সড়কের পাশে ওখানে ছোটো একটি খেলার মাঠ ছিলো, টেনিস কোর্ট আকৃতির বা আরেকটু বৃহদায়তন। ইতিউতি ছড়ানো মলিন হলদেটে ঘাশ, এক প্রান্তে লাল ইটের পলেস্তারা খসা খর্বাকায় দেয়াল। ওতে ক্রিকেট খেলতো স্থানীয় শিশু কিশোররা। বর্ষা মৌসুমে এঁদো কাদায় ভরে যেতো। তখন ক্রিকেটের পরিবর্তে ফুটবল খেলতো তারা। কাদায় মাখামাখি টিশার্ট হাফ প্যান্ট গা’য়ে সে কী হুলস্থূল বল নিয়ে! হ্যা, দিব্যি মনে করতে পারছি, (ইত্যবসরে প্রায় এক যুগ কেটে গেছে যদিও) ওখানেই ছিলো মাঠটি, আজ বহুতল আবাসিক ভবন দাঁড়িয়ে আছে। অনেকদিন পর এলাম। মাঝেও দুয়েকবার এসেছিলাম সম্ভবত কিন্তু ইতিপূর্বে সেভাবে লক্ষ্য করিনি। আদতেই কোনও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয় এটা। এভাবেই মানুষের নগর বন্দর গড়ে ওঠে, উঠে আসছে। কিন্তু কেন জানি না, এ মুহূর্তে আমার বড্ড অনুতাপ হচ্ছে মাঠটির জন্য। মনে হচ্ছে, মাঠটিকে যেনো জীবন্ত কবর দেয়া হয়েছে ইট কাঠ পাথরের ওই অতিকায় দালানের নিচে। আহা, সত্যিই আমি দারুণভাবে চাই যে, আবার বহুদিন পর এলে দেখবো, সেই মাঠটিই আছে। ওতে ক্রিকেট খেলছে ঘেমেনেয়ে একাকার প্রাণোচ্ছল একদল শিশু। আর যদি বর্ষায় আসি তবে এঁদো কাদায় ধুন্ধুমার ফুটবল… আরও এক যুগ পর!
loading...
loading...
লম্বালম্বি শব্দের চাইতে গদ্য আঙ্গিকের লেখা আপনার দারুণ আসে অর্ক দা।
loading...
ধন্যবাদ দিদি।
loading...
'আহা, সত্যিই আমি দারুণভাবে চাই যে, আবার বহুদিন পর এলে দেখবো, সেই মাঠটিই আছে।' …জীবানুভূতি। আমাদের অনেক চাওয়াই শেষতক অপূর্ণই রয়ে যায় কবি।
loading...
ধন্যবাদ ভ্রাতা। সুন্দর বলেছেন। পৃথিবীতে খুশি ছড়িয়ে বাঁচতে হবে আমাদের।
loading...
মাঠটিকে যেনো জীবন্ত কবর দেয়া হয়েছে ইট কাঠ পাথরের ওই অতিকায় দালানের নিচে।
বাস্তবতা।
loading...
রূঢ় বাস্তবতা! ধন্যবাদ ভ্রাতা।
loading...
নগরপিতাদের হাতে নিরাপদ নেই নগর। নগরপিতা থেকে তারা হয়েছেন্ন নগর-স্বামী।
loading...
'ইত্যবসরে প্রায় এক যুগ কেটে গেছে' তারপরও আপনার স্মরণশক্তি প্রখর কবি।
loading...
সুন্দর গদ্য। অভিনন্দন ভাই।
loading...