ভূমিকা :
সংখ্যা তত্ত্বের আলোকে শিল্প ও সাহিত্য বিষয়ক ব্লগিং বিশ্বে ও বাংলাদেশে কতটা জনপ্রিয় সেটা আমার জানা নেই। জানা খুব একটা জরুরীও নয়। তবে ব্লগিং নিয়ে আমি যা কিছু এই লেখাটাতে লিখছি তা বেশ কিছুদিন ধরেই লেখার প্রয়োজন বোধ করছি। কারণ একজন ব্লগার হিসেবে ব্লগিং-এর নানান বিষয় আমার কাছে কু-দৃষ্টিগোচরীভূত হয়েছে। যার কিছু অংশ নিম্নে অতি সংক্ষিপ্তভাবে তুলে ধরার প্রয়াস চালাচ্ছি।
ব্লগে পাঠকের চেয়ে লেখক সংখ্যা বেশি :
আমাদের দেশের অনেকেই একটা কথা বলে থাকেন, সেটা হলো ‘এদেশে পাঠকের চেয়ে লেখকের সংখ্যা বেশি’। অবশ্যই কথাটা আমার কাছে কম বেশি সত্য মনে হয়। আমি এমন দু’একজন মানুষকে জানি যারা কখনই কোন বই পড়েন না যদিও তারা নিয়মিত ভাবে সংবাদপত্র পাঠ করেন। অবশ্যই সংবাদপত্রও সেই কারণে পাঠ করেন যে কারণে আমাদের দেশে টিভিতে সম্প্রচারিত অনুষ্ঠানের মধ্যে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানের চেয়ে সংবাদই বেশি জনপ্রিয়। উনারা আবার হয়তোবা যৌক্তিক কারণে নিয়মিত ভাবে আঞ্চলিক, জাতীয় এমনকি আন্তর্জাতিক সংবাদপত্রেও লেখেন। এক্ষেত্রে দুঃখটা হলো তারা কোন প্রকার বই না পড়েও শুধুমাত্র সংবাদপত্র পড়ে পত্রিকা বা সংবাদপত্রগুলোতে শিল্প ও সাহিত্য বিষয়ক লেখা লেখেন। আবার এইরকম দু’একজন পেয়েছি যারা পড়ার ব্যস্ততার কারণে লেখার সময় পান না। আর ব্লগিং নিয়ে সমস্যার সৃষ্টি এখানেই। ব্লগ পড়তে গিয়ে যেটা যথেষ্ট পরিমাণ লক্ষ্য করি সেটা হলো, অনেক লেখক আছেন যারা তেমন পড়া লেখা করেন না কিন্তু লেখা-লেখি করেন। আমার ঐ পরিচিতনজনদের মতই। হ্যাঁ অবশ্যই কিছু ভাল লেখক বা লেখা পাওয়া যায় যেগুলো পড়তে ভাল লাগে। মুশকিল হলো প্রচুর লেখকদের ভীড়ে ভাল লেখক বা ভাল লেখা খুঁজে পাওয়া। সুতরাং এ থেকেই বোঝা যায় ব্লগে পাঠকের চেয়ে লেখক বেশি।
ব্লগে লেখার ভাল ও মন্দ দিক :
ব্লগে লেখার সবচেয়ে ভাল দিক হলো লেখা বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পাঠকদের প্রতিক্রিয়া জানা যায়। কিন্তু এই প্রতিক্রিয়ার মধ্যে আবার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত ব্যক্তির আত্মকেন্দ্রিক বা প্রতিক্রিয়াশীল মানসিকতার পরিচয় পাওয়া যায়। যেটা কিছুটা ফেসবুকী কৌশল। আর সেটা হলো ব্লগে যারা পড়েন তারা মুলত ব্লগার, উনারা অন্যের ব্লগ পড়ুক বা না পড়ুক অন্যের ব্লগে নিয়মিত ভাবে মন্তব্যও করেন। তারা অন্যের লেখায় মন্তব্য করেন এই কারণে যে, তিনি যদি কারোর লেখায় মন্তব্য করেণ তাতে তিনিও তার লেখায় মন্তব্য পাবেন বা হিট পাবেন। অবশ্যই এর ব্যতিক্রম আছে। ব্লগার হিসাবে এর অনেক প্রমাণ আমি অনেক বার পেয়েছি। এইতো কয়েক দিন আমি একটা গল্প ব্লগে প্রকাশ করলাম লেখাটি বড় করার অনিচ্ছা সত্ত্বেও বড় হয়ে গেলো। লেখার সাইজ ইউনিকোড ১১ ফন্ট, প্রায় ৮ পৃষ্ঠা, অথচ আমার লেখায় আমি প্রথম যে মন্তব্যটি পায় তা হলো-আপনার গল্পটি পড়ে খুব ভাল লাগল, উক্ত মন্তব্যটি লেখা প্রকাশের ১/২ মিনিটের মধ্যেই পেয়ে যায়। ওনি ৮ পৃষ্ঠা লেখা ১/২ মিনিটের মধ্যে পড়ে কেন মন্তব্য করলেন সেটা বুঝতে সমস্যার হবার কথা নয়। আরেকবার আমি সংশ্লিষ্ট ব্লগ সাইটের নিয়মের মধ্য থেকে কবিগুরুর শেষের কবিতা স্বীকারোক্তি দিয়েই নিয়মিত ভাবে শেয়ার করছিলাম। সেই শেয়ারে কয়েকজন ব্লগার মন্তব্য লিখে বসলেন এই রকম- আপনি কঠিন কিছু লেখা লিখে ফেললেন, খুব চমৎকার একটা লেখা লিখেছেন, আপনি এত সুন্দর ভাবে লেখেন যা আমি কখনই পারিনা, আপনার লেখা বরাবরই ভাল।
এরকম মন্তব্য পাওয়ার একমাত্র কারণ হলো উনারা লেখক, অবশ্যই পাঠক নন। যেহেতু তাদের লেখায় হিট ও মন্তব্য পাওয়া দরকার সেহেতু তারা অন্যের লেখা না পড়েই ভাল মন্তব্য করেছেন। সাধারণ মানুষ ও রাজনীতিবিদদের থেকে ব্লগারদের বোধহয় এই পার্থক্যটুকু আছে। সাধারণ মানুষজন ও রাজনীতিবীদ কোন কিছু না দেখে, না জেনে, না শুনে সহজেই বলতে পারেন ওটা একদম ঠিক হয়নি বা ভাল হয়নি, আর ব্লগারগণ না পড়েই বলতে পারেন লেখাটি খুব সুন্দর হয়েছে। যেটা পূর্বেই বলেছিলাম ব্লগিং-এর সবচেয়ে মজার বিষয় হলো লেখার সাথে সাথেই মন্তব্য পাওয়া। কিন্তু মন্তব্যগুলো যদি এত বেশি ভাল হয়ে যায় তাহলে তো মুশকিল। এত ভাল মন্তব্য নিশ্চয় ভাল লেখক তৈরীতে বড় প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করবে।
ব্লগের পাঠ বিষয়ে কিছু সমস্যা :
ব্লগের যারা পাঠক তাদেরকে মুলত কম্পিউটার বা মোবাইল স্ক্রিনে পড়তে হয়। একটু বড় লেখা এখানে পড়া খুবই মুশকিলের ব্যাপার হয়ে যায়। স্ক্রীনের আলো খুবই বিরক্ত তৈরী করে বা পড়ার ব্যাপারে মনসংযোগ ব্যাপক ভাবে ব্যহত করে। এর কোন সমাধান আছে কিনা আমার জানা নেই। আবার বড় লেখাগুলি ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশ করার সমস্যা হলো যেহেতু অনলাইনে প্রকাশের ধারাবাহিকতা অনুসরণ করে স্ট্রিমিং হয়ে থাকে সেহেতু ধারাবাহিক লেখাগুলোর সবগুলো পর্বের স্ট্রিমিং আপনার সামনে পড়বে না সেটাই স্বাভাবিক। তাহলে বড় ধারাবাহিক লেখাগুলো কিভাবে পড়া সম্ভব সেটাও আমার জানা নেই। যেহেতু ব্লগের যারা পাঠক তারা মুলত লেখক পাঠক নন সেহেতু এখানের পাঠের চেয়ে লেখাটায় অধিংকাংশের কাছে মুখ্য সেহেতু এটাও একটা বড় সমস্যা। এর সমাধান কি সেটাও আমার জানা নেই।
উপসংহার :
সবশেষে এ বিষয়ে আমার কোন সন্দেহ নেই যে শিল্প ও সাহিত্য বিষয়ক ব্লগগুলিতে যারা বিচরণ করেন তারা অপেক্ষাকৃত মনন চর্চায় অন্যান্য ব্লগ-গুলিতে বিচরণকারীদের চেয়ে একটু এগিয়ে থাকবেন। সুতরাং মনন চর্চার জন্য সহায়ক লেখক ও পাঠকগণ এখানে তাদের মেধার সর্বোচ্চ প্রয়োগ করবেন এবং ভালবাসা উজার করে দিয়ে তাদের লেখাগুলো লিখবেন অতঃপর ব্লগে প্রকাশ করবেন এবং ভাল করে পড়ে অন্যের লেখায় সুন্দর সমালোচনামূলক মন্তব্য লিখবেন ব্লগার হিসেবে সেটাই আপনাদের কাছে আমার প্রত্যাশা। এতে কোন সন্দেহ নেই যে লেখক বা ব্লগারের লেখায় যে মন্তব্যটি করা হয় সেটা সংশ্লিষ্ট ব্লগার বা লেখকের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সব সময় তো নয়ই, কোন সময়ই ভাল হয়েছে, সুন্দর হয়েছে জাতীয় মন্তব্য এড়িয়ে লেখার ত্রুটি বিচ্যুতিসহ সুন্দর দিক তুলে ধরে সত্যিকার অর্থেই সমালোচনামূলক মন্তব্য লেখা উচিৎ। তাহলে এইসব নবীন লেখকগণ তাদের ত্রুটি বিচ্যুতিগুলো এড়িয়ে ভাল ভাল লেখা উপহার দিতে পারবেন বলে আশা করছি।
লেখাটা বেশ পুরোনো…
loading...
loading...
লিখাটি পুরোনো হলেও আমার কাছে সব সময়ের জন্যই সদ্য ভাঁজ-খোলা নতুন। এবং নতুনই থাকবে। আপনার কথার সাথে আমার কোন দ্বিমত নেই। মানুষ আসলে পড়তে চায় না। নিজের ব্লগ ছাড়া ভিন্ন কারো লেখা তার কাছে আপন নয়। উঁকি দিয়ে দেখতে চায় কতটা প্রশংসা তিনি পেলেন। নিয়ম রক্ষার্থে যতটুকু দৌঁড়াতে হয় ততোটাই দৌঁড়ায়।
বিশেষ কোন ব্লগের নাম বলতে পারবো না, তবে বেশীর ভাগ ব্লগ বা যোগাযোগের সেরা মাধ্যম ফেসবুকও তাই। নামে মাত্র তর্ক হতে পারে, তবে চাটুকার এবং অসমঝদারের সংখ্যা সেখানেও কম নয়। ব্লগ গুলোর চাইতে দলাদলি ফেসবুকেই বেশী।
ব্লগ এর নাম খেরোপাতা হলেও এই খেরোপাতারও বয়স কম হয়নি। ইচ্ছে হলেই লিখে ফেলার মানসিকতা দূর করে দিতে হবে। অন্যের লেখা পড়ে তারপর বুঝে সতর্কতার সাথে নিজে লেখার চেষ্টা নিতে হবে। ভুঁইফোড়ের মতো ২/৪ দিন লিখলাম তারপর নাই; এই টাইপের ব্লগারদের আয়ূষ্কালও কম। জানতে হলে শিখতে হলে পড়তে হবে। জানতে হবে।
loading...
দাদা আপনি যে ভালোমত পড়েই মন্তব্য করেছেন সে ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। যেহেতু সবাই যত্রতত্র প্রশংসা পেলেন কিনা সেটা দেখার জন্য লেখেন সেহেতু যে কোন লেখায় প্রশংসা করার ব্যাপারে আমাদের আরও যত্নশীল হওয়া উচিৎ।
loading...
সুন্দর অসাধারণ চমৎকার। এই হচ্ছে ব্লগিং। ব্লগার হচ্ছেন, যখন যা মনে আসছে লিখছেন।
"ব্লগিং-এর সবচেয়ে মজার বিষয় হলো লেখার সাথে সাথেই মন্তব্য পাওয়া। কিন্তু মন্তব্যগুলো যদি এত বেশি ভাল হয়ে যায় তহলে তো মুশকিল। এত ভাল মন্তব্য নিশ্চয় ভাল লেখক তৈরীতে বড় প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করবে।"
loading...
আমারও তাই মনে হয়, যদি মন্তব্য সব সুন্দর হয় তাহলে যিনি লেখেন তার জন্য বিরাট ক্ষতি হয়ে যায়। আপনি যথার্তই বলেছেন!
loading...
সৌমিত্র চক্রবর্তীর কথার সাথে একমত। আমার আমিকেই আমি অনেকবার প্রশ্ন করেছি আমি ব্লগার কিনা। কেননা একসময় ব্লগে কবিতা লিখতাম, কিছু গল্প প্রবন্ধও লিখেছি। এখন ছেড়ে দিয়েছি। এখন শুধু পড়ি। খুব দ্রুত পড়ি। ব্লগ আমাকে দ্রত পড়ার কৌশল শিখিয়ে দিতে পেরেছে।
কবিতায় হা-হুতাশ আর ব্যর্থময় গল্প গাঁথায় একজন ব্লগার হয়ে আর কত লিখবো 'ভাই আপনার লিখা অসাধারণ হয়েছে' !!
আসলে আমরা একই জল মাটি কাদায় বড় হয়েছি। আমাদের এক্সপ্রেশন খুব আলাদা হবার তো কথা নয়। আমার আপত্তিটা কেবল এক জায়গায়, একেকটি সকালে যদি একজন মানুষ কেবল শাপ বিচ্ছু হাওয়া বাতাস স্বপ্ন নিয়ে নিয়মিত খালি কবিতাই প্রকাশ করে যায়, মন্তব্য দাতাদের শত আপত্তি বা ভুল ধরিয়ে দিয়েও তাকে যখন সহজ পথে ফেরানো যায় না, তখন আমি আর তাকে কিভাবে ব্লগার বলি ? বলতে পারি না।
loading...
তাহলে মন্তব্য লেখার ব্যাপারে আমাদের সবার এখনই দায়িত্বশীল হওয়া উচিৎ!
loading...
দায়িত্বশীল শব্দটাই তৈরি হয়েছে আরও দায়িত্বজ্ঞানহীন করার জন্য।
loading...
আপনার এই সুন্দর লেখাটির সাথে আমি একমত
শ্রদ্ধেয় ।
loading...
ঐযে, যে আলোচনাটা হচ্ছে, তাই হলো। যাইহোক আপনাদের কাছ থেকে পরবর্তীতে লেখার দায়িত্বশীল সমালোচনা আশা করব।
loading...
যতই প্রত্যাশা করুন, নবীন লেখকরা তাদের ত্রুটি বিচ্যুতিগুলো এড়িয়ে ভাল লেখা উপহার দিতে চান না দাদা। আমি অনেক ইনসিস্ট করেও পারিনি। হাওয়া হয়ে গেছেন।
loading...
কাউকে ইনসিস্ট করে কিছু হয়না বোধহয়। যার দ্বারা যা হবার তাই হবে।
loading...
পাঠকের চেয়ে লিখকের সংখ্যা বেশি। যাদের আমরা ব্লগার বলি তারা লেখক; পাঠক নন। পাঠের চেয়ে লিখা অধিংকাংশের কাছেই মুখ্য। সত্য কথাটা রিপিট করলাম।
loading...
সত্যটা আমি আমার ক্ষেত্রেও অস্বীকার করতে পারিনা।
loading...
কমিউনিটি ব্লগিংয়ে সামাজিকতা বা আত্মিক যোগাযোগ জানা বা বোঝার ব্যাপার আয়ত্তে আসতে অনেক সময় লাগবে। পারস্পারিক কথোপকথনের মধ্য দিয়ে সুন্দর এবং অর্থপূর্ণ আলোচনা গড়ে উঠতে পারে এই সম্ভাবনা আমরা ভুলে যাই। আমরা চাই একটি সুন্দর এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ আমাদের ব্লগিং প্লাটফর্ম।
loading...
খুবই লজ্জিত বোধ করছি। খানিকটা পড়ে লজ্জায় আর এগোতে পারলাম না। আমার নিজেরই পাঠের অভ্যাস বর্তমানে একেবারে শূন্যের দিকে। অথচ মনে পড়ছে, শৈশব কৈশোরে কী ভীষণ বইয়ের পোকা ছিলাম। বই না পড়লে ঘুমোতে পারতাম না। এই তো শূন্য দশকের শুরুর কথা। বাল্যকাল পেরিয়ে কৈশোরে এসেছি। কী ভীষণ যে ভালো লাগতো বই পড়তে! বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এন্তার বই পড়েছি। লিয়ো টলস্টয়’র একটা বিখ্যাত একটি উক্তি মনে পড়ছে, মানুষের জীবনে তিনটি জিনিসের দরকার, বই বই এবং বই। এটা অন্তত আমার নিজের জীবনে আমি দারুণভাবে উপলব্ধি করেছি। সত্যি, বইই পারে মানুষকে প্রকৃত অর্থে মানুষ করে তুলতে। আমি প্রকৃত মানুষ, তথা সৎ সত্য আলোকিত উদার যুক্তিবাদী মানুষের কথা বলছি।
কিন্তু আজকের বাস্তবতা হলো যে, বই এখন শো পিস। তেমনি আপামর সাধারণের পাঠ্যাভ্যাসও শূন্য। অত্যন্ত খেদের সঙ্গে বলছি যে, আমি নিজেই এ ক্ষেত্রে সর্বাগ্রে। এখন মোবাইল, ইন্টারনেট, কম্পিউটার, গেমস ইত্যাদি সহজলভ্যতার কারণে বই ও পাঠ্যাভ্যাস শূন্য হয়ে পড়ছি আমরা।
তবু আশা করি ব্লগ, বইপত্র, সর্বোপরি আবার পাঠ্যাভ্যাস গড়ে উঠুক আমার ও সবার।
গুরুত্বপূর্ণ লেখা। শুভেচ্ছা ভরপুর।
loading...
সত্যি কথা বলতে কি? লেখাটা লিখতে আমিও লজ্জাবোধ করছিলাম। তবে আমি কিন্তু এখনও নিয়মিত বই পড়ি।
loading...
সুন্দর লেখার জন্য
অনেক শুভেচ্ছা জানাই
loading...
সেই একই কথা, আপনাকেও শুভেচ্ছ।
loading...
আলমগীর কবির দাদা, সুন্দর মূল্যবান পোস্টখানার জন্য প্রথমেই আপনাকে শুভেচ্ছা। শ্রদ্ধেয় দাদা, বর্তমান যুগে ব্লগে পাঠকের চেয়ে লেখক সংখ্যা বেশি হওয়াটা স্বাভাবিক বলে মনে হয়। কেননা, বর্তমান যুগে কম্পিউটার, ল্যাপটপ কিম্বা মোবাইল ফোনে বাংলা লেখার জন্য অনেক বাংলা কীবোর্ড সফটওয়্যার গুগল প্লে-স্টোরে পাওয়া যায়। তাই অনেক স্বল্প শিক্ষিত লোকই অনলাইনে থাকা বিভিন্ন পত্রপত্রিকার নিউজ, ব্লগে থাকা ব্লগার/লেখক/লেখিকাদের লেখা পড়ে নিজেরাই কিছু লিখার চেষ্টা করে এবং বিভিন্ন ব্লগ সাইটে বিনামূল্যে রেজিস্ট্রেশন করতে পেরে, একসময় তাঁরাও ব্লগে লিখতে থাকে। তাঁদের মধ্যে আমিও একজন হতভাগা। আমি শুরু থেকেই নাগরিক সমস্যা নিয়েই বেশি লিখে যাচ্ছি।
আমার মনোভাব:
ব্লগে লেখার ভাল ও মন্দ দিক নিয়ে তেমন আমার ভাবা হয়নি। তবে যা লিখে যাচ্ছি, তা ব্লগের নিয়মকানুন মেনেই লিখে যাচ্ছি। অনেকের লেখা পড়ি। সময় পেলে নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করি। কেউ আমার নগণ্য লেখায় মন্তব্য করলে রিপ্লাই করি। সময়তে অনেকের করা সুন্দর মূল্যবান মন্তব্যের উত্তর দিতে পারি না, শুধু সময়ের অভাবে। তবে এবিষয়ে যথেষ্ট চেষ্টা করে থাকি। যেসব সম্মানিত ব্লগার/লেখক/লেখিকা আমার লেখা পড়ে মন্তব্য দান করেন, আমিও চেষ্টা করি তাঁদের পোস্ট পড়ে মন্তব্য দিতে। আবার যাদের দুই তিনটে পোষ্টে মন্তব্য করার পর যদি দেখি যে, মন্তব্যের রিপ্লাই করছে না বা মন্তব্যের উত্তর দেয় না, তাহলে আর সেই ব্যক্তির কোনও পোস্টে আর মন্তব্য দিতে মন চায় না। এই স্বনামধন্য শব্দনীড় বলে আমার চেয়ে আপনি অনেক পুরানো। আপনি ২০১৩ সাল থেকে। আমি গত বছর থেকে, সবেমাত্র নতুন। এপর্যন্ত আপনিও হয়তো আমার কোনও পোস্টে মন্তব্য করেননি, আমিও আপনার পোস্টে মন্তব্য করার সুযোগ পাইনি। আপনার মূল্যবান এই পোস্টেই আমার প্রথম মন্তব্য।
ব্লগের পাঠ বিষয়ে কিছু সমস্যা নিয়ে আমি যতটুকু বুঝি, তা হলো; ব্লগে বেশি শব্দের লেখা (বড় লেখা) অনলাইনে ব্যয়বহুল ইন্টারনেট খরচ করে কেউ পড়তে চায় না। ব্লগে অল্প শব্দ নিয়ে লেখাই উত্তম বলে আমি মনে করি। যদিও বড় লেখায় সহ-ব্লগারগণ মন্তব্য করে থাকেন বা লিখেন, তো অবশ্যই একটু বিরক্তি ভাব নিয়েই মন্তব্য করে থাকেন। কেননা, আমরা যারা ব্লগে লেখালেখি করে থাকি, তাঁদের হাতে এমনিতেই সময় কম থাকে, তাই।
পরিশেষে বলতে চাই, আমরা যারা ব্লগে লেখালেখি করছি। আমরা যেন ব্লগের নিয়মকানুন মেনে ব্লগে লিখতে পারি; সেদিকে আমাদের সকলেরই লক্ষ্য রাখতে হবে। যাতে আমার একটা পোস্টের কারণে বা কয়েক শব্দবিশিষ্ট লেখায় যেন কারো কাছে ব্লগ টিমের জবাবদিহি না করতে হয়। আর প্রতিদিন ব্লগে প্রকাশ হওয়া সহ-ব্লগারদের পোস্ট পড়া এবং মন্তব্য করাও যেন আমাদের একটা দায়িত্ব হয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেও আমাদের সকলের খেয়াল রাখতে হবে। তবে মন্তব্যে হিংসাত্মক মনোভাব অবশ্যই পরিহার করতে হবে।
ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় আলমগীর কবির দাদা। আপনার জন্য সবসময় শুভকামনা। আর ভালোবাসার প্লাটফরম শব্দনীড়ের দীর্ঘায়ু কামনায় আমি নিতাই বাবু।
loading...
সুন্দর করে, সময় ব্যয় করে, এত বড় করে মন্তব্য লেখার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। তবে ইন্টারনেট খরচের চেয়ে বড় কথা স্ক্রিনে বড় লেখা পড়া সত্যিই মুশকিল। কারণ স্ক্রিনে মনসংযোগ রাখা বেশ কঠিন । অবশ্যই লেখা ভালো লাগলে সবাই লিখবে সেটা নিয়ে কোন আপত্তি নেই তবে লেখার আগে বেশি বেশি পড়াশোনা করা উচিৎ।
loading...
আমি পড়ে ভালো মন্দ মন্তব্য করতে চাই । কিন্তু লেখক সবসময় ভালো ভালো মন্তব্য আশা করেন সমস্যাটা এখানে । আমি নিজেও চাই আমার লেখা ভালো হোক মন্দ হোক সত্যি সমালোচনাটাই করুক । সমালোচনা গ্রহণ করার মতো মানসিকতাও তৈরী হওয়া উচিত ব্লগারদের । আর যে বললেন লেখক বেশী আসলে সমস্যাটা হলো ব্লগ তারাই পড়তে আসে যারা ব্লগ লিখে । নিউজপেপার মানুষের ঘরে দিয়ে আসে তাই পেপারটা পড়া হয় । বিডি নিউজ , এই নিউজ সেই নিউজ পাবলিক ফেসবুকে শেয়ার করে কিন্তু ব্লগ কেউ ফেসবুকে শেয়ার করে না তাই এখানে পাঠক সংখ্যা কম । পাঠক বাড়াতে হলে সবাই সক্রিয় হয়ে শেয়ার করতে হবে ।
loading...
নাজমুন সত্যিই অসাধারন কথা বলেছেন। আমি সত্যি বলছি, আমি মন থেকে চাই যিনি আমার লেখা পড়বেন তিনি ভাল করে পড়ে আমার লেখার ভাল দিক বা মন্দ দিক সুস্পষ্ট করে তুলে ধরবেন। আর হ্যাঁ আমি কিন্তু ব্লগের লেখা শেয়ার করি তবে আপাতত নিজেরটা করছি। আমি আপনাকে কথা দিচ্ছি, যদি কারও ভালো লেখা পড়া চোখে পড়ে তাহলে আমি সেই লেখা অবশ্যই ফেসবুকে শেয়ার করবো।
loading...
বোঝা যায় ব্লগের ওপর আপনার বেশ তীক্ষ্ন দৃষ্টি। অস্বীকার না করে উপায় নেই
loading...
ধন্যবাদ ভাইয়া
loading...