-০৭-২০১৯ | ১৮:৩৩ |

    প্রিয় লেখিকা,নোলক লিখা নোলক চরিত্রটি অনেক ব্যাথা দিয়েছে মনে। বেদনা আর যন্ত্রনা কুড়ে কুড়ে খেয়েছে আমায়। নোলকরা হারিয়ে যায় হায়নাদের থাবায়। আর্টিক্যালটি বেশ সুন্দর ও কথামালার উন্নতির ভাব প্রকাশ। একজন লেখিকা শিল্পীর লিখা যাকে বলে।

    GD Star Rating
    loading...
    • রুকশানা হক : ২২-০৭-২০১৯ | ৯:০২ |

      আপনার এমন উচ্ছ্বসিত অনুভূতি আমাকে কৃতজ্ঞতায় ভরিয়ে দিলো। গল্পের মূল চরিত্রটি  চিরায়ত বাংলার নিপীড়িত এক নারীচরিত্রের রূপ। 

      অনেক ভালো থাকুন আপনি ।    

      GD Star Rating
      loading...
  5. আদেল পারভেজ : ২১-০৭-২০১৯ | ১৮:৩৫ |

    গল্পটা বুঝতে সময় লেগেছে তবু ২ বার পড়েছি। ভাষার বিন্যাস সত্যি অসাধারণ। মুগ্ধ হয়েছি অনেক।
    প্রিয় কবি রুকশানা হক। শুভকামনা।

    GD Star Rating
    loading...
    • রুকশানা হক : ২২-০৭-২০১৯ | ৯:০৪ |

      গল্পটা দুর্বোধ্য হলে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি । আপনার আন্তরিকতা আমাকে মুগ্ধ করলো । শুভেচ্ছা আপনাকে ।          

      GD Star Rating
      loading...
  6. সৌমিত্র চক্রবর্তী : ২১-০৭-২০১৯ | ১৯:৫৪ |

    নিঃসন্দেহে অসাধারণ কবি বোন রুকশানা হক। https://www.shobdonir.com/wp-content/plugins/wp-monalisa/icons/wpml_heart.gif

    GD Star Rating
    loading...
    • রুকশানা হক : ২২-০৭-২০১৯ | ৯:১৪ |

      আপনার মন্তব্য পেয়ে খুশি হয়েছি দাদা ।শুভেচ্ছা আপনাকে      

      GD Star Rating
      loading...
  7. সুমন আহমেদ : ২১-০৭-২০১৯ | ২১:১৪ |

    বিষ্ময়ের সাথে ছোট গল্পটি পড়লাম। এমন অসাধারণ চিত্র ফুটিয়ে তোলার যোগ্যতা খুব কম মানুষের থাকে। ধন্যবাদ রুকশানা আপা। শুভ সন্ধ্যা।

    GD Star Rating
    loading...
    • রুকশানা হক : ২২-০৭-২০১৯ | ৯:১৫ |

      শুভ সকাল ভাই। এমন সুন্দর কমপ্লিমেন্ট পেয়ে খুব ভালো লাগছে।  ভালো থাকুন সবসময় । শুভেচ্ছা।         

      GD Star Rating
      loading...
  8. সাজিয়া আফরিন : ২১-০৭-২০১৯ | ২১:২৮ |

    একরাশ দুঃখ আর জীবন বোধের এক নিদারুণ চিত্র জুড়ে আাছে গল্পটিতে। Frown

    GD Star Rating
    loading...
    • রুকশানা হক : ২২-০৭-২০১৯ | ৯:১৭ |

      নারী জীবনের পাতায় পাতায় এসব দুঃখ ছড়িয়ে আছে। আমরা তার কতোটা তুলে আনতে পারি আর । ভালবাসা আপু।       

      GD Star Rating
      loading...
  9. রিয়া রিয়া : ২১-০৭-২০১৯ | ২১:৫৩ |

    নোলকের মত এমন জীবনের ভয়ংকর কাহিনী আরও কত শত নারীর রয়েছে, ভাবতেই মন বিন্যস্ত হয়ে পড়লো। Frown

    GD Star Rating
    loading...
    • রুকশানা হক : ২২-০৭-২০১৯ | ৯:১৯ |

      হ্যাঁ দিদিভাই, হিসেবের পাতা খুললে সেখানে ফুটে উঠবে ভয়াবহ চিত্র। সমাজ সংসারে এসব চিত্র গোপন থেকে যায় বলে কেউ জানতেও পারিনা। তোমাকে  ভালবাসা।       

      GD Star Rating
      loading...