উপরের ছবিতে টি শার্ট শর্টস পরিহিতা, এক হাতে পানির লম্বা একটি ফ্লাস্ক নিয়ে মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে হেঁটে চলেছেন যে ভদ্রমহিলা, তিনি সত্তর আশির দশকের হিন্দি সিনেমার নায়িকা নিনা গুপ্তা। না, খুব বিখ্যাত বা জনপ্রিয় নায়িকা ছিলেন না। চলচিত্রে তেমন উল্লেখযোগ্য কোনও সাফল্য পাননি। এখন হয়তো টিভি নাটকে টুকটাক অভিনয় করেন, ঠিক জানা নেই। তিনি মূলত সে সময়ের বিখ্যাত ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার ভিভ রিচার্ডসের সাথে বিশেষ একটি ঘটনার জন্য দুনিয়াজুড়ে ব্যাপক চর্চিত হন। উহু, থাক সেসব কথা। তাঁর ব্যক্তিগত জীবন ঘাটাঘাটি করা আমার লেখায় বিন্দুমাত্র প্রাসঙ্গিক নয়।
যাই হোক, সেদিন জুহু বিচ থেকে ফেরার পথে হঠাৎ আবিষ্কার করলাম নিনা গুপ্তাকে, হাঁটছেন একাকী। নির্ঘাত সে সময় তিনি ব্যায়াম করতে যাচ্ছিলেন। হাতে পানির ফ্লাস্ক, পায়ে কেডস, পরনে শর্টস টি শার্ট দেখে অনেকটাই নিশ্চিত হই। সত্যি বলতে কি তাঁকে দেখে আমি দারুণ মুগ্ধ হয়েছিলাম। এখনও, এ বয়সেও তিনি অবিশ্বাস্য তারুণ্য ধরে রেখেছেন। মধ্য ষাটেও তাকে ঢের কমবয়সী দেখাচ্ছিল। বিস্মিত হয়েছিলাম। নির্ঘাত তিনি নিয়মিত শরীর চর্চা করে থাকেন নিজেকে এরকম ফিট রাখার জন্য। এখনও হালফিল বলিউড নায়িকাদের মতো জিরো সাইজের লিনথিন ফিগার, একবিন্দুও মেদ জমেনি শরীরের কোথাও। টানটান ক্ষুরধার শরীরে তাঁকে লাগছিল ঠিক যেন বছর পঁয়ত্রিশের কোনও তরুণী। যৌবন ঠিকরে বেরোচ্ছে শরীর থেকে। কে বলবে তাঁর বয়স পয়ষট্টি! যাই হোক তখন পড়ন্ত বিকেলে জুহুর সেই সুনির্জন সড়কে সামান্য কয়েকজন পথচারী ছিলো। ভাবলাম, মুখোমুখি তাঁর কিছু ছবি তুলে রাখি স্মার্টফোনে, কিন্তু সাহস হলো না। কে জানে, কি থেকে আবার কি হয়ে যায়, পাছে তিনি আবার না সিনক্রিয়েট করে বসেন, লাঞ্ছিত না হতে হয়! হা হা হা। সামনে থেকে না হলেও আমাকে অতিক্রম করার পর শখ করে তাঁর কয়েকটি ছবি তুলে রেখেছিলাম স্মার্টফোনের ক্যামেরায়। তারই একটি উপরে দেখতে পাচ্ছেন। আর এই নিনা গুপ্তাই একমাত্র সেলেব্রিটি যাকে আমি আমার পনেরো দিনের মুম্বাই ভ্রমণে দেখেছিলাম।
loading...
loading...
ভ্রমণ অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
গুগলে গিয়ে অভিনেত্রী নিনা গুপ্তাকে দেখে এলাম। তিনি অনেক ফিট রয়েছেন।
loading...
ধন্যবাদ।
loading...
শুভেচ্ছা প্রিয় অর্ক দা।
loading...
ধন্যবাদ।
loading...
অভিনন্দন কবি লেখক অর্ক ভাই।
loading...
ধন্যবাদ সুমন ভাই।
loading...
আমাদের দেশের চাইতে ভারতীয় সেলিব্রেটিদের বিশেষ করে এই বয়সীদের অহংকার নেই বললেই চলে। আমার বিশ্বাস ছবি তুলবার প্রস্তাব দেলে বরং তিনি খুশিই হতেন। এমনিতে তিনি সজ্জন মানুষ হিসেবেই মনে করি।
loading...
আমি অন্যের শান্তি নষ্ট করতে চাই না, কি সেলিব্রিটি কি সাধারণ মানুষ। আমিও তাই মনে করি।
প্রেরিত হলাম। ধন্যবাদ বোন।
loading...
লেখায় ছবি তোলার ব্যাপারটা অনেকটাই মজা করে বলা। ছোট্টো ঘটনা, স্বতন্ত্র পোস্টের প্রয়োজন মনের সুখে এটা ওটা টেনে বড় করেছি।
loading...
আমার প্রিয় অভিনেত্রী। আপনি ভাগ্যবান অর্ক ভাই।
loading...
জি ধন্যবাদ ভাই। বাস্তবে তিনি এ ছবির থেকে ঢের ফিট এবং সুন্দরী। আমার তাই অভিজ্ঞতা।
loading...
সামনাসামনি নীনাগুপ্তাকে দেখতে পেয়েছেন, খুব ভালো লাগলো । নিরহংকার মানুষগুলো তাদের কর্মেই আজীবন বেঁচে থাকেন।
loading...
ধন্যবাদ আপু। শুভকামনা।
loading...
ভ্রমণ কাহিনীতে প্রিয় অভিনেত্রী নীনাগুপ্তাকে নিয়ে আপনার আজকের পোস্ট এবং প্রিয় অভিনেত্রী দুই'ই অসাধারণ। শুভ কামনা।
loading...
ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো।
loading...
নীনা গুপ্তা সাহসী নারী । নায়িকার বাইরে ওনার এই পরিচয়টা পেয়েছিলাম ডিভ রিচার্ডসের সাথে সম্পর্কের পর । ডিভ রিচার্ডস এবং তার বিবাহ বহির্ভুত সন্তান জন্মদানে তিনি সমাজকে ভয় করেন নি ।
আপনার পোস্ট ভালো লাগলো । ভালো থাকবেন।
loading...
হ্যা, সবমিলিয়েই তিনি সময়ের থেকে এগিয়ে থাকা উন্নত মনমানসিকতার অধিকারিণী একজন।
ধন্যবাদ।
loading...