জন্ম ১২ অক্টোবর ১৯৪১
মৃত্যু ০২ মার্চ ২০১৯
প্রফেসর ডক্টর এস. এম. লুৎফর রহমান জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মর্যাদাসম্পন্ন একজন মৌলিক চিন্তাবিদ, ভাষাবিদ, লিপিতত্ত্ববিদ, ঐতিহাসিক, কবি ও কলামিস্ট হিসেবে আদৃত, স্বীকৃত ও সুপরিচিত। চিকিৎসাবিজ্ঞান, নৃবিজ্ঞান এবং বিজ্ঞানের অন্যান্য ননটেকনিক্যাল বিষয়েও তাঁর নিবন্ধাদি সুধীজনদের দৃষ্টি আকর্ষণে সমর্থ হয়েছে। বহুমাত্রিক দৃষ্টিকোণ থেকে বলা যায় তিনি একালের সেরা বাংলাভাষা গবেষক হিসেবে খ্যাতিমান। তাঁর গবেষণাকর্ম সূর্যের মতো দীপ্তি ছড়াচ্ছে অনুসন্ধিৎসুদের মাঝে।
জনাব রহমান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৫ সালে শিক্ষাজীবনে শুরুতে তিনি পিতার প্রতিষ্ঠা করা ‘খাটর রামানন্দকাঠি প্রাথমিক বিদ্যালয়’-এ অধ্যায়ন করেন। এখানে শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করার পর তাঁকে ‘পুলুম প্রাথমিক বিদ্যালয়’-এ ভর্তি করা হয়। ১৯৫৯ সালে পুলুম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে প্রথম বিভাগে ম্যট্রিক পাশ করেন। নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজ হতে উচ্চ মাধ্যমিক এবং একই কলেজ হতে বি এ (পাশ) সার্টিফিকেট অর্জন করেন। ১৯৬৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স ১ম পর্বে ১ম শ্রেণীতে ১ম স্থান অধিকার করেন এবং ২য় পর্বে ২য় শ্রেণীতে ১ম স্থান অধিকার করেন। এবং পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন ১৯৭৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
বৈচিত্র্যময় কর্মজীবনে তিন বহু পদ অলংকরণ করেন : প্রভাষক, সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, অধ্যাপক, সিলেকশন গ্রেড অধ্যাপক, নজরুল অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। কর্মজীবনে তিনি বাংলার পাশাপাশি ইংরেজী, হিন্দী, অহমিয়া প্রভৃতি ভাষায় পারদর্শীতা অর্জন করেন।
জনাব রহমান গবেষণাধর্মী বই লিখেছেন ১৫টি। গবেষণাধর্মী নিবন্ধ লিখেছেন দেড়শতাধিক। উল্লেখযোগ্য বইসমূহ হল: আধুনিককালের কবি ও কবিতা, দৌলৎপুরে নজরুল, ধূমকেতু ও তার সমাধি, মেসোপটেমিয়ায় নজরুল, ভৌগোলিক পরিবেশ ও দৈহিক নৃবিজ্ঞান, বাঙালা লিপির উৎস ও বিকাশের অজানা ইতিহাস, বাঙালীর লিপি ভাষা বানান ও জাতির ব্যতিক্রমী ইতিহাস (৩ খন্ড), লালন-জিজ্ঞাসা, বাউল তত্ত্ব ও বাউল গান, লালনগীতি চয়ন, লালন শাহ: জীবন ও গান, বাঙালা ভাষা ও বানানের ঐতিহাসিক বিপর্যয়: উন্নয়ন ও আধুনিকায়ন, বাংলাদেশী কথা-সাহিত্যের তিন আমল, বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ, হোমিওপ্যাথি সম্পর্কে, বাংলাদেশী জারীগান, বৌদ্ধ চর্যাপদ, দুদ্দু শাহ, বাংলাদেশী লোক-চিকিৎসা ইত্যাদি।
জনাব রহমান ১৯৬৪ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবন্ধ লেখা ও বক্তৃতা প্রতিযোগিতায় দুটোতেই প্রথম পুরস্কার পান। ১৯৬৫ সালে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সেরা নির্বাচিত হন। বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক কাউন্সিল কর্তৃক বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ হিসেবে ‘আজীবন সম্মাননা’ পেয়েছেন। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের উৎপত্তি ও উন্নয়ন বিষয়ে মৌলিক গবেষণায় অবদানের জন্য ‘জাতীয় লেখক ফোরাম’, ঢাকা কর্তৃক ‘নওয়াব স্যার সলিমুল্লাহ জাতীয় পুরস্কার-২০০৮’-এ ভূষিত হন। দি আমেরিকান বায়োলজিক্যাল ইন্সটিটিউট, নর্থ ক্যারোলিনা, যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক ‘ম্যান অব দ্য ইয়ার-১৯৯৭’ নির্বাচিত হন।
এছাড়া জনাব লুৎফর রহমান বাংলা পাণ্ডুলিপি, ইন্দো-ইউরোপীয় আদি ভাষা এর বিশ্ব-ভাষা প্রকল্প এবং মূল বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের উৎস বিষয়ে নতুনভাবে আলোকপাত করেন। বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের বিশিষ্ট তাত্ত্বিক বিশেষজ্ঞতা অর্জন করেন। এ ছাড়া তিনি তিনি রেডিও টিভি সহ বিভিন্ন সাময়িকী এবং বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় বিবিধ অবদান রেখেছেন সফলতার সঙ্গে। এই গুণী ব্যক্তিত্বের রুহের মাগফিরাত কামনা করি।
loading...
loading...
ভাষাবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. এস. এম. লুৎফর রহমান এর বিষয়ে তেমন কিছু জানা ছিলো না। তবে অনেক আগে দৈনিক সংগ্রামে একটি নিবন্ধ পড়েছিলাম। শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ মি. ফারুক মোহাম্মদ ওমর।
loading...
কৃতজ্ঞতা রইলো দাদা।
loading...
ডঃ এস এম লুতফর রহমানের দু একটা লেখা আমি পড়েছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালীন সময়ে দু একটা সেমিনারে উনার বক্তৃতা শুনে।
এই ভাষা বিজ্ঞানীকে নিয়ে লেখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই।
loading...
আন্তরিক ধন্যবাদ।।
loading...
ভাষাবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. এস. এম. লুৎফর রহমান এর বিষয়ে আগে তেমন কিছু জানা ছিল না। যা জানলাম আপনার লেখা পোস্ট থেকে।
আপনাকে অজস্র ধন্যবাদ। সাথে শুভকামনা সারাক্ষণ ।
loading...
আপনার জন্যও শুভকামনা দাদা।
loading...
ভাষাবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. এস. এম. লুৎফর রহমানের জীবন ও কর্ম পরিধি পড়লাম। পাঠে সমৃদ্ধ হলাম দাদা।
loading...
কৃতজ্ঞতা রইলো।
loading...
বিদেহী আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি।
loading...
শান্তি । শুভকামনা।।।।
loading...
তাঁর বিষয়ে কিছু কিছু জানতাম। এতো বিস্তর পরিসরে নয় অবিশ্যি। ধন্যবাদ আপনাকে।
loading...
অধ্যাপক ড. এস. এম. লুৎফর রহমানের প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধা।
loading...