নদী। গ্রীষ্মের দিনকালে শুকিয়ে যাওয়া নালা। বর্ষায় জলের স্রোত। প্রমত্তা ঢেউ। নীল আকাশে তুষার মেঘের আনাগোনায় দু-পাড়ে লম্বা ঘাস জেগে ওঠে। বিস্তীর্ণ কাশবনে নতুন জীবনের দৃশ্যছবি। কখনো হালকা মৃদু বাতাসে রেণু রেণু স্বপ্ন-ফোয়ারা দোল খায়। সেই শুভ্র কাশবন ছায়ায় নিজেকে সঁপে দিতে কত না মন-উন্মন আবেশ। সেখান থেকে খানিক দূর উঁচুতে উলুফুলের সারি। মানুষজন তুলে আনে। ঝাড়ু তৈরি করে। ময়লা-ধুলো সব পরিষ্কার। শ্যামল কত দিন তুলে এনেছে। মা অবসরে বসে সুতলিতে বাঁধে। ঘরদোর ঝাড়ু হয়। ঝকঝক করে ওঠে গোবর-জলে নিকোনো আঙিনা। শ্যামল তখন শিখে নেয় এই কাজ। আজ সেই নদী তেমন নেই। আষাঢ়-শ্রাবণের বৃষ্টি-বন্যায় দু-কুল ছাপিয়ে বিশাল জলরাশি ক্ষেতের ফসল-পুকুরের মাছ ভাসিয়ে দেয়া নদী হারিয়ে গেছে। এখন সীমানার ওই পাড়ে বিশাল বাঁধ। জল বেঁধে রাখা। এ প্রান্তের নদী শুকিয়ে নিশ্চিহ্ন প্রায়। হারিয়ে গেছে কাশবন। ঘাস আর উলুবনের শীতল মেঘ মেঘ ছায়া। এখানে রুক্ষ বালিয়াড়ি। নীল-ধূসর প্রান্তর। কখনো মাথা উঁচু জেগে থাকে শুকনো শ্যাওলা-সোলাকাঠি। নদীর উঁচু পাড়। দু-চার কদম হেঁটে এলে চৌচির ক্ষেত। চেনা-অচেনা গাছগাছালি পাড়ের জঙ্গলে নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে থাকে। কখনো বাতাসে দোল খায়। তার ফাঁকে ফাঁকে শিমুল-ডুমুরের শাখায় বিষণ্ন-নিস্তব্ধ মাছরাঙা। নদীতে জল নেই। মাছ উধাও। রোদ্রতপ্ত দিনকাল। ভিনদেশি বাঁধ মানব সভ্যতার দগদগে ক্ষত হয়ে মনের কোণায় জেগে থাকে। মানুষ ভুলে যায় হারানো সময়ের গ্রামছবি। শ্যামল ভুলে যায়নি। ভুলে যায় না। অনেক কথা অনেক দিনক্ষণ মনের কোণায় জ্বলজ্বল করে। কখনো মন বিষাদ। কখনো…না সময়ে অনেককিছু বদলে যায়। সেও তো অনেক বদলে গেল।
কোনো এক পুর্ণিমা তিথিতে জীবনে লক্ষ্মী এলো। সেই স্বপ্নের আঙিনায় বিনিদ্র জোছনা রাত। মন তবু বিষাদ হাতড়ে আনে। প্রায় বছর গড়িয়ে গেল মা নেই। অনেক সাধ ছিল। শ্যামলের বউকে নিজ হাতে সাজাবে। ঝাঁকড়া চুলে ছড়িয়ে দেবে সুবাসিত বনজ তেল। বুকে জড়িয়ে আদর। লক্ষ্মী দিঘির পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকে। মা কোনো কোনোদিন হাত টেনে ঘরে নিয়ে আসে। পাশাপাশি দুটো বাড়ির আঙিনা। এ-প্রান্তে ফুল ফুটলে বাতাস ধেয়ে সৌরভ ও-প্রান্তে ভেসে বেড়ায়। মানুষজন আপন হতে দেরি হয় না। মা হাসিখুশি। লক্ষ্মীর মুখছবিতে সলাজ কৌতুক। চোখের পাতায় থিরথির খুশির কাঁপন। শ্যামল অপাঙ্গে তাকায়। তার চোখে-মুখেও যে শেষ-বিকেলের অনুরাগ। স্বপ্নের মায়াখেলা। দু-জন মানুষ কত সহজে খুব কাছের হয়ে যায়। একজন আরেকজনকে নিজের করে নিতে জানে। তেমনভাবে মনের আড়ালে ছোট ছোট স্বপ্ন ফুল হয়ে ফোটে। বাতাসে দোল খায়। নিজের সঙ্গে কথা বলে। স্বপ্নকথন। এভাবেই সবকিছু পাকাপোক্ত করার সময় এসে দাঁড়ায়। সে-সময় আকস্মিক হাত থেকে খসে পড়ে সুবর্ণ সন্ধে। মা চলে গেল।
সেদিন সন্ধেবেলা স্নান সেরে জ্বরে পড়ে মা। সংসারের কত শত কাজ। ভোর-সকাল থেকে শুরু হয়ে চলতে থাকে সারাদিন। দিনক্ষণ-সময়-মুহূর্ত কাজ আর কাজ। বাতাসের বেগে ছুটে চলা। তখন কার্তিকের শেষ। ঘরে ঘরে অভাব-অভিযোগ যাই-যাই করে যেতে চায় না। শ্যামলের কানামাছি আলোছায়া আঙিনা-ঘরে কি মজা পেয়েছে, পাহাড়ের মতো হাতি বসে থাকে; নড়ে না। সে বাবার সঙ্গে কাকভোরে বেরিয়ে যায়। মানুষজন ঘুগরাতলি বটগাছের নিচে বসে থাকে। তাদের বিস্তীর্ণ অপেক্ষা। তীর্থের কাক। যদি কেউ একজন ডেকে নেয়। কাজ জোটে। কাজ পাওয়া যায় না। সেদিন জীবনের প্রয়োজনে কাজের সন্ধানে আলাদা হয়। বাবা পথে নেমে পেছন ফিরে বলে, –
‘কামিম ঞাম বাম ঞাম ওড়াক্গে চালাক্মে বা। ইঞ দ নাহুমমিঞ রুয়াড়া’
(তুই তালি কাজ পাই-না-পাই ঘরোত্ চলি যাবু বা। মুই সাঁঝোত চলি আসিম।)
‘চালাক্মে বাপু ঞিত্ দ। সনতরাকায় তাহেনমে।’
(হয় বাপু তুই চলি যা হেনে। দেখিশুনি থাকিবু।)
‘আর আঞ্জামমে বা, চালাওকাতে জমমে। আম গগো তাংঘিয়েম।’
(হয় হয়…আর শোনেক বা, তুই খায়া নিবু। তোর মাওক দেখিস।)
শ্যামল মাথা নাড়ে। এরপর গামছায় জড়ানো দা বের করে দেখে নেয়। ঘরামির কাজ মোটামুটি জানা হয়ে গেছে। আজকাল কামকাজ নাই। নিস্তব্ধ অবসর। অলস দিনকাল মন্থর হাতির মতো এগোয় কি না এগোয় না বড় অধৈর্য অসহায়। সে অপসৃয়মান মানুষটির দিকে তাকিয়ে থাকে। কত দ্রুত বুড়ো হয়ে গেছে বাবা। কত কষ্ট জমা হলে মানুষের দৃষ্টি হলুদ-ফ্যাকাশে হয়ে যায়? শ্যামলের পরিমাপ করার ক্ষমতা নেই। বিবিধ অসুখে ক্লান্ত-ন্যুব্জ সৈনিক। তবু কোনোদিন সামান্য কোনো কষ্টের কথা উচ্চারণ করে না। শ্যামল শোনেনি। সে তবু দেখে। ওই দু-চোখের গভীরে কত নোনাজল ঢেউ হয়ে শুকিয়ে গেছে বুঝে নেয়। শুকনো মরানদী। সেদিন মাওলানার আঙিনা থেকে ব্যর্থ ফিরে আসে। রাত অন্ধকার। জীবন আর অস্তিত্ব নেমে যায় কোনো অচেনা নিকষ অন্ধকার সুড়ঙ্গে। সেখানে কোনো আলো নেই। শ্যামল রাতের দেয়ালে তাকিয়ে থাকে। এভাবে কতক্ষণ অপলক। কোথাও ডুবে যায়। তখন দূরাগত সংগীতের মতো ব্যাঙ্গমা-ব্যাঙ্গমির কথোপকথন ভেসে আসে। বাতাসে অস্ফুট কেঁপে বেড়ায়। কোন্ রূপকথার দেশ, স্বপ্নের ভুবন থেকে কারা বলে যায় কোন্ গল্প-কাহিনি? শ্যামলের ঘরে আবছায়া রাতের দেয়াল। তন্দ্রাঘোর ভাসাভাসা বিষণ্ন কোনো গুনগুন স্তব। প্রলম্বিত মহাকাব্য উপলব্ধ হতে থাকে। মন-উন্মন-বিভোল।
‘শ্যামলা আচ গগো ইঞ্চাক দ থোরা হামাতিঞ। বাবা-গড়ম বাবা তাকোকো এর ইরকেদা। ইঞ হোঞ ওনকায়েদা। ওকাখোন চেত্ চেকায়না। ওনা হাসা বাংমা ইঞাক আর বাংকানা। কেত্ ইঞ চেকায়া। বোহক্গে বায় কামিয়েদা।’
(শ্যামলার মা, মোর একখান ভুঁই। বাপ-দাদো আবাদ করিছে। মুই করো। কুসথাকি কি হয়া গেইল, এ্যালা ওই ভুঁই নাকি মোর নাহায়। মুই কী করো! মোর মাথা কাজ করে না।)
‘মেম্বার আর অকোয়কো ঠেনেম চালাও বাড়ালেনা। চেতকো মেনকেদা?’
(কদিন যে মেম্বার আর কার কার গোড়ত্ ছুটি গেইলেন। ওমহরা কী কছে?)
‘জরিপ অকতে নিতুন বাং রাকাপ অকানা।’
(জরিপের সমায় নাম উঠে নাই।)
‘কাগাদ বাম উদুক্ আত্কোয়া?’
(কাগজপত্র দেখাইলেন না?)
‘অনাকো দ মেনাক্ নাঁহি। লাড়হাই সেরমা অকায়েন বাং চেকাবোন মেনকেয়া।’
(ওইলা ফির আছে নাকি! যুদ্ধত্ কুঠি চলি গেইছে কাঁয় জানে।)
‘এনডেখান হাসা দ আর বামা ঞামা?’
(তাইলে এ্যালায় ভুঁই পাইমেন না?)
‘চেত্গে বাঞ বাডায়া…বাঞ বাডায়া।’
(মুই কিচ্ছু জানো না…জানো না।)
জানা-অজানার রহস্যঘেরা জিজ্ঞাসা কিংবা হতাশ যবনিকা সীমাহীন রাতে দোল খায়। রাত-অন্ধকার দেয়ালে ফেনিল ঢেউ তুলে তুলে দিগন্তে মিশতে থাকে। শ্যামলের দু-চোখ ভারী। তার কিশোর হাতে কোনো শক্তি নেই। কোনো জাদুমন্ত্র? রূপকথার বিষণ্ন স্তবগাঁথা শুনতে শুনতে কল্পনার দেয়াল ধ্বসে পড়ে। সে কি উঠে দাঁড়ায়? সেই ছায়ান্ধকার নিশ্চুপ কোণায় ছুটে চলে? শান দিয়ে রাখা দা’এর কোপে নামিয়ে ফেলে বিশাল কোনো মুণ্ডু? চুল-দাড়ি-পাগড়ির তলায় ঘিনঘিন করে ওঠে পান-জরদার মাখামাখি বিকট গন্ধ? সে সকল ছিল অসীম কল্পনার অভীপ্সা। দুর্দান্ত মোহমায়া। তার ঘুম মিলিয়ে যায়। আস্তে আস্তে পা টিপে টিপে আঙিনায় নেমে আসে।
হিম-কুয়াশা রাতে শিশির পড়ে কি পড়ে না, মধ্য-আকাশে অস্বচ্ছ-ঘোলা চাঁদ, তেমন কোনো তারা নেই; দেখা যায় না। দেয়ালের ওপাশে সারারাত জেগে থাকা নিশিপুষ্পাদল সুবাস জুড়িয়ে ঘুমোতে তোড়জোর ব্যস্ত। আঙিনার পুবপ্রান্তে দরজার হুড়কো খোলা। শ্যামল রাস্তায় বেরিয়ে আসে। বাবা আবার সেখানে গিয়েছে। মৃত্তিকার বড় মায়া। দূরে-বহুদূরে কোনো ছায়া আবছায়া লাগে। ওখানে একখণ্ড জমি ছিল তাদের। এখন নেই। কে দাঁড়িয়ে থাকে তার প্রান্তসীমায়? রহস্যময় ভূত-প্রেতের ছায়ামূর্তি। প্রাগৈতিহাসিক প্রচ্ছায়া। শ্যামলের স্বপ্ন-ঘুমঘোর। পায়ে পায়ে এগোয়। কয়েকটি বাঁক পেরিয়ে নাতিদীর্ঘ পথ। সেই ছায়া নড়ে না। নিথর নিশ্চুপ কোনো বৃক্ষ দাঁড়িয়ে থাকে। সে কিছু দেখে। দেখে যায় আকাশ। কোথায় ঈশ্বর অথবা তার দুনিয়া? সতর্ক শ্রুতিতে কোনোকিছু অনুধাবনের চেষ্টা। স্পর্শ ব্যাকুল। আচমকা দমকা বাতাসে কেঁপে ওঠে ছায়া চাদর।
‘বাপু ননডে রাবাংরে চেত্এম চেকায়দা? দেলা, ওড়াক দেলা।’
(বাপু তুই এ্যাঠে জাড়োত্ কী করোছি? চল ঘরোত্ চল।)
‘থিরক্মে শ্যামলা। আনজমিদাঞ, হোড়ো গেলেরএ লবান রেয়াক সেরেঞ।’
(চুপ কর শ্যামলা। শোনা পাছি, ধানের শিষে নবানের গান।)
‘ইঞ দ কেত্গে বাঞ আনজমেদা। মেদেলা রাবাংমেয়া।’
(মুই কিছু শোনা পাও না। চলেক, জাড় লাগিবি।)
‘লুতুর কিড়বিত্কাতে আনজম হোয়েক আ বা। হয়রেগে সেরেঞ দ আনজমক্ আ।’
(কান পাতি শোনা লাগে বা। বাতাসের ঢেউ। ঢেউয়ের মুখোত ঝিরঝির গান।)
‘আবো দ চেত্ রেয়াক লবান তাবো। মেদেলা ওড়াক মেদেলা।’
(হামাগের নবান নাই বাপু। ঘরোত্ চল…চলেক।)
‘হায়রে বাড়গে তিঞ…দায়াগে হাসা তিঞ।’
(মোর ভুঁই বা…মোর মাটি।)
শ্যামল কী বলে? একসময় এই জমি তাদের ছিল। বাপ-ব্যাটা দু-জনে হাল জুড়েছে। তরতর করে বেড়ে উঠেছে ধান। কার্তিকের শেষে আনন্দ বুকে নিয়ে ঘরে তুলেছে শস্য। এখন কিছু নেই। প্রিয় কিছু হারিয়ে যাওয়ার বেদনা বড় নিশ্চুপ। অনেক গভীর। বুকের গহিনে তোলপাড় তোলে। তাকে মানিয়ে নিতে হয়। অস্তিত্বের প্রয়োজনে ভুলে যেতে হয়। এই হলো যুদ্ধ। সে মানুষটির হাত ধরে টেনে টেনে ফিরে যায়। ফিরে আসে। পড়ে থাকে কিছু শুকনো আবেগ…অশ্রুভেজা ভালবাসা ছলছল দৃষ্টির দৃশ্যছবি। সেই জমি ফিরে পাওয়া গেল না।
এক সন্ধেয় গোঁ-গোঁ ভূমিকম্প নিনাদ তুলে, আকাশে ধুলো উড়িয়ে কোনো অন্ধকার ছায়া এসে দাঁড়ায়। পুব-আকাশে জেগে উঠেছে দু-একটি তারা। অনেক দূর থেকে মিটমিট হাসে। তারা চমকে ওঠে জলদগম্ভীর হুংকারে।
‘নীলকান্ত…ও বাহে নীলকান্ত, বাড়িত আছি?’
শ্যামল ধড়পড় করে বেরোয়। বাবা দাঁড়িয়ে আছে। মাওলানা আজিজার মণ্ডলের জোব্বা পোশাক। বোবায় ধরা মানুষের মতো অসহায় বাবার পাশে দানব মনে হয়। জবাঝাড়ের একপাশে মটরসাইকেল স্ট্যান্ড করে রাখা। একজন মানুষ নিশ্চুপ মূর্তির মতো নিশ্চল তাকিয়ে থাকে। শান্ত-গভীর দু-চোখ অন্ধকারে চকচক ঝলসে ওঠে। জাকির মাস্টার। শ্যামল চেনে।
‘বাহে নীলকান্ত, একখান কথা কবার তনে আসিবা হইল। কথা হইল্ কি…।’
‘হয় বাবু।’
‘তুই জাকির মাস্টারের জমিত যায় কী করিস? তোক নিড়ানি দিবার কাঁয় কইছে? যাঁয় আবাদ করোছে তাঁয় দেখিবি। তোর মাথাব্যথা ক্যানে?’
‘ভুঁইখান তো…।’
‘তুই কি এ্যালাও জমির মালিক আছি? জাকির মাস্টার আবাদ করে। তোর ফলনা চুলকায় ক্যান আঁ?’
‘ওই ভুঁইকোনা মোর বাপ-দাদো দিয়া গেইছে বাবু। তোমহরা ক্যাংকরি কি করিছেন, এ্যালায় কছেন ভুঁই মোর নাহায়।’
‘তুই যি মেম্বার-চেয়ারম্যানের গোড়ত্ দৌড়াদৌড়ি করলু, তো ওরা কী কইল? ফলনা-টেসকু দিল্ তো? শোনেক ওই জমি হইল খাস। তোর দাদো নিয়া খাছিল। ম্যালা বছরের খাজনা-ট্যাক্স বাকি। সরকার সেখন নিজের ঘরোত্ নিছে। মুই নিলাম ডাক দিয়া জমি বন্দোবস্ত নিছু। তুই জমির শোক ভুলিবার পারেছু না? শোনেক মুই তোক সাবধান করি দেছি, আর ককখনো জমির ধারেকাছোত যেন না দেখঁ; নাইলে মোর থাকি খারাপ কাঁহো হবি না। বুঝিলু?’
‘মোর জমি মোর ভুঁই। বাবু তোমহরা ফেরত দেন। ক্যাংকাবা করি নিছেন। মুই গরিব মানুষ ভুঁইকোনা ফেরত দিলি বাঁচি থাকনু হয়।’
‘শালা কয় কি রে!’
(চলমান)
loading...
loading...
bhalo likhechen (মন্তব্য করতে পারছি না।) এই মন্তব্য পরীক্ষামূলক।
loading...
আগের নামে লিখতে পারতেছি না। নিজের নামে ফিরতে হলো ভাই। গল্প'র কিছু অংশ পড়ে গেলাম। বাকিটা ফিরে এসে। ক্ষমা করবেন।
loading...
শুভেচ্ছা রইল।
loading...
গল্প বা ঔপন্যাসিক পাঠককে নিজের লিখায় এমন এক আবেশীয় মন্ত্রে মুগ্ধ বা আশপাশ থেকে ঘিরে ধরেন যে, পড়া রেখে উঠা সম্ভব হয় না। আমারও হলো একই দশা।
‘মোর জমি মোর ভুঁই। বাবু তোমহরা ফেরত দেন। ক্যাংকাবা করি নিছেন। মুই গরিব মানুষ ভুঁইকোনা ফেরত দিলি বাঁচি থাকনু হয়।’
loading...
ধন্যবাদ মুরুব্বীভাই। আপনার মন্তব্য বরাবরই অনুপ্রেরণা দেয়।
loading...
এবার একটি চিত্রের ধারণা পাওয়া যাচ্ছে বলে মনে হলো মাহবুব আলী ভাই।
loading...
ট্রাডিশনাল ফরম। ধারণা পাওয়া খুব স্বাভাবিক। ভালো থাকবেন কবি ভাই।
loading...
ভুল করলাম না। আগে পড়লাম পড়ে মন্তব্য।
loading...
অনেক ধন্যবাদ পড়েছেন জেনে।
loading...
জীবনের যত জঞ্জাল। ভূমি বান্ধব দস্যুরা এভাবেই গরীবকে ভালোবেসেছে।
loading...
গ্রামীণ শোষণ বঞ্চনা তো আমাদের সকলেরই জানা। ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্যের জন্য।
loading...
গল্প গাঁথুনির যত প্রশংসাই করি না কেনো কম হবে।
loading...
হ্যাঁ, একটু মাথা ঘামাতে হয়েছে বটে! নাটকীয় ফরম।
loading...
বিপদ শুরু।
loading...
আরোহন পর্ব শুরু বলা যায়।
loading...
স্বীকার করছি প্রথম পর্বে আমি অতিরিক্ত চরিত্র গুলোকে উল্লেখ করিনি। আজকের পর্ব পড়লাম।
loading...
আপনি পড়ছেন এটাই আমার বড় প্রাপ্তি কবি। ভালো থাকুন সবসময়।
loading...