গোমড়ামুখো মেঘ-সন্ধ্যাটায় টুপ করে অন্ধকার নামলে
অবন্তী ঘরের অন্ধকার চোখে পুরে ব্যালকনিতে দাঁড়ায়,
গত একযুগ ধরে এভাবেই ঝাঁকে ঝাঁকে অন্ধকার পুষছে সে দুচোখ ভরে।
মশার উৎপাতে ভ্রু কুঁচকানো নজুর মার মৃদু ভর্ৎসনা,
“ভর সন্ধ্যায় বাইরে খাড়ায়া ক্যান”
সেও একযুগের কঠিন অভ্যাস।
চারপাশেের অন্ধকার আর নজুর মায়ের তীব্র স্নেহজ্যোতির কাছে
ষাট পাওয়ারের হলদেটে বাতির আলো বড় বেশি শীর্ণকায় ঠেকে।
সাইড টেবিলে এখনো সে মৃদু আলোর পাশে জুড়িয়ে যাওয়া আধকাপ চা আরশোলায় অপেক্ষায়,
আরশোলারও বুঝি অরুচি ধরে গেছে,
কত আর এসব টোস্টের সাথে নিজেকে মানিয়ে নেয়া যায়!
অবন্তীর তৃষ্ণায় গোটা আকাশ রাতকে কুঁকড়ে রাখে,
বৈশাখী ঘূর্ণিঝড়ের স্বেচ্ছাচারিতায় গৃহবন্দী হয় অযুত অন্ধকার,
অবন্তী জানেনা কত আলোকবর্ষ দূরে সূর্যের সীমানা।
যেদিন পুরো মুখমণ্ডল জুড়ে এসিডধর্ষণের চাষাবাদ হয়
অন্তঃসারশূন্য হয়ে উঠে তার জীবনের সব কোলাহল,
দুচোখে বীভৎস অন্ধকার আছড়ে পড়ে জন্ম জন্মান্তরের জন্য,
সেদিন থেকেই অন্তহীন মায়ায় এমন কালো যন্ত্রণা পুষে চলেছে অবন্তী।
loading...
loading...
আহা অবন্তী !! পরিণতি ভাবতেই গা শিউরে উঠলো কবি বোন রুকসানা হক।
loading...
অবন্তীদের পরিণতির খবর আমরা রাখিনা। এসিড সন্ত্রাসঅনেকটা এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে মনে হচ্ছে। কিন্তু যারা এর শিকার হয়েছিলেন তাদের প্রতি আমরা কতখানি দায়বদ্ধ আছি জানিনা।
আপনাকে ধন্যবাদ দাদা।
loading...
অবন্তীর জন্য মন ভার হয়ে এলো দিদি ভাই।
আমাদের সমাজের বাকি অবন্তীরা কি নিরাপদে আছে ? 
loading...
অবন্তীরা কেনো, কোন নারীরই আজ নিরাপত্তা নেই এ সমাজে। দিদিভাই আমাদের চিৎকার বাতাসে অনুরণিত হয়ে আবার আমাদের কাছেই ফিরে আসে।
শুভেচ্ছা তোমাকে।
loading...
বৈশাখী ঘূর্ণিঝড়ের স্বেচ্ছাচারিতায় গৃহবন্দী হয় অযুত অন্ধকার,
অবন্তী জানেনা কত আলোকবর্ষ দূরে সূর্যের সীমানা।
loading...
কোন নারীই হয়তো জানেনা সূর্যের দূরত্ব কতখানি। আপনাকে ধন্যবাদ।
loading...
ভালো থাকুক অবন্তী।
loading...
আপনিও ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা সতত ।
loading...
অবন্তীর অন্ধকারকে আমাদের জয় করতে হবে। আনন্দ ঘিরে থাক।
loading...
জয় করার এ প্রতিশ্রুতি হোক আমাদের শ্লোগানের ভাষা। অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।
loading...
অবন্তীকে অনুভব করলাম।
loading...
এভাবেই আমরা নিজেদের অনুভব থেকে যুদ্ধ করে যাবো। ধন্যবাদ আপু ।
loading...
##"চারপাশেের অন্ধকার আর নজুর মায়ের তীব্র স্নেহজ্যোতির কাছে
ষাট পাওয়ারের হলদেটে বাতির আলো বড় বেশি শীর্ণকায় ঠেকে।"
……….এই এসিড সন্ত্রাসের হাত থেকে অসংখ্য অবন্তিদের বাঁচাতে
দেশে মৃত্যুডন্ডের মতো কঠিন
আইন থাকার দরকার ছিলো।
অবন্তিদের প্রতি সমবেদনা। ——–
———-আগাধ সশ্রদ্ধ ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছা কবির জন্য।
loading...
অগাধ>আগাধ
ব্লগে কমেন্ট এর নীচে একটি edit option থাকা আবশ্যক ছিল আজাদ ভাই!
loading...
আপনার চমৎকার অনুভূতি কবিতাকে ছুঁয়ে গেল । নিজেদের অবস্থান থেকে আমরা এভাবেই অবন্তীদের পাশে দাঁড়াতে পারি। শুভেচ্ছা সতত ।
loading...
দুচোখে বীভৎস অন্ধকার আছড়ে পড়ে জন্ম জন্মান্তরের জন্য,
চমৎকার কবি আপু
loading...
অনেক ধন্যবাদ ভাই। ভালো থাকুন সবসময়।
loading...
চারপাশের অন্ধকারে ষাট পাওয়ারের বাতির আলো শীর্ণকায় লাগা এবং সেই আলো আধারিতে নজুর মার নিয়মিত অথচ ভিন্ন এক স্নেহময় উপস্থিতি কবিতাটিকে অসাধারণ রুপ দিয়েছে। আগে পড়িনি এমন ভাবপূর্ণ সব উপমা, ভাবের আগপিছ করে (চোখের) জলরঙের ছবি আঁকা –ভীষণ দক্ষ শিল্পী না হলে পারা যায়না!
অবাক হয়ে পড়লাম, মুগ্ধতা নিয়ে!
লেখাটায় একটা সত্য এবং তৎসংশ্লিষ্ট একটা প্রশ্ন আমার সম্মুখে এসেছে, মৌলিক প্রয়োজনেও মানুষ কোন কিছু জীবন্ত পোড়ায়না। এই যেমন পাতা শুকালেই কেবল পোড়ায়, মাছ মরলেই কেবল পোড়ায়। তাইলে মানুষ কেন জীবন্ত মানুষ পোড়ায়?
অবন্তির বেলকনিতে রাত্রি নেমে এসে একযুগ ধরে সেই উত্তর খুঁজে!
loading...
এই চমৎকার মন্তব্যটির অপেক্ষায় যেন থাকি। বোদ্ধা পাঠকের তীক্ষ্ণ অনুভূতি একটি সাধারণ লেখাকেও অসাধারণ করে তোলে ।
ধন্যবাদ জানানোর ভাষা নেই । সবসময় চাইবো এভাবেই উৎসাহিত করার জন্য ।
loading...
অবন্তীদের অবস্থার উত্তরণের চাইতে এই পুরুষ সমাজের উত্তরণ হোক । তারা মানুষ হতে শিখুক । তাহলেই সকল অবন্তী ভালো থাকবে ।
loading...
এই কঠিন সত্যটা সমাজের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে হবে। অবন্তীরা আজীবন পুরুষের পশুত্বের শিকার।
ধন্যবাদ আপু ।
loading...
অপূর্ব, অসাধারণ… ঝরঝরে নিটোল একটি লেখা, গল্পের মতো।
অবিরাম শুভেচ্ছা আপু। আরও লিখুন ।
loading...
উৎসাহিত হলাম ভাই । ভালো থাকুন । শুভকামনা নিরন্তর।
loading...
অবন্তীর কষ্ট গুলো গভীর ভাবে অনুভব করছি। কিন্তু আপু ,এই অসহায় অবন্তীদের অবস্থার কোন পরিবর্তন হয়না যুগে যুগে। তবুও ভাল থাকুক অবন্তীরা।
স্বাধীনতার শুভেচ্ছা নিন কবি আপু।
loading...